শুক্রবার, ৯ মে, ২০১৪

বাংলাভাষায় বক্র-আ



বাংলাভাষায় বক্র-আ 


বাংলাভাষায় বক্র-আ




বিনামূল্যে সর্বান্তিক বাংলা ইউনিকোড ফন্টটি সরাসরি ডাউনলোড করুন নীচের এই লিংকে ক্লিক করে৤‎


অহনলিপি-বাংলা১৪ (AhanLipi-Bangla14) ফন্ট৤  Windows7 environment




০৯/০৫/২০১৪ শুক্রবার৤  

অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্টে কম্পোজ করা হল৤








সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে৤

অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং

এবং




অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options--contents
              Fonts and Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -- OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -- OK
 -- OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤




প্রকাশিত--
বঙ্গীয় ভাষাবিজ্ঞান পরিষদের ষাণ্মাসিক মুখপত্র
ভাষা
দ্বিতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় প্রকাশ
মে-অক্টোবর ১৯৮৩ (পৃঃ ৪৯-৫৪)
সম্পাদক--মৃণাল নাথ




বাংলাভাষায় বক্র-আ
মনোজকুমার ...

          কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত ‘বাংলা বানানের নিয়ম’-এর ১৪ সংখ্যক সূত্রে বলা হয়েছে:

          বক্র আ(বা বিকৃত এ৤ cat এর a)
          মূল শব্দে বক্র আ থাকিলে বাংলায় আদিতে অ্যা এবং মধ্যে ‘‍্যা’ বিধেয়৤  যথা-- অ্যাসিড(Acid) হ্যাট(hat)৤

            এই বক্র আ বাংলায় নানা প্রকারে লেখা হয়-- অ্যা/এ্যা/য়্যা, এবং মধ্যে ‘‍্যা’৤ এর মধ্যে প্রথম দুটি অর্থাৎ অ্যা/এ্যা-এর ব্যবহার বেশি৤ কোথাও কোথাও য়্যা ব্যবহৃত হয়৤
          এই বক্র আ বা বিকৃত এ ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট এবং যুক্তিসংগত লিপি বেছে নেওয়া উচিত৤ যার যেমন ইচ্ছা লিখলে ভাষায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে৤ সাধারণ পাঠক এবং নবীনদের পক্ষে অসুবিধাজনক হয়ে পড়বে৤
          অনুমান করা বোধহয় ভুল হবে না যে বক্র আ বা বিকৃত এ বাংলায় ব্যবহৃত হচ্ছে ইংরেজির প্রভাবে৤ হ্যাট, ক্যাট, ম্যাট, ব্যাট ইত্যাদির উচ্চারণ বোঝাবার জন্য বাংলায় য-ফলা আ-কার দিয়ে কাজ চালানো হয়, কারণ য-ফলা আ-কার দিয়ে শব্দে প্রায় বক্র আ-এর ধ্বনি পাওয়া যায়, যেমন-- ব্যাখ্যা, ব্যাপক ইত্যাদি৤
          ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত, প্রথম বাংলা মুদ্রিত বই হল-- “কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ”৤ তখনকার দিনে বক্র আ ব্যবহার করা হত কি? এ বই পড়ে “বাঁকা ‘এ’-র উচ্চারণ সম্বন্ধে কিছু নিশ্চিতভাবে জানিবার উপায় নাই, তবে বাঁকা ‘এ’ ছিল” (চট্টোপাধ্যায়, ১৯৭৫ক: ১৭৩)৤
          এর প্রায় শ’খানেক বছর পরে ১৮৬১/৬২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ প্রকাশিত “হুতোম প্যাঁচার নকশা”য় এই ধ্বনিটির স্পষ্ট ব্যবহার পাওয়া যায়(সেন ১৯৫৭: ১৪৯)৤ সুনীতিকুমার বলেছেন, এই ‘অ্যা’ “হুতোম প্যাঁচার নকশা”-র আগে ছিল কিনা জানি না (১৯৭৫ক : ১২৪)৤ বক্র আ (বা বিকৃত এ) বোঝাতে হুতোমের লেখায় ‘‍্যা’ ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন-- গেল=গ্যালো, বেলা=ব্যালা৤
          মাত্রা সহযোগে এ-কার [ ] ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথ এই ধ্বনিটি বোঝাবার ব্যবস্থা করেছিলেন৤ স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্য “সহজপাঠ” দ্বিতীয় ভাগ খুললে এর উল্লেখ এবং ব্যবহার দেখতে পাওয়া যাবে(রবীন্দ্রনাথ ১৯৮০: ৪)৤ ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে মনীন্দ্রকুমার ঘোষ মহাশয়কে লেখা রাজশেখর বসুর চিঠিতে এর উল্লেখ আছে৤ রাজশেখর নিজে এই জন্য একটি নতুন বর্ণ প্রস্তাব করেছিলেন(ঘোষ ১৯৭৮: ৯০-৯১)৤
          কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় যখন অ্যা/‍্যা ব্যবহার করার বিধি প্রচার করেন, তখন দেবপ্রসাদ ঘোষ মহাশয় য়্যা ব্যবহার করার কথা বলেন(ঘোষ ১৯৩৯: ২৪)৤
          এর কিছু পরে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি মহাশয় প্রস্তাব করেছিলেন-- এা (রায় ১৯৫৬: ১৮৮)৤
          ভাগ হয়ে যাওয়া বাংলার দুই অংশের মধ্যে পূর্বদেশীয় অংশ থেকে পূর্ববঙ্গ সরকারি ভাষা কমিটি ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে প্রস্তাব করেছিলেন-- অ্যা/‍্যা (চৌধুরী ১৯৭৬: ১০৮)৤ পরবর্তীকালে প্রকাশিত “বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান”-এ ব্যবহার করা হয়েছে এ্যা(শহীদুল্লাহ্ ১৯৭৩: ঘ)৤
          “বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান” সংকলনের প্রধান সম্পাদক প্রখ্যাত ভাষা বিজ্ঞানী ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহর অভিমত ছিল এটিকে এ্যা হিসাবে লেখার(মজুমদার ১৯৮২: ১৪)৤
          ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত “বাংলা উচ্চারণ কোষ”-এ এসম্পর্কে এ্যা বানান ব্যবহার করা হয়েছে(ধীরানন্দ ঠাকুর ১৯৫৪: ১ম, ৩৫ এবং অন্যান্য পৃষ্ঠা)৤
          এই বক্র আ(বা বাঁকা তথা বিকৃত এ)-এর লিপি হিসাবে ১৯৫৭/৮ খ্রিস্টাব্দে(১৩৬৪ বঙ্গাব্দ) প্রকাশিত এক প্রবন্ধে ভাষাচার্য সুনীতিকুমার লিখেছেন-- অ্যা(চট্টোপাধ্যায় ১৯৭৫ ক: ৭৫ )৤ এবং তাঁর বিখ্যাত বই ODBL-এ æ= অ্যা দেখিয়াছেন(১৯৭৫ খ: ২৭১)৤
          বাংলা বানান সম্পর্কিত সম্প্রতি প্রকাশিত এক বইতে পরেশচন্দ্র মজুমদার বলেছেন, উচ্চারণে
; এ্যা পরিবর্তন সর্বত্র বানানে চিহ্নিত হওয়া উচিত৤
          ... এ্যা-যুক্ত ধাতু বাঙলায় আছে এবং তা বানানে আশু চিহ্নিত হওয়া প্রয়োজন(মজুমদার ১৯৮২: ৫৬, ৫৮, পাদটীকা ৯)৤
          বক্র আ-এর লিপি হিসাবে পবিত্র সরকার এক প্রবন্ধে(১০ এপ্রিল, ৮৩) ব্যবহার করেছেন-- অ্যা (সরকার ১৯৮৩: গ)৤
          বক্র আ একটি স্বরধ্বনি, এর জন্য অ্যা/এ্যা/য়্যা এই তিন প্রকার লিপি বিভিন্ন জনে প্রস্তাব করেছেন৤ এই লিপির গ্রহণযোগ্যতা বিভিন্ন দিক থেকে বিবেচনা করে এর থেকে একটি নির্দিষ্ট লিপি গ্রহণ করা উচিত, অথবা অন্য কোন লিপি, যা যুক্তিসংগতভাবে ব্যবহার করা চলবে, সেটি নির্বাচন করা উচিত৤
          যদি একেবারে ভিন্ন কোন নতুন লিপি তৈরি করা হয়, যার কোন টাইপ ছাপাখানায় নেই, তাহলে সেই লিপি নিজেই একটি সমস্যা তৈরি করে ফেলবে৤ তাছাড়া সেই লিপির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্যতা প্রমাণিত হতে বহু সময় কেটে যাবে৤ রাজশেখর বসু যেমন এই জন্য যে লিপির প্রস্তাব করেছিলেন তার জন্য ছাপাখানায় নতুন টাইপ তৈরি করা দরকার হবে(ঘোষ ১৯৭৮: ৯০-৯১)৤
          বর্তমানে প্রচলিত টাইপ, এবং বক্র আ-এর জন্য ব্যবহৃত লিপি এই দুয়ের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য বিধান করে নতুন লিপিটি নির্বাচন বা নির্দিষ্ট করতে হবে৤
          অ্যা/এ্যা/য়্যা-- একটি স্বরধ্বনি, সুতরাং এর জন্য “য়্যা” লিপি হিসাবে ব্যবহার করা চলতে পারে না৤ বাকি লিপি দুটি অ্যা/এ্যা-এর মধ্যে “এ্যা” লিপিটি এই ধ্বনিটিকে অধিকতর সার্থকভাবে ধারণ করে৤ ধ্বনির অবস্থানের রেখাচিত্র থেকে দেখা যাবে যে “অ” অপেক্ষা বক্র আ(বা বিকৃত এ) ধ্বনি “এ” এই ধ্বনিটির বেশি নিকটবর্তী(বসু ১৯৭৫: ৯১; চট্টোপাধ্যায় ১৯৭৫খ: ২৬৭; গোস্বামী ১৯৬৬: ৭৪, চিত্র ৭৫)৤ এই কারণেই বক্র আ(বা বিকৃত এ)  বোঝাতে পূর্বে ‘এ’ বর্ণটি ব্যবহার করা হত; কারণ তখন এ্যা-এর প্রচলন ছিল না, বা এটি আদৃত হয়ে ওঠেনি৤
          আবার, যেহেতু এ্যা একটি স্বরধ্বনি সেজন্য এর বর্ণ বা বর্ণচিহ্ন এ্যা/‍্যা হওয়া উচিত নয়৤ কারণ, য-ফলা[‍্য] যেহেতু একটি ব্যঞ্জনধ্বনি, সেজন্য স্বরধ্বনির বর্ণ গঠনে তা ব্যবহার করা ঠিক নয়৤ যদি বক্র আ(বা বিকৃত এ, বা বাঁকা এ) তথা এ্যা=এা গ্রহণ করা হয়, তবে সে সমস্যা থাকে না৤ তাছাড়া, একটি অতিরিক্ত য-ফলা ব্যবহারের হাত থেকে, লেখা এবং ছাপা রেহাই পাবে৤ ছাত্রদের পড়তে হবে না(বেলা=) ব্যালা অর্থাৎ ব-এ য-ফলা আ-কার, ল-এ আ-কার৤ তারা পড়বে (এক=)এাক অর্থাৎ এা(=এ্যা)ক, এাক৤ 



          বাংলায় এ-কার [ে] যদি এভাবে তৈরি হয়ে থাকে, অর্থাৎ এ-স্বরবর্ণটির নিচের অংশ বাদ দিয়ে এবং উলটে নিয়ে; তবে, প্রকৃত এ-কার হতে পারে বর্তমানে প্রচলিত এ-কার উলটে নিয়ে অর্থাৎ  (দেশ=দ৙শ, বেশ=ব৙শ)৤   
          এই চিহ্নটি বর্ণের/হরফের ডাইনে বসানো চলবে এবং তাতে ব্যবহারের খুবই সুবিধা৤ বাংলাদেশে এজন্য ১[এক] সংখ্যাটি হরফের ডাইনে বসিয়ে এ-কার বোঝাবার প্রয়াস হয়েছিল(চৌধুরী ১৯৭৬: ১০৮)৤ আসলে এটি() দিয়ে উলটো এ-কার বোঝানো হয়েছে৤
          সুতরাং, এা-এর স্বরচিহ্ন হবে ৙঄ অর্থাৎ , এ-কার[]  এবং আ-কার[঄] পাশাপাশি লিখে, এা=৙঄৤ এভাবে লিখলে খানিকটা বর্তমান য-ফলা আ-কার -- ‍্যা-এর মত দেখতে হবে৤ ‍‍কারণ, উলটো এ-কার এবং তার সঙ্গে আ-কার জুড়ে ৙঄=‍্যা বোঝানো হচ্ছে৤ হরফের ডাইনে এটি বসাবার সহজ সুবিধাও রয়ে গেছে, এবং দেখতে এবং লিখতেও এখনকার ‍্যা-এর মত৤ এর ফলে প্রচলিত লিখন এবং পাঠ অভ্যাস বিশেষ বাধাগ্রস্ত হবে না৤
          এক=এাক, এমন=এামন; খেলা=খ৙঄লা, ফেলা=ফ৙঄লা
          ছাপার ক্ষেত্রেও এটি অর্থাৎ , বক্র আ(বা বিকৃত এ)=এা/৙঄ কোন অসুবিধা সৃষ্টি করবে না৤ হাতে কম্পোজ করা হয় যেসকল ছাপাখানায় (প্রায় ৯৫ শতাংশ ছাপাখানায় হাতে কম্পোজ হয়) সেখানে এটিকে ব্যবহার করে ছাপার কাজে কোন বাধা হবে না৤ এটিকে ব্যবহার করে হাতে কম্পোজ করা হয়েছে এবং ছেপে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে৤ কম্পিউটারে ইউনিকোড ফন্টে লেখার বা কম্পোজ করে এা/৙঄ লেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৤
          এই নতুন এা বর্ণটির স্থান হবে বাংলা স্বরবর্ণের ‘এ’ এবং ‘ঐ’ বর্ণের মাঝখানে(এ এা ঐ)৤ সুতরাং, বাংলা স্বরবর্ণের সজ্জা হবে-- অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ এা ঐ ও ঔ (১২টি)৤
          স্বরচিহ্ন--   া ি ী ু ূ ৃ ে ৙঄ ৈ    ৌ (১১টি)৤
          নতুন ধ্বনির জন্য নির্দিষ্ট লিপি বাংলায় আরো তৈরি করা হয়েছে, যেমন-- st=স্ট(বাংলা বানানের নিয়ম ১৯৩৭: সূত্র সংখ্যা ২০)৤
          এ ছাড়াও আছে, যেমন-- ড় ঢ় য়৤ এই বর্ণগুলি বাংলায় নতুন৥  

      

টীকা
১.যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে লিখেছেন, বস্তুতঃ, য় ড় ঢ় শত বৎসর পূর্বে ছিল না(১৯৫৬: ১৯২)৤ কৃষ্ণপদ গোস্বামী লিখেছেন, বাংলায় ড় ঢ় বর্ণ দুইটি নতুন; শব্দের মধ্যে বা অন্তে ব্যবহৃত হয়৤ সংস্কৃতে পীড়া মূঢ় প্রভৃতি শব্দের উচ্চারণ ছিল-- পীডা, মূঢ৤ ... সংস্কৃত য-এর প্রকৃত উচ্চারণ “ইঅ” ...এই ধ্বনিটিকে অর্ধ-স্বর(Semi-vowel) বলা হয়(গোস্বামী ১৯৬৬: ৮৫, ৮৭)৤ দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু লিখেছেন, সংস্কৃত বর্ণমালায় /য়/ বর্ণ ছিল না ...তাড়িত অগ্রতালব্য /ড় ঢ়/ ধ্বনি বাংলায় আছে, সংস্কৃতে ছিল না (১৯৭৫: ৮৮, ৯৩)৤
          পরেশচন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাঙলায় অনেক ধ্বনি আছে যা সংস্কৃত বর্ণমালায় নেই৤ ‘অ্যা’ ধ্বনিটি তার অন্যতম উদাহরণ৤ অন্য কয়েকটি হলো ড়, ঢ়, য় -- বর্ণের তলায় বিন্দু যুক্ত করার কৃতিত্ব সম্ভবত বিদ্যাসাগর মহাশয়ের(১৯৮২: ১৩)৤ প্রসঙ্গত বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁর ‘বর্ণপরিচয়’ প্রথমভাগ (১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত, সংবৎ ১৯১২) বিজ্ঞাপনে যা লিখেছেন তা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ড,ঢ,য এই তিন ব্যঞ্জনবর্ণ পদের মধ্যে অথবা পদের অন্তে থাকিলে, ড়,ঢ়,য় হয়; ইহারা অভিন্ন বর্ণ বলিয়া পরিগৃহীত হইয়া থাকে৤ কিন্তু যখন আকার ও উচ্চারণ উভয়ের পরস্পর ভেদ আছে, তখন উহাদিগকে স্বতন্ত্র বর্ণ বলিয়া উল্লেখ করাই উচিত; এই নিমিত্ত, উহারাও স্বতন্ত্র ব্যঞ্জনবর্ণ বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে(হালদার ১৯৭২: ১)৤


তথ্যসূত্র
১৤কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৭: বাংলা বানানের নিয়ম(তৃতীয় সংস্করণ)৤ কলিকাতা: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়৤
২৤গোস্বামী, কৃষ্ণপদ ১৯৬৬: বাংলা ভাষাতত্ত্বের ইতিহাস৤ কলকাতা: গ্রন্থপ্রকাশ৤
৩৤ঘোষ, দেবপ্রসাদ ১৯৩৯: বাঙ্গালা ভাষা ও বানান৤ কলকাতা: মডার্ন বুক এজেন্সি৤
৪৤ঘোষ, মনীন্দ্রকুমার ১৯৭৮: বাংলা বানান৤ কলকতা:আশা প্রকাশনী৤
৫৤চট্টোপাধ্যায়, সুনীতিকুমার ১৯৭৫ক: বাঙ্গলা ভাষা প্রসঙ্গে৤ কলকাতা: জিজ্ঞাসা৤
৬৤    --       --       --     ১৯৭৫খ: The Origin and Development of the Bengali language. Calcutta: Rupa & Co(Reissue).
৭৤চৌধুরী, মুনীর ১৯৭৬: বাঙলা গদ্যরীতি৤ ঢাকা: বাংলা একাডেমী৤
৮৤ঠাকুর, ধীরানন্দ ১৯৫৪: বাংলা উচ্চারণ কোষ৤ কলকাতা:বুকল্যান্ড৤
৯৤ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ১৯৮০: সহজ পাঠ(দ্বিতীয় ভাগ)৤ কলকাতা: বিশ্বভারতী৤
১০৤বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ১৯৭৫: বাংলাভাষার আধুনিকতত্ত্ব ও ইতিকথা(প্রথমাংশ)৤ কলকাতা:পুঁথিপত্র৤
১১৤মজুমদার, পরেশচন্দ্র ১৯৮২: বাঙলা বানানবিধি৤ কলকাতা: সারস্বত৤
১২৤রায়, যোগেশচন্দ্র বিদ্যানিধি ১৯৫৬: কি লিখি৤ কলিকাতা: ওরিয়েন্ট বুক কোং৤
১৩৤শহীদুল্লাহ, মুহম্মদ(প্রধান সম্পাদক) ১৯৭৩: বাংলাদেশের আঞ্চলিক অভিধান(দ্বিতীয় মুদ্রণ), ঢাকা: বাংলা একাডেমী৤
১৪৤সরকার, পবিত্র ১৯৮৩: ইস্কুলের বাংলা ব্যাকরণ কেমন হবে৤ যুগান্তর-- ১০ এপ্রিল, রবিবার-- পৃঃ গ৤
১৫৤সেন, নিখিল ১৩৬৪/১৯৫৭: পুরনো বই৤ কলকাতা: এ. মুখার্জি অ্যান্ড কোং৤
১৬৤হালদার, গোপাল(সম্পাদিত) ১৯৭২: বিদ্যাসাগর রচনা সংগ্রহ(প্রথম খণ্ড)৤ কলকাতা: বিদ্যাসাগর স্মারক জাতীয় সমিতি(সাক্ষরতা প্রকাশন)৤
==========================

প্রকাশিত--
বঙ্গীয় ভাষাবিজ্ঞান পরিষদের ষাণ্মাসিক মুখপত্র
ভাষা
দ্বিতীয় বর্ষ, দ্বিতীয় প্রকাশ
মে-অক্টোবর ১৯৮৩ (পৃঃ ৪৯-৫৪)
সম্পাদক--মৃণাল নাথ


তথ্য সংযোজন: ০৯/০৫/২০১৪

     [বিদ্যাসাগরের জন্মের(১৮২০) ৪৩ বছর আগে ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ হ্যালহেড সাহেব Nathaniel Brassey Halhed ইংরেজিতে যে বাংলা ব্যাকরণ বই প্রকাশ করেন, A Grammar of the Bengal language, সেখানে প্রথম বাংলা বিচল(movable) হরফে ছাপা বহু উদাহরণ দেন৤ সেই গ্রন্থে দেখা যাচ্ছে যে, চন্দ্রবিন্দু ব্যবহারে আছে প্রদর্শিত বর্ণমালায় নেই, পৃঃ-৯১; ড়,য় ব্যবহারে আছে প্রদর্শিত বর্ণমালায় নেই, পৃঃ-৩২, এমনকি গ্রন্থের প্রচ্ছদেও ‘য়’ আছে; বর্ণমালার কিছু বর্ণের গঠনে তৎকালে দু-তিনটি রূপ পাওয়া যায়-- র/ব/ৰ ]



          বাংলাদেশের মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া তাঁর ‘বাংলা পাণ্ডুলিপি পাঠসমীক্ষা’ গ্রন্থে(বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৮৪) দেখিয়েছন ড় য় মুদ্রণের যুগের আগে হাতে লেখা পুথির যুগেও ছিল(পৃঃ-৪৫)৤
          ওই গ্রন্থে দেখা যায় যে, ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দের পুথিতেই ‘এ্যা’ ব্যবহার ছিল৤ জান্যা ষুন্যা(পৃঃ-৫৫, ১৭৮০ খ্রি.), বোল্যা(পৃঃ-৫৬), লয়্যা(পৃঃ-৭০)৤


      

          বাংলাদেশের খন্দকার মুজাম্মিল হক তাঁর “পাণ্ডুলিপি পাঠ ও পাঠ-সম্পাদনা” গ্রন্থে পুথি লিখনের যে উদাহরণ দিয়েছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে  ‘য়’ আছে(পৃঃ-১৭৭, ১৮২, পদ্মাবতী--আলাওল৤

পৃঃ-২০১, অজ্ঞাতনাম পুঁথি: হজরত আলি সম্বন্ধীয়)৤




ফন্ট ডাউনলোড লিংক:--

https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip  


সর্বশেষ পরিমার্জন ০১/০৯/২০১৮ 

কোন মন্তব্য নেই: