লেখাপড়া-- বাংলা শিক্ষার প্রাথমিক বই তৃতীয় খণ্ড
সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে
ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে হবে
বিনামূল্যে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট
সরাসরি ডাউনলোড করুন নিচের এই লিংকে ক্লিক করে
যুক্তবর্ণ সরল গঠনের
বুঝতে লিখতে পড়তে সহজ
==========================
(পাঁচ খণ্ডের এই বইটিতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে যেসকল ছবি ইন্টারনেট থেকে গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলির কোনওটি সম্পর্কে কারও অনুমতি প্রদানে আপত্তি থাকলে সে ছবি বর্জন করা হবে )
লেখাপড়া
(৩)
নয়ান জুলি
[পথিপার্শ্বস্থ জলপ্রণালী]
(তৃতীয় খণ্ড)
ভূমিকা
যে শিশুরা লেখাপড়া আঁচড় খণ্ড(প্রথম খণ্ড), এবং সূচনা খণ্ড(দ্বিতীয় খণ্ড) শেষ করেছে, তাদের জন্য এবার লেখাপড়া তৃতীয় খণ্ড(নয়ান জুলি) রচনা করা হল আধুনিক
জ্ঞান-বিজ্ঞানের শব্দাবলির সঙ্গেও তাদের একই সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে
এই খণ্ডে দক্ষতা অর্জন করলে বাংলা লেখাপড়ায় তারা অনেকটা সাবলীল হয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করা যায়
শিশুদের কাছে বইখানির আদর হলে আমার প্রয়াস সার্থক হবে
গ্রন্থ প্রস্তুতিতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সহায়তা নেওয়া হয়েছে
বিনীত,
মনোজকুমার দ. গিরিশ
৯১/২, ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসু রোড, মণীশ পার্ক, কোলকাতা-- ৭০০-০৩৯, ভারত
দূরবাচী-- +৯১ (০৩৩) ২৩৪৩৪৬৮৬, মোঃ ৯০৫১ ৫৩০৮ ১৬
ই-মেলঃ manojkumardgirish@yahoo.com
২ ডিসেম্বর ২০০৮
(কৃতজ্ঞতা-- ডঃ সমরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়)
লেখাপড়া
নয়ান জুলি
[পথিপার্শ্বস্থ জলপ্রণালী]
(তৃতীয় খণ্ড)
আমরা “লেখাপড়া” আঁচড় খণ্ড (প্রথম খন্ড) এবং সূচনা খণ্ড (দ্বিতীয় খণ্ড) পড়া শেষ করেছি এবার পড়ব “লেখাপড়া”-র নয়ান জুলি(তৃতীয় খণ্ড)
আগেকার খণ্ড দুটিতে আমরা শিখেছি স্বরবর্ণ-- অ আ ই ঈ ইত্যাদি ব্যঞ্জনবর্ণ কখগঘঙ ইত্যাদি শিখেছি হরফ পাশাপাশি বসিয়ে শব্দ তৈরি করা আমরা প্রথমে স্বরান্ত শব্দ-- এই ওই কই খই কত লহ নব ভব আবহ আয়ত ফলত সহগ অবনত অহরহ জড়সড় অনবরত ইত্যাদি শিখেছি এর পরে ব্যঞ্জনান্ত শব্দ-- আম ইট কম ঘর টক দল আইন খবর লবণ শহর দমকল ভনভন হনহন লটবহর সরগরম নড়নচড়ন দহরমমহরম ইত্যাদিও শিখেছি
এর পরে শিখেছি স্বরান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত দুই প্রকার শব্দ জুড়ে বাক্যগঠন, ও মিশ্র শব্দ-- জনগণ সমতল উপকরণ কত ফল, ঘন রস, সমতল পথ, কত ফল আর জল, ওই অমলধবল বরফ ইত্যাদি
এর পরে আ-কার(া), ই-কার(ি), ঈ-কার( ী), ইত্যাদি স্বরচিহ্ন সংযোগ করা হয়েছে এবং শব্দ গঠন শেখা হয়েছে কা খি গী ঘু চূ তৃ দে ধৈ পো বৌ কাক খাতা চিল নীতি খুশি ভূমি কৃষি লেখা সেবা নৈতিক সৈনিক চোখ লোক গৌরব নৌকা সিংহ দুঃখ কাঁচা ঠোঁট ইত্যাদি এর পরে পড়েছি কবিতা গল্প ইত্যাদি
এবার তৃতীয় খণ্ডে শিখব বর্ণের সংযোগ একটি ব্যঞ্জন বর্ণের সঙ্গে অন্য ব্যঞ্জন বর্ণের সংযুক্ত রূপ এবং উচ্চারণ তা দিয়ে শব্দ গঠন, এবং তা বাক্যে ব্যবহার ইত্যাদি তারপরে কবিতা গল্প প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়ব
[ সকল শব্দের 'অর্থ' এখুনি শেখার দরকার নেই বড় হলে শব্দের অর্থ শেখা যাবে ]
লেখাপড়া-১
তৃতীয় খণ্ড
(নয়ান জুলি)
পাঠ-১
সংযুক্ত বর্ণ
দুই বর্ণের সংযোগ
বাংলায় দুই বর্ণ, তিন বর্ণ এবং চার বর্ণ মিলে যুক্তবর্ণ হয় এর বেশি বর্ণের সংযোগে বাংলায় যুক্তবর্ণ নেই এগুলি আসলে দুটি বা তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনির মিলিত রূপ বোঝাবার জন্য হরফের জোড়, বা যুক্ত হরফ বা যুক্তলিপি তথা যুক্তবর্ণ
যুক্তবর্ণ কখনও উচ্চারণমূলক হয়, কখনও তা উচ্চারণমূলক হয় না যেগুলি উচ্চারণমূলক হয় সেগুলি প্রথমে শেখা যাক
এখানে একটি কথা জানা দরকার যে, যুক্তবর্ণের শেষ বর্ণটির উচ্চারণ স্বরান্ত, তথা দীর্ঘ হয় যেমন-- ন + ধ ন্ধ বন্ধ, গন্ধ, অন্ধ এখানে শব্দগুলির শেষে যে ধ হরফটি আছে তার উচ্চারণ দীর্ঘ হবে, তাই শব্দগুলি বন্ধ্, গন্ধ্, অন্ধ্, হবে না
সেরকম করলে তা ভুল হবে এগুলির স্বরান্ত উচ্চারণ হবে-- বন্ধ, গন্ধ, অন্ধ
পড়ার রীতি হল--
ক-এ ক-এ → ক-য় ক(কিন্তু আক্ক নহে)
ক-এ ট-এ → ক-য় ট(কিন্তু আক্ট নহে)
ক-এ ত-এ → ক-য় ত(কিন্তু আক্ত নহে)
ক-এ ন-এ → ক-য় ন(কিন্তু আক্ন নহে)
ভুল হবে-- আক্ক আক্ট আক্ত আক্ন, পড়লে
এখুনি সকল শব্দের অর্থ শেখার দরকার নেই
দুই বর্ণের সংযোগ
(সঙ্গে যুক্তবর্ণের পুরানো রূপ দেখানো হল)
ক ক = ক্ক - ধাক্কা পাক্কা অক্কা ছক্কা [ক্ক]
ক ট = ক্ট - অক্টোবর ভিক্টোরিয়া [ক্ট]
ক ত = ক্ত - পোক্ত বক্তা ভক্ত রক্ত শক্ত [ক্ত]
ক ন = ক্ন - বাচক্নবী [ক্ন]
ক ম = ক্ম - রুক্ম [ক্ম]
ক ল = ক্ল - শুক্ল অক্লেশে ক্লাব [ক্ল]
বক্সিং [ক্স]
খ ম = খ্ম - খ্মের [খ্ম]
গ দ = গ্দ - বাগ্দান [গ্দ]
গ ধ = গ্ধ - মুগ্ধ দুগ্ধ [গ্ধ]
গ ন = গ্ন - ভগ্ন মগ্ন
নগ্ন
লগ্ন [গ্ন]
গ ম = গ্ম - বাগ্মী যুগ্ম [গ্ম]
গ ল = গ্ল - গ্লানি গ্লাস [গ্ল]
গ ব = গ্ব - ঋগ্বেদ [গ্ব]
লেখাপড়া-২
ঙ ক = ঙ্ক - অঙ্ক ডঙ্কা শঙ্কা [ঙ্ক]
ঙ খ = ঙ্খ - শঙ্খ
শঙ্খ
শৃঙ্খল [ঙ্খ]
শৃঙ্খল
ঙ গ = ঙ্গ - ভঙ্গী সঙ্গী [ঙ্গ]
ঙ ঘ = ঙ্ঘ - সঙ্ঘ জঙ্ঘা [ঙ্ঘ]
ঙ ম = ঙ্ম - বাঙ্ময় [ঙ্ম ]
বক্তার বক্তৃতা শুনে অক্লেশে বোঝা যায় কে বাগ্মী; এবং কে-ইবা তাতে মুগ্ধ, অথবা কে বিরূপ ভঙ্গী করছে বক্সিং বড় শক্ত খেলা, এতে পোক্ত হতে অনেক রক্তপাত হয় অঙ্ক কষায় শুক্লা মগ্ন হয়ে আছে, বিঘ্ন ঘটিও না
চ চ = চ্চ - উচ্চ [চ্চ ]
চ ছ = চ্ছ - আচ্ছা
উচ্ছে [চ্ছ]
উচ্ছে
জ জ = জ্জ - নিমজ্জিত সজ্জন [জ্জ]
জ ঝ = জ্ঝ - কুজ্ঝটিকা [জ্ঝ]
ট ট = ট্ট - অট্টালিকা ঠাট্টা [ট্ট]
ট ম = ট্ম - কুট্মল [ট্ম]
ড ড = ড্ড - গড্ডলিকা[গড্ডালিকা নহে]
আড্ডা বড্ডো [ড্ড]
ড ম = ড্ম - কুড্মল [ড্ম]
ণ ট = ণ্ট - ঘণ্টা কণ্টক [ণ্ট]
ণ ঠ = ণ্ঠ - কণ্ঠ লণ্ঠন [ণ্ঠ]
ণ ড = ণ্ড - মণ্ডপ পাণ্ডুর মণ্ডল ভণ্ড [ণ্ড]
ণ ঢ = ণ্ঢ - ঢুণ্ঢন [ণ্ঢ]
ণ ণ = ণ্ণ - ষণ্ণবতি(সংখ্যা ৯৬), বিষণ্ণ [ণ্ণ]
ণ ম = ণ্ম - চিণ্ময়, হিরণ্ময়, মৃণ্ময় [ণ্ম]
উচ্ছে বড্ড তিক্ত ভণ্ড লোক সজ্জনকে ক্লেশ দেয় অট্টালিকার উচ্চে ঘণ্টা বাঁধা আছে মৃণ্ময় গড্ডলিকা আবহে নিমজ্জিত হতে চায় না, তাই বিষণ্ণ ভঙ্গীতে ক্লাবের মণ্ডপে সঙ্গী খুঁজছে
ত ত = ত্ত(ত্ত) - উত্তম, উত্তর, সত্তর, আবৃত্তি [ত্ত]
ত থ = ত্থ - উত্থান, উত্থাপন [ত্থ]
ত ন = ত্ন - যত্ন, রত্ন, পত্নী [ত্ন]
দ গ = দ্গ - মুদ্গর, উদ্গীরণ [দ্গ]
দ ঘ = দ্ঘ - উদ্ঘাটন, উদ্ঘোষণা [দ্ঘ]
দ দ = দ্দ - খদ্দর, খদ্দের [দ্দ]
খদ্দের
দ ধ = দ্ধ - উদ্ধার, উদ্ধৃত [দ্ধ]
দ ভ = দ্ভ - উদ্ভাবন, উদ্ভব [দ্ভ]
ধ ন = ধ্ন - গৃধ্নু [ধ্ন]
উত্তম লোক কখনও অর্থগৃধ্নু হয়না যত্ন নিলে সত্তর রত্ন উদ্ধার হবে ভগ্ন শরীরে রোগীর উত্থান শক্তি নেই খদ্দের এক বাক্স উচ্চমানের গ্লাস চাইলেন সে ক্লাবে পাক্কা দু-ঘণ্টা খদ্দর বেচা-কেনা করল
লেখাপড়া-৩
ন ট = ন্ট - কন্টাই, মাউন্টিনিয়ার, হান্টার-সু [ন্ট]
ন ড = ন্ড - লন্ডন, গন্ডার, পন্ড [ন্ড]
(কিন্তু
ন ত = ন্ত - শান্ত, অন্তর, ক্লান্ত, কিন্তু [ন্ত ]
ন থ = ন্থ - পান্থ [ন্থ]
ন দ = ন্দ - আনন্দ, নিন্দা, পছন্দ, অলিন্দ [ন্দ]
ন ধ = ন্ধ - গন্ধ, বন্ধ, সিন্ধু [ন্ধ]
ন ন = ন্ন - অন্ন, ভিন্ন, আচ্ছন্ন, সন্না [ন্ন]
ন ম = ন্ম - জন্ম, উন্মন [ন্ম]
ন স = ন্স - পেন্সিল, মুন্সেফ [ন্স]
হান্টার-সু পরে মুন্সেফ কন্টাই(কাঁথি শহর) যাচ্ছেন তাঁর বাড়ি লন্ডন তিনি পান্থ হয়ে গঙ্গা থেকে সিন্ধু গেছেন, তবু সদাই আনন্দিত, কখনও ক্লান্ত হন না গুণগান ভিন্ন তিনি কারও নিন্দা করা পছন্দ করেন না অন্তর দিয়ে তিনি বঙ্গদেশকে ভালোবাসেন, জন্মভূমি না হলেও অন্নদাতা তো সে
প ট = প্ট - কিপ্টে, লেপ্টে, হেলিকপ্টার [প্ট]
প ত = প্ত - লিপ্ত, তপ্ত, আপ্ত, সপ্ত [প্ত]
প ন = প্ন - স্বপ্ন [প্ন]
প প = প্প - খাপ্পা, চপ্পল, তাপ্পি [প্প]
প ল = প্ল - প্লাবন, প্লাগ, প্লেট, প্লীহা [প্ল]
প্লাবন
প স = প্স - লিপ্সা, জুগুপ্সা [প্স]
ফ ল = ফ্ল - ফ্লিট, ফ্লাগ [ফ্ল]
ফ্লাগ
ব জ = ব্জ - কব্জা, সব্জি, লব্জ, কুব্জ [ব্জ]
ব দ = ব্দ - শব্দ, বঙ্গাব্দ, জব্দ, অব্দ [ব্দ]
ব ধ = ব্ধ - লব্ধ [ব্ধ]
ব ব = ব্ব - বাব্বা, সব্বার, চব্বিশ, আব্বা [ব্ব]
ব ল = ব্ল - ব্লেড, ব্লাড [ব্ল]
ব্লেড
ভ ল = ভ্ল - ভ্লাদিমি [ভ্ল]
ম ন = ম্ন - নিম্ন [ম্ন]
ম প = ম্প - কম্প, ঝম্প, সাম্পান [ম্প]
ম ফ = ম্ফ - লম্ফ, গুম্ফা [ম্ফ]
লম্ফ
ম ব = ম্ব - নিম্ব, লম্ব, অম্বর [ম্ব]
ম ভ = ম্ভ - সম্ভব, দম্ভ, গম্ভীর [ম্ভ]
ম ম = ম্ম - সম্মান[সন্মান/সনমান নহে], জিম্মা, আম্মা [ম্ম]
ম ল = ম্ল - ম্লান, অম্ল, অম্লান [ম্ল]
এখন ১৪১৫ বঙ্গাব্দ হেলিকপ্টারের গায়ে ফ্লাগ উত্তম যত্নে লাগানো আছে পয়সা খরচ হলে কিপ্টে লোকেরা বড্ড খাপ্পা হয়, কারণ তাদের পয়সার লিপ্সা বড্ড বেশি, তাই, কপনি পরে থাকে বাজারে সব্বার আগে সব্জি কিনব, তারপরে ব্লেড আর কব্জা, আর চাই প্লেট এবং বিজলি বাতির প্লাগ বাব্বা চপ্পল পরে এমন শব্দ করে হাঁটছ, শুনলে লোকে নিন্দা করবে
লেখাপড়া-৪
ল ক = ল্ক - হাল্কা, শুল্ক, কল্কে, চিল্কা [ল্ক]
ল গ = ল্গ - ফল্গু, বল্গা [ল্গ]
ল ট = ল্ট - বল্টু, পল্টন, পাল্টা [ল্ট]
ল ড = ল্ড - বোল্ড্, গোল্ড্, কোল্ড্, শিল্ড্ [ল্ড]
ল প = ল্প - অল্প, গল্প, তল্পি [ল্প]
ল ফ = ল্ফ - গুল্ফ [ল্ফ]
ল ম = ল্ম - গুল্ম, বল্মিক, বাল্মিকী [ল্ম]
ল ল = ল্ল - হল্লা, পাল্লা, রসগোল্লা [ল্ল]
শ চ = শ্চ - পশ্চিম, নিশ্চয়, পশ্চাৎ, পুনশ্চ [শ্চ]
শ ছ = শ্ছ - নিশ্ছায়া, নিশ্ছিদ্র [শ্ছ]
শ ন = শ্ন - অশ্ন [শ্ন]
শ ল = শ্ল - শ্লীল, শ্লীপদ [শ্ল]
রসগোল্লা অল্প পেয়েছ বলে এত হল্লা করছ কেন? বাল্মিকী রামায়ণ লিখেছেন
পশ্চিম দেশে পাল্লা দেবার মতো এমন রচনা অল্পই আছে গল্পটা লিখে ফেল বল্গা হরিণ হাল্কা বোঝা টানতে পারে দরজার পাল্লার একটা বল্টু চাই সোনার গহনা হলে নিশ্চয়ই শুল্ক লাগে?
ষ ক = ষ্ক - শুষ্ক, নিষ্কাশিত, পুষ্করিণী [ষ্ক]
ষ ট = ষ্ট - অষ্ট, কষ্ট, দৃষ্ট, বৃষ্টি [ষ্ট]
ষ ঠ = ষ্ঠ - গোষ্ঠ, ওষ্ঠ, সৌষ্ঠব [ষ্ঠ]
ওষ্ঠ
ষ প = ষ্প - পুষ্প, নিষ্পাপ, বাষ্প [ষ্প]
ষ ফ = ষ্ফ - নিষ্ফল [ষ্ফ]
ষ ম = ষ্ম - উষ্মা [ষ্ম]
স ক = স্ক - তস্কর, স্কুল, পুরস্কার, নমস্কার, আস্কারা [স্ক]
স খ = স্খ - স্খলন, স্খালন, স্খলিত [স্খ]
স ট = স্ট - স্টার, স্টোর, স্টিমার [স্ট]
স ত = স্ত - স্তর, বাস্তু, অস্তগত [স্ত]
লেখাপড়া-৫
স থ = স্থ - স্থান, স্থির, স্থাণু, সুস্থির [স্থ]
স ন = স্ন - স্নান, হাস্নুহানা, স্নেহ, স্নিগ্ধ [স্ন]
হাস্নুহানা -- সুগন্ধ সাদা ছোটো ফুল
স প = স্প - স্পষ্ট, আস্পদ, স্পৃহা [স্প]
স ফ = স্ফ - স্ফটিক, স্ফার, বিস্ফারিত, আস্ফালন [স্ফ]
স ম = স্ম - অস্মি, স্মোক [স্ম]
স ল = স্ল - স্লেট, স্লিপিং [স্ল]
হ ণ = হ্ণ - অপরাহ্ণ [হ্ণ]
হ ন = হ্ন - চিহ্ন, অহ্ন [হ্ন]
হ ল = হ্ল - আহ্লাদ, কহ্লার [হ্ল]
ড় গ = ড়্গ - খড়্গ, খড়্গপুর [ড়্গ]
খড়্গপুরের স্কুল থেকে গোষ্ঠ আহ্লাদিত হয়ে ফিরে এল তস্কর অপবাদ শুনে পুষ্প তার নিষ্পাপ বিস্ফারিত চোখের জলে গণ্ডদেশ ভেজাতে লাগল বৃষ্টির মাঝে স্টিমারে অপরাহ্ণ বেলায় অস্তগত রবির দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে থাকতে সবার ভালো লাগে নিষ্ফল উষ্মা দেখিয়ে লাভ নেই, কষ্ট করে শুষ্ক রুটি আজ খেতেই হবে স্খলিত পাতা হাস্নুহানা গাছের নীচে স্তরে স্তরে জমা হচ্ছে স্ফটিকের মতো পুষ্করিণীর স্নিগ্ধ জল দেখে তার শুষ্ক ওষ্ঠে জলপানের স্পৃহা স্পষ্ট দৃষ্ট হল
কবিতা
হজমি গোঁফ
গোঁফে দিয়ে জোর তা
যেটা খুশি সেটা খা
ঘাস বিচালি আলু পটল
উচ্ছে কিংবা তরকারি-ঝোল
যা-কিছু খাও, হবে হজম
চোঁয়া ঢেকুর সব উপশম
হুমড়ি কিংবা আছাড় খাও
গোঁফে একটু মোচড় দাও
দেখবে তখন একি বাবা
যেন বোকা হলাম হাবা
হজম হয়ে সব ততক্ষণ
ছুঁচো পেটে দিচ্ছে ডন
পেটের ভিতর হচ্ছে দাবি
যাহা পাবি তাহাই খাবি
খা পিটুনি, খা কানমলা
খা চিরতার আস্ত দলা
বরফি বাদাম দই বা গজা
এসব খেতেই বেশি মজা
হুমড়ি আছাড় বা কানমলা
এসব যেন ছুঁচো গেলা
পিটুনিটার দোষ হল ভাই
খাওয়ার আর শেষ যেন নাই!
লেখাপড়া-৬
পাঠ-২
যে যুক্তবর্ণগুলি উচ্চারণমূলক সেগুলি আমরা শিখলাম এমন অনেক যুক্তবর্ণ তথা যুক্তলিপি, বা যুক্ত হরফ আছে, যা লেখার সময়ে যেমন মূল হরফ থেকে অনেক সময়ে আলাদা রকম করে লেখা হয়, তেমনি উচ্চারণের বেলায়ও তাতে মূল-হরফের উচ্চারণ থেকে অনেক তফাৎ হয় এগুলিই এখন আমরা শিখব এদের লিখিত-রূপ এবং উচ্চারণ যেহেতু মূল থেকে খানিকটা বা অনেক সময়ে পুরোপুরি আলাদা হয়, তাই এগুলি শেখার সময়ে কারও সহায়তা নিয়ে শেখা ভাল
আগের পাঠের কিছু কিছু যুক্তবর্ণ এই পাঠেও থাকবে
দুই বর্ণের সংযুক্ত রূপ :--
য এবং র এই দুটির রূপ --মূল হরফ থেকে আলাদা হয়
র = র্
মনে করি রেফ এসেছে এমনিভাবে --
ক ম = ক্ম - রুক্মিণী [ক্ম]
ক য = ক্য - বাক্য, ঐক্য [ক্য]
ক র = ক্র - বক্র, শুক্র, আক্রমণ, ক্রেতা [ক্র]
ক ব = ক্ব - পক্ব [ক্ব]
ক ষ = ক্ষ - কক্ষ, লক্ষ, পক্ষী, ক্ষুধা [ক্ষ]
খ য = খ্য - সখ্য, সংখ্যক, সংখ্যা [খ্য]
খ র = খ্র - খ্রিস্টাব্দ [খ্র]
গ য = গ্য - আরোগ্য, ভোগ্য, যোগ্য [গ্য]
গ র = গ্র - গ্রাম, অগ্রিম, উগ্র, গ্রুপ [গ্র]
গ ব = গ্ব - ঋগ্বেদ, দিগ্বিজয় [গ্ব]
ঘ য = ঘ্য - শ্লাঘ্য [ঘ্য]
ঘ র = ঘ্র - ঘ্রাণ, শীঘ্র, আঘ্রাত [ঘ্র]
ঘ ব = ঘ্ব - লঘ্বী [ঘ্ব]
চ ঞ = চ্ঞ - যাচ্ঞা [চ্ঞ]
চ য = চ্য - আলোচ্য, বাচ্য, চ্যবন, অচ্যুত [চ্য]
ছ য = ছ্য - ছ্যুৎ, ছ্যাকড়া গাড়ি [ছ্য]
জ ঞ = জ্ঞ - জ্ঞান, বিজ্ঞ, বিজ্ঞান [জ্ঞ]
জ য = জ্য - রাজ্য, ভোজ্য, জ্যামিতি, জ্যোতি [জ্য]
লেখাপড়া-৭
জ র = জ্র - বজ্র [জ্র]
জ ব = জ্ব - জ্বর, জ্বালা [জ্ব]
ঞ চ = ঞ্চ - অঞ্চল, চঞ্চু, কিঞ্চিৎ [ঞ্চ]
ঞ ছ = ঞ্ছ - লাঞ্ছনা, বাঞ্ছা, বাঞ্ছিত [ঞ্ছ]
ঞ জ = ঞ্জ - গঞ্জ, গুঞ্জন, রঞ্জিত [ঞ্জ]
ঞ ঝ = ঞ্ঝ - ঝঞ্ঝা, ঝঞ্ঝাট [ঞ্ঝ]
ঞ য = ঞ্য - ঞ্যন্ত [ঞ্য]
জ্বর জ্বালার ঝঞ্ঝাট পোহাতে কেউই আগ্রহী নয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় নিয়ে কিঞ্চিৎ উচ্চ বাচ্য হওয়া ভাল এটা ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ, ২০০১ থেকে নতুন শতাব্দী তথা একুশ শতাব্দী শুরু হয়াছে উগ্র দিগ্বিজয়ীর পক্ষে সখ্য শ্লাঘ্য বিবেচিত হয় না লক্ষ টাকা যাচ্ঞা করলেও পক্ব ফলের মতো তা তৎক্ষণাৎ হস্তগত হয় না অঙ্ক, জ্যামিতি কেবলই রুক্মিণীর লাঞ্ছনা জোটায়
ট য = ট্য - নাট্য, অকাট্য [ট্য]
ট র = ট্র - ট্রাম, ট্রেন, মেট্রোরেল [ট্র]
ট ব = ট্ব - খট্বা, পট্বী [ট্ব]
ঠ য = ঠ্য - পাঠ্য, শাঠ্য, লাঠ্যৌষধি [ঠ্য]
ড য = ড্য - জাড্য [ড্য]
ড র = ড্র - ড্রাম, ড্রাগন [ড্র]
ড ব = ড্ব - অনড্বান [ড্ব]
ঢ য = ঢ্য - ধনাঢ্য, আঢ্য [ঢ্য]
ঢ র = ঢ্র - মেঢ্র [ঢ্র]
ণ য = ণ্য - অরণ্য, ঘৃণ্য, আনৃণ্য [ণ্য]
ণ ব = ণ্ব - অণ্বী [ণ্ব]
ত ম = ত্ম - আত্ম, আত্মীয় [ত্ম]
ত য = ত্য - সত্য, ভৃত্য, অত্যাচার [ত্য]
ত র = ত্র - পুত্র, মিত্র, ত্রাণ, ত্রুটি [ত্র, ত্রু, ত্রূ]
ত ব = ত্ব - ত্বদীয়, মাতৃত্ব, সত্বর, ত্বরা [ত্ব]
থ য = থ্য - কথ্য, মিথ্যা, তথ্য [থ্য]
থ র = থ্র - থ্রো, থ্রু [ থ্র]
থ ব = থ্ব - পৃথ্বী [থ্ব]
দ ম = দ্ম - পদ্ম, পদ্মাসন [দ্ম]
দ য = দ্য - বিদ্যা, সদ্য, খাদ্য, দ্যূত, সদ্যতন, উদ্যোগ [দ্য]
দ য = দ্য - উদ্যাপন, উদ্যোগ = উদ্যোগ [দ্য]
দ র = দ্র - ভদ্র, মুদ্রা, দ্রবণ, দ্রুত, বিদ্রূপ [ দ্র]
দ ব = দ্ব - সুহৃদ্বর, দ্বার, বিদ্বান, উদ্বেগ [দ্ব]
ধ ম = ধ্ম - আধ্মাত [ধ্ম]
লেখাপড়া-৮
ধ য = ধ্য - বাধ্য, সাধ্য, ধ্যান, অসাধ্য [ধ্য]
ধ র = ধ্র - ধ্রুপদ, ধ্রুব [ধ্র]
ধ ব = ধ্ব - ধ্বস, বিধ্বস্ত [ধ্ব]
ন য = ন্য - ধন্য, বন্য, সৈন্য, ন্যায় [ন্য]
ন ব = ন্ব - তন্বী, অন্বয় [ন্ব]
বিদ্বান সত্য চিন্তা করেন মেট্রোরেলে চেপে সত্বর কোলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে যাওয়া সহজসাধ্য এটি রেল দপ্তরের সদ্যতন উদ্যোগ ধনাঢ্য কিংবা দরিদ্র সকলেই আত্মীয়দের সাধ্যমত যত্ন করেন বল থ্রো করতেই ড্রাম বেজে উঠল সৈন্য বাহিনীকে সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগল পাহাড়ে ধ্বস নামার কারণে ত্রাণ শিবিরে কৃশ এবং পৃথুলদেহী সকলেই খাদ্য সংগ্রহ করার অসাধ্য চেষ্টা করছে
প য = প্য - রৌপ্য, দীপ্য [প্য]
প র = প্র - প্রাপ্য, প্রাপ্ত, প্রাণ, ক্ষিপ্র, প্রশ্ন, প্রুফ [প্রু]
ফ র = ফ্র - ফ্রক, আফ্রিকা, কাফ্রি [ফ্র]
ব য = ব্য - অব্যয়, ব্যয়, ব্যক্ত [ব্য] (এগুলি আসলে অন্তস্থ ব = ৰ)
ব র = ব্র - ব্রত, বিব্রত [ব্য] (এগুলি আসলে অন্তস্থ ব = ৰ)
ভ য = ভ্য - সভ্য, লভ্য, অভ্যাস [ভ্য]
ভ র = ভ্র - ভ্রমণ, বিভ্রম, ভ্রান্ত, ভ্রুকুটি, ভ্রু-লতা [ ভ্র, ভ্রু, ভ্রূ ]
ম য = ম্য - অগম্য, রম্য, ভ্রাম্যমাণ [ম্য]
ম র = ম্র - বিনম্র, আম্র, আম্রাতক [ম্র]
য য = য্য - সাহায্য, শয্যা [য্য]
প্রশ্নের আঙ্ক কষতে অনেকেই একটু বিভ্রান্ত হয় সভ্যতা মানুষকে বিনম্র করেছে আফ্রিকা মহাদেশের অগম্য সাহারা মরুভূমিতে ভ্রমণ খুব বিপজ্জনক
রৌপ্য পাত্র ক্রয়ে অনেক মুদ্রা লাগে অকারণ শয্যায় শুয়ে থাকতে কাজের লোক উদ্বেগ বোধ করেন
র ঋ = র্ঋ - নৈর্ঋত [র্ঋ] (র্ঋ আসলে যুক্তবর্ণ নয়, কারণ এখানে ঋ স্বরবর্ণ, যেমন ক+ী=কী
কী, এবং র্ঋ এর কোনওটি যুক্তবর্ণ নয় ব্যঞ্জন বর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জন বর্ণ মিললে যুক্তবর্ণ হয়)
র ক = র্ক - তর্ক, অর্কিড [র্ক]
র খ = র্খ - মূর্খ, মূর্খামি [র্খ]
র গ = র্গ - বর্গ, বর্গি, দুর্গম [র্গ]
র ঘ = র্ঘ - দুর্ঘট, নির্ঘণ্ট [র্ঘ]
র চ = র্চ - চর্চা, চর্চিত [র্চ]
র ছ = র্ছ - মূর্ছা, মূর্ছিত [র্ছ]
র জ = র্জ - গর্জন, বর্জন [র্জ]
র ঝ = র্ঝ - নির্ঝর, নির্ঝরিণী [র্ঝ]
লেখাপড়া-৯
র ড = র্ড - অর্ডার [র্ড]
র ণ = র্ণ - পর্ণ, জীর্ণ, পূর্ণিমা, বর্ণ [র্ণ]
র ত = র্ত - শর্ত, গর্ত, শীতার্ত [র্ত]
র থ = র্থ - অর্থ, অনর্থ [র্থ]
র দ = র্দ - ফর্দ, কর্দম, জর্দা [র্দ]
র ধ = র্ধ - অর্ধ, বর্ধিত [র্ধ]
র ন = র্ন - দুর্নয়,
ঝর্না [র্ন ]
র প = র্প - সর্প, কার্পাস, দর্প [র্প]
র ফ = র্ফ - অর্ফিউস [র্ফ]
র ভ = র্ভ - নির্ভয়, দুর্ভাবনা [র্ভ]
র ম = র্ম - কর্ম, চর্ম, বর্ম, নির্মাণ [র্ম]
র য = র্য - কার্য, ধার্য, কদর্য [র্য]
র ল = র্ল - নির্লোম, দুর্লভ [র্ল]
র ব = র্ব - সর্ব, গর্ব, দুর্বার [র্ব]
র শ = র্শ - দর্শন, দর্শক, বর্শা [র্শ]
র ষ = র্ষ - বর্ষা, সর্ষে, হর্ষ [র্ষ]
র স = র্স - উর্সনি, ভার্সাই [র্স]/
র হ = র্হ - অন্তর্হিত, গর্হিত [র্হ]
র ৎ = ৎর্ - ভৎর্সনা, হাৎর্জ [ৎর্ ]
মূর্খেরা অকারণে তর্ক করে যখন মেঘের গর্জনের পরে বর্ষা নামে, তখন পথ চলা দুর্ঘট হয়, দুর্গম সেই পথ চলতে দুর্ভাবনা হয় শার্টের পকেটে কার্ড নিয়ে নব নির্মিত মঞ্চের দর্শক-আসনে বসে সে গর্ব অনুভব করল দর্প করে একগাদা খেলে অনর্থক ভৎর্সনা সইতে হবে বর্মপরা বর্গিরা আকাশে নৈঋর্তে মেঘ দর্শন করে তর্জন গর্জন ছেড়ে ভয়ে মূর্ছা না গেলেও অর্ধমৃত হল ঝর্না ইতিহাসের ভার্সাই সন্ধির শর্তগুলি পড়ল পূর্ণিমার চাঁদ দুর্লভ নয় একটু চেষ্টা করলেই নির্ঘন্ট তৈরি করা যায়
ল য = ল্য - কল্য, শল্য, কল্যাণ [ল্য]
ল ব = ল্ব - বিল্ব [ল্ব]
ব য = ব্য - অব্যয়, ব্যয়, ব্যক্ত [ ব্য ]
ব র = ব্র - ব্রত, বিব্রত [ব্র]
শ ম = শ্ম - জীবাশ্ম, শ্মশান [শ্ম]
শ য = শ্য - দৃশ্য, অবশ্য [শ্য]
শ র = শ্র - শ্রাবণ, শ্রী, শ্রদ্ধা, শ্রম, বিশ্রাম, অশ্রু, শুশ্রূশা [ শ্র]
শ ব = শ্ব - অশ্ব, বিশ্ব, শ্বাপদ, শ্বশ্রূ [শ্ব]
ষ ণ = ষ্ণ - কৃষ্ণ, তৃষ্ণা [ষ্ণ]
ষ ম = ষ্ম - গ্রীষ্ম, উষ্ম [ষ্ম]
ষ য = ষ্য - তিষ্য, পোষ্য
লেখাপড়া-১০
ষ ব = ষ্ব - পিতৃষ্বসা [ষ্ব]
স য = স্য - আস্য, সদস্য, স্যন্দন [স্য]
স র = স্র - সহস্র, স্রোত, পরিস্রুত [স্র]
স ব = স্ব - স্বর, ভাস্বর [স্ব]
হ ম = হ্ম - ব্রহ্মপুত্র, ব্রহ্মাণ্ড [ হ্ম ]
হ য = হ্য - দাহ্য, সহ্য [হ্য]
হ র = হ্র - হ্রদ, হ্রস্ব [হ্র]
হ ব = হ্ব - গহ্বর, জিহ্বা [হ্ব]
গ্রীষ্মকালে অসহ্য গরমে শ্রান্ত পিতৃষ্বসা শুষ্ক আস্যে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পরিশ্রুত জল চাইলেন গতকল্য বিল্বমাসি ব্যয়ের আধিক্যে বিব্রত হয়ে পোষ্য সদস্যদের সহ্য করতে পারছিলেন না হ্রস্ব এবং দীর্ঘ স্বর উচ্চারণকালে জিহ্বার ভঙ্গীর নানা পরিবর্তন হয় ব্রহ্মপুত্র তীরে অবশ্য শ্বাপদের জীবাশ্ম পাওয়া কঠিন নয় শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য হিন্দুগণ নামের পূর্বে শ্রী ব্যবহার করেন, এবং বৌদ্ধদেরও এই একই রীতি মুসলমানগণ ব্যবহার করেন জনাব, আর খ্রিস্টানগণ লেখেন মিস্টার
মেয়েদের ক্ষেত্রে হিন্দুরা লেখেন শ্রীমতী, অবিবাহিতা হলে কুমারী
এবং বৌদ্ধদেরও এই একই রীতি
আর
মুসলমানেরা লেখেন মোসাম্মাত/মোসাম্মৎ/মুসম্মত/মুসম্মাত
আর
খ্রিস্টানগণ লেখেন মিসেস, অবিবাহিতা হলে মিস
পাঠ-৩
তিন বর্ণের সংযোগ
দুই বর্ণের সংযোগ শেখার পরে এবার আমরা শিখব তিন বর্ণের সংযোগ তিনটি বর্ণ যুক্ত হয়ে এরা গঠিত হলেও সব সময়ে সংযুক্ত সবক’টি বর্ণের উচ্চারণ হয় না
দুই বর্ণের সংযোগ যতগুলি সংখ্যক হয়, তিন বর্ণের সংযোগ তারচেয়ে কম হয়
( যুক্তবর্ণ দেখানোর প্রয়োজনে কিছু পুরানো বানানও এখানে দেখানো হয়েছে)
ক ট র = ক্ট্র - ফ্যাক্ট্রি [ ক্ট্র ]
ক ত য = ক্ত্য - পৌনরুক্ত্য [ ক্ত্য ]
ক ত র = ক্ত্র - বক্ত্র [ ক্ত্র ]
ক ন য = ক্ন্য - ক্ন্যুট হ্যামসুন [ ক্ন্য ]
ক য ং = ক্যং - বাক্যাংশ [ক্যং]
ক র ং = ক্রং - বক্রাংশু [ক্রং]
ক ল য = ক্ল্য - শৌক্ল্য [ক্ল্য]
ক ষ ণ = ক্ষ্ণ - তীক্ষ্ণ [ক্ষ্ণ]
ক ষ ম = ক্ষ্ম - সূক্ষ্ম [ক্ষ্ম]
ক ষ য = ক্ষ্য - ভক্ষ্য [ক্ষ্য]
ক ষ ব = ক্ষ্ব - ইক্ষ্বাকু [ক্ষ্ব]
ক ষ ং = ক্ষং - অক্ষাংশ [ক্ষং]
ক ষ ঁ = ক্ষঁ - ক্ষূৎ [ক্ষঁ]
গ ধ য = গ্ধ্য - বৈদগ্ধ্য [ গ্ধ্য ]
লেখাপড়া-১১
গ ন য = গ্ন্য - অগ্ন্যুৎপাত [গ্ন্য]
গ ন ং = গ্নং - ভগ্নাংশ [গ্নং]
গ র য = গ্র্য - অগ্র্য [গ্র্য]
ঘ ন য = ঘ্ন্য- অঘ্ন্য [ঘ্ন্য]
ঙ ক য = ঙ্ক্য - অঙ্ক্য [ঙ্ক্য]
ঙ ক র = ঙ্ক্র - সঙ্ক্রমণ [ঙ্ক্র]
ঙ ক ষ = ঙ্ক্ষ - দুরাকাঙ্ক্ষ [ঙ্ক্ষ]
ঙ খ য = ঙ্খ্য - সাঙ্খ্য [ঙ্খ্য]
ঙ গ য = ঙ্গ্য - ব্যঙ্গ্য [ঙ্গ্য]
ঙ গ ঃ = ঙ্গঃ - অঙ্গঃ [ঙ্গঃ]
ঙ ঘ য = ঙ্ঘ্য - অলঙ্ঘ্য [ঙ্ঘ্য]
ঙ ঘ র = ঙ্ঘ্র - অঙ্ঘ্রি [ঙ্ঘ্র]
ঙ ঘ ঃ = ঙ্ঘঃ - অঙ্ঘঃ [ঙ্ঘঃ]
তীব্র অগ্ন্যুৎপাতে এবং প্রবল ভূমিকম্পে মাটি উঁচু হয়ে দুই গ্রামের মধ্যে অলঙ্ঘ্য প্রাচীর তৈরি হয়ে গেল সূক্ষ্ম ধুলোর কণা ছড়িয়ে পড়ল আকাশে এতে ভীত হয়ে ফ্যাক্ট্রি থেকে তীক্ষ্ণ আওয়াজ করা হয় দুরাকাঙ্ক্ষ মানুষেরা প্রাণ রক্ষার প্রবল প্রচেষ্টা করলেন, কিন্তু প্রকৃতির ব্যঙ্গ্য যেন ঝরে পড়ল, জিনিসপত্রের ভগ্নাংশ চক্ষুঃশূল হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে রইল মানুষের সভ্যতা আর বৈদগ্ধ্য বুঝি অলঙ্ঘ্য প্রকৃতির কাছে নত হল কোথাও ভক্ষ্য কিছু নেই, উপরন্তু দেখা দিল সঙ্ক্রমণের আশঙ্কা কেবল বক্রাংশুর শৌক্ল্যে আকাশ উদ্ভাসিত হয়ে রইল বাক্যাংশ ব্যয় করার মতো কোনও বক্তাও যেন আর এই অক্ষাংশের স্বল্প পরিধিতে অবশিষ্ট রইল না
চ চ ঃ = চ্চঃ - উচ্চৈঃস্বরে [চ্চঃ]
চ ছ র = চ্ছ্র - কৃচ্ছ্র [চ্ছ্র]
চ ছ ব = চ্ছ্ব - উচ্ছ্বাস [চ্ছ্ব]
জ জ ব = জ্জ্ব - উজ্জ্বল [জ্জ্ব]
ণ ঠ য = ণ্ঠ্য - কণ্ঠ্য [ণ্ঠ্য]
ণ ড য = ণ্ড্য - পাণ্ড্য [ণ্ড্য]
ণ ড র = ণ্ড্র - ত্রিপুণ্ড্রক [ণ্ড্র]
ত ত য = ত্ত্য - বৈচিত্ত্য [ত্ত্য]
ত ত র = ত্ত্র - পৌত্ত্রিক [ত্ত্র]
ত ত ব = ত্ত্ব - মহত্ত্ব [ত্ত্ব]
ত ন য = ত্ন্য - সাপত্ন্য [ত্ন্য]
ত ম য = ত্ম্য - মাহাত্ম্য [ত্ম্য]
ত য ং = ত্যং - বৃত্যংশ [ত্যং]
ত র য = ত্র্য - বৈচিত্র্য [ত্র্য]
লেখাপড়া-১২
ত র ং = ত্রং - ত্রিংশ [ত্রং]
দ দ য = দ্দ্য - উদ্দ্যোতন [দ্দ্য]
দ দ ব = দ্দ্ব - তদ্দ্বারা [দ্দ্ব]
দ দ ং = দ্দং - উদ্দংশ [দ্দং]
দ ধ য = দ্ধ্য - শুদ্ধ্যশুদ্ধি [দ্ধ্য]
দ ধ র = দ্ধ্র - যোদ্ধ্রী [দ্ধ্র]
দ ধ ব = দ্ধ্ব - উদ্ধ্বস্ত [দ্ধ্ব]
দ ভ র = দ্ভ্র - উদ্ভ্রান্ত [দ্ভ্র]
দ য ঃ = দ্যঃ - সদ্যঃ [দ্যঃ]
দ র য = দ্র্য - দারিদ্র্য [দ্র্য]
দ র ং = দ্রং - ক্ষুদ্রাংশ [দ্রং]
দ ব য = দ্ব্য - সদ্ব্যয় [দ্ব্য]
দ ব ং = দ্বং - সদ্বংশ [দ্বং]
ধ ব ং = ধ্বং - ধ্বংস [ ধ্বং ]
দারিদ্র্যের কৃচ্ছ্রতা মানুষকে উদ্ভ্রান্ত করে, এমন কি খাদ্যের শুদ্ধ্যশুদ্ধি বিচার বোধ অবধি তদ্দ্বারা ধ্বংস হয় অর্থ-সাচ্ছল্য থাকলে জীবনে অনেক উচ্ছ্বাস থাকে, ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল মনে হয়, অর্থ সদ্ব্যয়ের কথা উচ্চৈঃস্বরে বলার দরকার হয় না জীবনে বৈচিত্র্য আনার জন্য অর্থের ক্ষুদ্রাংশ ব্যয় করতেও যোদ্ধ্রী মনোভাবের দরকার হয় না, কণ্ঠ্য ধ্বনিকে উচ্চকিত করতে হয় না
ন ট র = ন্ট্র - কন্ট্রোল [ন্ট্র]
ন ট ং = ন্টং - প্রিন্টিং [ন্টং]
ন ড র = ন্ড্র - লন্ড্রি [ন্ড্র]
ন ত য = ন্ত্য - অচিন্ত্য [ন্ত্য]
ন ত র = ন্ত্র - যন্ত্র [ন্ত্র]
ন ত ব = ন্ত্ব - সান্ত্বনা [ন্ত্ব]
ন ত ঃ = ন্তঃ - অন্তঃস্থ [ন্তঃ]
ন দ য = ন্দ্য - অগ্নিমান্দ্য [ন্দ্য]
ন দ র = ন্দ্র - চন্দ্র [ন্দ্র]
ন দ ব = ন্দ্ব - দ্বন্দ্ব [ন্দ্ব]
ন দ ং = ন্দং - সন্দংশ [ন্দং]
ন দ ঃ = ন্দঃ - ছন্দঃ [ন্দঃ]
ন ধ য = ন্ধ্য - সান্ধ্য [ন্ধ্য]
ন ধ র = ন্ধ্র - রন্ধ্র [ন্ধ্র]
ন ধ ঃ = ন্ধঃ - অমৃতন্ধাঃ [ন্ধঃ]
ন ন য = ন্ন্য - সন্ন্যস্ত [ন্ন্য]
লেখাপড়া-১৩
প ত র = প্ত্র - প্রাপ্ত্রী [প্ত্র]
প র ং = প্রং - শালপ্রাংশু [প্রং]
ফ র ঁ = ফ্রঁ - ফ্রাঁসোয়া [ফ্রঁ]
কন্ট্রোলার অব প্রিন্টিং মুদ্রণ পরীক্ষা করতে এসে অচিন্ত্য কোন্ পথে রন্ধ্র খুঁজে বের করবেন কে জানে? লন্ড্রি মালিক চন্দ্রবাবু সান্ধ্য আসরে তাঁর শালপ্রাংশু দেহ নিয়ে অনিন্দ্য সুরে সান্ত্বনা দিয়ে মনের অকারণ দ্বন্দ্ব ত্যাগ করতে বললেন নয়তো এই দুশ্চিন্তায় অগ্নিমান্দ্য দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করলেন
ব ধ য = ব্ধ্য - অব্ধ্যগ্নি [ ব্ধ্য ]
ব ধ র = ব্ধ্র - লব্ধ্রিম [ব্ধ্র]
ব ব ঃ = ব্বঃ - বাব্বাঃ [ ব্বঃ ]
ব ভ র = ব্ভ্র - অব্ভ্র [ ব্ভ্র ]
ব র ঁ = ব্রঁ - রেমব্রাঁ [ব্রঁ]
ব ল য = ব্ল্য - ডব্ল্যু [ব্ল্য]
ভ য ং = ভ্যং - লভ্যাংশ [ভ্যং]
ভ র ং = ভ্রং - ভ্রংশ [ ভ্রং ]
ম প য = ম্প্য - অনুকম্প্য [ ম্প্য ]
ম প র = ম্প্র - সম্প্রীতি [ ম্প্র ]
ম প ং = ম্পং - কালিম্পং [ ম্পং ]
ম ব র = ম্ব্র - কেম্ব্রিজ [ ম্ব্র ]
ম ভ র = ম্ভ্র - সম্ভ্রম [ ম্ভ্র ]
ম ভ ঃ = ম্ভঃ - অম্ভঃসার [ ম্ভঃ ]
কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা অনুকম্প্য নয়, বরং তাঁরা সম্ভ্রম আদায় করেন কালিম্পং শহরে রেমব্রাঁ অঙ্কিত ছবির প্রদর্শনী হবে সম্প্রীতির লভ্যাংশ হল শান্তি আর সুখ, এপথ থেকে ভ্রংশ হতে কে চায়?
র ক ত = র্ক্ত - অগ্রবর্ক্তী [ র্ক্ত ]
র ক য = র্ক্য - অতর্ক্য [র্ক্য]
র গ য = র্গ্য - গার্গ্য [র্গ্য]
র গ র = র্গ্র - নির্গ্রন্থ [র্গ্র]
র ঘ য = র্ঘ্য - দৈর্ঘ্য [র্ঘ্য]
র ঙ গ = র্ঙ্গ - শার্ঙ্গদেব [ র্ঙ্গ ]
র চ ছ = র্চ্ছ - মূর্চ্ছা [ র্চ্ছ ]
র চ য = র্চ্য - অর্চ্য [র্চ্য]
র চ ঃ = র্চঃ - ঘৃতার্চিঃ [র্চঃ]
র জ ঞ = র্জ্ঞ - দুর্জ্ঞেয় [র্জ্ঞ]
র জ য = র্জ্য - অন্তর্জ্যোতিঃ [র্জ্য]
লেখাপড়া-১৪
র জ ঃ = র্জঃ - ঊর্জঃ [র্জঃ]
র ট র = র্ট্র - বার্ট্রান্ড্ রাসেল [র্ট্র]
র ঢ য = র্ঢ্য - দার্ঢ্য [র্ঢ্য]
র ণ য = র্ণ্য - বৈবর্ণ্য [র্ণ্য]
র ণ ঃ = র্ণঃ - অর্ণঃ [র্ণঃ]
র ত ম = র্ত্ম - গিরিবর্ত্ম [ র্ত্ম ]
র ত য = র্ত্য - অমর্ত্য [র্ত্য]
র ত র = র্ত্র - কর্ত্রী [ র্ত্রী ]
র থ য = র্থ্য - সামর্থ্য [র্থ্য]
র থ ং = র্থং - চতুর্থাংশ [র্থং]
র দ ধ = র্দ্ধ - অর্দ্ধ [র্দ্ধ]
র দ য = র্দ্য - সৌহার্দ্য [র্দ্য]
র দ র = র্দ্র - স্নেহার্দ্র [র্দ্র]
র দ ব = র্দ্ব - নির্দ্বন্দ্ব [ র্দ্ব ]
র দ ঃ = র্দঃ - বুর্দঃ [র্দঃ]
র ধ য = র্ধ্য - অনবরার্ধ্য [র্ধ্য]
র ধ ব = র্ধ্ব - ঊর্ধ্ব [ র্ধ্ব ]
র ধ ং = র্ধং - অর্ধাংশ [র্ধং]
র প য = র্প্য - অর্প্য [র্প্য]
র প ঃ = র্পঃ - সর্পিঃ [র্পঃ]
র ব ভ = র্ব্ভ - গর্ব্ভ [ র্ব্ভ ]
র ভ য = র্ভ্য - সগর্ভ্য [র্ভ্য]
র ভ ং = র্ভং - আর্ভিং [র্ভং]
র ম য = র্ম্য - হর্ম্য [র্ম্য]
র ম ং = র্মং - বার্মিংহাম [র্মং]
র ল ং = র্লং - ফার্লং [র্লং]
র ব য = র্ব্য - নির্বূঢ় [র্ব্য]
র ব ং = র্বং - সর্বাংশ [র্বং]
র শ য = র্শ্য - কার্শ্য [র্শ্য]
র শ ব = র্শ্ব - পার্শ্ব [র্শ্ব]
র শ ঃ = র্শঃ - অর্শঃ [র্শঃ]
র ষ ট = র্ষ্ট - ধার্ষ্টামো [র্ষ্ট]
র ষ ণ = র্ষ্ণ - বার্ষ্ণেয় [র্ষ্ণ]
র ষ য = র্ষ্য - হর্ষ্যক্ষ [র্ষ্য]
র স ট = র্স্ট - আমহার্স্ট্ [র্স্ট]
র স য = র্স্য - মার্স্যেল্জ্ [র্স্য]
র স ঃ = র্সঃ - অর্সঃ [র্সঃ]
র হ ঃ = র্হঃ - বর্হিঃ [র্হঃ]
লেখাপড়া-১৫
হিমালয় পর্বতমালার দৈর্ঘ্য সর্বাধিক এবং এই পর্বতমালা সর্বোচ্চও, এর রহস্যও দুর্জ্ঞেয় এর প্রতিটি গিরিবর্ত্ম ধরে সর্বাংশ ভ্রমণ করার দার্ঢ্য এবং সামর্থ্য হিমালয়ে ভ্রমণকারী এক-চতুর্থাংশ মানুষেরই নেই অতর্ক্য বিষয় হল এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ঊর্ধ্বে শীর্ষ চির তুষারে আবৃত, পার্শ্বে হিমবাহ, গিরিখাত, নিম্নে স্নেহার্দ্র জলপ্রপাত, নির্ঝরিণী কিন্তু এর জলপ্রবাহ নির্দ্বন্দ্ব নয় পদে পদে জল সৌহার্দ্যহীন উপল আঘাতে ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হচ্ছে জলের বাষ্প অগ্রবর্ক্তী দুর্জ্ঞেয় শৃঙ্গকে তোয়াক্কা না করে ধার্ষ্টামো দেখানোর ফলে সঙ্ঘর্ষে মূর্চ্ছাগত হয়ে কঠিন বরফে পরিণত মর্ত্যভূমি তারই গলিত দেহে পরিপুষ্ট, সঞ্জীবিত, স্নেহার্দ্র এবং ঊর্জঃবান
ল ক য = ল্ক্য - যাজ্ঞবল্ক্য [ল্ক্য]
ল প য = ল্প্য - কল্প্য [ল্প্য]
ব য ং = ব্যং - ব্যংসক [ব্যং]
শ চ য = শ্চ্য - অবশ্চ্যুত [শ্চ্য]
শ ব ঃ = শ্বঃ - পরশ্বঃ [শ্বঃ]
ষ ক র = ষ্ক্র - নিষ্ক্রিয় [ষ্ক্র]
ষ ক ব = ষ্ক্ব - নিষ্ক্বাথ [ষ্ক্ব]
ষ ট য = ষ্ট্য - বৈশিষ্ট্য [ষ্ট্য]
ষ ট র = ষ্ট্র - রাষ্ট্র, উষ্ট্র [ষ্ট্র]
ষ ট ং = ষ্টং - অবশিষ্টাংশ [ষ্টং]
ষ ঠ য = ষ্ঠ্য - অনুষ্ঠ্যুত [ষ্ঠ্য]
ষ ঠ ং = ষ্ঠং - শ্রেষ্ঠাংশে [ষ্ঠং]
ষ ণ য = ষ্ণ্য - ঔষ্ণ্য [ষ্ণ্য]
ষ প র = ষ্প্র - দুষ্প্রাপ্য [ষ্প্র]
ষ ম য = ষ্ম্য - ঔষ্ম্য [ষ্ম্য]
স ক র = স্ক্র - ইস্ক্রু [স্ক্র]
স ট র = স্ট্র - অস্ট্রেলিয়া [স্ট্র]
স ট ং = স্টং - হেস্টিংস [স্টং]
স ত য = স্ত্য - পুলস্ত্য [স্ত্য]
স ত র = স্ত্র - বস্ত্র [স্ত্র]
স ত ব = স্ত্ব - অন্তস্ত্বক্ [স্ত্ব]
স ত ঁ = স্তঁ - গুলিস্তাঁ [স্তঁ]
স থ য = স্থ্য - স্বাস্থ্য [স্থ্য]
স ন য = স্ন্য - কাৎর্স্ন [স্ন্য]
স প র = স্প্র - স্প্রে [স্প্র]
স প ল = স্প্ল - স্প্লিট [স্প্ল]
স ফ ং = স্ফং - স্ফিংস [স্ফং]
লেখাপড়া-১৬
স র ং = স্রং - স্রংসন [স্রং]
স ব ঃ = স্বঃ - স্বঃ [স্বঃ]
হ ম য = হ্ম্য - হ্ম্য [হ্ম্য]
আফ্রিকা মহাদেশের মিশর দেশের চিরখ্যাত দুষ্প্রাপ্য স্ফিংস মূর্তি আজও বিস্ময় উদ্রেক করে এই মূর্তির বৈশিষ্ট্য হল এর সম্মুখ ভাগ নারীমুখ, অবশিষ্টাংশ তথা নিম্নাংশ সিংহের শরীর অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ইত্যাদি কোনও মহাদেশের, কিংবা কোনও রাষ্ট্রেই এমন স্ফিংস মূর্তি আর নেই কিন্তু মরুবালুর ঔষ্ম্যে এবং দুষ্ক্রিয় প্রভাবে তা আজ প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত এর প্রস্তর নির্মিত অন্তস্ত্বক্ বহুলাংশে ক্ষয়প্রাপ্ত এই দুর্লভ স্ফিংস মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগীদের শ্রেষ্ঠাংশে আছে জাতিসংঘ
এসো খেলি হাসিখুশি
স্বাস্থ্য হলে সুস্থ সবল, সকল ভালো লাগে
খেলাধুলো করতে হবে পড়াশুনোর আগে!
ছুটোছুটি করবে সবাই হাসবে কুটিকুটি
মজা করে সবার সনে পড়বে ভূঁয়ে লুটি
মনের মাঝে কুটিল কিছু রাখবে নাকো পুষে
মনের মলিন নেবে তা’লে আনন্দটি শুষে
সবাই মিলে হাসবে দেদার অট্টহাসি জোর
আনন্দেতে থাকবে মজে সারাজীবন ভোর
খুশির খেলা
মনটি হবে আকাশ যেন, উদার খোলামেলা
বন্ধু হবে সকল মানুষ ভরবে জীবন-ভেলা
লেখাপড়া-১৭
পাঠ-৪
চার বর্ণের সংযোগ
আমরা দুই বর্ণের সংযোগ, এবং তিন বর্ণের সংযোগ শিখেছি এখন শিখব চার বর্ণের সংযোগ আমরা এর আগে তিন বর্ণের সংযোগ শেখার সময়ে দেখেছি যে, তিনটি বর্ণের সংযোগ ঘটলেও সবক’টি বর্ণের উচ্চারণ সব সময়ে হয় না চার বর্ণের সংযোগের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে, অর্থাৎ সবক’টি বর্ণের উচ্চারণ সব সময়ে হয় না
ক ষ ণ য = ক্ষ্ণ্য-- তৈক্ষ্ণ্য [ক্ষ্ণ্য]
ক ষ ম য = ক্ষ্ম্য-- সৌক্ষ্ম্য [ক্ষ্ম্য]
ঙ ক ষ য = ঙ্ক্ষ্য -- সঙ্ক্ষ্যক [ঙ্ক্ষ্য]
ত র য ং = ত্র্যং -- ত্র্যংশ [ত্র্যং]
দ ব য ং = দ্ব্যং -- দ্ব্যংশ [দ্ব্যং]
ন ত য ং = ন্ত্যং -- ক্রান্ত্যংশ [ন্ত্যং]
ন ত র য = ন্ত্র্য -- স্বাতন্ত্র্য [ন্ত্র্য]
ন দ র ং = ন্দ্রং -- চন্দ্রাংশু [ন্দ্রং]
ন ধ য ং = ন্ধ্যং -- সন্ধ্যাংশ [ন্ধ্যং]
র দ ধ ব = র্দ্ধ্ব -- ঊর্দ্ধ্বে [র্দ্ধ্ব]
র দ ধ ং = র্দ্ধং -- অর্দ্ধাংশ [র্দ্ধং]
র ব ভ য = র্ব্ভ্য -- সগর্ব্ভ্য [র্ব্ভ্য]
র ষ ণ য = র্ষ্ণ্য -- বার্ষ্ণ্য [র্ষ্ণ্য]
স ট র ং = স্ট্রং -- স্ট্রিং [স্ট্রং]
স ত র ং = স্ত্রং -- চতুস্ত্রিংশ [স্ত্রং]
স প র ং = স্প্রং -- স্প্রিং [স্প্রং]
থাকবে -- ক্ষ জ্ঞ -- এই দুটি মাত্র মণ্ড হরফ
দুই, তিন, কিংবা চার বর্ণের সংযোগ করতে গিয়ে এবং সেগুলিকে হাতে করে সহজে আর তাড়াতাড়ি লেখার প্রয়োজনে এদের রূপগুলি বিকৃত হয়ে যায়, বা বিকৃত করা হয় কিন্তু আজকের আধুনিক যুগের প্রয়োজনে দ্রুত পড়া, লেখা এবং শেখা, দ্রুতগতির ছাপাখানা ইত্যাদির কারণে হরফের মূল রূপগুলিকেই যথাযথ রাখা দরকার, তাই যথাসম্ভব যুক্তবর্ণের বিকৃত রূপগুলি বর্জন করা উচিত বানানও সরল করা উচিত
কতকগুলি ক্ষেত্রে হরফের এই বিকৃত রূপ এমনই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে, এগুলির এখনই পরিবর্তন করায় নানা বিভ্রাট দেখা দেবে, তাই ক্ষ জ্ঞ মাত্র এই দুটি থাকবে তাই ক্ষ = ক্ষ, কিংবা জ্ঞ = জ্ঞ লেখার চেষ্টা এখুনি না-করাই ভালো
রেফ = র্
এই তিনটির রূপও প্রচলিত থাকবে পরবর্তী সময়ে এগুলিও সরল করে লেখা হবে
কিছু ক্ষেত্রে যুক্তবর্ণের শেষ বর্ণের উচ্চারণ স্বরান্ত না হয়ে হলন্ত তথা হস্ অন্তক উচ্চারণ হয় যেমন:--
ঞ জ=ঞ্জ -- স্পঞ্জ্
ন ড = ন্ড- বন্ড্, ফান্ড্ [ন্ড]
র ট = র্ট - শার্ট, কোর্ট, আর্ট [র্ট]
র ড = র্ড - কার্ড, গার্ড [র্ড]
ল ড = ল্ড - বোল্ড্, গোল্ড্, কোল্ড্, শিল্ড্ [ল্ড]
যুক্তবর্ণের সঙ্গে উ-কার, ঊ-কার ইত্যাদি ব্যবহার করে কিছু বিচিত্র প্রয়োগ
এসব পুরানো প্রয়োগ--
লেখাপড়া-১৮
ধারক বাক্য
এক বাক্যে বাংলা বর্ণমালা
বাংলায় স্বরবর্ণ এগারোটি(১১), এবং ব্যঞ্জনবর্ণ (অন্তস্থ-ব ধরে) ৪০টি সব মিলিয়ে বাংলায় মোট বর্ণ একান্নটি(৫১) এছাড়া, স্বরবর্ণ চিহ্ন আছে দশটি(১০), এবং ফলা(ব্যঞ্জন চিহ্ন) আছে আটটি(৮) এর সবগুলি অর্থাৎ স্বরবর্ণ, এবং ব্যঞ্জনবর্ণ, স্বরবর্ণ-চিহ্ন(তথা কার-চিহ্ন) দশটি, এবং ব্যঞ্জনবর্ণ-চিহ্ন(তথা ফলা চিহ্ন) আটটি(৮) নিয়ে বাক্যটি তৈরি হয়েছে
বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত ঈশপের নিখুঁত গল্পটির ডালপালা অর্ধেক ছড়াতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা ধড়ফড়িয়ে দারুণ হৈ-হৈ করে উঠল-- ওঃ, ব্যাস্ এবার থামো তো, বুঝেছি বড্ডো পুরানো ঢঙের কেমন এক গল্প যার নীতিবাক্য হল,“মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি”-- তাই না, এ্যাঁ?
০১২৩৪৫৬৭৮৯
লেখাপড়া-১৯
বিদেশ ভ্রমণ
কোলকাতা বিমান বন্দর চারিদিক থেকে নানান দেশের বিমান এসে নামছে-উঠছে চারিদিকে নানা ব্যস্ততা ছন্দা বিমান বন্দরের লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিল(বিমান বন্দরে অপেক্ষা করার স্থানকে বলে লাউঞ্জ)
খানিক পরে সামনের টিভিতে ঘোষণা শোনা গেল আর সঙ্গে সঙ্গে টিভির পর্দায় লেখাও দেখা গেল যে -- টোকিয়োগামী বিমান একটু পরে ছাড়বে জাপানের রাজধানী টোকিয়ো(দেশ শাসনের প্রধান কেন্দ্রকে বলে রাজধানী) টোকিয়ো গিয়ে ছন্দা সেখানে দু-দিন থাকবে তারপরে যাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শহর নিউইয়র্ক,
ছন্দা তৈরি হয়ে নেবার জন্য টয়লেটে অর্থাৎ প্রক্ষালন গৃহে গেল বের হবার আগে হাতের জল শুকিয়ে নিল গরম হাওয়ার মেশিনে অর্থাৎ গরম শুকনো হাওয়া বের হবার মেশিনে, যে মেশিনের তলায় হাত ধরলে হাতের জল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় পা দিয়ে পা-দানিতে চাপ দিলে শব্দ করে মেশিন চলতে শুরু করে ছন্দার বেশ মজা লেগেছিল তাতে
বিমানে ওঠার আগে নিরাপত্তা প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে ওর এবং অন্য সবার মালপত্র এবং শরীর মেটাল ডিকেকটর
দিয়ে পরীক্ষা করা হল তারপরে সুন্দর এক বড় বাস এসে ওকে এবং অন্য যাত্রীদের বিমানের সিঁড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দিল ৭৪৭ বোইং জেট প্লেন
বিশাল আকৃতির বিমানটি, কিন্তু সেটি সুপারসোনিক তথা শব্দাতিগ, অর্থাৎ শব্দের চেয়ে আগে চলে বিমানের ভিতরটা খুব জমকালো আর আরামদায়ক এয়ার কন্ডিশন্ড্ বা বাতানুকূল(শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) করা মৃদু সংগীত বাজছে ছন্দা সিটে বসে আসনটিকে নিজের ইচ্ছে মতো অনেকখানি পিছনে হেলিয়ে প্রায় শুয়ে পড়ল নরম আসনে সে যেন প্রায় ডুবে গেল
খানিক পরে বিমান ছাড়ল বিমান-সেবিকা এসে নানারকম খাবার জিনিস দিয়ে গেল এয়ারহোস্টেস তথা বিমান-সেবিকাদের
দায়িত্ব হল বিমানের সকল যাত্রীর সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি লক্ষ রাখা
অনেক উঁচুতে মেঘের উপর দিয়ে বিমান বাংলাদেশ ছড়িয়ে উড়ে চলল পুব দিকে জাপানের রাজধানী টোকিয়ো শহরের উদ্দেশ্যে
লেখাপড়া-২০
মাহাকাশে স্যাটেলাইট
আমাদের বিজ্ঞানের যুগ
আমরা যে-যুগে বাস করছি তাকে বলে আধুনিক যুগ মানুষ এই যুগে মহাকাশে রকেট পাঠিয়ে, চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে অভাবনীয় সব কাণ্ড করেছে, জ্ঞান-বিজ্ঞান শিল্প সভ্যতায় মানুষ এত উন্নত হয়েছে যে, এই যুগকে গৌরবে নাম দিয়েছে মহাকাশ-যুগ মানুষ কৃত্রিম উপগ্রহ(পৃথিবীর বাইরে পাঠানোর যান যা মানুষের হাতে তৈরি হয়েছে) পাঠিয়েছে পৃথিবীর বাইরে -- যা ক্রমাগত পৃথিবীকে পাক দিয়ে ঘুরছে মহাকাশ যানে(যে যানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেওয়া যায়) মানুষ গেছে চাঁদে
সেখান থেকে সে চাঁদেরমাটি-পাথর নিয়ে এসেছে পৃথিবীতে পরিকল্পনা করেছে কাছের গ্রহ মঙ্গল(আকাশের জ্যোতিষ্ক)-এ পাড়ি দেবে মহাকাশ যানে চড়ে এর মধ্যেই সে মঙ্গলে মহাকাশ-যান পাঠিয়েছে মানুষ মহাকাশ-যান পাঠিয়েছে বহু দূরের গ্রহ (মহাকাশের জ্যোতিষ্ক যার নিজস্ব কোনও আলো নেই) বৃহস্পতি, শনি, ও প্লুটো ছাড়াও অন্য নানা গ্রহে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সেসব গ্রহের নানা বিচিত্র সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য কোটি কোটি মাইল দূরে মানুষের পাঠানো রকেট ছুটে গেছে সূর্যের(সূর্য একটি তারা বা বিপুল আয়তনের জ্যোতিষ্ক যার নিজস্ব আলো আছে) দিকে, কখনওবা অজানা উদ্দেশ্যে সে জন্যই গর্ব করে মানুষ বর্তমান যুগের নাম দিয়েছে -- মহাকাশযুগ
জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় এযুগের মানুষের চলেছে জয়যাত্রা কম্পিউটার তথা যন্ত্র-মগজ দিয়ে সে কত আশ্চর্য কাণ্ড করছে জটিল হিসেব-নিকেশ তো তা দিয়ে করতে পারেই, করতে পারে আরও বহু বহু কাজ তা কৃত্রিম মগজ হিসেবে বিবেচ্য হয়, যেন ঠিক মানুষ মানুষের মতোই সে কাজ করতে পারে তাই তাতে কৃত্রিম হাত পা চোখ নাক কান মাথা শরীর জুড়ে বানানো হয়েছে রোবোট বা যন্ত্র-মানব অতি দক্ষ এবং অদ্ভুত এদের কাজকর্ম বিশ্বাস করাই কঠিন রেল গাড়ি বা ট্রেন, বিমান বা এয়ারোপ্লেন চলাচল এরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বাড়িতে কর্ম-সহায়ক বা কাজের লোক যে কাজকর্ম করেন, আর অল্প কিছুদিন পরে তা এই সব রোবোটেরাই করবে! কলে কারখানায় যেখানে কাজ করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে সেখানে এইসব যন্ত্র-মনাব বা রোবোটদের কাজে লাগানো হয়, কারণ তাদের তো রক্তমাংসের শরীর নয়, তাই ব্যথা বেদনা তারা অনুভব করে না প্রয়োজনে তাকে সারাই করা যায়, বা কৃত্রিম হাত পা কিংবা মাথা পাল্টে নেওয়া যায় জ্যান্ত মানুষ তো আর সারাই করা যাবে না!
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োগে প্রতিদিন এত নিত্য নতুন পদ্ধতি বা জিনিস তৈরি হচ্ছে বা আবিষ্কার হচ্ছে যে সেসবের কেবল নাম মনে রাখতেই হিমসিম খেতে হয় যেমন -- হাইস্পিড ফটোগ্রাফি, মাইক্রো ফিল্ম, ভিডিয়ো ফটোগ্রাফি, ভিডিয়ো কনফরেন্স, ফটো ফোন বা পিকচার ফোন, হ্যান্ডিক্যাম ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা,
সুপার কম্পিউটার, মাইক্রো কম্পিউটার, পারসোনাল কম্পিউটার বা পিসি, মাউস, ল্যাপটপ কম্পিউটার,
পামটপ কম্পিউটার, সফট্ওয়্যার, হার্ডওয়্যার, মেগা চিপস্, মাইক্রো চিপস্, আই.সি., মাইক্রো প্রসেসর, জয়স্টিক, মেগাবাইট, ফ্লপি, সিডি, ডিভিডি, ভি.সি.আর, ভি.সি.ডি, ল্যান, ওয়ান, ডিজিটাল/কালার মনিটার,
ই-মেল, ইন্টারনেট, রোবোট, ইলেকট্রনিক পেন,
ক্যাড, টেপরেকর্ডার, রেডিয়ো, টিভি, হলোগ্রাম, ম্যাগনেটিক লেভিটেশন রেল, সুপার কন্ডাকটার, ইলেকট্রনিক-মাইক্রোস্কোপ, লেসার, সি.এফ.এল(ল্যাম্প), হ্যলোজেন ল্যাম্প, ফাইবার গ্লাস, ফাইবার অপটিকস্,
জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রো সার্জারি, মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরাস, বাইয়োপসি, এক্স-রে,
পেস মেকার, ভিটামিন, ডি.এন.এ, ক্রোমোসোম, আর.এন.এ, এনজাইম, প্যারাসাইট, বি-কোলাই, এইডস, কার্সিনোজেন, এ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, ইমিউন, সিরিঞ্জ, কনট্যাক্ট-লেন্স, মাইক্রোস্কোপ, হিয়ারিং এইড,
লেখাপড়া-২১
ওয়্যারলেস টেলিফোন, পেজার, মোবাইল ফোন, আই.সি.ডি, কর্ডলেস ফোন, এস.টি.ডি, আই.এস.ডি, ক্রোনোমিটার, গাইগার কাউন্টার, ক্রোনোস্কোপ, টেলিভিশন, রিমোট কন্ট্রোল, ক্যালকুলেটর, দূরবিন, প্লাজমা, নিউক্লিয়ার রি-এ্যাকটর, পলিমার, জাম্বোজেট, সুপারসোনিক প্লেন, স্পুটনিক, রকেট, কৃত্রিম উপগ্রহ, ফোটো-সেল,
ফটো টাইপ সেটিং বা পি.টি.এস, ডেস্কটপ প্রিন্টিং বা ডি.টি.পি, সিল্কস্ক্রিন প্রিন্টিং,
ইউনিকোড ফন্ট, সিনক্রোটন, সুপার কুলিং বা চরম হিমায়ন, এ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, মাইক্রো গিয়ার, মোটোর গাড়ি, মেট্রোরেল, র্যাডার, মাইক্রোওয়েভ এ্যাভন(উনুন), ইনডাকশন ওভেন, আয়ন, বোসন, ফোটন, ব্ল্যাক হোল, ন্যানো টেকনোলজি, রুম কুলার, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, মিক্সি, মোটর-জেনারেটর সেট, কনভার্টার, ইনভার্টার, মাইক্রোফোন বা লাউড স্পিকার, সাবমেরিন আরও কত কী যে আছে, এবং নিত্য নতুন তৈরি হচ্ছে, তার কথা আর বলে বোধ হয় শেষই করা যাবে না
নিষ্ঠাবান লভে জ্ঞান
শেখা যদি যায় কিছু সৎ সঙ্গে হবে,
অ-সতেরে বিদ্যা দান সবই জলে যাবে
বিদ্যা লাভ হবে যার সত্যজ্ঞান আছে,
অ-সতের বিদ্যা ভান আসলে তা মিছে
পেতে হলে সত্য জ্ঞান নিষ্ঠা থাকা চাই,
পরিশ্রমে মেলে জ্ঞান বিকল্প তো নাই
নিষ্ঠাভরে সদা যেই বিদ্যাভ্যাস করে,
সহজে সত্যজ্ঞান আসে তার ঘরে
সুকুমার মতি যত বালক-বালিকা,
ফুটে আছে যেন সব কমল কলিকা
পাঠে সবে দাও মন অতি নিষ্ঠা ভরে,
যতই করিবে শ্রম জ্ঞান যাবে বেড়ে
লেখাপড়া-২২
বিজ্ঞানের ব্যবহার
- কি হে নুরুল তুমি এই রাত্রিবেলা জমি চষতে শুরু করলে?
- আর বলো কেন খুড়ো, রাত্রিবেলা কাজ করতে সুবিধে পাওয়ার টিলারের হেডলাইট জ্বেলে নিয়েছি, তাই, কোনও অসুবিধে হয় না গরমকালের রাত্রি তো, ন-টা এমন কিছু রাত নয়
- তা আরও আগে নামলে না কেন?
- একটু লেখাপড়া তো করি খুড়ো, সেটা সেরে খেয়েদেয়ে নেমেছি আর ঘন্টা খানেক করব
- তা অবশ্য মেশিনে ঘন্টা দুয়েকে অনেকটা চাষ হয়ে যায়
- পাওয়ার টিলারের এইটেই সুবিধে, যখন ইচ্ছে, যতক্ষণ ইচ্ছে চাষ করা যায় লাঙলে গরু জুড়ে চাষের হাঙ্গামা কত বেশি আর এতে দেখ, মেশিনে তেল ঢেলে শুরু করলেই হল
- তা বাবা, সকাল সকাল সেরে ফেললেই তো ভালো হত
- কলেজের পড়া তো খুড়ো, তার উপরে অনার্স পড়া, ফার্স্টক্লাস পেতে হলে একটু বেশি সময় পড়তেই হয় আমার কোনও অসুবিধে নেই পড়াটা শেষ করে মাঠে নেমে পড়ি, দু-তিন ঘন্টা যা লাগে লাগবে
- বি.এস-সি পড়ছ, কোথায় চকরি-বাকরি করবে, তা না তুমি চাষ করতে নেমে পড়েছ?
- উঁহুঁ খুড়ো ঠিক কথা হল না, পুরানো দিনের লোকেরা ভাবত, লেখাপড়া যারা করে তারা চাষবাস করে না, চাকরি করে কিন্তু জানো তো খুড়ো শিক্ষিত চাষি বেশি উৎপাদন করে বিজ্ঞানকে পুরো কাজে লাগাতে হবে, তবেই আমরা এগোব আমি চাষে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করছি, পাওয়ার টিলার কাজে লাগিয়েছি, চাষ-আবাদ নিয়ে বেশ কিছু পড়াশুনাও করে নিয়েছি বি.এস-সি পড়ছি বলে চাষবাস সম্পর্কে কোনও ভুল বা নীচু ধারণাও মনে পোষণ করি না ফসল যা পাই, তুমি তো জনো খুড়ো, মোটর-সাইকেল আমার আছে, এবার টিভি কিনব পারলে ভালো মোবাইল নেব, লোকের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধে হবে
- সে তো আমি জানি কিন্তু লেখাপড়া করা ছেলেরা কি এত খাটতে পারে, এটা তো গাধার খাটনি হে
- আগেকার দিনে ধারণা ছিল বাবুরা লেখাপড়া শিখবে, আর চাষিরা খাটবে যারা বাবুপড়ুয়া তারা আর খাটবে কি করে? সে দিন গেছে গো খুড়ো এখন চাষিরাও বেশ মান পায় - তারা লেখা পড়াও করে বিদেশে চাষিরা দেশের আর দশজন লোকের সমান তারাই তো দেশের ভিত ধরে রেখেছে গো আমাদের দেশের ৭০ ভাগ লোক এখনও কৃষি-ভিত্তিক কাজের সঙ্গে জড়িত লেখাপড়ার চল হওয়াতে তাই আমাদের দেশেও পুরানো ভুল ধারণা ক্রমে দূর হচ্ছে কথায় বলে না --
লেখাপড়া-২৩
রবি ঠাকুরের গল্প
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(অল্প বয়সে)
আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় কবি আর লেখক হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উত্তর কোলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে তাঁর জন্ম তাঁদের পরিবার ছিল সে যুগে শিক্ষায় সংস্কৃতিতে শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথের মতো প্রতিভা মানব-সমাজের গৌরব এবং বহু যুগ পরে এমন মহামানবের দেখা মেলে পৃথিবীর চিরকালীন শ্রেষ্ঠ মণীষীদের একজন হলেন আমাদের পরম গৌরব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত সংগীত মানুষের মনে চির অক্ষয় হয়ে থাকবে তিনি ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান, যা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মান-পুরস্কার
তাঁর রচিত "গীতাঞ্জলি" নামক কাব্য গ্রন্থের জন্য তিনি এই পুরস্কার পান তাঁর এই রচনায় আমাদের দেশীয় অমিয়-কবিকূলের প্রভাব দেখা যায়, যাঁদের আমরা বলি বৈষ্ণব কবি রবীন্দ্রনাথের গানকে আমরা বলি "রবীন্দ্রসংগীত" এই পরম রমণীয় সংগীত মানুষের মনে চিরস্থায়ী হয়ে আছে, এবং থাকবে
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরের শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন
রবীন্দ্রনাথ বেশ রসিক লোকও ছিলেন একবার তিনি নাকি গ্রীষ্মের দুপুরে গেলাসে চুমুক দিয়ে নিমপাতার সবুজ শরবত পান করছিলেন তখন একজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন তিনি রবীন্দ্রনাথের শরবত পান করা দেখে লুব্ধ চোখে সে দিকে তাকিয়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তাঁর পরিচারককে বললেন আগন্তুককে অমন শরবত দিতে অতিথি শরবত মুখে দিয়ে বুঝলেন তা সুস্বাদু পানীয় নয়, তেতো নিমের পাতার রস রবীন্দ্রনাথের এই রসিকতায় সেদিন আগন্তুক নিশ্চয়ই বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন!
‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ...’ গানটি ভারতের জাতীয় সংগীত,
এবং
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ...’
সংগীতটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত
এই দুটি সংগীতই রবীন্দ্রনাথের রচনা একই কবির রচনা দুটি দেশের জাতীয় সংগীত হবার মতো উদাহরণ পৃথিবীতে আর নেই
লেখাপড়া-২৪
একক = ১,
দশক =১০ =১০(১)[এক-এর পরে একটা শূন্য]
শতক =১০০ =১০(২),
হাজার(সহস্র) =১,০০০ =১০(৩)
অযুত = ১০,০০০=১০(৪),
লক্ষ = ১,০০,০০০ =১০(৫)
নিযুত = ১০,০০,০০০ =১০(৬),
কোটি = ১,০০,০০,০০০=১০(৭)[এক-এর পরে সাতটা শূন্য]
এখন কোটি সংখ্যার বেশি আর গণনায় আনা হয় না এ ছাড়া আছে অর্বুদ, বৃন্দ, খর্ব, শঙ্খ ইত্যাদি
সর্বোচ্চ গণনীয় সংখ্যা হল পরার্ধ = ১-এর পরে পঁচিশটা শূন্য বসিয়ে যা তৈরি হয়=১০(২৫)
সংখ্যার ক্রমাঙ্ক
৪ ______________ ৩ ____ ২ ___ ১ ←
হাজার(সহস্র) --- শতক --দশক-- একক
১,০০০ __________ ১০০ ____ ১০ __ ১
==============================
৮ __________ ৭ ______ ৬ _______ ৫ ←
কোটি ------ নিযুত ----- লক্ষ ----- অযুত
১,০০,০০,০০০ __ ১০,০০,০০০ ___ ১,০০,০০০ __ ১০,০০০
কোটিতে সংখ্যা ৮টি, শূন্য ৭টি[এক-এর পরে সাতটা শূন্য]
লেখাপড়া-২৫
মাস-তারিখ গণনা
তারিখ
১ __ পহেলা __ ১লা
২ __ দোসরা __ ২রা
৩ __ তেসরা __ ৩রা
৪ __ চৌঠা ___ ৪ঠা
৫ __ পাঁচই ___ ৫ই
৬ __ ছয়ই ___ ৬ই
৭ __ সাতই __ ৭ই
৮ __ আটই __ ৮ই
৯ __ নয়ই __ ৯ই
১০ _ দশই ___ ১০ই
১১ _ এগারোই __ ১১ই
১২ _ বারোই __ ১২ই
১৩ _ তেরোই _ ১৩ই
১৪ _ চৌদ্দই __ ১৪ই
১৫ _ পনেরোই _ ১৫ই
১৬ _ ষোলই __ ১৬ই
১৭ _ সতেরোই _ ১৭ই
১৮ _ আঠারোই _ ১৮ই
১৯ _ উনিশে _ ১৯শে
২০ _ বিশে __ বিশে(২০শে)
২১ _ একুশে __ একুশে(২১শে)
২২ _ বাইশে _ বাইশে(২২শে)
২৩ _ তেইশে _ ২৩শে
২৪ _ চব্বিশে __ ২৪শে
২৫ _ পঁচিশে _ ২৫শে
২৬ _ ছাব্বিশে _ ২৬শে
২৭ _ সাতাশে _ ২৭শে
২৮ _ আটাশে _ ২৮শে
২৯ _ উনত্রিশে _ ২৯শে
৩০ _ ত্রিশে ___ ৩০শে
৩১ _ একত্রিশে _ ৩১শে
৩২ _ বত্রিশে _ ৩২শে
কোনও কোনও বাংলা মাস ৩২ দিনেও হতে পারে
তিথির গণনা
প্রথমা/প্রতিপদ _ ১মা
দ্বিতীয়া _ ২য়া
তৃতীয়া _ ৩য়া
চতুর্থী __ ৪র্থী
পঞ্চমী _ ৫মী
ষষ্ঠী __ ৬ঠী
সপ্তমী _ ৭মী
অষ্টমী __ ৮মী
নবমী ___ ৯মী
দশমী __ ১০মী
একাদশী _ ১১শী
দ্বাদশী __ ১২শী
ত্রয়োদশী _ ১৩শী
চতুর্দশী __ ১৪শী
পূর্ণিমা বা অমাবস্যা
● আলোকজ্জ্বল পূর্ণিমা, ● অন্ধকার অমাবস্যা
অঙ্কের গণনা
সিকি (চার ভাগের এক ভাগ)→ ১√৪√ = ১/৪
আধা(একটার দুই ভাগের এক ভাগ/অর্ধেক)→ ১√২√ = ১/২
পৌনে(একটার চার ভাগের তিন ভাগ)→ ৩৪√ = ৩/৪
১২টায় এক ডজন
৪টায় এক গণ্ডা
এক শ-তে শতক
শতাব্দী/শতক গণনা
১ থেকে ১০০ অবধি হল প্রথম শতক বা প্রথম শতাব্দী
১০১ থেকে ২০০ অবধি হল দ্বিতীয় শতক বা দ্বিতীয় শতাব্দী
২০১ থকে ৩০০ অবধি হল তৃতীয় শতক বা তৃতীয় শতাব্দী, ইত্যাদি
যে শত বছরে শতক শেষ হবে, সেটাই হবে সেই শতাব্দীর নাম তাই সপ্তদশ শতাব্দী হবে ১৬০১ থেকে ১৭০০ অবধি
লেখাপড়া-২৬
বাংলা সংখ্যা(পূরণবাচক)[Ordinal Numbers]
(সংস্কৃত রীতি অনুসারে)
ঊনবিংশতি থেকে শত পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দের শেষে 'তম'(তমট্) প্রত্যয় যোগ করে পূরণ সংখ্যা-শব্দ গঠন করা হয়
লক্ষনীয় -- বিংশতি সংখ্যা বাচক[Cardinal Numbers] শব্দ,
কিন্তু, বিংশ পূরণবাচক(Ordinal Numbers) শব্দ
‘ঊনবিংশতি’ থেকে ‘অষ্টবিংশতি’ শব্দের শেষে “তি” লুপ্ত হয়, অথবা ‘তম’ যুক্ত হয় ‘ঊনত্রিংশৎ’ থেকে “অষ্টচত্বারিংশৎ” শব্দের শেষে “ৎ” লুপ্ত হয়, অথবা ‘তম’ যুক্ত হয়
১ - প্রথম
২ - দ্বিতীয়
৩ - তৃতীয়
৪ - চতুর্থ
৫ - পঞ্চম
৬ - ষষ্ঠ
৭ - সপ্তম
৮ - অষ্টম
৯ - নবম
১০ - দশম
১১ - একাদশ
১২ - দ্বাদশ
১৩ - ত্রয়োদশ
১৪ - চতুর্দশ
১৫ - পঞ্চদশ
১৬ - ষোড়শ
১৭ - সপ্তদশ
১৮ - অষ্টাদশ
১৯ - ঊনবিংশ
২০ - বিংশ
২১ - একবিংশ
২২ - দ্বাবিংশ
২৩ - ত্রয়োবিংশ
২৪ - চতুর্বিংশ
২৫ - পঞ্চবিংশ
২৬ - ষড়্বিংশ
২৭ - সপ্তবিংশ
২৮ - অষ্টবিংশ
২৯ - ঊনত্রিংশ
৩০ - ত্রিংশ
৩১ - একত্রিংশ
৩২ - দ্বাত্রিংশ
৩৩ - ত্রয়োত্রিংশ
৩৪ - চতুস্ত্রিংশ
৩৫ - পঞ্চত্রিংশ
৩৬ - ষট্ ত্রিংশ
৩৭ - সপ্ত ত্রিংশ
৩৮ - অষ্ট ত্রিংশ
৩৯ - ঊনচত্বারিংশ
৪০ - চত্বারিংশ
৪১ - এক চত্বারিংশ
৪২ - দ্বি চত্বারিংশ
৪৩ - ত্রি চত্বারিংশ
৪৪ - চতুঃ চত্বারিংশ
৪৫ - পঞ্চ চত্বারিংশ
৪৬ - ষট্ চত্বারিংশ
৪৭ - সপ্ত চত্বারিংশ
৪৮ - অষ্ট চত্বারিংশ
৪৯ - ঊনপঞ্চাশত্তম
৫০ - পঞ্চাশত্তম
৫১ - এক পঞ্চাশত্তম
৫২ - দ্বি পঞ্চাশত্তম
৫৩ - ত্রি পঞ্চাশত্তম
৫৪ - চতুঃ পঞ্চাশত্তম
৫৫ - পঞ্চ পঞ্চাশত্তম
৫৬ - ষট্ পঞ্চাশত্তম
৫৭ - সপ্ত পঞ্চাশত্তম
৫৮ - অষ্ট পঞ্চাশত্তম
৫৯ - ঊনষট্টিতম
৬০ - ষষ্টিতম
৬১ - এক ষষ্টিতম
৬২ - দ্বি ষষ্টিতম
৬৩ - ত্রি ষষ্টিতম
৬৪ - চতুঃ ষষ্টিতম
৬৫ - পঞ্চ ষষ্টিতম
৬৬ - ষট্ষষ্টিতম
৬৭ - সপ্ত ষষ্টিতম
৬৮ - অষ্ট ষষ্টিতম
৬৯ - ঊনসপ্ততিতম
৭০ - সপ্ততিতম
৭১ - এক সপ্ততিতম
৭২ - দ্বি সপ্ততিতম
৭৩ - ত্রয়ঃ সপ্ততিতম
৭৪ - চতুঃ সপ্ততিতম
৭৫ - পঞ্চ সপ্ততিতম
৭৬ - ষট্সপ্ততিতম
৭৭ - সপ্ত সপ্ততিতম
৭৮ - অষ্ট সপ্ততিতম
৭৯ - ঊনাশীতিতম
৮০ - অশীতিতম
৮১ - একাশীতিতম
৮২ - দ্ব্যশীতিতম
৮৩ - ত্র্যশীতিতম
৮৪ - চতুরশীতিতম
৮৫ - পঞ্চাশীতিতম
৮৬ - ষট্-শীতিতম
৮৭ - সপ্তাশীতিতম
৮৮ - অষ্টাশীতিতম
৮৯ - ঊননবতিতম
৯০ - নবতিতম
৯১ - এক নবতিতম
৯২ - দ্বি নবতিতম
৯৩ - ত্রি নবতিতম
৯৪ - চতুঃ-নবতিতম/চতুর্নবতিতম
৯৫ - পঞ্চ নবতিতম
৯৬ - ষট্নবতিতম/ষণ্ণবতিতম
৯৭ - সপ্ত নবতিতম
৯৮ - অষ্ট নবতিতম
৯৯ - ঊনশততম
১০০ - শততম
‘উনপঞ্চাশ’ থেকে ‘শত’ অবধি শব্দের শেষে কেবল ‘তম’ যুক্ত হয়
--- ০ ---
( আরও সম্পাদনা করা হবে )
লেখাপড়া-- বাংলা শিক্ষার প্রাথমিক বই তৃতীয় খণ্ড
পাঁচ খণ্ডে সম্পূর্ণ
লেখাপড়া-- বাংলা শিক্ষার প্রাথমিক বই
তৃতীয় খণ্ড
লেখাপড়া-বাংলা শিক্ষার প্রাথমিক বই তৃতীয় খণ্ড
লেখাপড়া-- বাংলা শিক্ষার প্রাথমিক বই তৃতীয় খণ্ডসবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে
ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে হবে
সরাসরি ডাউনলোড করুন নিচের এই লিংকে ক্লিক করে
উন্নত বাংলা ফন্ট-- অহনলিপি-বাংলা১৪
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zipযুক্তবর্ণ সরল গঠনের
বুঝতে লিখতে পড়তে সহজ
সঙ্গে
দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14
Default text font setting)
Default
text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
এবং
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet
setting)
(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)
on
internet(Mozilla Firefox)
(top
left) Tools
Options--contents
Fonts and Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for:
=Bengali
Proportional
= Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans
Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
-- OK
Languages
Choose your preferred Language for
displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
-- OK
-- OK
এবারে
ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে
==========================
(পাঁচ খণ্ডের এই বইটিতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে যেসকল ছবি ইন্টারনেট থেকে গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলির কোনওটি সম্পর্কে কারও অনুমতি প্রদানে আপত্তি থাকলে সে ছবি বর্জন করা হবে )
[ ই-মেলে যোগাযোগের জন্য: manojkumardgirish@yahoo.com ]
লেখাপড়া
(৩)
নয়ান জুলি
[পথিপার্শ্বস্থ জলপ্রণালী]
(তৃতীয় খণ্ড)
ভূমিকা
যে শিশুরা লেখাপড়া আঁচড় খণ্ড(প্রথম খণ্ড), এবং সূচনা খণ্ড(দ্বিতীয় খণ্ড) শেষ করেছে, তাদের জন্য এবার লেখাপড়া তৃতীয় খণ্ড(নয়ান জুলি) রচনা করা হল আধুনিক
জ্ঞান-বিজ্ঞানের শব্দাবলির সঙ্গেও তাদের একই সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে
এই খণ্ডে দক্ষতা অর্জন করলে বাংলা লেখাপড়ায় তারা অনেকটা সাবলীল হয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করা যায়
শিশুদের কাছে বইখানির আদর হলে আমার প্রয়াস সার্থক হবে
গ্রন্থ প্রস্তুতিতে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সহায়তা নেওয়া হয়েছে
বিনীত,
মনোজকুমার দ. গিরিশ
৯১/২, ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসু রোড, মণীশ পার্ক, কোলকাতা-- ৭০০-০৩৯, ভারত
দূরবাচী-- +৯১ (০৩৩) ২৩৪৩৪৬৮৬, মোঃ ৯০৫১ ৫৩০৮ ১৬
ই-মেলঃ manojkumardgirish@yahoo.com
২ ডিসেম্বর ২০০৮
(কৃতজ্ঞতা-- ডঃ সমরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়)
লেখাপড়া
নয়ান জুলি
[পথিপার্শ্বস্থ জলপ্রণালী]
(তৃতীয় খণ্ড)
আমরা “লেখাপড়া” আঁচড় খণ্ড (প্রথম খন্ড) এবং সূচনা খণ্ড (দ্বিতীয় খণ্ড) পড়া শেষ করেছি এবার পড়ব “লেখাপড়া”-র নয়ান জুলি(তৃতীয় খণ্ড)
আগেকার খণ্ড দুটিতে আমরা শিখেছি স্বরবর্ণ-- অ আ ই ঈ ইত্যাদি ব্যঞ্জনবর্ণ কখগঘঙ ইত্যাদি শিখেছি হরফ পাশাপাশি বসিয়ে শব্দ তৈরি করা আমরা প্রথমে স্বরান্ত শব্দ-- এই ওই কই খই কত লহ নব ভব আবহ আয়ত ফলত সহগ অবনত অহরহ জড়সড় অনবরত ইত্যাদি শিখেছি এর পরে ব্যঞ্জনান্ত শব্দ-- আম ইট কম ঘর টক দল আইন খবর লবণ শহর দমকল ভনভন হনহন লটবহর সরগরম নড়নচড়ন দহরমমহরম ইত্যাদিও শিখেছি
এর পরে শিখেছি স্বরান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত দুই প্রকার শব্দ জুড়ে বাক্যগঠন, ও মিশ্র শব্দ-- জনগণ সমতল উপকরণ কত ফল, ঘন রস, সমতল পথ, কত ফল আর জল, ওই অমলধবল বরফ ইত্যাদি
এর পরে আ-কার(া), ই-কার(ি), ঈ-কার( ী), ইত্যাদি স্বরচিহ্ন সংযোগ করা হয়েছে এবং শব্দ গঠন শেখা হয়েছে কা খি গী ঘু চূ তৃ দে ধৈ পো বৌ কাক খাতা চিল নীতি খুশি ভূমি কৃষি লেখা সেবা নৈতিক সৈনিক চোখ লোক গৌরব নৌকা সিংহ দুঃখ কাঁচা ঠোঁট ইত্যাদি এর পরে পড়েছি কবিতা গল্প ইত্যাদি
এবার তৃতীয় খণ্ডে শিখব বর্ণের সংযোগ একটি ব্যঞ্জন বর্ণের সঙ্গে অন্য ব্যঞ্জন বর্ণের সংযুক্ত রূপ এবং উচ্চারণ তা দিয়ে শব্দ গঠন, এবং তা বাক্যে ব্যবহার ইত্যাদি তারপরে কবিতা গল্প প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়ব
[ সকল শব্দের 'অর্থ' এখুনি শেখার দরকার নেই বড় হলে শব্দের অর্থ শেখা যাবে ]
লেখাপড়া-১
তৃতীয় খণ্ড
(নয়ান জুলি)
পাঠ-১
সংযুক্ত বর্ণ
দুই বর্ণের সংযোগ
বাংলায় দুই বর্ণ, তিন বর্ণ এবং চার বর্ণ মিলে যুক্তবর্ণ হয় এর বেশি বর্ণের সংযোগে বাংলায় যুক্তবর্ণ নেই এগুলি আসলে দুটি বা তিনটি ব্যঞ্জনধ্বনির মিলিত রূপ বোঝাবার জন্য হরফের জোড়, বা যুক্ত হরফ বা যুক্তলিপি তথা যুক্তবর্ণ
যুক্তবর্ণ কখনও উচ্চারণমূলক হয়, কখনও তা উচ্চারণমূলক হয় না যেগুলি উচ্চারণমূলক হয় সেগুলি প্রথমে শেখা যাক
এখানে একটি কথা জানা দরকার যে, যুক্তবর্ণের শেষ বর্ণটির উচ্চারণ স্বরান্ত, তথা দীর্ঘ হয় যেমন-- ন + ধ ন্ধ বন্ধ, গন্ধ, অন্ধ এখানে শব্দগুলির শেষে যে ধ হরফটি আছে তার উচ্চারণ দীর্ঘ হবে, তাই শব্দগুলি বন্ধ্, গন্ধ্, অন্ধ্, হবে না
সেরকম করলে তা ভুল হবে এগুলির স্বরান্ত উচ্চারণ হবে-- বন্ধ, গন্ধ, অন্ধ
পড়ার রীতি হল--
ক-এ ক-এ → ক-য় ক(কিন্তু আক্ক নহে)
ক-এ ট-এ → ক-য় ট(কিন্তু আক্ট নহে)
ক-এ ত-এ → ক-য় ত(কিন্তু আক্ত নহে)
ক-এ ন-এ → ক-য় ন(কিন্তু আক্ন নহে)
ভুল হবে-- আক্ক আক্ট আক্ত আক্ন, পড়লে
এখুনি সকল শব্দের অর্থ শেখার দরকার নেই
দুই বর্ণের সংযোগ
(সঙ্গে যুক্তবর্ণের পুরানো রূপ দেখানো হল)
ক ক = ক্ক - ধাক্কা পাক্কা অক্কা ছক্কা [ক্ক]
ক ট = ক্ট - অক্টোবর ভিক্টোরিয়া [ক্ট]
ক ত = ক্ত - পোক্ত বক্তা ভক্ত রক্ত শক্ত [ক্ত]
বক্তা
ক ন = ক্ন - বাচক্নবী [ক্ন]
ক ম = ক্ম - রুক্ম [ক্ম]
ক ল = ক্ল - শুক্ল অক্লেশে ক্লাব [ক্ল]
ক্লাব
ক স = ক্স - বাক্স বক্সিং [ক্স]
খ ম = খ্ম - খ্মের [খ্ম]
গ দ = গ্দ - বাগ্দান [গ্দ]
গ ধ = গ্ধ - মুগ্ধ দুগ্ধ [গ্ধ]
গ ন = গ্ন - ভগ্ন মগ্ন
নগ্ন
লগ্ন [গ্ন]
গ ম = গ্ম - বাগ্মী যুগ্ম [গ্ম]
গ ল = গ্ল - গ্লানি গ্লাস [গ্ল]
গ ব = গ্ব - ঋগ্বেদ [গ্ব]
লেখাপড়া-২
ঘ ন = ঘ্ন - বিঘ্ন [ঘ্ন]
ঙ ক = ঙ্ক - অঙ্ক ডঙ্কা শঙ্কা [ঙ্ক]
ঙ খ = ঙ্খ - শঙ্খ
শঙ্খ
শৃঙ্খল [ঙ্খ]
শৃঙ্খল
ঙ গ = ঙ্গ - ভঙ্গী সঙ্গী [ঙ্গ]
ঙ ঘ = ঙ্ঘ - সঙ্ঘ জঙ্ঘা [ঙ্ঘ]
ঙ ম = ঙ্ম - বাঙ্ময় [ঙ্ম ]
বক্তার বক্তৃতা শুনে অক্লেশে বোঝা যায় কে বাগ্মী; এবং কে-ইবা তাতে মুগ্ধ, অথবা কে বিরূপ ভঙ্গী করছে বক্সিং বড় শক্ত খেলা, এতে পোক্ত হতে অনেক রক্তপাত হয় অঙ্ক কষায় শুক্লা মগ্ন হয়ে আছে, বিঘ্ন ঘটিও না
চ চ = চ্চ - উচ্চ [চ্চ ]
চ ছ = চ্ছ - আচ্ছা
উচ্ছে [চ্ছ]
উচ্ছে
জ জ = জ্জ - নিমজ্জিত সজ্জন [জ্জ]
জ ঝ = জ্ঝ - কুজ্ঝটিকা [জ্ঝ]
ট ট = ট্ট - অট্টালিকা ঠাট্টা [ট্ট]
ট ম = ট্ম - কুট্মল [ট্ম]
ড ড = ড্ড - গড্ডলিকা[গড্ডালিকা নহে]
আড্ডা বড্ডো [ড্ড]
ড ম = ড্ম - কুড্মল [ড্ম]
ণ ট = ণ্ট - ঘণ্টা কণ্টক [ণ্ট]
ণ ঠ = ণ্ঠ - কণ্ঠ লণ্ঠন [ণ্ঠ]
ণ ড = ণ্ড - মণ্ডপ পাণ্ডুর মণ্ডল ভণ্ড [ণ্ড]
ণ ঢ = ণ্ঢ - ঢুণ্ঢন [ণ্ঢ]
ণ ণ = ণ্ণ - ষণ্ণবতি(সংখ্যা ৯৬), বিষণ্ণ [ণ্ণ]
ণ ম = ণ্ম - চিণ্ময়, হিরণ্ময়, মৃণ্ময় [ণ্ম]
উচ্ছে বড্ড তিক্ত ভণ্ড লোক সজ্জনকে ক্লেশ দেয় অট্টালিকার উচ্চে ঘণ্টা বাঁধা আছে মৃণ্ময় গড্ডলিকা আবহে নিমজ্জিত হতে চায় না, তাই বিষণ্ণ ভঙ্গীতে ক্লাবের মণ্ডপে সঙ্গী খুঁজছে
ত ত = ত্ত(ত্ত) - উত্তম, উত্তর, সত্তর, আবৃত্তি [ত্ত]
আবৃত্তি
ত থ = ত্থ - উত্থান, উত্থাপন [ত্থ]
ত ন = ত্ন - যত্ন, রত্ন, পত্নী [ত্ন]
দ গ = দ্গ - মুদ্গর, উদ্গীরণ [দ্গ]
দ ঘ = দ্ঘ - উদ্ঘাটন, উদ্ঘোষণা [দ্ঘ]
দ দ = দ্দ - খদ্দর, খদ্দের [দ্দ]
খদ্দের
দ ধ = দ্ধ - উদ্ধার, উদ্ধৃত [দ্ধ]
দ ভ = দ্ভ - উদ্ভাবন, উদ্ভব [দ্ভ]
ধ ন = ধ্ন - গৃধ্নু [ধ্ন]
উত্তম লোক কখনও অর্থগৃধ্নু হয়না যত্ন নিলে সত্তর রত্ন উদ্ধার হবে ভগ্ন শরীরে রোগীর উত্থান শক্তি নেই খদ্দের এক বাক্স উচ্চমানের গ্লাস চাইলেন সে ক্লাবে পাক্কা দু-ঘণ্টা খদ্দর বেচা-কেনা করল
লেখাপড়া-৩
ন ট = ন্ট - কন্টাই, মাউন্টিনিয়ার, হান্টার-সু [ন্ট]
ন ড = ন্ড - লন্ডন, গন্ডার, পন্ড [ন্ড]
(কিন্তু
ন ত = ন্ত - শান্ত, অন্তর, ক্লান্ত, কিন্তু [ন্ত ]
ন থ = ন্থ - পান্থ [ন্থ]
ন দ = ন্দ - আনন্দ, নিন্দা, পছন্দ, অলিন্দ [ন্দ]
অলিন্দ
ন ধ = ন্ধ - গন্ধ, বন্ধ, সিন্ধু [ন্ধ]
ন ন = ন্ন - অন্ন, ভিন্ন, আচ্ছন্ন, সন্না [ন্ন]
সন্না
ন ম = ন্ম - জন্ম, উন্মন [ন্ম]
ন স = ন্স - পেন্সিল, মুন্সেফ [ন্স]
হান্টার-সু পরে মুন্সেফ কন্টাই(কাঁথি শহর) যাচ্ছেন তাঁর বাড়ি লন্ডন তিনি পান্থ হয়ে গঙ্গা থেকে সিন্ধু গেছেন, তবু সদাই আনন্দিত, কখনও ক্লান্ত হন না গুণগান ভিন্ন তিনি কারও নিন্দা করা পছন্দ করেন না অন্তর দিয়ে তিনি বঙ্গদেশকে ভালোবাসেন, জন্মভূমি না হলেও অন্নদাতা তো সে
প ট = প্ট - কিপ্টে, লেপ্টে, হেলিকপ্টার [প্ট]
প ত = প্ত - লিপ্ত, তপ্ত, আপ্ত, সপ্ত [প্ত]
প ন = প্ন - স্বপ্ন [প্ন]
প প = প্প - খাপ্পা, চপ্পল, তাপ্পি [প্প]
প ল = প্ল - প্লাবন, প্লাগ, প্লেট, প্লীহা [প্ল]
প্লাবন
প স = প্স - লিপ্সা, জুগুপ্সা [প্স]
ফ ল = ফ্ল - ফ্লিট, ফ্লাগ [ফ্ল]
ফ্লাগ
ব জ = ব্জ - কব্জা, সব্জি, লব্জ, কুব্জ [ব্জ]
ব দ = ব্দ - শব্দ, বঙ্গাব্দ, জব্দ, অব্দ [ব্দ]
ব ধ = ব্ধ - লব্ধ [ব্ধ]
ব ব = ব্ব - বাব্বা, সব্বার, চব্বিশ, আব্বা [ব্ব]
আব্বা
ব ল = ব্ল - ব্লেড, ব্লাড [ব্ল]
ব্লেড
ভ ল = ভ্ল - ভ্লাদিমি [ভ্ল]
ম ন = ম্ন - নিম্ন [ম্ন]
ম প = ম্প - কম্প, ঝম্প, সাম্পান [ম্প]
ম ফ = ম্ফ - লম্ফ, গুম্ফা [ম্ফ]
লম্ফ
ম ব = ম্ব - নিম্ব, লম্ব, অম্বর [ম্ব]
ম ভ = ম্ভ - সম্ভব, দম্ভ, গম্ভীর [ম্ভ]
ম ম = ম্ম - সম্মান[সন্মান/সনমান নহে], জিম্মা, আম্মা [ম্ম]
ম ল = ম্ল - ম্লান, অম্ল, অম্লান [ম্ল]
এখন ১৪১৫ বঙ্গাব্দ হেলিকপ্টারের গায়ে ফ্লাগ উত্তম যত্নে লাগানো আছে পয়সা খরচ হলে কিপ্টে লোকেরা বড্ড খাপ্পা হয়, কারণ তাদের পয়সার লিপ্সা বড্ড বেশি, তাই, কপনি পরে থাকে বাজারে সব্বার আগে সব্জি কিনব, তারপরে ব্লেড আর কব্জা, আর চাই প্লেট এবং বিজলি বাতির প্লাগ বাব্বা চপ্পল পরে এমন শব্দ করে হাঁটছ, শুনলে লোকে নিন্দা করবে
লেখাপড়া-৪
ল ক = ল্ক - হাল্কা, শুল্ক, কল্কে, চিল্কা [ল্ক]
ল গ = ল্গ - ফল্গু, বল্গা [ল্গ]
ল ট = ল্ট - বল্টু, পল্টন, পাল্টা [ল্ট]
ল ড = ল্ড - বোল্ড্, গোল্ড্, কোল্ড্, শিল্ড্ [ল্ড]
ল প = ল্প - অল্প, গল্প, তল্পি [ল্প]
ল ফ = ল্ফ - গুল্ফ [ল্ফ]
ল ম = ল্ম - গুল্ম, বল্মিক, বাল্মিকী [ল্ম]
ল ল = ল্ল - হল্লা, পাল্লা, রসগোল্লা [ল্ল]
রসগোল্লা
শ চ = শ্চ - পশ্চিম, নিশ্চয়, পশ্চাৎ, পুনশ্চ [শ্চ]
শ ছ = শ্ছ - নিশ্ছায়া, নিশ্ছিদ্র [শ্ছ]
শ ন = শ্ন - অশ্ন [শ্ন]
শ ল = শ্ল - শ্লীল, শ্লীপদ [শ্ল]
রসগোল্লা অল্প পেয়েছ বলে এত হল্লা করছ কেন? বাল্মিকী রামায়ণ লিখেছেন
বাল্মিকী রামায়ণ লিখছেন(কাল্পনিক ছবি)
পশ্চিম দেশে পাল্লা দেবার মতো এমন রচনা অল্পই আছে গল্পটা লিখে ফেল বল্গা হরিণ হাল্কা বোঝা টানতে পারে দরজার পাল্লার একটা বল্টু চাই সোনার গহনা হলে নিশ্চয়ই শুল্ক লাগে?
বল্গা হরিণ
ষ ক = ষ্ক - শুষ্ক, নিষ্কাশিত, পুষ্করিণী [ষ্ক]
পুষ্করিণী
ষ ট = ষ্ট - অষ্ট, কষ্ট, দৃষ্ট, বৃষ্টি [ষ্ট]
বৃষ্টি
ষ ঠ = ষ্ঠ - গোষ্ঠ, ওষ্ঠ, সৌষ্ঠব [ষ্ঠ]
ওষ্ঠ
ষ প = ষ্প - পুষ্প, নিষ্পাপ, বাষ্প [ষ্প]
বাষ্প
ষ ফ = ষ্ফ - নিষ্ফল [ষ্ফ]
ষ ম = ষ্ম - উষ্মা [ষ্ম]
স ক = স্ক - তস্কর, স্কুল, পুরস্কার, নমস্কার, আস্কারা [স্ক]
স খ = স্খ - স্খলন, স্খালন, স্খলিত [স্খ]
স ট = স্ট - স্টার, স্টোর, স্টিমার [স্ট]
স ত = স্ত - স্তর, বাস্তু, অস্তগত [স্ত]
লেখাপড়া-৫
স থ = স্থ - স্থান, স্থির, স্থাণু, সুস্থির [স্থ]
স ন = স্ন - স্নান, হাস্নুহানা, স্নেহ, স্নিগ্ধ [স্ন]
হাস্নুহানা -- সুগন্ধ সাদা ছোটো ফুল
স প = স্প - স্পষ্ট, আস্পদ, স্পৃহা [স্প]
স ফ = স্ফ - স্ফটিক, স্ফার, বিস্ফারিত, আস্ফালন [স্ফ]
স ম = স্ম - অস্মি, স্মোক [স্ম]
স ল = স্ল - স্লেট, স্লিপিং [স্ল]
হ ণ = হ্ণ - অপরাহ্ণ [হ্ণ]
হ ন = হ্ন - চিহ্ন, অহ্ন [হ্ন]
হ ল = হ্ল - আহ্লাদ, কহ্লার [হ্ল]
ড় গ = ড়্গ - খড়্গ, খড়্গপুর [ড়্গ]
খড়্গ
খড়্গপুরের স্কুল থেকে গোষ্ঠ আহ্লাদিত হয়ে ফিরে এল তস্কর অপবাদ শুনে পুষ্প তার নিষ্পাপ বিস্ফারিত চোখের জলে গণ্ডদেশ ভেজাতে লাগল বৃষ্টির মাঝে স্টিমারে অপরাহ্ণ বেলায় অস্তগত রবির দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে থাকতে সবার ভালো লাগে নিষ্ফল উষ্মা দেখিয়ে লাভ নেই, কষ্ট করে শুষ্ক রুটি আজ খেতেই হবে স্খলিত পাতা হাস্নুহানা গাছের নীচে স্তরে স্তরে জমা হচ্ছে স্ফটিকের মতো পুষ্করিণীর স্নিগ্ধ জল দেখে তার শুষ্ক ওষ্ঠে জলপানের স্পৃহা স্পষ্ট দৃষ্ট হল
কবিতা
হজমি গোঁফ
গোঁফে দিয়ে জোর তা
যেটা খুশি সেটা খা
ঘাস বিচালি আলু পটল
উচ্ছে কিংবা তরকারি-ঝোল
যা-কিছু খাও, হবে হজম
চোঁয়া ঢেকুর সব উপশম
হুমড়ি কিংবা আছাড় খাও
গোঁফে একটু মোচড় দাও
দেখবে তখন একি বাবা
যেন বোকা হলাম হাবা
হজম হয়ে সব ততক্ষণ
ছুঁচো পেটে দিচ্ছে ডন
পেটের ভিতর হচ্ছে দাবি
যাহা পাবি তাহাই খাবি
খা পিটুনি, খা কানমলা
খা চিরতার আস্ত দলা
বরফি বাদাম দই বা গজা
এসব খেতেই বেশি মজা
হুমড়ি আছাড় বা কানমলা
এসব যেন ছুঁচো গেলা
পিটুনিটার দোষ হল ভাই
খাওয়ার আর শেষ যেন নাই!
লেখাপড়া-৬
পাঠ-২
যে যুক্তবর্ণগুলি উচ্চারণমূলক সেগুলি আমরা শিখলাম এমন অনেক যুক্তবর্ণ তথা যুক্তলিপি, বা যুক্ত হরফ আছে, যা লেখার সময়ে যেমন মূল হরফ থেকে অনেক সময়ে আলাদা রকম করে লেখা হয়, তেমনি উচ্চারণের বেলায়ও তাতে মূল-হরফের উচ্চারণ থেকে অনেক তফাৎ হয় এগুলিই এখন আমরা শিখব এদের লিখিত-রূপ এবং উচ্চারণ যেহেতু মূল থেকে খানিকটা বা অনেক সময়ে পুরোপুরি আলাদা হয়, তাই এগুলি শেখার সময়ে কারও সহায়তা নিয়ে শেখা ভাল
আগের পাঠের কিছু কিছু যুক্তবর্ণ এই পাঠেও থাকবে
দুই বর্ণের সংযুক্ত রূপ :--
য এবং র এই দুটির রূপ --মূল হরফ থেকে আলাদা হয়
র = র্
মনে করি রেফ এসেছে এমনিভাবে --
ক ম = ক্ম - রুক্মিণী [ক্ম]
ক য = ক্য - বাক্য, ঐক্য [ক্য]
ক র = ক্র - বক্র, শুক্র, আক্রমণ, ক্রেতা [ক্র]
ক ব = ক্ব - পক্ব [ক্ব]
ক ষ = ক্ষ - কক্ষ, লক্ষ, পক্ষী, ক্ষুধা [ক্ষ]
খ য = খ্য - সখ্য, সংখ্যক, সংখ্যা [খ্য]
খ র = খ্র - খ্রিস্টাব্দ [খ্র]
গ য = গ্য - আরোগ্য, ভোগ্য, যোগ্য [গ্য]
গ র = গ্র - গ্রাম, অগ্রিম, উগ্র, গ্রুপ [গ্র]
গ ব = গ্ব - ঋগ্বেদ, দিগ্বিজয় [গ্ব]
গ্রাম পথ
ঘ য = ঘ্য - শ্লাঘ্য [ঘ্য]
ঘ র = ঘ্র - ঘ্রাণ, শীঘ্র, আঘ্রাত [ঘ্র]
ঘ ব = ঘ্ব - লঘ্বী [ঘ্ব]
চ ঞ = চ্ঞ - যাচ্ঞা [চ্ঞ]
চ য = চ্য - আলোচ্য, বাচ্য, চ্যবন, অচ্যুত [চ্য]
ছ য = ছ্য - ছ্যুৎ, ছ্যাকড়া গাড়ি [ছ্য]
জ ঞ = জ্ঞ - জ্ঞান, বিজ্ঞ, বিজ্ঞান [জ্ঞ]
জ য = জ্য - রাজ্য, ভোজ্য, জ্যামিতি, জ্যোতি [জ্য]
লেখাপড়া-৭
জ র = জ্র - বজ্র [জ্র]
জ ব = জ্ব - জ্বর, জ্বালা [জ্ব]
ঞ চ = ঞ্চ - অঞ্চল, চঞ্চু, কিঞ্চিৎ [ঞ্চ]
চঞ্চু
ঞ ছ = ঞ্ছ - লাঞ্ছনা, বাঞ্ছা, বাঞ্ছিত [ঞ্ছ]
ঞ জ = ঞ্জ - গঞ্জ, গুঞ্জন, রঞ্জিত [ঞ্জ]
গঞ্জ
ঞ ঝ = ঞ্ঝ - ঝঞ্ঝা, ঝঞ্ঝাট [ঞ্ঝ]
ঞ য = ঞ্য - ঞ্যন্ত [ঞ্য]
জ্বর জ্বালার ঝঞ্ঝাট পোহাতে কেউই আগ্রহী নয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় নিয়ে কিঞ্চিৎ উচ্চ বাচ্য হওয়া ভাল এটা ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ, ২০০১ থেকে নতুন শতাব্দী তথা একুশ শতাব্দী শুরু হয়াছে উগ্র দিগ্বিজয়ীর পক্ষে সখ্য শ্লাঘ্য বিবেচিত হয় না লক্ষ টাকা যাচ্ঞা করলেও পক্ব ফলের মতো তা তৎক্ষণাৎ হস্তগত হয় না অঙ্ক, জ্যামিতি কেবলই রুক্মিণীর লাঞ্ছনা জোটায়
ট য = ট্য - নাট্য, অকাট্য [ট্য]
ট র = ট্র - ট্রাম, ট্রেন, মেট্রোরেল [ট্র]
ট্রাম
ট ব = ট্ব - খট্বা, পট্বী [ট্ব]
ঠ য = ঠ্য - পাঠ্য, শাঠ্য, লাঠ্যৌষধি [ঠ্য]
ড য = ড্য - জাড্য [ড্য]
ড র = ড্র - ড্রাম, ড্রাগন [ড্র]
ড্রাগন
ড ব = ড্ব - অনড্বান [ড্ব]
ঢ য = ঢ্য - ধনাঢ্য, আঢ্য [ঢ্য]
ঢ র = ঢ্র - মেঢ্র [ঢ্র]
ণ য = ণ্য - অরণ্য, ঘৃণ্য, আনৃণ্য [ণ্য]
ণ ব = ণ্ব - অণ্বী [ণ্ব]
ত ম = ত্ম - আত্ম, আত্মীয় [ত্ম]
ত য = ত্য - সত্য, ভৃত্য, অত্যাচার [ত্য]
ত র = ত্র - পুত্র, মিত্র, ত্রাণ, ত্রুটি [ত্র, ত্রু, ত্রূ]
ত ব = ত্ব - ত্বদীয়, মাতৃত্ব, সত্বর, ত্বরা [ত্ব]
থ য = থ্য - কথ্য, মিথ্যা, তথ্য [থ্য]
থ র = থ্র - থ্রো, থ্রু [ থ্র]
থ ব = থ্ব - পৃথ্বী [থ্ব]
দ ম = দ্ম - পদ্ম, পদ্মাসন [দ্ম]
পদ্ম
পদ্মাসন
দ য = দ্য - বিদ্যা, সদ্য, খাদ্য, দ্যূত, সদ্যতন, উদ্যোগ [দ্য]
দ য = দ্য - উদ্যাপন, উদ্যোগ = উদ্যোগ [দ্য]
দ র = দ্র - ভদ্র, মুদ্রা, দ্রবণ, দ্রুত, বিদ্রূপ [ দ্র]
দ ব = দ্ব - সুহৃদ্বর, দ্বার, বিদ্বান, উদ্বেগ [দ্ব]
ধ ম = ধ্ম - আধ্মাত [ধ্ম]
লেখাপড়া-৮
ধ য = ধ্য - বাধ্য, সাধ্য, ধ্যান, অসাধ্য [ধ্য]
ধ র = ধ্র - ধ্রুপদ, ধ্রুব [ধ্র]
ধ ব = ধ্ব - ধ্বস, বিধ্বস্ত [ধ্ব]
ন য = ন্য - ধন্য, বন্য, সৈন্য, ন্যায় [ন্য]
ন ব = ন্ব - তন্বী, অন্বয় [ন্ব]
বিদ্বান সত্য চিন্তা করেন মেট্রোরেলে চেপে সত্বর কোলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণে যাওয়া সহজসাধ্য এটি রেল দপ্তরের সদ্যতন উদ্যোগ ধনাঢ্য কিংবা দরিদ্র সকলেই আত্মীয়দের সাধ্যমত যত্ন করেন বল থ্রো করতেই ড্রাম বেজে উঠল সৈন্য বাহিনীকে সবাই ধন্য ধন্য করতে লাগল পাহাড়ে ধ্বস নামার কারণে ত্রাণ শিবিরে কৃশ এবং পৃথুলদেহী সকলেই খাদ্য সংগ্রহ করার অসাধ্য চেষ্টা করছে
প য = প্য - রৌপ্য, দীপ্য [প্য]
প র = প্র - প্রাপ্য, প্রাপ্ত, প্রাণ, ক্ষিপ্র, প্রশ্ন, প্রুফ [প্রু]
ফ র = ফ্র - ফ্রক, আফ্রিকা, কাফ্রি [ফ্র]
ফ্রক
ব য = ব্য - অব্যয়, ব্যয়, ব্যক্ত [ব্য] (এগুলি আসলে অন্তস্থ ব = ৰ)
ব র = ব্র - ব্রত, বিব্রত [ব্য] (এগুলি আসলে অন্তস্থ ব = ৰ)
ভ য = ভ্য - সভ্য, লভ্য, অভ্যাস [ভ্য]
ভ র = ভ্র - ভ্রমণ, বিভ্রম, ভ্রান্ত, ভ্রুকুটি, ভ্রু-লতা [ ভ্র, ভ্রু, ভ্রূ ]
ম য = ম্য - অগম্য, রম্য, ভ্রাম্যমাণ [ম্য]
ম র = ম্র - বিনম্র, আম্র, আম্রাতক [ম্র]
আম্র / আম
য য = য্য - সাহায্য, শয্যা [য্য]
শয্যা
প্রশ্নের আঙ্ক কষতে অনেকেই একটু বিভ্রান্ত হয় সভ্যতা মানুষকে বিনম্র করেছে আফ্রিকা মহাদেশের অগম্য সাহারা মরুভূমিতে ভ্রমণ খুব বিপজ্জনক
সাহারা মরুভূমি
রৌপ্য পাত্র ক্রয়ে অনেক মুদ্রা লাগে অকারণ শয্যায় শুয়ে থাকতে কাজের লোক উদ্বেগ বোধ করেন
র-এর একটি রূপ হল রেফ র়্
র ক = ক না হয়ে হবে, র্ক র খ = খ না হয়ে হবে, র্খ র গ =
গ না হয়ে হবে, র্গ র-এর উচ্চারণ কিন্তু সব সময়ে আগেই হবে যেমন -- বগ= বর্গ
গ না হয়ে হবে, র্গ র-এর উচ্চারণ কিন্তু সব সময়ে আগেই হবে যেমন -- বগ= বর্গ
মনে করি রেফ এসেছে এমনিভাবে --
র্
র ঋ = র্ঋ - নৈর্ঋত [র্ঋ] (র্ঋ আসলে যুক্তবর্ণ নয়, কারণ এখানে ঋ স্বরবর্ণ, যেমন ক+ী=কী
কী, এবং র্ঋ এর কোনওটি যুক্তবর্ণ নয় ব্যঞ্জন বর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জন বর্ণ মিললে যুক্তবর্ণ হয়)
র ক = র্ক - তর্ক, অর্কিড [র্ক]
র খ = র্খ - মূর্খ, মূর্খামি [র্খ]
র গ = র্গ - বর্গ, বর্গি, দুর্গম [র্গ]
র ঘ = র্ঘ - দুর্ঘট, নির্ঘণ্ট [র্ঘ]
র চ = র্চ - চর্চা, চর্চিত [র্চ]
র ছ = র্ছ - মূর্ছা, মূর্ছিত [র্ছ]
র জ = র্জ - গর্জন, বর্জন [র্জ]
র ঝ = র্ঝ - নির্ঝর, নির্ঝরিণী [র্ঝ]
লেখাপড়া-৯
র ড = র্ড - অর্ডার [র্ড]
র ণ = র্ণ - পর্ণ, জীর্ণ, পূর্ণিমা, বর্ণ [র্ণ]
র ত = র্ত - শর্ত, গর্ত, শীতার্ত [র্ত]
র থ = র্থ - অর্থ, অনর্থ [র্থ]
র দ = র্দ - ফর্দ, কর্দম, জর্দা [র্দ]
ফর্দ
র ধ = র্ধ - অর্ধ, বর্ধিত [র্ধ]
র ন = র্ন - দুর্নয়,
ঝর্না [র্ন ]
ঝর্না
র প = র্প - সর্প, কার্পাস, দর্প [র্প]
সর্প / সাপ
র ফ = র্ফ - অর্ফিউস [র্ফ]
র ভ = র্ভ - নির্ভয়, দুর্ভাবনা [র্ভ]
র ম = র্ম - কর্ম, চর্ম, বর্ম, নির্মাণ [র্ম]
বর্ম
র য = র্য - কার্য, ধার্য, কদর্য [র্য]
র ল = র্ল - নির্লোম, দুর্লভ [র্ল]
র ব = র্ব - সর্ব, গর্ব, দুর্বার [র্ব]
র শ = র্শ - দর্শন, দর্শক, বর্শা [র্শ]
বর্শা
র ষ = র্ষ - বর্ষা, সর্ষে, হর্ষ [র্ষ]
র স = র্স - উর্সনি, ভার্সাই [র্স]/
র হ = র্হ - অন্তর্হিত, গর্হিত [র্হ]
র ৎ = ৎর্ - ভৎর্সনা, হাৎর্জ [ৎর্ ]
মূর্খেরা অকারণে তর্ক করে যখন মেঘের গর্জনের পরে বর্ষা নামে, তখন পথ চলা দুর্ঘট হয়, দুর্গম সেই পথ চলতে দুর্ভাবনা হয় শার্টের পকেটে কার্ড নিয়ে নব নির্মিত মঞ্চের দর্শক-আসনে বসে সে গর্ব অনুভব করল দর্প করে একগাদা খেলে অনর্থক ভৎর্সনা সইতে হবে বর্মপরা বর্গিরা আকাশে নৈঋর্তে মেঘ দর্শন করে তর্জন গর্জন ছেড়ে ভয়ে মূর্ছা না গেলেও অর্ধমৃত হল ঝর্না ইতিহাসের ভার্সাই সন্ধির শর্তগুলি পড়ল পূর্ণিমার চাঁদ দুর্লভ নয় একটু চেষ্টা করলেই নির্ঘন্ট তৈরি করা যায়
ল য = ল্য - কল্য, শল্য, কল্যাণ [ল্য]
ল ব = ল্ব - বিল্ব [ল্ব]
ব য = ব্য - অব্যয়, ব্যয়, ব্যক্ত [ ব্য ]
ব র = ব্র - ব্রত, বিব্রত [ব্র]
শ ম = শ্ম - জীবাশ্ম, শ্মশান [শ্ম]
শ য = শ্য - দৃশ্য, অবশ্য [শ্য]
শ র = শ্র - শ্রাবণ, শ্রী, শ্রদ্ধা, শ্রম, বিশ্রাম, অশ্রু, শুশ্রূশা [ শ্র]
শ ব = শ্ব - অশ্ব, বিশ্ব, শ্বাপদ, শ্বশ্রূ [শ্ব]
ষ ণ = ষ্ণ - কৃষ্ণ, তৃষ্ণা [ষ্ণ]
ষ ম = ষ্ম - গ্রীষ্ম, উষ্ম [ষ্ম]
ষ য = ষ্য - তিষ্য, পোষ্য
লেখাপড়া-১০
ষ ব = ষ্ব - পিতৃষ্বসা [ষ্ব]
স য = স্য - আস্য, সদস্য, স্যন্দন [স্য]
স র = স্র - সহস্র, স্রোত, পরিস্রুত [স্র]
স ব = স্ব - স্বর, ভাস্বর [স্ব]
হ ম = হ্ম - ব্রহ্মপুত্র, ব্রহ্মাণ্ড [ হ্ম ]
হ য = হ্য - দাহ্য, সহ্য [হ্য]
হ র = হ্র - হ্রদ, হ্রস্ব [হ্র]
হ ব = হ্ব - গহ্বর, জিহ্বা [হ্ব]
জিহ্বা / জিভ
গ্রীষ্মকালে অসহ্য গরমে শ্রান্ত পিতৃষ্বসা শুষ্ক আস্যে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পরিশ্রুত জল চাইলেন গতকল্য বিল্বমাসি ব্যয়ের আধিক্যে বিব্রত হয়ে পোষ্য সদস্যদের সহ্য করতে পারছিলেন না হ্রস্ব এবং দীর্ঘ স্বর উচ্চারণকালে জিহ্বার ভঙ্গীর নানা পরিবর্তন হয় ব্রহ্মপুত্র তীরে অবশ্য শ্বাপদের জীবাশ্ম পাওয়া কঠিন নয় শ্রদ্ধা প্রকাশের জন্য হিন্দুগণ নামের পূর্বে শ্রী ব্যবহার করেন, এবং বৌদ্ধদেরও এই একই রীতি মুসলমানগণ ব্যবহার করেন জনাব, আর খ্রিস্টানগণ লেখেন মিস্টার
মেয়েদের ক্ষেত্রে হিন্দুরা লেখেন শ্রীমতী, অবিবাহিতা হলে কুমারী
এবং বৌদ্ধদেরও এই একই রীতি
আর
মুসলমানেরা লেখেন মোসাম্মাত/মোসাম্মৎ/মুসম্মত/মুসম্মাত
আর
খ্রিস্টানগণ লেখেন মিসেস, অবিবাহিতা হলে মিস
পাঠ-৩
তিন বর্ণের সংযোগ
দুই বর্ণের সংযোগ শেখার পরে এবার আমরা শিখব তিন বর্ণের সংযোগ তিনটি বর্ণ যুক্ত হয়ে এরা গঠিত হলেও সব সময়ে সংযুক্ত সবক’টি বর্ণের উচ্চারণ হয় না
দুই বর্ণের সংযোগ যতগুলি সংখ্যক হয়, তিন বর্ণের সংযোগ তারচেয়ে কম হয়
( যুক্তবর্ণ দেখানোর প্রয়োজনে কিছু পুরানো বানানও এখানে দেখানো হয়েছে)
ক ট র = ক্ট্র - ফ্যাক্ট্রি [ ক্ট্র ]
ক ত য = ক্ত্য - পৌনরুক্ত্য [ ক্ত্য ]
ক ত র = ক্ত্র - বক্ত্র [ ক্ত্র ]
ক ন য = ক্ন্য - ক্ন্যুট হ্যামসুন [ ক্ন্য ]
ক য ং = ক্যং - বাক্যাংশ [ক্যং]
ক র ং = ক্রং - বক্রাংশু [ক্রং]
ক ল য = ক্ল্য - শৌক্ল্য [ক্ল্য]
ক ষ ণ = ক্ষ্ণ - তীক্ষ্ণ [ক্ষ্ণ]
ক ষ ম = ক্ষ্ম - সূক্ষ্ম [ক্ষ্ম]
ক ষ য = ক্ষ্য - ভক্ষ্য [ক্ষ্য]
ক ষ ব = ক্ষ্ব - ইক্ষ্বাকু [ক্ষ্ব]
ক ষ ং = ক্ষং - অক্ষাংশ [ক্ষং]
ক ষ ঁ = ক্ষঁ - ক্ষূৎ [ক্ষঁ]
গ ধ য = গ্ধ্য - বৈদগ্ধ্য [ গ্ধ্য ]
লেখাপড়া-১১
গ ন য = গ্ন্য - অগ্ন্যুৎপাত [গ্ন্য]
আগ্নেয় গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত
গ ন ং = গ্নং - ভগ্নাংশ [গ্নং]
গ র য = গ্র্য - অগ্র্য [গ্র্য]
ঘ ন য = ঘ্ন্য- অঘ্ন্য [ঘ্ন্য]
ঙ ক য = ঙ্ক্য - অঙ্ক্য [ঙ্ক্য]
ঙ ক র = ঙ্ক্র - সঙ্ক্রমণ [ঙ্ক্র]
ঙ ক ষ = ঙ্ক্ষ - দুরাকাঙ্ক্ষ [ঙ্ক্ষ]
ঙ খ য = ঙ্খ্য - সাঙ্খ্য [ঙ্খ্য]
ঙ গ য = ঙ্গ্য - ব্যঙ্গ্য [ঙ্গ্য]
ঙ গ ঃ = ঙ্গঃ - অঙ্গঃ [ঙ্গঃ]
ঙ ঘ য = ঙ্ঘ্য - অলঙ্ঘ্য [ঙ্ঘ্য]
ঙ ঘ র = ঙ্ঘ্র - অঙ্ঘ্রি [ঙ্ঘ্র]
ঙ ঘ ঃ = ঙ্ঘঃ - অঙ্ঘঃ [ঙ্ঘঃ]
তীব্র অগ্ন্যুৎপাতে এবং প্রবল ভূমিকম্পে মাটি উঁচু হয়ে দুই গ্রামের মধ্যে অলঙ্ঘ্য প্রাচীর তৈরি হয়ে গেল সূক্ষ্ম ধুলোর কণা ছড়িয়ে পড়ল আকাশে এতে ভীত হয়ে ফ্যাক্ট্রি থেকে তীক্ষ্ণ আওয়াজ করা হয় দুরাকাঙ্ক্ষ মানুষেরা প্রাণ রক্ষার প্রবল প্রচেষ্টা করলেন, কিন্তু প্রকৃতির ব্যঙ্গ্য যেন ঝরে পড়ল, জিনিসপত্রের ভগ্নাংশ চক্ষুঃশূল হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে রইল মানুষের সভ্যতা আর বৈদগ্ধ্য বুঝি অলঙ্ঘ্য প্রকৃতির কাছে নত হল কোথাও ভক্ষ্য কিছু নেই, উপরন্তু দেখা দিল সঙ্ক্রমণের আশঙ্কা কেবল বক্রাংশুর শৌক্ল্যে আকাশ উদ্ভাসিত হয়ে রইল বাক্যাংশ ব্যয় করার মতো কোনও বক্তাও যেন আর এই অক্ষাংশের স্বল্প পরিধিতে অবশিষ্ট রইল না
চ চ ঃ = চ্চঃ - উচ্চৈঃস্বরে [চ্চঃ]
চ ছ র = চ্ছ্র - কৃচ্ছ্র [চ্ছ্র]
চ ছ ব = চ্ছ্ব - উচ্ছ্বাস [চ্ছ্ব]
জ জ ব = জ্জ্ব - উজ্জ্বল [জ্জ্ব]
ণ ঠ য = ণ্ঠ্য - কণ্ঠ্য [ণ্ঠ্য]
ণ ড য = ণ্ড্য - পাণ্ড্য [ণ্ড্য]
ণ ড র = ণ্ড্র - ত্রিপুণ্ড্রক [ণ্ড্র]
ত ত য = ত্ত্য - বৈচিত্ত্য [ত্ত্য]
ত ত র = ত্ত্র - পৌত্ত্রিক [ত্ত্র]
ত ত ব = ত্ত্ব - মহত্ত্ব [ত্ত্ব]
ত ম য = ত্ম্য - মাহাত্ম্য [ত্ম্য]
ত য ং = ত্যং - বৃত্যংশ [ত্যং]
ত র য = ত্র্য - বৈচিত্র্য [ত্র্য]
লেখাপড়া-১২
ত র ং = ত্রং - ত্রিংশ [ত্রং]
দ দ য = দ্দ্য - উদ্দ্যোতন [দ্দ্য]
দ দ ব = দ্দ্ব - তদ্দ্বারা [দ্দ্ব]
দ দ ং = দ্দং - উদ্দংশ [দ্দং]
দ ধ য = দ্ধ্য - শুদ্ধ্যশুদ্ধি [দ্ধ্য]
দ ধ র = দ্ধ্র - যোদ্ধ্রী [দ্ধ্র]
দ ধ ব = দ্ধ্ব - উদ্ধ্বস্ত [দ্ধ্ব]
দ ভ র = দ্ভ্র - উদ্ভ্রান্ত [দ্ভ্র]
দ য ঃ = দ্যঃ - সদ্যঃ [দ্যঃ]
দ র য = দ্র্য - দারিদ্র্য [দ্র্য]
দারিদ্র্য
দ র ং = দ্রং - ক্ষুদ্রাংশ [দ্রং]
দ ব য = দ্ব্য - সদ্ব্যয় [দ্ব্য]
দ ব ং = দ্বং - সদ্বংশ [দ্বং]
ধ ব ং = ধ্বং - ধ্বংস [ ধ্বং ]
দারিদ্র্যের কৃচ্ছ্রতা মানুষকে উদ্ভ্রান্ত করে, এমন কি খাদ্যের শুদ্ধ্যশুদ্ধি বিচার বোধ অবধি তদ্দ্বারা ধ্বংস হয় অর্থ-সাচ্ছল্য থাকলে জীবনে অনেক উচ্ছ্বাস থাকে, ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল মনে হয়, অর্থ সদ্ব্যয়ের কথা উচ্চৈঃস্বরে বলার দরকার হয় না জীবনে বৈচিত্র্য আনার জন্য অর্থের ক্ষুদ্রাংশ ব্যয় করতেও যোদ্ধ্রী মনোভাবের দরকার হয় না, কণ্ঠ্য ধ্বনিকে উচ্চকিত করতে হয় না
ন ট র = ন্ট্র - কন্ট্রোল [ন্ট্র]
ন ট ং = ন্টং - প্রিন্টিং [ন্টং]
প্রিন্টিং/ ছাপা
ন ড র = ন্ড্র - লন্ড্রি [ন্ড্র]
লন্ড্রি
ন ত য = ন্ত্য - অচিন্ত্য [ন্ত্য]
ন ত র = ন্ত্র - যন্ত্র [ন্ত্র]
ন ত ব = ন্ত্ব - সান্ত্বনা [ন্ত্ব]
ন ত ঃ = ন্তঃ - অন্তঃস্থ [ন্তঃ]
ন দ য = ন্দ্য - অগ্নিমান্দ্য [ন্দ্য]
ন দ র = ন্দ্র - চন্দ্র [ন্দ্র]
আকাশে চন্দ্র / চাঁদ
ন দ ব = ন্দ্ব - দ্বন্দ্ব [ন্দ্ব]
ন দ ং = ন্দং - সন্দংশ [ন্দং]
ন দ ঃ = ন্দঃ - ছন্দঃ [ন্দঃ]
ন ধ য = ন্ধ্য - সান্ধ্য [ন্ধ্য]
ন ধ র = ন্ধ্র - রন্ধ্র [ন্ধ্র]
ন ধ ঃ = ন্ধঃ - অমৃতন্ধাঃ [ন্ধঃ]
ন ন য = ন্ন্য - সন্ন্যস্ত [ন্ন্য]
লেখাপড়া-১৩
প ত র = প্ত্র - প্রাপ্ত্রী [প্ত্র]
প র ং = প্রং - শালপ্রাংশু [প্রং]
ফ র ঁ = ফ্রঁ - ফ্রাঁসোয়া [ফ্রঁ]
কন্ট্রোলার অব প্রিন্টিং মুদ্রণ পরীক্ষা করতে এসে অচিন্ত্য কোন্ পথে রন্ধ্র খুঁজে বের করবেন কে জানে? লন্ড্রি মালিক চন্দ্রবাবু সান্ধ্য আসরে তাঁর শালপ্রাংশু দেহ নিয়ে অনিন্দ্য সুরে সান্ত্বনা দিয়ে মনের অকারণ দ্বন্দ্ব ত্যাগ করতে বললেন নয়তো এই দুশ্চিন্তায় অগ্নিমান্দ্য দেখা দিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করলেন
ব ধ য = ব্ধ্য - অব্ধ্যগ্নি [ ব্ধ্য ]
ব ধ র = ব্ধ্র - লব্ধ্রিম [ব্ধ্র]
ব ব ঃ = ব্বঃ - বাব্বাঃ [ ব্বঃ ]
ব ভ র = ব্ভ্র - অব্ভ্র [ ব্ভ্র ]
ব র ঁ = ব্রঁ - রেমব্রাঁ [ব্রঁ]
ব ল য = ব্ল্য - ডব্ল্যু [ব্ল্য]
ভ য ং = ভ্যং - লভ্যাংশ [ভ্যং]
ভ র ং = ভ্রং - ভ্রংশ [ ভ্রং ]
ম প য = ম্প্য - অনুকম্প্য [ ম্প্য ]
ম প র = ম্প্র - সম্প্রীতি [ ম্প্র ]
ম প ং = ম্পং - কালিম্পং [ ম্পং ]
ম ব র = ম্ব্র - কেম্ব্রিজ [ ম্ব্র ]
ম ভ র = ম্ভ্র - সম্ভ্রম [ ম্ভ্র ]
ম ভ ঃ = ম্ভঃ - অম্ভঃসার [ ম্ভঃ ]
কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা অনুকম্প্য নয়, বরং তাঁরা সম্ভ্রম আদায় করেন কালিম্পং শহরে রেমব্রাঁ অঙ্কিত ছবির প্রদর্শনী হবে সম্প্রীতির লভ্যাংশ হল শান্তি আর সুখ, এপথ থেকে ভ্রংশ হতে কে চায়?
র ক ত = র্ক্ত - অগ্রবর্ক্তী [ র্ক্ত ]
র ক য = র্ক্য - অতর্ক্য [র্ক্য]
র গ য = র্গ্য - গার্গ্য [র্গ্য]
র গ র = র্গ্র - নির্গ্রন্থ [র্গ্র]
র ঘ য = র্ঘ্য - দৈর্ঘ্য [র্ঘ্য]
র ঙ গ = র্ঙ্গ - শার্ঙ্গদেব [ র্ঙ্গ ]
র চ ছ = র্চ্ছ - মূর্চ্ছা [ র্চ্ছ ]
র চ য = র্চ্য - অর্চ্য [র্চ্য]
র চ ঃ = র্চঃ - ঘৃতার্চিঃ [র্চঃ]
র জ ঞ = র্জ্ঞ - দুর্জ্ঞেয় [র্জ্ঞ]
র জ য = র্জ্য - অন্তর্জ্যোতিঃ [র্জ্য]
লেখাপড়া-১৪
র জ ঃ = র্জঃ - ঊর্জঃ [র্জঃ]
র ট র = র্ট্র - বার্ট্রান্ড্ রাসেল [র্ট্র]
র ঢ য = র্ঢ্য - দার্ঢ্য [র্ঢ্য]
র ণ য = র্ণ্য - বৈবর্ণ্য [র্ণ্য]
র ণ ঃ = র্ণঃ - অর্ণঃ [র্ণঃ]
র ত ম = র্ত্ম - গিরিবর্ত্ম [ র্ত্ম ]
গিরিবর্ত্ম /গিরিপথ
র ত য = র্ত্য - অমর্ত্য [র্ত্য]
র ত র = র্ত্র - কর্ত্রী [ র্ত্রী ]
র থ য = র্থ্য - সামর্থ্য [র্থ্য]
র থ ং = র্থং - চতুর্থাংশ [র্থং]
র দ ধ = র্দ্ধ - অর্দ্ধ [র্দ্ধ]
র দ য = র্দ্য - সৌহার্দ্য [র্দ্য]
র দ র = র্দ্র - স্নেহার্দ্র [র্দ্র]
র দ ব = র্দ্ব - নির্দ্বন্দ্ব [ র্দ্ব ]
র দ ঃ = র্দঃ - বুর্দঃ [র্দঃ]
র ধ য = র্ধ্য - অনবরার্ধ্য [র্ধ্য]
র ধ ব = র্ধ্ব - ঊর্ধ্ব [ র্ধ্ব ]
র ধ ং = র্ধং - অর্ধাংশ [র্ধং]
র প য = র্প্য - অর্প্য [র্প্য]
র প ঃ = র্পঃ - সর্পিঃ [র্পঃ]
র ব ভ = র্ব্ভ - গর্ব্ভ [ র্ব্ভ ]
র ভ য = র্ভ্য - সগর্ভ্য [র্ভ্য]
র ভ ং = র্ভং - আর্ভিং [র্ভং]
র ম য = র্ম্য - হর্ম্য [র্ম্য]
র ম ং = র্মং - বার্মিংহাম [র্মং]
র ল ং = র্লং - ফার্লং [র্লং]
র ব য = র্ব্য - নির্বূঢ় [র্ব্য]
র ব ং = র্বং - সর্বাংশ [র্বং]
র শ য = র্শ্য - কার্শ্য [র্শ্য]
র শ ব = র্শ্ব - পার্শ্ব [র্শ্ব]
র শ ঃ = র্শঃ - অর্শঃ [র্শঃ]
র ষ ট = র্ষ্ট - ধার্ষ্টামো [র্ষ্ট]
র ষ ণ = র্ষ্ণ - বার্ষ্ণেয় [র্ষ্ণ]
র ষ য = র্ষ্য - হর্ষ্যক্ষ [র্ষ্য]
র স ট = র্স্ট - আমহার্স্ট্ [র্স্ট]
র স য = র্স্য - মার্স্যেল্জ্ [র্স্য]
র স ঃ = র্সঃ - অর্সঃ [র্সঃ]
র হ ঃ = র্হঃ - বর্হিঃ [র্হঃ]
লেখাপড়া-১৫
হিমালয় পর্বতমালার দৈর্ঘ্য সর্বাধিক এবং এই পর্বতমালা সর্বোচ্চও, এর রহস্যও দুর্জ্ঞেয় এর প্রতিটি গিরিবর্ত্ম ধরে সর্বাংশ ভ্রমণ করার দার্ঢ্য এবং সামর্থ্য হিমালয়ে ভ্রমণকারী এক-চতুর্থাংশ মানুষেরই নেই অতর্ক্য বিষয় হল এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ঊর্ধ্বে শীর্ষ চির তুষারে আবৃত, পার্শ্বে হিমবাহ, গিরিখাত, নিম্নে স্নেহার্দ্র জলপ্রপাত, নির্ঝরিণী কিন্তু এর জলপ্রবাহ নির্দ্বন্দ্ব নয় পদে পদে জল সৌহার্দ্যহীন উপল আঘাতে ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হচ্ছে জলের বাষ্প অগ্রবর্ক্তী দুর্জ্ঞেয় শৃঙ্গকে তোয়াক্কা না করে ধার্ষ্টামো দেখানোর ফলে সঙ্ঘর্ষে মূর্চ্ছাগত হয়ে কঠিন বরফে পরিণত মর্ত্যভূমি তারই গলিত দেহে পরিপুষ্ট, সঞ্জীবিত, স্নেহার্দ্র এবং ঊর্জঃবান
ল ক য = ল্ক্য - যাজ্ঞবল্ক্য [ল্ক্য]
ল প য = ল্প্য - কল্প্য [ল্প্য]
ব য ং = ব্যং - ব্যংসক [ব্যং]
শ চ য = শ্চ্য - অবশ্চ্যুত [শ্চ্য]
শ ব ঃ = শ্বঃ - পরশ্বঃ [শ্বঃ]
ষ ক র = ষ্ক্র - নিষ্ক্রিয় [ষ্ক্র]
ষ ক ব = ষ্ক্ব - নিষ্ক্বাথ [ষ্ক্ব]
ষ ট য = ষ্ট্য - বৈশিষ্ট্য [ষ্ট্য]
ষ ট র = ষ্ট্র - রাষ্ট্র, উষ্ট্র [ষ্ট্র]
উষ্ট্র / উট
ষ ট ং = ষ্টং - অবশিষ্টাংশ [ষ্টং]
ষ ঠ য = ষ্ঠ্য - অনুষ্ঠ্যুত [ষ্ঠ্য]
ষ ঠ ং = ষ্ঠং - শ্রেষ্ঠাংশে [ষ্ঠং]
ষ ণ য = ষ্ণ্য - ঔষ্ণ্য [ষ্ণ্য]
ষ প র = ষ্প্র - দুষ্প্রাপ্য [ষ্প্র]
ষ ম য = ষ্ম্য - ঔষ্ম্য [ষ্ম্য]
স ক র = স্ক্র - ইস্ক্রু [স্ক্র]
স ট র = স্ট্র - অস্ট্রেলিয়া [স্ট্র]
স ট ং = স্টং - হেস্টিংস [স্টং]
স ত য = স্ত্য - পুলস্ত্য [স্ত্য]
স ত র = স্ত্র - বস্ত্র [স্ত্র]
বস্ত্র
স ত ব = স্ত্ব - অন্তস্ত্বক্ [স্ত্ব]
স ত ঁ = স্তঁ - গুলিস্তাঁ [স্তঁ]
স থ য = স্থ্য - স্বাস্থ্য [স্থ্য]
স ন য = স্ন্য - কাৎর্স্ন [স্ন্য]
স প র = স্প্র - স্প্রে [স্প্র]
স্প্রে
স প ল = স্প্ল - স্প্লিট [স্প্ল]
স ফ ং = স্ফং - স্ফিংস [স্ফং]
মিশরের স্ফিংস (Sphinx)
লেখাপড়া-১৬
স র ং = স্রং - স্রংসন [স্রং]
স ব ঃ = স্বঃ - স্বঃ [স্বঃ]
হ ম য = হ্ম্য - হ্ম্য [হ্ম্য]
আফ্রিকা মহাদেশের মিশর দেশের চিরখ্যাত দুষ্প্রাপ্য স্ফিংস মূর্তি আজও বিস্ময় উদ্রেক করে এই মূর্তির বৈশিষ্ট্য হল এর সম্মুখ ভাগ নারীমুখ, অবশিষ্টাংশ তথা নিম্নাংশ সিংহের শরীর অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ইত্যাদি কোনও মহাদেশের, কিংবা কোনও রাষ্ট্রেই এমন স্ফিংস মূর্তি আর নেই কিন্তু মরুবালুর ঔষ্ম্যে এবং দুষ্ক্রিয় প্রভাবে তা আজ প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত এর প্রস্তর নির্মিত অন্তস্ত্বক্ বহুলাংশে ক্ষয়প্রাপ্ত এই দুর্লভ স্ফিংস মূর্তির রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগীদের শ্রেষ্ঠাংশে আছে জাতিসংঘ
এসো খেলি হাসিখুশি
স্বাস্থ্য হলে সুস্থ সবল, সকল ভালো লাগে
খেলাধুলো করতে হবে পড়াশুনোর আগে!
ছুটোছুটি করবে সবাই হাসবে কুটিকুটি
মজা করে সবার সনে পড়বে ভূঁয়ে লুটি
মনের মাঝে কুটিল কিছু রাখবে নাকো পুষে
মনের মলিন নেবে তা’লে আনন্দটি শুষে
সবাই মিলে হাসবে দেদার অট্টহাসি জোর
আনন্দেতে থাকবে মজে সারাজীবন ভোর
খুশির খেলা
মনটি হবে আকাশ যেন, উদার খোলামেলা
বন্ধু হবে সকল মানুষ ভরবে জীবন-ভেলা
লেখাপড়া-১৭
পাঠ-৪
চার বর্ণের সংযোগ
আমরা দুই বর্ণের সংযোগ, এবং তিন বর্ণের সংযোগ শিখেছি এখন শিখব চার বর্ণের সংযোগ আমরা এর আগে তিন বর্ণের সংযোগ শেখার সময়ে দেখেছি যে, তিনটি বর্ণের সংযোগ ঘটলেও সবক’টি বর্ণের উচ্চারণ সব সময়ে হয় না চার বর্ণের সংযোগের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে, অর্থাৎ সবক’টি বর্ণের উচ্চারণ সব সময়ে হয় না
ক ষ ণ য = ক্ষ্ণ্য-- তৈক্ষ্ণ্য [ক্ষ্ণ্য]
ক ষ ম য = ক্ষ্ম্য-- সৌক্ষ্ম্য [ক্ষ্ম্য]
ঙ ক ষ য = ঙ্ক্ষ্য -- সঙ্ক্ষ্যক [ঙ্ক্ষ্য]
ত র য ং = ত্র্যং -- ত্র্যংশ [ত্র্যং]
দ ব য ং = দ্ব্যং -- দ্ব্যংশ [দ্ব্যং]
ন ত য ং = ন্ত্যং -- ক্রান্ত্যংশ [ন্ত্যং]
ন ত র য = ন্ত্র্য -- স্বাতন্ত্র্য [ন্ত্র্য]
ন দ র ং = ন্দ্রং -- চন্দ্রাংশু [ন্দ্রং]
ন ধ য ং = ন্ধ্যং -- সন্ধ্যাংশ [ন্ধ্যং]
র দ ধ ব = র্দ্ধ্ব -- ঊর্দ্ধ্বে [র্দ্ধ্ব]
র দ ধ ং = র্দ্ধং -- অর্দ্ধাংশ [র্দ্ধং]
র ব ভ য = র্ব্ভ্য -- সগর্ব্ভ্য [র্ব্ভ্য]
র ষ ণ য = র্ষ্ণ্য -- বার্ষ্ণ্য [র্ষ্ণ্য]
স ট র ং = স্ট্রং -- স্ট্রিং [স্ট্রং]
স ত র ং = স্ত্রং -- চতুস্ত্রিংশ [স্ত্রং]
স প র ং = স্প্রং -- স্প্রিং [স্প্রং]
স্প্রিং
থাকবে -- ক্ষ জ্ঞ -- এই দুটি মাত্র মণ্ড হরফ
কম্পিউটারে কর্মরত
দুই, তিন, কিংবা চার বর্ণের সংযোগ করতে গিয়ে এবং সেগুলিকে হাতে করে সহজে আর তাড়াতাড়ি লেখার প্রয়োজনে এদের রূপগুলি বিকৃত হয়ে যায়, বা বিকৃত করা হয় কিন্তু আজকের আধুনিক যুগের প্রয়োজনে দ্রুত পড়া, লেখা এবং শেখা, দ্রুতগতির ছাপাখানা ইত্যাদির কারণে হরফের মূল রূপগুলিকেই যথাযথ রাখা দরকার, তাই যথাসম্ভব যুক্তবর্ণের বিকৃত রূপগুলি বর্জন করা উচিত বানানও সরল করা উচিত
কতকগুলি ক্ষেত্রে হরফের এই বিকৃত রূপ এমনই প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে, এগুলির এখনই পরিবর্তন করায় নানা বিভ্রাট দেখা দেবে, তাই ক্ষ জ্ঞ মাত্র এই দুটি থাকবে তাই ক্ষ = ক্ষ, কিংবা জ্ঞ = জ্ঞ লেখার চেষ্টা এখুনি না-করাই ভালো
রেফ = র্
এই তিনটির রূপও প্রচলিত থাকবে পরবর্তী সময়ে এগুলিও সরল করে লেখা হবে
কিছু ক্ষেত্রে যুক্তবর্ণের শেষ বর্ণের উচ্চারণ স্বরান্ত না হয়ে হলন্ত তথা হস্ অন্তক উচ্চারণ হয় যেমন:--
ঞ জ=ঞ্জ -- স্পঞ্জ্
স্পঞ্জ্
ন ড = ন্ড- বন্ড্, ফান্ড্ [ন্ড]
শার্ট
র ড = র্ড - কার্ড, গার্ড [র্ড]
ল ড = ল্ড - বোল্ড্, গোল্ড্, কোল্ড্, শিল্ড্ [ল্ড]
শিল্ড্/শিল্ড
যুক্তবর্ণের সঙ্গে উ-কার, ঊ-কার ইত্যাদি ব্যবহার করে কিছু বিচিত্র প্রয়োগ
এসব পুরানো প্রয়োগ--
ইত্যাদি
লেখাপড়া-১৮
ধারক বাক্য
এক বাক্যে বাংলা বর্ণমালা
বাংলায় স্বরবর্ণ এগারোটি(১১), এবং ব্যঞ্জনবর্ণ (অন্তস্থ-ব ধরে) ৪০টি সব মিলিয়ে বাংলায় মোট বর্ণ একান্নটি(৫১) এছাড়া, স্বরবর্ণ চিহ্ন আছে দশটি(১০), এবং ফলা(ব্যঞ্জন চিহ্ন) আছে আটটি(৮) এর সবগুলি অর্থাৎ স্বরবর্ণ, এবং ব্যঞ্জনবর্ণ, স্বরবর্ণ-চিহ্ন(তথা কার-চিহ্ন) দশটি, এবং ব্যঞ্জনবর্ণ-চিহ্ন(তথা ফলা চিহ্ন) আটটি(৮) নিয়ে বাক্যটি তৈরি হয়েছে
ফুলের মেলা
বিষণ্ণ ঔদাসীন্যে ঊষাবৌদি বাংলাভাষায় প্রচলিত ঈশপের নিখুঁত গল্পটির ডালপালা অর্ধেক ছড়াতেই ঋতু ভুঁইঞা আর ঐন্দ্রিলা ধড়ফড়িয়ে দারুণ হৈ-হৈ করে উঠল-- ওঃ, ব্যাস্ এবার থামো তো, বুঝেছি বড্ডো পুরানো ঢঙের কেমন এক গল্প যার নীতিবাক্য হল,“মূঢ় আড়ম্বর ও আত্মশ্লাঘার ফল জীবনে বিঘ্ন ও বৃহৎ ক্ষতি”-- তাই না, এ্যাঁ?
০১২৩৪৫৬৭৮৯
ফুলের শোভা
লেখাপড়া-১৯
বিদেশ ভ্রমণ
কোলকাতা বিমান বন্দর চারিদিক থেকে নানান দেশের বিমান এসে নামছে-উঠছে চারিদিকে নানা ব্যস্ততা ছন্দা বিমান বন্দরের লাউঞ্জে অপেক্ষা করছিল(বিমান বন্দরে অপেক্ষা করার স্থানকে বলে লাউঞ্জ)
লাউঞ্জ
খানিক পরে সামনের টিভিতে ঘোষণা শোনা গেল আর সঙ্গে সঙ্গে টিভির পর্দায় লেখাও দেখা গেল যে -- টোকিয়োগামী বিমান একটু পরে ছাড়বে জাপানের রাজধানী টোকিয়ো(দেশ শাসনের প্রধান কেন্দ্রকে বলে রাজধানী) টোকিয়ো গিয়ে ছন্দা সেখানে দু-দিন থাকবে তারপরে যাবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শহর নিউইয়র্ক,
এবং পরে যাবে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন শহরে
ছন্দা তৈরি হয়ে নেবার জন্য টয়লেটে অর্থাৎ প্রক্ষালন গৃহে গেল বের হবার আগে হাতের জল শুকিয়ে নিল গরম হাওয়ার মেশিনে অর্থাৎ গরম শুকনো হাওয়া বের হবার মেশিনে, যে মেশিনের তলায় হাত ধরলে হাতের জল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় পা দিয়ে পা-দানিতে চাপ দিলে শব্দ করে মেশিন চলতে শুরু করে ছন্দার বেশ মজা লেগেছিল তাতে
হ্যান্ড
ড্রায়ার
বিমানে ওঠার আগে নিরাপত্তা প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে ওর এবং অন্য সবার মালপত্র এবং শরীর মেটাল ডিকেকটর
মেটাল ডিকেকটর
দিয়ে পরীক্ষা করা হল তারপরে সুন্দর এক বড় বাস এসে ওকে এবং অন্য যাত্রীদের বিমানের সিঁড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দিল ৭৪৭ বোইং জেট প্লেন
বিমান
বিশাল আকৃতির বিমানটি, কিন্তু সেটি সুপারসোনিক তথা শব্দাতিগ, অর্থাৎ শব্দের চেয়ে আগে চলে বিমানের ভিতরটা খুব জমকালো আর আরামদায়ক এয়ার কন্ডিশন্ড্ বা বাতানুকূল(শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) করা মৃদু সংগীত বাজছে ছন্দা সিটে বসে আসনটিকে নিজের ইচ্ছে মতো অনেকখানি পিছনে হেলিয়ে প্রায় শুয়ে পড়ল নরম আসনে সে যেন প্রায় ডুবে গেল
খানিক পরে বিমান ছাড়ল বিমান-সেবিকা এসে নানারকম খাবার জিনিস দিয়ে গেল এয়ারহোস্টেস তথা বিমান-সেবিকাদের
বিমান সেবিকা
দায়িত্ব হল বিমানের সকল যাত্রীর সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি লক্ষ রাখা
অনেক উঁচুতে মেঘের উপর দিয়ে বিমান বাংলাদেশ ছড়িয়ে উড়ে চলল পুব দিকে জাপানের রাজধানী টোকিয়ো শহরের উদ্দেশ্যে
লেখাপড়া-২০
মাহাকাশে স্যাটেলাইট
আমাদের বিজ্ঞানের যুগ
আমরা যে-যুগে বাস করছি তাকে বলে আধুনিক যুগ মানুষ এই যুগে মহাকাশে রকেট পাঠিয়ে, চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে অভাবনীয় সব কাণ্ড করেছে, জ্ঞান-বিজ্ঞান শিল্প সভ্যতায় মানুষ এত উন্নত হয়েছে যে, এই যুগকে গৌরবে নাম দিয়েছে মহাকাশ-যুগ মানুষ কৃত্রিম উপগ্রহ(পৃথিবীর বাইরে পাঠানোর যান যা মানুষের হাতে তৈরি হয়েছে) পাঠিয়েছে পৃথিবীর বাইরে -- যা ক্রমাগত পৃথিবীকে পাক দিয়ে ঘুরছে মহাকাশ যানে(যে যানে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেওয়া যায়) মানুষ গেছে চাঁদে
আকাশে চাঁদ
সেখান থেকে সে চাঁদেরমাটি-পাথর নিয়ে এসেছে পৃথিবীতে পরিকল্পনা করেছে কাছের গ্রহ মঙ্গল(আকাশের জ্যোতিষ্ক)-এ পাড়ি দেবে মহাকাশ যানে চড়ে এর মধ্যেই সে মঙ্গলে মহাকাশ-যান পাঠিয়েছে মানুষ মহাকাশ-যান পাঠিয়েছে বহু দূরের গ্রহ (মহাকাশের জ্যোতিষ্ক যার নিজস্ব কোনও আলো নেই) বৃহস্পতি, শনি, ও প্লুটো ছাড়াও অন্য নানা গ্রহে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সেসব গ্রহের নানা বিচিত্র সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য কোটি কোটি মাইল দূরে মানুষের পাঠানো রকেট ছুটে গেছে সূর্যের(সূর্য একটি তারা বা বিপুল আয়তনের জ্যোতিষ্ক যার নিজস্ব আলো আছে) দিকে, কখনওবা অজানা উদ্দেশ্যে সে জন্যই গর্ব করে মানুষ বর্তমান যুগের নাম দিয়েছে -- মহাকাশযুগ
জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় এযুগের মানুষের চলেছে জয়যাত্রা কম্পিউটার তথা যন্ত্র-মগজ দিয়ে সে কত আশ্চর্য কাণ্ড করছে জটিল হিসেব-নিকেশ তো তা দিয়ে করতে পারেই, করতে পারে আরও বহু বহু কাজ তা কৃত্রিম মগজ হিসেবে বিবেচ্য হয়, যেন ঠিক মানুষ মানুষের মতোই সে কাজ করতে পারে তাই তাতে কৃত্রিম হাত পা চোখ নাক কান মাথা শরীর জুড়ে বানানো হয়েছে রোবোট বা যন্ত্র-মানব অতি দক্ষ এবং অদ্ভুত এদের কাজকর্ম বিশ্বাস করাই কঠিন রেল গাড়ি বা ট্রেন, বিমান বা এয়ারোপ্লেন চলাচল এরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বাড়িতে কর্ম-সহায়ক বা কাজের লোক যে কাজকর্ম করেন, আর অল্প কিছুদিন পরে তা এই সব রোবোটেরাই করবে! কলে কারখানায় যেখানে কাজ করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে সেখানে এইসব যন্ত্র-মনাব বা রোবোটদের কাজে লাগানো হয়, কারণ তাদের তো রক্তমাংসের শরীর নয়, তাই ব্যথা বেদনা তারা অনুভব করে না প্রয়োজনে তাকে সারাই করা যায়, বা কৃত্রিম হাত পা কিংবা মাথা পাল্টে নেওয়া যায় জ্যান্ত মানুষ তো আর সারাই করা যাবে না!
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিদ্যার প্রয়োগে প্রতিদিন এত নিত্য নতুন পদ্ধতি বা জিনিস তৈরি হচ্ছে বা আবিষ্কার হচ্ছে যে সেসবের কেবল নাম মনে রাখতেই হিমসিম খেতে হয় যেমন -- হাইস্পিড ফটোগ্রাফি, মাইক্রো ফিল্ম, ভিডিয়ো ফটোগ্রাফি, ভিডিয়ো কনফরেন্স, ফটো ফোন বা পিকচার ফোন, হ্যান্ডিক্যাম ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা,
সুপার কম্পিউটার, মাইক্রো কম্পিউটার, পারসোনাল কম্পিউটার বা পিসি, মাউস, ল্যাপটপ কম্পিউটার,
ল্যাপটপ কম্পিউটার
পামটপ কম্পিউটার, সফট্ওয়্যার, হার্ডওয়্যার, মেগা চিপস্, মাইক্রো চিপস্, আই.সি., মাইক্রো প্রসেসর, জয়স্টিক, মেগাবাইট, ফ্লপি, সিডি, ডিভিডি, ভি.সি.আর, ভি.সি.ডি, ল্যান, ওয়ান, ডিজিটাল/কালার মনিটার,
ই-মেল, ইন্টারনেট, রোবোট, ইলেকট্রনিক পেন,
ক্যাড, টেপরেকর্ডার, রেডিয়ো, টিভি, হলোগ্রাম, ম্যাগনেটিক লেভিটেশন রেল, সুপার কন্ডাকটার, ইলেকট্রনিক-মাইক্রোস্কোপ, লেসার, সি.এফ.এল(ল্যাম্প), হ্যলোজেন ল্যাম্প, ফাইবার গ্লাস, ফাইবার অপটিকস্,
জেনেটিক এঞ্জিনিয়ারিং, মাইক্রো সার্জারি, মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরাস, বাইয়োপসি, এক্স-রে,
স্ফিগমো-ম্যানোমিটার
(মানুষের রক্তচাপ মাপার যন্ত্র)
পেস মেকার, ভিটামিন, ডি.এন.এ, ক্রোমোসোম, আর.এন.এ, এনজাইম, প্যারাসাইট, বি-কোলাই, এইডস, কার্সিনোজেন, এ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি, ইমিউন, সিরিঞ্জ, কনট্যাক্ট-লেন্স, মাইক্রোস্কোপ, হিয়ারিং এইড,
লেখাপড়া-২১
ওয়্যারলেস টেলিফোন, পেজার, মোবাইল ফোন, আই.সি.ডি, কর্ডলেস ফোন, এস.টি.ডি, আই.এস.ডি, ক্রোনোমিটার, গাইগার কাউন্টার, ক্রোনোস্কোপ, টেলিভিশন, রিমোট কন্ট্রোল, ক্যালকুলেটর, দূরবিন, প্লাজমা, নিউক্লিয়ার রি-এ্যাকটর, পলিমার, জাম্বোজেট, সুপারসোনিক প্লেন, স্পুটনিক, রকেট, কৃত্রিম উপগ্রহ, ফোটো-সেল,
ফটো টাইপ সেটিং বা পি.টি.এস, ডেস্কটপ প্রিন্টিং বা ডি.টি.পি, সিল্কস্ক্রিন প্রিন্টিং,
ইউনিকোড ফন্ট, সিনক্রোটন, সুপার কুলিং বা চরম হিমায়ন, এ্যাটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, মাইক্রো গিয়ার, মোটোর গাড়ি, মেট্রোরেল, র্যাডার, মাইক্রোওয়েভ এ্যাভন(উনুন), ইনডাকশন ওভেন, আয়ন, বোসন, ফোটন, ব্ল্যাক হোল, ন্যানো টেকনোলজি, রুম কুলার, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, মিক্সি, মোটর-জেনারেটর সেট, কনভার্টার, ইনভার্টার, মাইক্রোফোন বা লাউড স্পিকার, সাবমেরিন আরও কত কী যে আছে, এবং নিত্য নতুন তৈরি হচ্ছে, তার কথা আর বলে বোধ হয় শেষই করা যাবে না
কম্পিউটারে কর্মরত বালিকা - বালক
নিষ্ঠাবান লভে জ্ঞান
শেখা যদি যায় কিছু সৎ সঙ্গে হবে,
অ-সতেরে বিদ্যা দান সবই জলে যাবে
বিদ্যা লাভ হবে যার সত্যজ্ঞান আছে,
অ-সতের বিদ্যা ভান আসলে তা মিছে
পেতে হলে সত্য জ্ঞান নিষ্ঠা থাকা চাই,
পরিশ্রমে মেলে জ্ঞান বিকল্প তো নাই
নিষ্ঠাভরে সদা যেই বিদ্যাভ্যাস করে,
সহজে সত্যজ্ঞান আসে তার ঘরে
সুকুমার মতি যত বালক-বালিকা,
ফুটে আছে যেন সব কমল কলিকা
পাঠে সবে দাও মন অতি নিষ্ঠা ভরে,
যতই করিবে শ্রম জ্ঞান যাবে বেড়ে
ভরা ফুলের বাগান
লেখাপড়া-২২
বিজ্ঞানের ব্যবহার
- কি হে নুরুল তুমি এই রাত্রিবেলা জমি চষতে শুরু করলে?
- আর বলো কেন খুড়ো, রাত্রিবেলা কাজ করতে সুবিধে পাওয়ার টিলারের হেডলাইট জ্বেলে নিয়েছি, তাই, কোনও অসুবিধে হয় না গরমকালের রাত্রি তো, ন-টা এমন কিছু রাত নয়
- তা আরও আগে নামলে না কেন?
- একটু লেখাপড়া তো করি খুড়ো, সেটা সেরে খেয়েদেয়ে নেমেছি আর ঘন্টা খানেক করব
- তা অবশ্য মেশিনে ঘন্টা দুয়েকে অনেকটা চাষ হয়ে যায়
- পাওয়ার টিলারের এইটেই সুবিধে, যখন ইচ্ছে, যতক্ষণ ইচ্ছে চাষ করা যায় লাঙলে গরু জুড়ে চাষের হাঙ্গামা কত বেশি আর এতে দেখ, মেশিনে তেল ঢেলে শুরু করলেই হল
- তা বাবা, সকাল সকাল সেরে ফেললেই তো ভালো হত
- কলেজের পড়া তো খুড়ো, তার উপরে অনার্স পড়া, ফার্স্টক্লাস পেতে হলে একটু বেশি সময় পড়তেই হয় আমার কোনও অসুবিধে নেই পড়াটা শেষ করে মাঠে নেমে পড়ি, দু-তিন ঘন্টা যা লাগে লাগবে
- বি.এস-সি পড়ছ, কোথায় চকরি-বাকরি করবে, তা না তুমি চাষ করতে নেমে পড়েছ?
- উঁহুঁ খুড়ো ঠিক কথা হল না, পুরানো দিনের লোকেরা ভাবত, লেখাপড়া যারা করে তারা চাষবাস করে না, চাকরি করে কিন্তু জানো তো খুড়ো শিক্ষিত চাষি বেশি উৎপাদন করে বিজ্ঞানকে পুরো কাজে লাগাতে হবে, তবেই আমরা এগোব আমি চাষে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করছি, পাওয়ার টিলার কাজে লাগিয়েছি, চাষ-আবাদ নিয়ে বেশ কিছু পড়াশুনাও করে নিয়েছি বি.এস-সি পড়ছি বলে চাষবাস সম্পর্কে কোনও ভুল বা নীচু ধারণাও মনে পোষণ করি না ফসল যা পাই, তুমি তো জনো খুড়ো, মোটর-সাইকেল আমার আছে, এবার টিভি কিনব পারলে ভালো মোবাইল নেব, লোকের সঙ্গে যোগাযোগের সুবিধে হবে
- সে তো আমি জানি কিন্তু লেখাপড়া করা ছেলেরা কি এত খাটতে পারে, এটা তো গাধার খাটনি হে
- আগেকার দিনে ধারণা ছিল বাবুরা লেখাপড়া শিখবে, আর চাষিরা খাটবে যারা বাবুপড়ুয়া তারা আর খাটবে কি করে? সে দিন গেছে গো খুড়ো এখন চাষিরাও বেশ মান পায় - তারা লেখা পড়াও করে বিদেশে চাষিরা দেশের আর দশজন লোকের সমান তারাই তো দেশের ভিত ধরে রেখেছে গো আমাদের দেশের ৭০ ভাগ লোক এখনও কৃষি-ভিত্তিক কাজের সঙ্গে জড়িত লেখাপড়ার চল হওয়াতে তাই আমাদের দেশেও পুরানো ভুল ধারণা ক্রমে দূর হচ্ছে কথায় বলে না --
যদি যায় চাষবাস
সকলের সর্বনাশ!
লেখাপড়া-২৩
রবি ঠাকুরের গল্প
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(অল্প বয়সে)
আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় কবি আর লেখক হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উত্তর কোলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে তাঁর জন্ম তাঁদের পরিবার ছিল সে যুগে শিক্ষায় সংস্কৃতিতে শ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথের মতো প্রতিভা মানব-সমাজের গৌরব এবং বহু যুগ পরে এমন মহামানবের দেখা মেলে পৃথিবীর চিরকালীন শ্রেষ্ঠ মণীষীদের একজন হলেন আমাদের পরম গৌরব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত সংগীত মানুষের মনে চির অক্ষয় হয়ে থাকবে তিনি ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান, যা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মান-পুরস্কার
নোবেল পুরস্কার
তাঁর রচিত "গীতাঞ্জলি" নামক কাব্য গ্রন্থের জন্য তিনি এই পুরস্কার পান তাঁর এই রচনায় আমাদের দেশীয় অমিয়-কবিকূলের প্রভাব দেখা যায়, যাঁদের আমরা বলি বৈষ্ণব কবি রবীন্দ্রনাথের গানকে আমরা বলি "রবীন্দ্রসংগীত" এই পরম রমণীয় সংগীত মানুষের মনে চিরস্থায়ী হয়ে আছে, এবং থাকবে
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুরের শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন
রবীন্দ্রনাথ বেশ রসিক লোকও ছিলেন একবার তিনি নাকি গ্রীষ্মের দুপুরে গেলাসে চুমুক দিয়ে নিমপাতার সবুজ শরবত পান করছিলেন তখন একজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন তিনি রবীন্দ্রনাথের শরবত পান করা দেখে লুব্ধ চোখে সে দিকে তাকিয়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তাঁর পরিচারককে বললেন আগন্তুককে অমন শরবত দিতে অতিথি শরবত মুখে দিয়ে বুঝলেন তা সুস্বাদু পানীয় নয়, তেতো নিমের পাতার রস রবীন্দ্রনাথের এই রসিকতায় সেদিন আগন্তুক নিশ্চয়ই বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন!
‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ...’ গানটি ভারতের জাতীয় সংগীত,
ভারতের জাতীয় পতাকা
এবং
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ...’
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
সংগীতটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত
সোনার বাংলার কল্পিত রূপ
এই দুটি সংগীতই রবীন্দ্রনাথের রচনা একই কবির রচনা দুটি দেশের জাতীয় সংগীত হবার মতো উদাহরণ পৃথিবীতে আর নেই
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতনে ছাতিমতলার প্রস্তর ফলকে লেখা) তিনি আমার প্রাণের আরাম মনের আনন্দ আত্মার শান্তি |
ছাতিমতলায় প্রার্থনাসভা--পৌষমেলা,শান্তিনিকেতন
লেখাপড়া-২৪
একক = ১,
দশক =১০ =১০(১)[এক-এর পরে একটা শূন্য]
শতক =১০০ =১০(২),
হাজার(সহস্র) =১,০০০ =১০(৩)
অযুত = ১০,০০০=১০(৪),
লক্ষ = ১,০০,০০০ =১০(৫)
নিযুত = ১০,০০,০০০ =১০(৬),
কোটি = ১,০০,০০,০০০=১০(৭)[এক-এর পরে সাতটা শূন্য]
এখন কোটি সংখ্যার বেশি আর গণনায় আনা হয় না এ ছাড়া আছে অর্বুদ, বৃন্দ, খর্ব, শঙ্খ ইত্যাদি
সর্বোচ্চ গণনীয় সংখ্যা হল পরার্ধ = ১-এর পরে পঁচিশটা শূন্য বসিয়ে যা তৈরি হয়=১০(২৫)
সংখ্যার ক্রমাঙ্ক
৪ ______________ ৩ ____ ২ ___ ১ ←
হাজার(সহস্র) --- শতক --দশক-- একক
১,০০০ __________ ১০০ ____ ১০ __ ১
==============================
৮ __________ ৭ ______ ৬ _______ ৫ ←
কোটি ------ নিযুত ----- লক্ষ ----- অযুত
১,০০,০০,০০০ __ ১০,০০,০০০ ___ ১,০০,০০০ __ ১০,০০০
কোটিতে সংখ্যা ৮টি, শূন্য ৭টি[এক-এর পরে সাতটা শূন্য]
লেখাপড়া-২৫
মাস-তারিখ গণনা
তারিখ
১ __ পহেলা __ ১লা
২ __ দোসরা __ ২রা
৩ __ তেসরা __ ৩রা
৪ __ চৌঠা ___ ৪ঠা
৫ __ পাঁচই ___ ৫ই
৬ __ ছয়ই ___ ৬ই
৭ __ সাতই __ ৭ই
৮ __ আটই __ ৮ই
৯ __ নয়ই __ ৯ই
১০ _ দশই ___ ১০ই
১১ _ এগারোই __ ১১ই
১২ _ বারোই __ ১২ই
১৩ _ তেরোই _ ১৩ই
১৪ _ চৌদ্দই __ ১৪ই
১৫ _ পনেরোই _ ১৫ই
১৬ _ ষোলই __ ১৬ই
১৭ _ সতেরোই _ ১৭ই
১৮ _ আঠারোই _ ১৮ই
১৯ _ উনিশে _ ১৯শে
২০ _ বিশে __ বিশে(২০শে)
২১ _ একুশে __ একুশে(২১শে)
২২ _ বাইশে _ বাইশে(২২শে)
২৩ _ তেইশে _ ২৩শে
২৪ _ চব্বিশে __ ২৪শে
২৫ _ পঁচিশে _ ২৫শে
২৬ _ ছাব্বিশে _ ২৬শে
২৭ _ সাতাশে _ ২৭শে
২৮ _ আটাশে _ ২৮শে
২৯ _ উনত্রিশে _ ২৯শে
৩০ _ ত্রিশে ___ ৩০শে
৩১ _ একত্রিশে _ ৩১শে
৩২ _ বত্রিশে _ ৩২শে
কোনও কোনও বাংলা মাস ৩২ দিনেও হতে পারে
তিথির গণনা
প্রথমা/প্রতিপদ _ ১মা
দ্বিতীয়া _ ২য়া
তৃতীয়া _ ৩য়া
চতুর্থী __ ৪র্থী
পঞ্চমী _ ৫মী
ষষ্ঠী __ ৬ঠী
সপ্তমী _ ৭মী
অষ্টমী __ ৮মী
নবমী ___ ৯মী
দশমী __ ১০মী
একাদশী _ ১১শী
দ্বাদশী __ ১২শী
ত্রয়োদশী _ ১৩শী
চতুর্দশী __ ১৪শী
পূর্ণিমা বা অমাবস্যা
● আলোকজ্জ্বল পূর্ণিমা, ● অন্ধকার অমাবস্যা
অঙ্কের গণনা
সিকি (চার ভাগের এক ভাগ)→ ১√৪√ = ১/৪
আধা(একটার দুই ভাগের এক ভাগ/অর্ধেক)→ ১√২√ = ১/২
পৌনে(একটার চার ভাগের তিন ভাগ)→ ৩৪√ = ৩/৪
১২টায় এক ডজন
৪টায় এক গণ্ডা
এক শ-তে শতক
শতাব্দী/শতক গণনা
১ থেকে ১০০ অবধি হল প্রথম শতক বা প্রথম শতাব্দী
১০১ থেকে ২০০ অবধি হল দ্বিতীয় শতক বা দ্বিতীয় শতাব্দী
২০১ থকে ৩০০ অবধি হল তৃতীয় শতক বা তৃতীয় শতাব্দী, ইত্যাদি
যে শত বছরে শতক শেষ হবে, সেটাই হবে সেই শতাব্দীর নাম তাই সপ্তদশ শতাব্দী হবে ১৬০১ থেকে ১৭০০ অবধি
লেখাপড়া-২৬
বাংলা সংখ্যা(পূরণবাচক)[Ordinal Numbers]
(সংস্কৃত রীতি অনুসারে)
ঊনবিংশতি থেকে শত পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দের শেষে 'তম'(তমট্) প্রত্যয় যোগ করে পূরণ সংখ্যা-শব্দ গঠন করা হয়
লক্ষনীয় -- বিংশতি সংখ্যা বাচক[Cardinal Numbers] শব্দ,
কিন্তু, বিংশ পূরণবাচক(Ordinal Numbers) শব্দ
‘ঊনবিংশতি’ থেকে ‘অষ্টবিংশতি’ শব্দের শেষে “তি” লুপ্ত হয়, অথবা ‘তম’ যুক্ত হয় ‘ঊনত্রিংশৎ’ থেকে “অষ্টচত্বারিংশৎ” শব্দের শেষে “ৎ” লুপ্ত হয়, অথবা ‘তম’ যুক্ত হয়
১ - প্রথম
২ - দ্বিতীয়
৩ - তৃতীয়
৪ - চতুর্থ
৫ - পঞ্চম
৬ - ষষ্ঠ
৭ - সপ্তম
৮ - অষ্টম
৯ - নবম
১০ - দশম
১১ - একাদশ
১২ - দ্বাদশ
১৩ - ত্রয়োদশ
১৪ - চতুর্দশ
১৫ - পঞ্চদশ
১৬ - ষোড়শ
১৭ - সপ্তদশ
১৮ - অষ্টাদশ
১৯ - ঊনবিংশ
২০ - বিংশ
২১ - একবিংশ
২২ - দ্বাবিংশ
২৩ - ত্রয়োবিংশ
২৪ - চতুর্বিংশ
২৫ - পঞ্চবিংশ
২৬ - ষড়্বিংশ
২৭ - সপ্তবিংশ
২৮ - অষ্টবিংশ
২৯ - ঊনত্রিংশ
৩০ - ত্রিংশ
৩১ - একত্রিংশ
৩২ - দ্বাত্রিংশ
৩৩ - ত্রয়োত্রিংশ
৩৪ - চতুস্ত্রিংশ
৩৫ - পঞ্চত্রিংশ
৩৬ - ষট্ ত্রিংশ
৩৭ - সপ্ত ত্রিংশ
৩৮ - অষ্ট ত্রিংশ
৩৯ - ঊনচত্বারিংশ
৪০ - চত্বারিংশ
৪১ - এক চত্বারিংশ
৪২ - দ্বি চত্বারিংশ
৪৩ - ত্রি চত্বারিংশ
৪৪ - চতুঃ চত্বারিংশ
৪৫ - পঞ্চ চত্বারিংশ
৪৬ - ষট্ চত্বারিংশ
৪৭ - সপ্ত চত্বারিংশ
৪৮ - অষ্ট চত্বারিংশ
৪৯ - ঊনপঞ্চাশত্তম
৫০ - পঞ্চাশত্তম
৫১ - এক পঞ্চাশত্তম
৫২ - দ্বি পঞ্চাশত্তম
৫৩ - ত্রি পঞ্চাশত্তম
৫৪ - চতুঃ পঞ্চাশত্তম
৫৫ - পঞ্চ পঞ্চাশত্তম
৫৬ - ষট্ পঞ্চাশত্তম
৫৭ - সপ্ত পঞ্চাশত্তম
৫৮ - অষ্ট পঞ্চাশত্তম
৫৯ - ঊনষট্টিতম
৬০ - ষষ্টিতম
৬১ - এক ষষ্টিতম
৬২ - দ্বি ষষ্টিতম
৬৩ - ত্রি ষষ্টিতম
৬৪ - চতুঃ ষষ্টিতম
৬৫ - পঞ্চ ষষ্টিতম
৬৬ - ষট্ষষ্টিতম
৬৭ - সপ্ত ষষ্টিতম
৬৮ - অষ্ট ষষ্টিতম
৬৯ - ঊনসপ্ততিতম
৭০ - সপ্ততিতম
৭১ - এক সপ্ততিতম
৭২ - দ্বি সপ্ততিতম
৭৩ - ত্রয়ঃ সপ্ততিতম
৭৪ - চতুঃ সপ্ততিতম
৭৫ - পঞ্চ সপ্ততিতম
৭৬ - ষট্সপ্ততিতম
৭৭ - সপ্ত সপ্ততিতম
৭৮ - অষ্ট সপ্ততিতম
৭৯ - ঊনাশীতিতম
৮০ - অশীতিতম
৮১ - একাশীতিতম
৮২ - দ্ব্যশীতিতম
৮৩ - ত্র্যশীতিতম
৮৪ - চতুরশীতিতম
৮৫ - পঞ্চাশীতিতম
৮৬ - ষট্-শীতিতম
৮৭ - সপ্তাশীতিতম
৮৮ - অষ্টাশীতিতম
৮৯ - ঊননবতিতম
৯০ - নবতিতম
৯১ - এক নবতিতম
৯২ - দ্বি নবতিতম
৯৩ - ত্রি নবতিতম
৯৪ - চতুঃ-নবতিতম/চতুর্নবতিতম
৯৫ - পঞ্চ নবতিতম
৯৬ - ষট্নবতিতম/ষণ্ণবতিতম
৯৭ - সপ্ত নবতিতম
৯৮ - অষ্ট নবতিতম
৯৯ - ঊনশততম
১০০ - শততম
‘উনপঞ্চাশ’ থেকে ‘শত’ অবধি শব্দের শেষে কেবল ‘তম’ যুক্ত হয়
--- ০ ---
( আরও সম্পাদনা করা হবে )
সংশোধন, সম্পাদন, সংযোজন চলছে
সর্বশেষ পরিমার্জন ১৭/১২/২০১৭
পরে
দেখুন--
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন