প্রবাদ
সংগ্রহ
===========================
সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে হবে
বিনামূল্যে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট সরাসরি ডাউনলোড করুন নিচের এই লিংকে ক্লিক করে
উন্নত বাংলা ফন্ট ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
যুক্তবর্ণ সরল গঠনের
বুঝতে লিখতে পড়তে সহজ
==========================
প্রবাদ
সংগ্রহ
বাংলা প্রবাদ, প্রবচন, বচন সংগ্রহ
বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত প্রবাদসমূহ
==========================
প্রবাদে অনেক স্পষ্ট ঠোঁটকাটা কথা আছে বটে, তবে লক্ষ করা যাচ্ছে প্রবাদের সিংহভাগই
অন্যকে হেয় করায় ব্যস্ত
নানা যুগের সমাজচিত্রও এতে প্রতিফলিত
অ
অকাজে বউড়ী দড়,লাউ কুটতে খরতর
অকাল গেল সুকাল এল, পাকল কাঁটাল কোষ, আজ বন্ধু ছেড়ে যাও, দিয়ে আমার দোষ
অকালে খেয়েছ কচু,মনে রেখ কিছু কিছু
অকালে না নোয় বাঁশ,বাঁশ করে ট্যাঁশ ট্যাঁশ
অকালে(আকালে) কি না খায়
অকালের তাল বড় মিষ্টি
অকেজো নাপিতের বোঝা ভরা খুর
অকেজো বউ লাউ কুটতে দড়
অকেজোর তিন কাজ বড়,ভোজন ক্রোধ নিদ্রা দড়
অগ্নি ব্যাধি ঋণ,তিনের রেখো না চিন(চিহ্ন)
অঘটির(আদেখলের) ঘটি হল,জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল
অঙ্গারঃ শতধৌতেন মলিনত্বং ন মুঞ্চতি
অজগরের দাতা রাম(অজগর আহার সংগ্রহে অলস)
অজ্ঞানে করে পাপ,জ্ঞান হলে সরে, সজ্ঞানে করে পাপ,সঙ্গে সঙ্গে ফেরে
অজাযুদ্ধে ঋষিশ্রাদ্ধে প্রভাতে মেঘডম্বরে দম্পত্যোঃ কলহে চৈব বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া
অজার যুদ্ধে আঁটুনি সার
অজীর্ণে ভোজনং বিষম্
অতি আশ সর্বনাশ
অতি চালাকের গলায় দড়ি অতি বোকার পায়ে বেড়ি
অতি প্রণয় যেখানে, নিত্য যাবে না সেখানে;যদি যাবে নিত্যি;ঘটবে একটা কীর্তি
অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর;অতি বড় সুন্দরী না পায় বর
অতি বড় সোদর, তিন দিন করবে আদর
অতি বুদ্ধির গলায়(বা হাতে)দড়ি,অতি বোকার পায়ে বেড়ি
অতি বুদ্ধির হা-ভাত অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ
অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙে যাবে;অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়াবে
অতি মন্থনে বিষ ওঠে
অতি মেঘে অনাবৃষ্টি
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট
অতিদর্পে হতা লঙ্কা অতিদানে বলির পাতালে হইল ঠাঁই
অদন্তের দাঁত হল, কামড় খেতে প্রাণটা গেল
অদন্তের হাসি, দেখতে(বড়) ভালবাসি
অদৃষ্টে করলা ভাতে, বীচি কচ কচ করে তাতে,পড়ল বীচি বুড়োর পাতে অদৃষ্টের (কপালের) কিল পুতেও(পুত--ছেলে) কিলোয়
অদৃষ্টের ফল, কে খণ্ডাবে বল?
অধিক (অনেক)সন্যাসীতে গাজন নষ্ট
অধিক খেতে করে আশা,তার নাম বুদ্ধি নাশা
অধিকং তু ন দোষায়
অনটনের দুনো ব্যয়
অন্তরে এত খলতা, মুখে তোর অতি শীলতা, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ__দাশু রায়
অন্ধ জাগো, না, কিবা রাত্রি কিবা দিন
অন্ধকারে ঢেলা মারা বা ঢিল ছোঁড়া
অন্ধকারে লাউ কোটা
অন্ধের কিবা রাত কিবা দিন
অন্ধের নড়ি, কৃপণের কড়ি
অন্ন দেখে দেবে ঘি, পাত্র দেখে দেবে ঝি
অন্ন নাই যার ঘরে,তার মানে কি বা করে
অন্ন বল নেই,অগ্নিবল আছে
অন্ন বিনা চর্ম দড়ি,তৈল বিনা গায়ে খড়ি
অন্নচিন্তা চমৎকারা কাতরে কবিতা কুতঃ
অন্নচিন্তা চমৎকারা কালিদাস হয় বুদ্ধিহারা
অন্নচিন্তা চমৎকারা, ঘরে ভাত নাই জীয়ন্তে মরা
অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা এক দিনে লাগে তালা
অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করে
অনাথের দৈব সখা
অনাবৃষ্টে রাজ্য মজে,পাপে মজে ধর্ম;কোটালে গৃহস্থ মজে,আলস্যে মজে কর্ম অনেক কালের ছি পাপ,ছেলে হল সতীনের বাপ
অনাহ্বানের নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
অনেক খাবে তো অল্প খাও,অল্পখাবে তো অনেক খাও
অনেক গর্জনে ফোঁটা বৃষ্টি
অনেক সন্যাসীতে গাজন নষ্ট
অনেক হল পাপ, এবার ছাড়ো বাপ
অনেক(অগাধ) জলের মাছ
অপব্যয়ে লক্ষ্মী ছাড়ে
অবংশো পতিতো রাজা মূর্খ পুত্রশ্চ পণ্ডিতঃ, অধনশ্চ ধনং প্রাপ্য তৃণবন্মন্যতে জগৎ
অবুঝে বুঝাব কত,বুঝ নাহি মানে;ঢেঁকিরে বুঝাব কত,নিত্য ধান ভানে অবোধারে মারে বোধায়,বোধারে মারে খোদায়
অব্রাহ্মণের দীর্ঘ ফোঁটা
অবলার মুখে বল
অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা
অবাক্ ক’ল্লে নাকের নথে,কাজ কি আমার কানবালাতে
অবাক কল্লি ভবি(রাধা),অম্বলে দিলি আদা
অবাক্ কলির অবতার,ছুঁচোর গলায় চন্ত্রহার
অবোধের(পাগলের) গোবধে আনন্দ[গো বধ মহাপাপ]
অবোলা বলে দড়, অফলা ফলে দড়
অভদ্রা বরষা কাল,হরিণী চাটে বাঘের গাল
অভ্যাস দোষ না ছাড়ে চোরে, শূন্য ভিটায় মাটি খোঁড়ে
অভ্যাসে সয়, অনভ্যাসে নয়
অভাগা চোর যে বাড়ি যায়, হয় কুকুর ডাকে নয় রাত পোহায়
অভাগা যদ্যপি(যেদিকে) চায়, সাগর শুকায়ে যায়
অভাগার ঘোড়া মরে, ভাগ্যবানের বউ মরে
অভাগার নাই যম, বা অভাগার যমও নাই
অভাগিনীর দুটো(দুই)পুত, একটা দানা একটা ভূত
অভাবে স্বভাব নষ্ট
অভাবে স্বভাব নষ্ট মুখ নষ্ট বরণে(ব্রণে),ঝরায় ক্ষেত নষ্ট স্ত্রী নষ্ট মারণে(মারধর) করলে
অমৃত-বা কি পদার্থ, খেয়ে দেখি জল
অমৃতং বালভাষিতম্
অমাবস্যার প্রদীপ টিপ টিপ করে
অর্থই অনর্থের মূলে
অরসিকেষু রসস্য নিবেদনম্
অরাধুনীর হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে, না জানি রাধুনী মোর কেমন করে রাঁধে অরুচির অম্বল শীতের কম্বল বর্ষার ছাতি ভট্চায্যির পাঁতি(পুথি)
অলক্ষীর নিদ্রা বেশি, কাঙালের ক্ষুধা বেশি
অলকা তিলকা(=অঙ্গরাগ) সার অলক্ষীর দ্বিগুণ ক্ষিদে
অল্প জলের পুঁটি মাছ ফর ফর করে
অল্প বৃষ্টিতে কাদা হয়,বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয়
অল্প শোকে কাতর,অধিক শোকে পাথর
অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী
অলাভের বাণিজ্যে কচকচি সার
অশথের ছায়াই ছায়া,মায়ের মায়াই মায়া
অশ্বত্থামা হত ইতি গজ
অস্থানে তুলসী,অপাত্রে রূপসী
অসারে জল সার
অসারের তর্জনগর্জন সার
অহংকারে গদগদ ভূমিতে না পড়ে পদ
আ
আউলে বাঘ জালে পড়ে(আউলে=অস্থির)
আকালে কিনা খায়;পাগলে কিনা কয়
আকাঙ্ক্ষার সীমা নাই
আকাশ পাতাল তফাত
আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া
আকাশে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে
আকাশে ফাঁদ পেতে চাঁদ ধরা
আগ নাংলা(নাঙ্গলে) যেদিকে যায়,পাছ নাংলা(নাঙ্গলে) সেদিকে ধায়
আগুন চাপা থাকবার নয়
আগুন নিয়ে খেলা
আগুন পোহাতে গেলে ধোঁয়া সইতে হয়
আগুনের কাছে ঘি আগু লাথ,পিছু বাত
আগাছার বড় বাড়
আগে আপন সামাল কর,শেষে পরকে গিয়ে ধর
আগে গেলে বাঘে খায়, পাছে গেলে সোনা পায়
আগে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা,পিছে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা
আগে তিতা, শেষে মিঠা
আগে দুঃখ পরে সুখ
আগে দর্শনধারী পিছে গুণ বিচারি
আগে দেও কড়ি পিছে দিব বড়ি
আগে দেখ, পরে লও, শেষে দাও কড়ি
আগে না বুঝিলে বাছা যৌবনের ভরে,পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে
আগে ভাল ছিল জেলে জালদড়া বুনে, কি কাজ করিল জেলে এঁড়ে গরু কিনে
আচরো বিনয়ো বিদ্যা প্রতিষ্ঠা তীর্থদর্শনম্; নিষ্ঠা বৃত্তিস্তপো দানং নবধা কুললক্ষণম্ সদাচার, বিনয়, বিদ্যা, খ্যাতি, তীর্থদর্শন, শাস্ত্রানুমোদিত ধর্মে আসক্তি, ব্রাহ্মণোচিত বৃত্তি(অর্থাৎ বেদাধ্যয়ন প্রভৃতি), তপস্যা এবং দান__ এই নয়টি কুলীনের লক্ষণ
আচারে বাড়া, বিচারে এড়া
আজ আমীর, কাল ফকির
আজ মরলে কাল দু’দিন হবে
আঁটুনি কসুনি সার
আঁটাআঁটি হইলেই লাঠালাঠি
আটে-পিটে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড়
আড়াই আঙ্গুল দড়ি,সৃষ্টি জুড়ে বেড়ি
আড়াই কড়ার কাসুন্দি, হাজার কাকের গোল
আঁত পাওয়া ভার
আত্ম রেখে ধর্ম,তবে পিতৃ কর্ম
আত্মবন্মন্যতে জগৎ
আত্মানং সতত রক্ষেৎ[আপদার্থে ধনং রক্ষেৎ দারান্ রক্ষেদ্ধনৈরপি;আত্মানং সতত রক্ষেৎ দারৈরপি ধনৈরপি] আতুরে নিয়মো নাস্তি
আতি চোর,পাতি চোর,হ’তে হ’তে সিঁদেল চোর
আদ্যিকাণ্ডের কথা, বললে পাবে ব্যথা
আদ্যিকালের বদ্যি বুড়ো
আদরে ভোজন কি করে ব্যঞ্জন
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
আদা শুকালেও ঝাল যায় না
আদা, ওষুধের আধা
আদা জল খেয়ে লাগা
আদাড় গাঁয়ে শিয়াল রাজা
আদায় কাঁচকলায় সম্বন্ধ
আদার ব্যাপারি, জাহাজের খবরে কাজ কি
আদি কহিলে মানুষ রুষ্ট
আন্ কাপাস নে তুলো
আন্ শুনতে কান
আন সতীনে নাড়ে চাড়ে,বোন সতীনে পুড়িয়ে মারে
আনারস বলে কাঁঠাল ভাই তুমি বড় খসখসে
আপ ভালা তো জগৎ ভালা
আপ রুচি খানা, পর রুচি পরনা
আপন কোটে পাই চিঁড়ে কুটে খাই
আপন কোলে ঝোল সবাই টানে
আপন গাঁয়ে কুকুর রাজা
আপন ঘরে সবাই রাজা
আপন চরকায় তেল দাও
আপন চেয়ে পর ভাল,পর চেয়ে জঙ্গল ভাল
আপন ছিদ্র জানে না, পরের ছিদ্র খোঁজে
আপন পাঁজি পরকে দিয়ে, দৈবজ্ঞ বেড়ায় পথে পথে
আপন পাঁঠা লেজে কাটি
আপন বুদ্ধি ছিল ভাল,পর বুদ্ধিতে পাগল হল
আপন বুদ্ধিতে তর, পরের বুদ্ধিতে মর
আপন বুদ্ধিতে ফকির হই, পর বুদ্ধিতে বাদশা নই
আপন বুদ্ধিতে ভাত, পরের বুদ্ধিতে হাভাত
আপন বেলা চাপন চোপন,পরের বেলা ঝুরঝুরে মাপন
আপন বোন ভাত পায় না,শালীর তরে মণ্ডা
আপন ভালো পাগলেও বোঝে
আপন হাত জগন্নাথ, পরের হাত এঁটো পাত
আপন(আপনার) ঘোল কেউ টক বলে না
আপন(আপনার) মান আপনি রাখ,কাটা কান চুল দিয়ে ঢাক
আপন(আপনারা/নিজের) নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ
আপন(নিজের) বেলায় আঁটিসাটি পরের বেলায় দাঁত কপাটি
অপনা মাংসেঁ হরিণা বৈরি--ভুসুক
আপনার আপনি,ডোর আর কপনি
আপনার কিছু নয়, জগৎ কেবল মায়াময়
আপনার ছেলটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি, পরের ছেলেটা খায় এতটা,বেড়ায় যেন বাঁদরটা
আপনার ধন পরকে দিয়ে,দৈবকী মরে মাথায় হাত দিয়ে[দৈবকী=শ্রীকৃষ্ণের জননী]
আপনার নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা
আপনার পায়ে আপনি কুড়ুল মারা
আপনার বেলায় ছ’ কড়ায় গণ্ডা,পরের বেলায় তিন গণ্ডা আপনার মতো জগৎ দেখা
আপনার(নিজের) পায়ে কুড়ুল মারা
আপনারটা ষোল আনা,পরেরটা কিছু না
আপনি গেলে ঘোল পায় না, চাকরকে পাঠায় দুধের তরে
আপনি ঠাকুর ভাত পায় না,শংকরাকে ডাকে
আপনি পায় না, পরকে বিলায়
আপনি বড় ভাল, তাই লোককে বলে কালো
আপনি বাঁচলে বাপের নাম
আপনি শুতে জায়গা পায় না, শংকরাকে ডাক
আবর তাঁতি গোবর খায়,স্ত্রীর বাক্যে মরতে যায়
আম না থাকলে আমড়া চোষে
আম না পেয়ে আঁটি চোষা
আম না হতে আমসত্ত্ব
আম শুকোলে আমসি,বয়স গেলে কাঁদতে বসি
আমড়া কাঠের ঢেকি
আমড়াতলায় আম পেলে, আমতলায় কেবা যায়
আমার আমার যত কর,চিনির বলদ হয়ে মর
আমার কথা শোন্, ঘরদোর ভেঙে ফেলে নটে শাক বোন
আমার নাম নিতাই, এক খাই এক থিতাই
আমি করি ভাই ভাই, দাদার কিন্তু মনে নাই
আমি কি নাচতে জানি নে,মাজার ব্যথায় পারিনে
আমিও ফকির হলেম,দেশেও আকাল এল
আমে দুধে এক হয়,আদাড়ের আঁটি আদাড়ে যায়
আমে বান,তেঁতুলে ধান
আয় বুঝে ব্যয়
আর কি নেড়া বেলতলা যায়?
আর গাব খাব না, গাবতলা দিয়ে যাব না,গাব খাব না-- খাব কি গাবের তুল্য আছে কি?
আরগুণ নেই ছাড়গুণ আছে
আর রাজ্যে বামুন নেই,কাশী ঠাকুর চিঁড়ে খাও
আরশোলা আবার পাখি
আরশোলাও পাখি, আছে আর কি দেখতে বাকি
আলস্য হেন ধন থাকতে দুঃখের অভাব কি?
আশা আর ফুঁ আছে, দুধ আর বাটি নেই
আশা আর বাসা ছোট করতে নেই
আশা আর বাসা ছোট করে মরে চাষা
আশা আশা পরম দুখ,নিরাশাই পরম সুখ
আশা বৈতরণী নদী
আশায় আমার পড়ল ছাই,এখন বল কোথায় যাই?
আশায় খেলিছে পাশা
আশায় বাঁচে চাষা
আশায় মরে চাষা
আশার চেয়ে নিরাশা ভাল, হয়ে গেল তো হয়ে গেল
আশার আর শেষ নাই
আষাঢ়ে না হলে সূত,হা সূত যো সূত, ষোলতে না হলে পুত, হা পুত যো পুত
আষাঢ়ে পান চাষাড়ে খায়,গুয়া বনে পান গড়াগড়ি যায়
আসতেও একা যেতেও একা,কার সঙ্গে বা কার দেখা
আসর ঘরে মশাল নেই, ঢেঁকিশালে চাঁদোয়া
আসলের খোঁজ নেই, সুদের খবর আসেন লক্ষ্মী যান বালাই
আহ্লাদে আটখানা, ল্যাজা মুড়ো দশখানা
ই
ইঙ্গিতে বুঝলে মন কাজ হতে কতক্ষণ
ইচ্ছা থাকে যার উপায় হয় তার
ইজ্জতের দাম লাখ টাকা
ইটটি মারলেই পাটকেলটি খেতে হয়
ইতো ভ্রষ্টস্ততো নষ্টঃ ন পূর্ব ন পর
ইঁদুর গর্ত খুঁড়ে মরে,সাপ এসে দখল করে
ইন্দ্রের শচী(যখনি যাহার, তখনি তাহার)
ইল্লৎ যায় না ধুলে,স্বভাব যায় না মলে
ইস্তক জুতো সেলাই, নাগাদ চণ্ডী পাঠ
ঈ
ঈদের চাঁদ
ঈশ্বর ঈশ্বর করে যেই, তার ঘরে ভাত নেই
ঈশ্বর মঙ্গলময়
ঈশ্বর যদি করেন, কর্তা যদি মরেন,তবে ঘরে বসে কেত্তন শুনবো
ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্য
ঈশ্বরে করে কাম মানুষের বদনাম
ঈশান কোণের মেঘে ঝড় ওঠে বেগে(উত্তর ও পুব দিকের মাঝে
ঈশানকোণ, )
উ
উই ইন্দুর কুজন,ভাল ভাঙ্গে তিনজন;ছুচ সোহাগা সুজন,ভাল করে তিন জন
উঁচান বাড়ি বড় ভয়,পড়লে বাড়ি সয়ে যায়
উচিত কথা কইতে গেলে, তেলে বেগুনে ওঠে জ্বলে
উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট,উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট
উচিত কথায় বন্ধুও বিগড়ায়উঁচু হবে তো নিচু হও
উচোট খেয়ে প্রণাম
উজাড় বনে শিয়াল রাজা
উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায়
উঠতি মুলো পত্তনে চেনা যায়
উঠল বাই তো কটক যাই
উড়তে না পেরে পোষ মানা
উড়তে পারে না ফুরফুর করে
উড়ে এসে জুড়ে বসা
উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ
উদ খেতে খুদ নেই, নেউলে বাজায় শিঙে
উদুখলে খুদ নাই চাটগাঁয় বরাত
উদ্যমেন হি সিদ্ধ্যন্তি কার্যাণি ন মনোরথৈঃ;নহি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ
উদ্যোগিনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মীঃ
উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্
উদে মাছ ধরে,খটাশে তিন ভাগ করে
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে
উপদেশো হি মূর্খানাং প্রকোপায় না শান্তয়ে
উপোসে যাবে দিন,ধার করলে হবে ঋণ
উপর থেকে পড়ে গেল জনপাঁচ সাত,যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত[যার যেখানে স্বার্থ]
উপরে বাবুয়ানা ভিতরে খড়ের বেনা
উপরোধে ঢেঁকি গেলা
উপায়ং চিন্তয়ন্ প্রাজ্ঞস্ত্বপায়মপি চিন্তয়েৎ[উপায়ং চিন্তয়েৎ প্রাজ্ঞঃ অপায়মপি চিন্তয়েৎ]
উপোস করলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ
উপোসের কেউ নয়, পারণার গোঁসাই(উপোস ভাঙার পারণের সময় ভাল খাদ্য খেতে হাজির)
উল্টা বুঝলি রাম
উল্টে চোরা মশান গায়(চোর উলটে উপদেশ দেয়)
উলুবনে মুক্তো ছড়ানো
ঊ
ঊনপাঁজুরে বরাখুরে (লক্ষ্মীছাড়া)
ঊনো বর্ষা দুনো শীত
ঊনোভাতে দুনো বল, অতি ভাতে রসাতল
ঋ
ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ
ঋণকর্তা পিতা শত্রু [ঋণকর্তা পিতা শত্রুর্মাতা চ ব্যভিচারিণী;ভার্যা রূপবতী শত্রুঃ পুত্র শত্রুরপণ্ডিতঃ(অপণ্ডিত)]
এ
এ কূল ও কূল দুকূল গেল
এ কি বিধির লীলা খেলা,কাকের গলায় তুলসিমালা
এই ডুমুরের গুমোর কর,পাকলে ডুমুর পড়ে মর
এই ফুরালে খাবে কি,ঘরে তো নেই(বা আছে)আইবুড়ো ঝি(কন্যার বিয়েতে টাকা দাবির ইঙ্গিত)
এই বএই লা নাও ঘর ছেয়ে,আকাশে মেঘ দেখ চেয়ে
এই বিড়াল বনে গেলে বনবিড়াল(বাঘ)হয়
এই যদি গোরাচাঁদ তবে কালাচাঁদ কেমন
এক আঙুলে তুড়ি লাগে না
এক আঁচড়ে চেনা যায়
এক কড়ার মুরোদ নেই, ভাত মারবার গোঁসাই
এক করতে আর হয়
এক কলসি জল তুলে কাঁকালে দিলে হাত,এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত এক কাটে ভারে আর এক কাটে ধারে
এক ক্ষুরে মাথা কামানো
এক কাঠি বাজে না
এক কান কাটা শহরের বার দে যায়,দু’কান কাটা শহরের ভিতর দে যায়
এক কানে শোনে অন্য কানে বেরোয়
এক কাল ঠেকেছে তিনকাল গিয়ে, তবু আবার করবে বিয়ে?
এক কেঁড়ে দুধে এক ছিটে চোনা
এক খায়,এক থিতায়
এক ঢিলে দুই পাখি মারা
এক গাছের ছাল অন্য গাছে জোড়া লাগে না
এক গাঁয়ে ঢেঁকি পড়ে,আর গাঁয়ে মাথা ব্যাথা
এক গাঁয়ের কুকুর আর গাঁয়ের ঠাকুর
এক গালে চুন, এক গালে কালি
একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি ন চ তারাগণা অপি
এক চাঁদে জগৎ আলো
এক চোখে কাঁদা, অন্য চোখে হাসা
এক ছেলে তার ফুলের শয্যে,পাঁচ ছেলে তার কাঁটার শয্যে
এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা [জনসংখ্যা বাড়ুক সেই ইঙ্গিতও]
এক জায়গায় খাল কেটে আরেক জায়গায় খাল ভরায়
এক জায়গায় থাকলে হাঁড়িতে হাঁড়িতে ঠোকাঠুকি হয়
এক ঝিকরে মাছ বেঁধে না সে-ই বা কেমন বড়শি,এক ডাকেতে সাড়া দেয় না সে-ই বা কেমন পড়শি
এক ঢিলে দুই পাখি
এক দোর বন্ধ হাজার দোর খোলা
এক পুতের আশ নদীকূলে বাস
এক পয়সা নাই থলিতে,লাফিয়ে বেড়ায় তবু গলিতে
এক পা জলে, এক পা স্থলে
এক পাগলে রক্ষা নেই সাত পাগলের মেলা
এক পাঁঠা তিন বারে কাটা
এক বুড়ির নানা দোষ,নাকের উপরে হল খোস
এক ব্যঞ্জন ভাত তাও আবার নুনে পোড়া
এক ভস্ম আর ছার,দোষগুণ কব কার
এক মুখ সোনা দিয়ে ভরা যায়,পাঁচ মুখ ছাই দিয়েও ভরে না
এক মুখে তিন কথা শুনে লাগে মনে ব্যথা
এক মুখে দুই কথা
একতাই বল
এক মুরগি ক’বার জবাই?
এক মুরগি সাত জায়গায় জবাই
এক মাঘে শীত যায় না
এক মায়ের এক পুত, খায়দায় যমের দূত
এক যাত্রায় পৃথক ফল
এক রত্তি দড়ি সকল ঘর বেড়ি
এক লাউ-এর বীচি, কেউবা করে কচর কচর কেউবা আছে কচি
এক সের জিনিসে পাঁচ সের ঠকানো
এক হাটে কিনে আর এক হাটে বেচতে পারে
এক হাতে তালি বাজে না
এক হেঁসেলে তিন রাঁধুনি,পুড়ে মরে তার ফ্যান গালুনি
একচোখো মাসি কারে ভালোবাসি
একটি ইঁদুর যদি নড়ে চোরের প্রাণ ধড়ফড়ে
একটি ভাত টিপলে, হাঁড়িসুদ্ধ ভাতের খবর মেলে
একতাই বল
একদিন ঘি-রুটি,একদিন দাঁত-ছিরকুটি
একবারের রোগী, আরবারের রোজা[রাজা=চিকিৎসক]
একলা ঘরের গিন্নি হব চাবি কাঠি ঘুরিয়ে যাব
একা ঘরের একা বউ খেতে বড় সুখ,মারতে এলে ধরতে নাই তাই বড় দুখ
একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর
একাই একশো
একাদশে বৃহস্পতি
একি ছেলের হাতে মোয়া
একুশ কোঁড়া গুণে খান, ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যান
একে তো মধুপর্কের বাটি তায় আবার কাত
একে তো হনুমান,তায় আবার রামের বাণ
একে মনসা তায় ধুনোর গন্ধ
একে মিনমিন দুয়ে পাঠ, তিনে গোলমাল চারে হাট
এখন না শুনলে বঁধু যৌবনের ভরে,পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের নীরে
এখনই রসগোল্লা খেয়েছি, চা’য়ে আর চিনি দিও না, ব্লাডসুগার আছে
এখান হতে মারলেম তির লাগল কলা গাছে,উরুত বেয়ে রক্ত পড়ে চোখ গেল রে বাবা(অসংলগ্ন কথা)
এগুলে রাম পেছুলে রাবণ
এগুলেও নির্বংশের বেটা,পেছুলেও নির্বংশের বেটা
এঁটে ধরলে চিঁচিঁ করে, ছেড়ে দিলে লঙ্কা মারে
এঁটো খায় মিঠার লোভে,যদি এঁটো মিঠা লাগে
এঁটো পাত কখনো স্বর্গে যায় না
এঁড়ে গরু, না টেনে দো
এত সুখ যদি কপালে তবে কেন তোর কাঁথা বগলে
এদিক নেই ওদিক আছে
এমনি যায় না মাস,আবার দুদিন বেশি
এয্ং যায় ব্যাং যায়,খলসে বলে আমিও যাই
এয়সা দিন নেহি রহেগা
এর মুণ্ডু ওর ঘাড়ে
এরন্ডোঽপি দ্রুমায়তে
এস্পার কি ওস্পার
ঐ
ও
ওজন বুঝে চলা
ওঝার ঘাড়ে ভূতের বোঝা
ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে[অমনি হল বিয়ে]
ওরে পাগল খাবিনে, না, হাত ধোব কোথা?
ওল খেয়ে গোল
ওষুধ ধরেছে
ওস্তাদের মার শেষ রাতে
ঔ
ঔষধার্থে সুরা পান, পান না বাড়ালেই থাকে মান
ক
ক অক্ষর গোমাংস
ক’টি ছেলে, না, পুড়িয়ে খাব[বধিরদের অসংলগ্ন কথা]
কংস মামার আদর
কই মাছের প্রাণ অল্পেতে না যান
কইতে কইতে মুখ বাড়ে,খাইতে খাইতে পেট বাড়ে
কইতে জানলে ঠকি না,বসতে জানলে উঠি না
কুকুর রাজা হলেও জুতো খায়
কুকুরকে নাই দিলে মাথায় ওঠে
কুকুরের কামড় হাঁটুর নীচে
কুকুরের পেটে ঘি হজম হয় না
কুকুরের মুগের পথ্যি কুকুর বলে মোর এ কি বিপত্তি
কুকুরের লেজে ঘি ঢালেলও সোজা হয় না
কচু কাটতে কাটতেই ডাকাত
কচু পোড়া খাওয়া
কচুর বেটা ঘেচু,বড় বাড়েন তো মান
কচি খুকি, কুলোয় শুয়ে তুলোয় দুধ খান
কুঁজী, না, ঐ তো পুঁজি
কুঁজোর ইচ্ছা চিত হয়ে শোয়
কড়ি থাকলে বেয়াইয়ের বাপের শ্রাদ্ধ হয়, না থাকলে নিজের বাপের শ্রাদ্ধও হয় না
কড়ি দিয়ে কানা গরু কেনা
কড়ি দিয়ে কিনব দই গোয়ালিনী মোর কিসের সই?
কড়ি দিয়ে খাই দই,কি করবে মোর গোয়ালা সই?
কড়ি দিয়ে হেঁটে নদী পার
কড়ি লবে গুণে, পথ চলবে জেনে [গুরু করবে জেনে,জল খাবে ছেনে,কড়ি লবে গুণে, পথ চলবে জেনে]
কড়ি হলে বাঘের দুধ মেলে
কড়িকাঠ গোণা
কড়ির জিনিস পড়িস না?
কুঁড়ে কৃষাণ অমাবস্যা খোঁজে
কুঁড়ে গরুর এঁটুলি সার
কুঁড়ে ঘরে বাস খাট পালঙ্কের আশ
কুঁড়ে পাটুনির মুখে আঁটুনি
কণ্টকেনৈব কণ্টকম্
কত ধানে কত চাল
কত ব্রত করলি যশী,(এখন)বাকি ভূমি-একাদশী
কত রঙ্গ দেখালি মাসি
কত রবি জ্বলে রে, কেবা আঁখি মেলে রে?
কত সাধ যায় রে চিতে, বেগুন গাছে আঁকশি দিতে
কতই সাধ হয় রে চিতে,ফোগলা দাঁতে মিশি দিতে
কতইবা দেখব আর ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার
কতক্ষণ রহে শিলা শূন্যেতে মারিলে?
কথা টলার চেয়ে পা টলা ভালো
কথায় কথা বাড়ে, ক্রোধে হয় ঝড়, কথা না বাড়িয়ে সখি যাও এবে ঘর
কথায় চিঁড়ে ভেজে না
কথার গুণে বার্তা নষ্ট
কথার নেই মাথা, গরমে গায়ে কাঁথা
কনের ঘরের মাসি, বরের ঘরের পিসি
কনের মা কাঁদে, আর টাকার পুঁটুলি বাঁধে
কপট প্রেমে লুকোচুরি,মুখে মধু প্রাণে ছুরি
কৃপণের ধন বর্বরে খায়, কৃপণ করে হায় হায়
কুপুত্র যদ্যপি হয়,কুমাতা কখন নয়
কপাল গুণে গোপাল ঠাকুর
কপাল ভাঙলে জোড়া লাগে না
কপাল সাথে সাথে ফেরে
কপালে নেইকো ঘি ঠকঠকালে হবে কি?
কপালের লিখন না যায় খণ্ডন
কম্বলের লোম বাছতে গাঁ উজাড়
কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস করা
কয়লা ছাড়ে না ময়লা
কয়লা ধুলে ছাড়ে না ময়লা
কুয়ো হয়,আমের ভয়,তাল তেঁতুলের কিছুই নয়[কুয়ো=কুয়াশা]
কর গোবিন্দ বাপের শ্রাদ্ধ আরও বামুন আছে
কর যদি তাড়াতাড়ি, ভুলের হবে বাড়াবাড়ি
করছে কীসের জাঁক, ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক
কর্তা পান না, তাই খান না
কর্তা যে ঘি খান তা এক আঁচড়েই মালুম
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম,উলু বনে কেত্তন
কর্মণ্যেবাধিকারস্তে না ফলেষু কদাচন
কলসির জল গড়াতে গড়াতেই শেষ
কলার ভেলায় সাগর পার
কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না
কষতে কষতে বাঁধন ছেঁড়ে
ক্ষুদ খেয়ে পুঁজি করে দু-পুরুষে খরচ করে
ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পুণ্য নাই
ক্ষিদের চোটে পাটকেলে কামড়
ক্ষেত্রে কর্ম বিধিয়তে
ক্ষেতের চাষে দুঃখ নাশে
কা কস্য পরিবেদনা
কাক কোকিল একই বর্ণ, কিন্তু স্বরে ভিন্ন ভিন্ন
কাক খায় কাঁঠাল,বকের মুখে আঠা
কাক মনে করে আমি বড় সেয়ানা
কাক সকলের মাংস খায়,কাকের মাংস কেউ খায় না
কাকের উপর কামানের চোট
কাগের ছা, বগের ছা(লেখা)
কাকের ডিম সাদা হয়, বিদ্বানেরও ছেলে গাধা হয়
কাকের পিছে ফিঙে লাগা
কাকের বাসায় কোকিলের ছা,জাত স্বভাবে কাড়ে রা
কাকের মাংস কাকে খায় না,জোঁকের গায়ে জোঁক বসে না
কাঙলা আপনা সমালা
কাঙালকে শাকের ক্ষেত দেখাতে নেই
কাঙালের কথা বাসি হলে মিঠে
কাঙালের ঘোড়া রোগ
কাঙালের ঠাকুর ব্যাধি
কাঙালের রাংতা-ই সোনা
কাচঃ কাচো মণির্মণিঃ
কাঁচপোকার আরশোলা ধরা
কাঁচা খাই,ডাসা খাই, আর খাই পাকা
কাঁচা গাথুনি, দুনো খাটুনি
কাঁচা বাঁশ ঘুণ ধরা
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরলে, রক্ষা নাই তার কোনও কালে
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা
কাঁচা মাটিতে পা দেওয়া
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, বাঁশ করে ট্যাস ট্যাস
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ...
কাছা দিতে কোঁচা আঁটে না,কোঁচা দিতে কাছা আঁটে না
কাজ নেই কাজ করে, ধানে চালে এক করে
কাজ সেরে বসি, শত্রু মেরে হাসি
কাজও নেই, কামাইও নেই
কাজে এড়া ভোজনে দেড়া
কাজে কুঁড়ে ভোজনে দেড়ে,বচনে মারে তেড়ে ফুঁড়ে
কাজে কম খেতে যম
কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলে পাজি
কাজের বেলায় ভাগে খাবার বেলায় আগে
কাজের মধ্যে চাষ, রোগের মধ্যে কাশ
কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই
কাটতে কাটতে নির্মূল
কাটলে রক্ত নেই, কুটলে মাংস নেই
কাটা কান চুল দিয়ে ঢাকি
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা
কাঁটা বিনা কমল নাই, কলঙ্ক বিনা চাঁদ নাই
কাঠবিড়ালীর সেতুবন্ধন
কাঠের বিড়াল হোক তাতে কিবা আসে যায়, ইঁদুর ধরে কিনা সেটাই বিষয়
কাঠের বিড়াল হোক, ইঁদুর ধরতে পারলেই হল
কাঁড়ানো চালে তিন ঘা পাড়
কাঁধে কুড়ুল বনময় খোঁজা
কানু ছাড়া গীত নাই
কান টানলে মাথা আসে
কানা ক’বার নড়ি(যষ্টি) হারায়?
কানা গরু বামুনকে দান
কানা গরুর ভিন্ন গোঠ
কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন
কানা পুতে পোষে, রাজা বেটি(ঝিয়ে/বৌয়ে) শোষে
কানা পুতের নানা রোগ
কানা মেঘের বৃষ্টি সর্বত্র নয় দৃষ্টি
কানে কলম গুঁজে দুনিয়ায় খোঁজা
কানে দিয়েছ তুলো, পিঠে বেঁধেছ কুলো
কানে হাত না দিয়েই বলে কান নিয়ে গেল চিলে
কানের জল, জল দিলেই বেরোয়
কানের পোকা বের করা
কাপড় দিয়ে আগুন ঢাকা
কাপড় হলে পচা,আঙ্গুল হয় খোঁচা
কাপড়ের দাগ যায় ধুলে, মনের দাগ যায় ম’লে
কামাতে না পারেন নাপিত ধামা ভরা ক্ষুর
কামানো মাথায় ক্ষুর বোলানো
কামারের কাছে লোহা জব্দ
কার কপালে কেবা খায়
কার শ্রাদ্ধ কে বা করে, খোলা কেটে বামুন মরে
কার শ্রাদ্ধ, বামুনের হদ্দ
কার সাধ্য মারে তারে,খোদা যারে রাজি
কারও ঘর পোড়ে, কেউ আগুন পোহায়(খই খায়)
কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ
কারও শাকে বালি, কারও দুধে চিনি
কারে পড়লে আল্লার নাম
কাল রাম রাজা হবে আজ বনবাস
কাল হাঁড়ি, কেয়া পাত, তবে দেখবি জগন্নাথ
কালনেমির লঙ্কা ভাগ
কালস্য কুটিলা গতিঃ
কালা পুরুত, তোতলা যজমান
কালা বলে গায় ভালো, কানা বলে নাচে ভালো
কালা শোনে ঢাকের বাদ্যি,কালা বলে মোর বিয়ের বাদ্যি
কালি কলম পাত, তবে লেখার হাত
কালি কলম মন,লেখে তিন জন
কালির অক্ষর নাইকো পেটে, চণ্ডী পড়ে কালীঘাটে
কালে কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার
কালে কালে কতই হল, পুলি পিঠের লেজ গজালো
কালের আবার কালাকাল
কালো জগত আলো
কালোয় কালোয় ধলো হয় না
কালো কাপড় রুখু মাথা, লক্ষ্মী বলেন থাকব কোথা?
কাশীধামে কাক মরেছে কুমিল্লাতে হাহাকার
কি অপূর্ব সৃষ্টি না তিত না মিষ্টি
কি দেব, কি দেব খোঁটা, গয়ায় মরেছে (তার) বাপ-বেটা
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে
কিনতে পাগল, বেচতে ছাগল
কিবা জ্যেষ্ঠ কি কনিষ্ঠ,যেই বুঝে সেই শ্রেষ্ঠ
কিমাশ্চর্যমতঃপরম্
কিল খেয়ে কিল চুরি
কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো
কিসে নেই কী, পান্তাভাতে ঘি
কীর্তিযস্য স জীবতি[চলচ্চিত্তং চলদ্বিত্তং চলজ্জীবনযৌবনম্ চলাচলমিদং সর্বং কীর্তিযস্য স জীবতি]
কেউ মরে, কেউ হরি হরি বলে
কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুলো
কেঁচো দিয়ে কাতলা ধরা
কোথা রাম রাজা হবে, না কোথা রাম বনে যাবে
কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়
কোদাল পাড়লেই হয় না চাষ
কোন্ আক্কেলে কয় সংসার আমার নয়?
কোন কালে নাইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই
কোন্ বা বিয়ে তার দুপায়ে আলতা
খ
খঞ্জনের নাচ দেখে চড়ুইয়ের নাচ
খুঁট আখুরে গাঁয়ের বালাই(অল্প শিক্ষিত)
খুঁটির জোরে মেড়া লড়ে
খড়ম পায়ে দিয়ে গঙ্গা পার
খড়ের আগুন যেমন জ্বলে তেমন নেভে
খাই দাই বাঁশি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না
খাই দাই ভুলিনি, তত্ত্ব কখন ছাড়িনি
খাওয়াবে হাতির ভোগে, দেখবে বাঘের চোখে
খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি
খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে,কাল কাল হল তার এঁড়ে গরু কিনে
খাঁচায় পুরে খোঁচা মারা
খাট ভাঙ্গলে ভূমিশয্যে
খাটে খাটায় লাভের গাঁতি,তার অর্ধেক মাথার ছাতি;ঘরে বসে পুছে বাত,তার কপালে হা-ভাত
খাতায় নাম লেখানো
খাঁদা নাকে তিলক পরা
খাঁদা নাকে নথ আর গোদা পায় মল
খাবার আছে চা’বার নেই, দেবার আছে নেবার নেই
খাবার বেলায় মস্ত হাঁ, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা
খাবার বেলায় ন’বার মা, ছেলে ধরতে কেউ না
খাবার সময় শোবার চিন্তা
খায় দায় পাখিটি,বনের দিকে আঁখিটি
খায় না খায় সকালে নায়,হয় না হয় দুবার যায়;তার কড়ি কি বৈদ্যে খায়?
খায় মালকোঁচা মেরে ওঠে হাঁটু ধরে
খাল কেটে কুমির আনা
খাল পার হয়ে কুমিরকে কলা দেখানো
খালি কলসি বাজে বেশি
খিড়কি দিয়ে হাতি গলে, সদরে বাধে ছুঁচ
খেঁকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ সার
খেতে খেতে লোভ বাড়ে, কাঁদতে কাঁদতে শোক বাড়ে
খেতে পায় না পচা পুঁটি, হাতে পরে হিরের আংটি
খেতে পেলে শুতে চায়
খেদাই না, তোর উঠোন চষি
খেয়ে দেয়ে একাদশী
খোঁড়ার পা খানায় পড়ে
খোদর ওপর খোদকারি
খোদার নাও দোয়ায় চলে
কাদায় পড়লে হাতি, চামচিকেতে মারে লাথি
খোশ খবরের ঝুটাও ভাল
খোসে তেল নেই, কলাবড়ার সাধ
গ
গঙ্গা গঙ্গা না জানি কত রঙ্গা-চঙ্গা
গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজা
গঙ্গার জল গঙ্গায় র’ল, পিতৃপুরুষ উদ্ধার হল
গজভুক্তকপিত্থবৎ[এখানে গজ=কয়েৎবেলের ভিতরের ক্ষুদ্র পোকা, কপিত্থ=কয়েৎবেল]
গুটি পোকা গুটি করে, নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে
গড়তে চায় ঠাকুর, হয়ে যায় কুকুর
গুণে নুন দিতে নেই/গুণের ঘাট নেই(গুণহীনকে ব্যঙ্গ)
গুণের বালাই নিয়ে মরি
গতর নেই চোপায় দড়,মেঙ্গে খায় তার পালি বড়
গতস্য শোচনা নাস্তি
গদাইলসকরি চাল
গুনে কড়ি জলে ফেলা
গব্য থাকলে আগে পাছে,কি করবে তার শাকে মাছে
গুবরে পোকার পদ্মমধু খেতে সাধ
গভীর জলের মাছ
গরু জরু ধান রাখ বিদ্যমান/গরু জরু ধান না দেখলেই যান
গুরু বোবা, শিষ্য কালা(কালা=বধির)
গুরু মারা বিদ্যে
গরু মেরে জুতো দান
গরজ বড় বালাই
গর্জায় কিন্তু বর্ষায় না
গর্তের সাপ খুঁচিয়ে বার করা
গ্রহণ লাগলে সাবই দেখে(গ্রহণ = বিপদ)
গ্রামের নাম তেঘরে, তার আবার উত্তর পাড়া দক্ষিণ পাড়া
গরিবের কথা বাসি হলে মিঠে লাগে
গরিবের ঘোড়া রোগ
গরিবের রাঙতাই সোনা
গরু গোয়ালের পাশের ঘাস খায় না
গলা টিপলে এখনও দুধ বেরোয়
গলায় কাঁটা ফুটলে বেড়ালের পায়ে ধরে
গলার নীচে গেলে আর মনে থাকে না
গৃহ স্থির আগে কর, গৃহিনী স্থির তার পরে
গৃহিনী গৃহমুচ্যতে
গাঁ বড়, তার মাঝে পাড়া, নাক নেই তার নথ নাড়া
গাই কিনবে দুয়ে বলদ কিনবে বেয়ে
গাই ছিল না হল গাই,চালুনি নিয়ে দুইতে যাই
গাই নেই তো বলদ দো
গাই বাছুরে ভাব থাকলে মাঠে গিয়ে দুধ দেয়
গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন
গাঙ্গে গাঙ্গে দেখা হয়, বোনে বোনে নয়
গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ সাত, যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত
গাছে উঠতে পারে না বড় আমটি আমার
গাছে ওঠে পড়তে, জামিন দেয় মরতে
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল
গাছে তুলতে সবাই আছে
গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া
গাছে/গাছ না উঠতেই এক কাঁদি
গাছের পরিচয় ফলে
গাছেরও খায় তলারও কুড়ায়
গাজনের নেই ঠিক ঠিকানা, ডেকে বলে বাজনা বাজা
গাধা জল ঘোলা করে খায়
গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা
গায়ে ওড়ে খড়ি, কলপ দেওয়া দাড়ি
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল
গায়ের কালি ধুলে যায় মনের কালি ম’লে যায়
গায়ের গন্ধে ভূত পালায়,মাথায় ফুলেল তেল
গিন্নির উপর গিন্নিপনা ভাঙা পিঁড়েয় আলপনা
গিন্নির পাপে গেরস্থ নষ্ট
গেঁয়ো যোগীর ভিখ মেলে না
গোঁগা(গোঁ গোঁ করে কথা বলে, অর্থাৎ বোবা) ছেলের নাম তর্কবাগীশ
গোজন্ম ঘুচে গন্ধর্ব জন্ম
গোড়া কেটে আগায় জল
গোদা পায়ে মল
গোদের উপরে বিষফোঁড়া
গোঁফ দেখলেই শিকারী বেড়াল চেনা যায়
গোঁফ নেই কোনও কালে,দাড়ি রেখেছেন তোবড়া গালে(অনভিজ্ঞ প্রয়াস) গোঁয়ারের মরণ খোঁয়ারে
গোভাগ্য নেই,এঁটুলি ভাগ্য আছে
গো-মড়কে মুচির পার্বণ
গোলে হরিবোল
ঘ
ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি
ঘট গড়তে পারে না মেটের বায়না নেয়(মেটে=বড় জালা)
ঘটকালি করতে গিয়ে বিয়ে করে আসা
ঘুঁটে কুড়ুনির ব্যাটার নাম চন্দনবিলাস
ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে, তোমার একদিন আছে শেষে
ঘন দুধের ফোঁটা, বড় মাছের কাটা(ভাল জিনিসের অল্পও ভালো)
ঘন্টা বাজিয়ে দুর্গোৎসব, ইতু পুজোয় ঢাক
ঘুমন্ত বাঘে শিকার ধরে না
ঘ্যান ঘেনে যে খোকা, বের করে কান-পোকা
ঘর কন্না করতে গেলে ঘটি বাটির সঙ্গে ঝগড়া হয়
ঘর চোরে পার নেই
ঘর থাকতে বাবুই ভেজা
ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায়
ঘর ফাঁদবে ছাইবে না, ধার দেবে চাইবে না
ঘর ভেদেই রাবণ নষ্ট
ঘর সন্ধানী বিভীষণ
ঘর-জ্বালানো,পর ভুলানো
ঘরজামাইয়ের পোড়া মুখ, মরা বাঁচা সমান সুখ
ঘরদোর নেই যার আগুনে কি ভয় তার
ঘরমুখো বাঙালি, রণমুখো সেপাই
ঘরামির ঘর ছেঁদা
ঘরে ছুঁচোর কেত্তন, বাইরে কেঁচোর পত্তন
ঘরে নেই ঘটিবাটি, কোমরে মেলাই চাবি কাঠি
ঘরে নেই ভাত কোঁচা তিন হাত
ঘরে নেই যা, বাছা মাগে তা
ঘরে বসিয়ে মাইনে দেয় এমন মনিব কোথোয় পাব?
ঘরে বসে রাজা উজির মারা
ঘরে বসে রাজার মাকে ডাইনি বলা
ঘরে বাইরে এক মন তবে হয় কৃষ্ণ ভজন
ঘরে ভাত না থাকলে শালগ্রামের সোনা বেচে খায়
ঘরে ভাত নেই দোরে চাঁদোয়া
ঘরে ভাত নেই, যত্নে ঘাট নেই
ঘরের ইঁদুর বাঁশ কাটলে ধরে রাখে কে?
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো
ঘরের ঢেঁকিই কুমির
ঘরের ভাত দিয়ে শকুনি পোষে, গোয়ালের গরু টেঁকে কীসে?(নীচকে উপকার করার ফল)
ঘরের মা ভাত পায় না, পরের জন্য মাথা ব্যথা
ঘরের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা
ঘরের শত্রু বিভীষণ
ঘরের ষাঁড় পেট ফাঁড়ে
ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয়ে যায়
ঘষে মেজে রূপ, আর ধরে বেঁধে প্রেম
ঘষে মেজে সুন্দরী
ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে গেল
ঘি আদুড়, ঘোল ঢাকা
ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাতা, তবু যায় না জাতের জাতা
ঘি ভাত খেতে ঠোঁট পুড়লো
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া
ঘোড়া থাকলে চাবুকের ভাবনা?
ঘোড়া দেখলেই খোঁড়া
ঘোড়া ভেড়ার এক দর
ঘোড়ার কামড় ছাড়তে জানে না
ঘোড়ার গোয়ালে ভেড়া ঢোকা
ঘোড়ার ঘাস কাটা
ঘোড়ার পেট গাধার পিঠ,খালি থাকে কদাচিৎ
ঘোমটার ভিতর খ্যামটা নাচা
ঙ
চ
চক চক করলেই সোনা হয় না
চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি চ সুখানি চ
চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি সুখানি চ
চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন
চক্ষে চক্ষে যত ক্ষণ, প্রাণ পোড়ে ততক্ষণ
চক্ষে দেখলে শুনতে চায় এমন বোকা আছে কোথায়?
চক্ষের আড়াল হলেই মনের আড়াল
চড় মেরে গড় করা
চড় মেরে চড় খাওয়া
চূড়ার উপর ময়ূর পাখা
চণ্ডীচরণ ঘুঁটে কুড়োয়, রামা চড়ে ঘোড়া
চতুরের সঙ্গে চতুরালি
চন্দনং ন বনে বনে
চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল, জোনাকি ধরে বাতি;মোগল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি
চরণামৃত চরণামৃত, না জানি কি অমৃত,খেয়ে দেখি না জল
চুরি বিদ্যে বড় বিদ্যে যদি না পড়ে ধরা, যদি পড়ে ধরা তবে হাতে পায়ে দড়া চুল থাকে তো বাঁধি, গুণ থাকে তো কাঁদি
চলতে পারে না তার বন্দুক ঘাড়ে
চল্লেই চল্লিশ বুদ্ধি, না চল্লেই হতবুদ্ধি
চুলোর উপর ক্ষীর মন নয় স্থির
চাকরি তালপাতার ছাউনি
চাকরি মেঘের ছায়া,মিছে কর তার মায়া
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা
চাচাই বল কাকাই বল,কলাটি পাঁচ কড়া
চাঁদে কলঙ্ক আছে, গোলাপে কণ্টক
চাঁদের কাছে জোনাকি পোকা,ঢাকের কাছে টেমটেমি
আকাশে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে
চাপ পড়লেই বাপ
চাল কি দর, না মামার ভাতে আছি
চাল নাই ধান নাই,গোলাভরা ইঁদুর
চাল নেই তার ধুচুনি নাড়া,নাক নেই তার নথ নাড়া
চালুনি বলে ছুঁচ তোর পিছনে ফুটো
চালুনি বলে ধুচুনি ভাই তুমি বড় ফুটো
চালে খড় নেই,ঘরে বাতি, বিছানা নেই পোহায় রাতি
চালের দর কত, না মামার ভাতে আছি
চালের বাতায় মাণিক থুয়ে উলু বনে হাতড়ানো
চিঁড়ের বাইশ ফের
চিন্তা জ্বরো মনুষ্যানাম্
চিন্তের মায়ের চিন্তে হাটের লোক শোয় কোথা
চিৎপাতের কড়ি উৎপাতে যায়
চিল পড়লে কুটোটাও নিয়ে ওঠে
চিলে কান নিয়ে গেল
চেটায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন
চেনা বামুনের পৈতে লাগে না
চোখ থাকতে কানা
চোখ বন্ধ করলে কি প্রলয় বন্ধ হয়?
চোখের দোষে সব হলদে
চোর চায় ভাঙা বেড়া
চোর ছেঁচড় চোপায় দড়, আগে দৌড়ায় ঠাকুর ঘর
চোর দিয়ে চোর ধরা
চোর ধরতে চোরকে লাগানো
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে
চোর ভাল তো বেকুব ভালো না
চোরকে বলে চুরি করতে গেরস্তকে বলে সজাগ থাকতে
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী
চোরে উপর বাটপাড়ি
চোরে কামারে দেখা নেই সিঁধ কাঠি গড়া
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই
চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়া
চোরের শতেক রাত গেরস্থের এক রাত
চোরের গরু গোয়ালে বাঁধা
চোরের দশদিন, গেরস্থের এক দিন
চোরের মনে বোঁচকা
চোরের রাত্রিবাসও লাভ
চোরের সাক্ষী গাঁট কাটা, শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল
চোরের সাক্ষী মাতাল
চৌকিদারি কি ঝকমারি
ছ
ছুঁচ হয়ে ঢোকে ফাল হয়ে বেরোয়
ছুঁচো মেরে হাতে গন্ধ
ছুঁচোয় যদি আতর মাখে তবু কি তার গন্ধ ঢাকে
ছুঁচোর গোলাম চামচিকে,তার মাইনে চৌদ্দ সিকে
ছল করে জল আনা
ছাই চাপা কি আগুন রয়?
ছাই পায় না, মুড়কি জলপান
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো
ছাগল দিয়ে ধান মাড়ানো
ছাগল বলে আলুনি খেলাম,গেরস্ত বলে প্রাণে ম’লাম
ছাগলে কি না খায়, পাগলে কি না কয়?
ছাগলের তৃতীয় সন্তান[বঞ্চিত]
ছাঁচের ঘরে খাবি খায়, সমুদ্রপার হতে চায়
ছাতুর হাঁড়িতে বাড়ি পড়া
ছাতা দিয়ে মাথা রাখা
ছায়াতে ভূত দেখা
ছাল নেই কুত্তার বাঘা নাম
ছিকলি কাটা টিয়া
ছিঁড়ল দড়া তো ছুটল ঘোড়া
ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনি, পুড়ে পুড়ে রাঁধুনি
ছিলাম রোগী হলাম রোজা
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকা স্বপ্ন দেখা
ছেড়ে দিয়ে তেড়ে ধরা
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি
ছেঁদো কথার মাথায় জটা, খুলতে গেলে বিষম ল্যাঠা
ছেলের চেয়ে ছেলের মাথা ভারী
ছেলের হাতের মোয়া
ছোট কাঁটাটি ফোটে পায়,তুলে ফেল নইলে দায়
ছোট মুখে বড় কথা
ছোট সরাটি ভেঙে গেছে, বড় সরাটি আছে, নাচ-কোঁদ কেন বউ, আমার আন্দাজ আছে
জ
জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছে, পালিয়ে বাঁচবি কোথা?
জঙ্গলা কখন পোষ না মানে, মন সদা তার সোঁদর বনে
জুতো মেরে গরু দান
জুতো মেরেছে অপমান তো করেনি?
জন জামাই ভাগনা এ তিন নয় আপনা
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জন্ম মৃত্যু বিয়ে__ তিন বিধাতা দিয়ে
জন্মে দেখেনি লোহা, কোদালকে বলে গুণছুঁচ
জন্মের মধ্যে কর্ম নিমুর চৈত্র মাসে রাস(সামান্য কাজ করে অকর্মণ্য লোকের অহংকার)
জপ নেই তপ নেই ভস্মমাখা গায়
জপতপ কর কি মরতে জানলে ডর কি?
জমি অভাবে উঠোন চষা
জুয়াচোরের বাড়ি ফলার, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
জ্যান্ত মাছে পোকা পড়ানো
জল খেয়ে জলের বিচার(জাত জিজ্ঞাসা)
জল ছিটালে লগির খোঁচা খেতে হয়
জল জল বৃষ্টির জল, বল বল বাহুবল
জলে কুমির ডাঙায় বাঘ
জলে তেলে মিশ/খাপ খায় না
জলে পাথর পচে না
জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে বিবাদ
জলের কুমির ডাঙ্গায় এল
জলের ছিটে দিয়ে লগির গুঁতো খাওয়া
জলের শত্রু পানা, মানুষের শত্রু কানা
জাগন্ত ঘরে চুরি নেই
জাতও গেল পেটও ভরল না
জানিবে শমন ভয়, দুর্জনের আশ্রয়
জামায়ের জন্য মারে হাঁস গুষ্টি সুদ্ধ খায় মাস
জামের খোসা ফেলে খাওয়া
জাল ছেঁড়া পলো ভাঙা(দুর্ধর্ষ লোক)
জিব পুড়ল আত্মদোষে, কি করবে মোর হরিহর দাসে
জীব দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি
জেলের পরনে টেনা, মাছ বেচুনির কানে
জোছনাতে ফটিক ফোটে, চোরের মায়ের বুক ফাটে
জোয়ার মাত্রেই ভাঁটা আছে
জোয়ারের জল কতক্ষণ
জোর যার মুল্লুক তার
ঝ
ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামৎ বাড়ে
ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফিরে যায়
ঝাঁঝরি বলে ছুঁচকে তুই বড় ফুটো
ঝাঁটা দিয়ে বিষ ঝাড়ানো
ঝি জব্দ কিলে, বউ জব্দ শিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে
ঝিকে মেরে বৌকে শেখানো
ঝির ঝি করবে কি(অনাবশ্যাক আশা)?
ঝোলে ঝালে অম্বলে, সব ঠাঁই বেগুন চলে
ঞ
ট
টক টেশো আঁটিসারা, শাঁসশূন্য আঁশ ভরা, এই আম বিলাবার ধারা
টকের জ্বালায় দেশ ছাড়লাম তেঁতুল তলায় বাস
টাক, প্রকৃতি, গোদ মরণে হয় শোধ
টাকা তুমি যাচ্ছ কোথা? পিরিত যথা; আসবে কবে? বিচ্ছেদ যবে(টাকা ধার চাইলে বন্ধু বিচ্ছেদ)
টাকা যার মামলা তার
টাকায় টাকা আনে
টান দিয়ে বাঁধলে সট করে ছেঁড়ে
টেনে বাঁধতে কুলোয় না
ঠ
ঠক/ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়
ঠকঠকালে হবে কি, কপালে তোর নেই কো ঘি
ঠগ বাছতে গাঁ উজোড়
ঠাকুর ঘরে কে, না আমি তো কলা খাই না
ঠাট ঠমকে বিকোয় ঘোড়া
ঠেকবি যখন শিখবি তখন
ঠেলায় পড়ে ঢেলায় সেলাম
ঠেলার নাম বাবাজি
ড
ডুব দিয়ে খাই পানি আল্লা জানে আর আমি জানি
ডুব দিয়ে জল খেলে অমাবস্যার বাপেও জানে না
ডুবেছি না, ডুবতে আছি, দেখি পাতাল কত দূর?
ডুমুরের ফুল, সাপের পা
ডাইনে আনতে বাঁয়ে কুলোয় না
ডাইনের কোলে পুত্র সমর্পণ
ডাকলে ডাক, বসলে ক্রোশ, পথ বলে মোর কিসের দোষ
ডাঙায় বাঘ জলে কুমির
ডানের মায়া বোঝা ভার
ডোবা দেখলেই ব্যাঙ লাফায়
ডোল ভরা আশা, কুলো ভরা ছাই
ঢ
ঢাক বাজিয়ে ইঁদুর ধরা
ঢাকী সুদ্ধ বিসর্জন
ঢাকের কাছে ট্যামটেমি
ঢাকের দায়ে মনসা বিক্রি
ঢাকের বাদ্যি থামলে মিষ্টি
ঢাল নাই, তরোয়াল নাই, নিধিরাম সর্দার
ঢিল দিয়ে ঢিল টেনে আনা
ঢিলটি মারলেই পাটকেলটি খেতে হয়
ঢেঁকি কেন গাঁ বেড়াক না, গড়ে পড়লেই হল
ঢেঁকি ভজে’(ভজনা করে) স্বর্গে যাওয়া যায় না
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে
ঢেঁকির কচকচি আর ঢাকের বাদ্যি চুপ করলেই ভাল
ঢেঁকিশাল দিয়ে কটক যাওয়া
ঢেঁকিশালে যদি মানিক পাই, তবে কেন পর্বতে যাই
ঢেউ দেখে লা’[ল’=না=নৌকো] ডুবিও না
ণ
ত
তুক তাক ছয় মাস, কপালে যা বারো মাস
তৃণবন্মন্যতে জগৎ[জগৎকে তৃণের মতো দেখে]
তপ্ত জলে ঘর পোড়ে না
তপ্ত ভাতে নুন জোটে না, পান্তা ভাতে ঘি
তুফানে ছেড়ো না হাল, নৌকা হবে বানচাল
তুফানে যে হাল ধরে না, সেই বা কেমন নেয়ে, কথা পাড়লে বুঝতে পারে না, সেই বা কেমন মেয়ে
তুমি খাও ভাড়ে জল আমি খাই ঘাটে
তুমি ফের ডালে ডালে আমি ফিরি পাতায় পাতায়
তুলো যেমন শুনতে নরম,বুনতে তেমন নয়
তৃষ্ণা এগোয় না জল এগোয়(কার গরজ বেশি?)
তস্মিন্ তুষ্টে জগৎ তুষ্টম্
তাত সয়,তবু বাত সয় না
তাঁতী রাগে কাপড় ছেঁড়ে, আপনার ক্ষতি আপনি করে
তাঁতীকুলও গেল, বৈষ্ণবকুলও গেল
তাপ বাড়ে ঝোপে আর খেজুর বাড়ে কোপে
তাল প্রমাণ বাড়ে, তিল প্রমাণ কমে
তাল, তেঁতুল, মাদার, তিনে দেখায় আঁধার
তালগাছের আড়াই হাত
তাস, তামাক, পাশা, এ তিন কর্ম/সর্ব নাশা
তিন জন জানে তো ত্রিশ জন জানে
তিন নকলে আসল খাস্তা
তিন মাথা যার, বুদ্ধি নেবে তার
তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকা
তিল কুড়িয়ে তাল
তিলক কাটলেই বৈষ্ণব হয় না
তিলকে তাল করা
তীর্থের কাকের মতো বসে থাকা
তীরে এসেও হাল ছেড়ো না
তে হি নো দিবসা গতাঃ[সেই (সুখের) দিন চলে গেছে]
তেল দাও, সিঁদুর দাও, ভবি ভোলবার নয়
তেলা মাথায় ঢাল তেল, রুখু মাথায় ভাঙ্গ বেল
তেলা মাথায় তেল দিতে সবাই পারে
তেলাপোকা আবার পাখি, ভেরেণ্ডা আবার গাছ
তেলে জলে মিশ খায় না
তেলে জলেই মানুষের শরীর
তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠা
তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে
তোর শিল, তোর নোরা, তোরই ভাঙি দাঁতের গোড়া
থ
থলির মধ্যে হাতি পোরা
থাক রে কুকুর আমার পাশে(মনের আশে), ভাত দেব সেই পৌষ মাসে
থাকলে সোনার মান হয় না, হারালে সোনার মান
থাকে যদি চুড়ো বাঁশি, মিলবে রাধা হেন কত দাসী
থোড় বড়ি খাড়া, খাড়াবড়ি থোড়
থোঁতা মুখ ভোঁতা
দ
দু’ নৌকায় পা দিলে পড়বে শেষে অগাধ জলে
দই খাবে মেধো, কড়ি দেবে সেধো
দুই স্ত্রী যার, বড় দুখ তার
দুই সতীনে ঘরকন্না, ঘরের গিন্নি ভাত পান না(গিন্নি=এখানে শাশুড়ি)
দুই হাড়ি একত্র থাকলেই ঠোকাঠুকি
দক্ষিণদ্বারী ঘরের রাজা, পূর্বদ্বারী তার প্রজা, পশ্চিমদ্বারীর মুখে ছাই, উত্তরদ্বারীর খাজনা নাই
দুধ কলা দাও যত, সাপের বিষ বাড়ে ততো
দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষা
দুধ মেরে ক্ষীরটুকু
দুধকে দুধ জলকে জল
দধির অগ্র ঘোলের শেষ
দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে
দুধের সাধ(তৃষ্ণা) কি ঘোলে মেটে
দুনিয়াদারি মুসাফিরি, সেরেফ আনাগোনা
দু-নৌকায় পা
দয়া আছে মায়া আছে, গলা ধরে কাঁদি;আধ পয়সায় আটটি কলা পরাণ গেলে না দি’
দয়া করে দেয় নুন, ভাত মারে তিনগুণ
দরকার পড়লে খোঁড়াও লাফায়
দুর্গা বলে ঝুলে পড়
দুর্জনঃ প্রিয়বাদী চ নৈতদ্বিশ্বাসকারণম্; মধু তিষ্ঠতি জিহ্বাগ্রে হৃদয়ে তু হলাহলম
দুর্জনেরে পরিহরি, দূরে থেকে নমস্কারি
দুর্ভিক্ষ অল্পকাল স্মরণ থাকে চিরকাল
দল ভাঙলে যে, কৈ খাবে সে(দল=জলজ তৃণস্তূপ)
দশ দিন চোরের একদিন গেরস্থের
দশচক্রে ভগবান ভূত
দশপুত্র সম কন্যা যদি পাত্রে পড়ে
দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ
দশে যারে বলে ছি, তার প্রাণে কাজ কি?
দশের মুখে জয়, দশের মুখে ক্ষয়
দশের লাঠি একের বোঝা
দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো
দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথা,ঘনিয়ে বসে পাশে, কথা দিয়ে কথা লয়, প্রাণে বধে শেষে
দাঁড়ালে পোয়া, বসলে ক্রোশ, পথ বলে মোর কিসের দোষ?
দাঁড়িকে মাঝি করা, মরা গাঙে ডুবে মরা
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না
দাদারও চিঁড়ের ফলার
দান যেমন দক্ষিণাও তেমন
দায়ে পড়লে শালগ্রামের পৈতা বেচেও খায়
মিয়া বিবি রাজি তো কি করবে কাজি?
দায়ে পড়ে দা’ঠাকুর
দা’-এ বালি, কুড়ুলে শিল, ভাল মানুষকে ভাল কথা বজ্জাতকে কিল দারিদ্র্যদোষো গুণরাশিনাশী
দিও কিঞ্চিৎ না কোরো বঞ্চিৎ
দিন কাটে তো রাত কাটে না
দিন গেল আলে ডালে, রাত হলে চেরাগ জ্বালে
দিন যাবে রবে না
দিন যায় তো ক্ষণ যায় না
দিন যায়, কথা থাকে
দিনগত পাপক্ষয়
দিনে তারা দেখা
দিনে বাতি যার ঘরে, তার ভিটায় ঘুঘু চরে
দিল্লিকা লাড্ডু, যো খায়া সো পস্তায়া, যো ন খায়া সো ভি পস্তায়া
দীয়তাং ভুজ্যতাম
দেখ্ তোর, না দেখ্ মোর
দেখছি কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার
দেখতে পেলে শুনতে চায় না
দেখব কত কালে কালে গোঁফ রেখেছে তোবড়া গালে
দেখাদেখি চাষ, লাগালাগি বাস
দেখে শেখে আর ঠেকে শেখে
দেদোর মর্ম দেদোয় জানে(দুঃখী)
দেব ধন, বুঝব মন, কেড়ে নিতে কতক্ষণ
দেবতার বেলা লীলাখেলা, পাপ লিখেছে মানুষের বেলা
দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ(নারীর মন অস্থিরমতি)
দেয় থোয় রেখে মান তারে বলি যজমান
দেশগুণে বেশ
দেশে নাই যা, ছেলে চায় তা
দেহের গুমর করো না ভাই এই আছে এই নাই
দৈবজ্ঞ যদি বলে ঠিক তবে কেন মাগে ভিখ?
দোয়া গাইয়ে চাট সই
দোষেগুণে সৃষ্টি, ঝড়ে জলে বৃষ্টি
ধ
ধুকড়ির ভিতর খাসা চাল
ধন জন যৌবন জোয়ারের জল কতক্ষণ?
ধন থাকলেই সিঁধের ভয়
ধন নাই, কড়ি নাই নিধিরাম পোদ্দার
ধন সোহাগী মরেন কুড়োর জাউ খেয়ে
ধন, জন, পরিবার, কেহ নহে আপনার
ধনীর চিন্তা ধন ধন, নিরেনব্বুইয়ের ধাক্কা, যোগীর চিন্তা জগন্নাথ,ফকিরের চিন্তা মক্কা
ধনীর মাথায় ধর ছাতি, নির্ধনের মাথায় মার লাথি
ধনে ধন দেখে, পুতে পুত দেখে
ধনে সুখ নয়, মনে সুখ
ধর কাছি তো ধরেই আছি
ধরতে ছুঁতে কিছুই নেই
ধর্ম হয় না করলেই উপাস
ধর্মস্য সূক্ষ্মা গতিঃ
ধর্মেণ হীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ
ধর্মের কল বাতাসে(আপনি)নড়ে, পাপ করলে ধরা পড়ে
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে
ধর্মের ভরা ভেসে উঠে, পাপের ভরা তল যায়
ধর্মো রক্ষতি ধার্মিকম্
ধরলে কোঁ কোঁ করে,ছেড়ে দিলে পাকসাট মারে[পাকসাট=পাখার ঝাপট, তথা আস্ফালন]
ধরি মাছ না ছুঁই পানি
ধরে আনতে বললে বেঁধে আনে
ধুলো মুঠা ধরতে সোনা মুঠা হয়
ধান একগুণ, ঘাস শতগুণ
ধান খায় কাকে, ব্যাঙের পায়ে দড়ি
ধান নাই চাল নাই, আন্দিরাম মহাজন
ধান ভানতে শীবের গীত
ধানের আগে উড়ি ফোলে[‘উড়ি’ একপ্রকার ধান]
ধার করে খায়, হেঁট মাথায় যায়
ধারে কাটে আর ভারে কাটে
ধীর জ্বাল, ঘন কাটি, তবে বলি দুধ আউটি
ধীর ধীর বোনে তাঁতি সকল জিনে
ধীর পানি পাথর কাটে
ধীরে রাঁধে ধীরে খায়, তবে খাওয়ার মজা পায়
ন
ন চ দৈবাৎ পরং বলম্
ন দেবায়, ন ধর্মায়
ন নিম্বো মধুরায়তে
ন ভূতো, ন ভবিষ্যতি
ন যযৌ, ন তস্থৌ
ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি পিতা রক্ষতি কৌমারে, ভর্তা রক্ষতি যৌবনে ;পুত্রশ্চ স্থবিরে ভাবে, ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি নারী বাল্যে পিতার, যৌবনে ভর্তার এবং বার্ধক্যে পুত্রের অধীনে থাকিবেন স্ত্রীগণের পক্ষে স্বাধীন হওয়া উচিত নয় এখানে স্বাধীন বলতে যথেচ্ছাচারী বোঝাচ্ছে
ন সন্তোষাৎ পরং সুখম্
ন হি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ
নই কাজ তো খই ভাজ
নখে কাটে কচি কালে, ঝুনো হলে দাঁত না চলে
নখের ছিদ্রে কুড়াল লাগানো
নটে খেটে আড়াই মাস, সজনে ফলে বার মাস
নড়তে পারে না কামান ঘাড়ে
নূতন নূতন ন’কড়া, পুরানো হলে ছ’কড়া
নদী শুকোলেও রেখা থাকে
নদী, নারী, শৃঙ্গধারী_ এ তিনে না বিশ্বাস করি
নদীকূলে বাস ভাবনা বারোমাস
নদীর এক কূল ভাঙ্গে আর এক কূল গড়ে
নদীর মুখে বালির বাঁধ
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
নুন খাই যার গুণ গাই তার
ননদেরও ননদ আছে(ননদ, ননদিনী, ননদী=স্বামীর বোন, নন্দাই=ননদের স্বামী, ভাজ= ভ্রাতার পত্নী, ভ্রাতৃ জায়া সব কটি মেয়েদের দিক থেকে সম্পর্ক)
নবাব আর কি? নবাব খাঞ্জা খাঁ(মুর্শিদকুলি খাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী খান্ জাহান খান্)
নয় মণ তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না
ন্যাড়া ক’বার বেলতলা যায়?
নরক তো গুলজার
নরুনে তালগাছ কাটা
নরম কাঠে ছুতোরের বল
নরম মাটিতে বেড়াল আঁচড়ায়
নরানাং মাতুলক্রমঃ
নরের মন নারায়ণ জানেন
না আঁচালে বিশ্বাস নেই
না আছে আয়োজন, পাড়া ভরে নিমন্ত্রণ
না খেলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ
না চাইতে ছাতাটা পাই, চাইলে বুঝি ঘোড়াটা পাব
না দেখে চলে যায়, পায়ে পায়ে হোঁচট খায়
না পড়েই পণ্ডিত
না বুঝে ছিলাম ভাল, আধেক বুঝে পরান গেল
না বিয়িয়েই কানা’য়ের মা
না মরতেই ভূত?
নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো
নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমানো
নাকের উপরে এক বিঘৎ আর এক হাত!
নাকের জলে চোখের জলে হওয়া
নাকের বদলে নরুন
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
নাচতে নেমে ঘোমটা টানা
নাচে ভাল পাক দেয় উল্টো
নাড়া বনে কেত্তন
নাতির নাতি স্বর্গের বাতি
নাদা পেটা হাঁদা রাম
না-দেওয়া কাঁঠালের শাওনে পাক(না দিতে চাইলে কাঁঠাল শ্রাবণে পাকে)
না-দেওয়ার চাল, আজ না কাল
নানা মুনির নানা মত
নাপিত দেখলে নখ বাড়ে
নাপিতের আসি, ধোপার বাসি
নাপিতের ষোল চোঙা বুদ্ধি
নামে ডাকে গুরু মশাই,লেজা মুড়োর জ্ঞান নাই
নামে তালপুকুর ঘটি ডোবে না
নামে ধর্মদাস, ধর্মের নাম নেই
নারীর বল চোখের জল
নাস্তিকের মুখে ধর্ম কথা
নাহংকারাৎ পরো রিপু
নিকুলে চুকুলে ঘর, কামালে(গোঁফহীন পরিচ্ছন্ন হলে) বর
নিকামায়ে(কামাই বা আয় করে না, কাজহীন) দর্জি ছেলের মুখ সেলাই করে
নিজের কোলে ঝোল টানা
নিজের চরকায় তেল দাও
নিজের দই কেউ টক বলে না
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ
নিজের পাঁটা যায় লেজে কাটা
নিজের পায়ে কুড়ুল মারা
নিজের ভাই ভাত পায় না শালীর তরে মণ্ডা
নিত্য চাষির ঝি বেগুন ক্ষেত দেখে বলে এ আবার কি?
নিত্য ভিক্ষা তনু রক্ষা
নিত্য রোগী দেখে কে, নিত্য নেই দেয় কে?
নিতে পারি খেতে পারি, দিতে পারি নে, বলতে পারি কইতে পারি, সইতে পারি নে
নিদান কালে হরিনাম
নিদানের বিধান নেই
নিবৃত্তরাগস্য গৃহং তপোবনম্
নিম তিত নিসিন্দে তিত,তিত মাকাল ফল;তার চেয়ে অধিক তিত বোন সতীনের ঘর
নিম তিত, নিশিন্দে তিত, তিত মাকাল ফল, তার চেয়ে তিত কন্যে বোন সতীনের ঘর
নিম তিত, নিসিন্দে তিত, তিত নিমের ফুল, তার চেয়ে তিত অধিক দুই সতীনের কুল
নিম নিসিন্দে যেথা, মানুষ মরে না সেথা
নিমক খেয়ে নিমক হারামি
নিমতলা দিয়ে যাওনি, নিমফল খাওনি?
নিয়তিঃ কেন বাধ্যতে
নির্গুণ পুরুষের ভোজন সার, করেন সদাই মার মার
নির্গুণ পুরুষের তিনগুণ ঝাল
নির্ধনের ধন হলে দিনে দেখে তারা
নির্ধনের ধন, অথর্বের যৌবন
নীচ যদি উচ্চভাষে, সুবুদ্ধি উড়ায় হেসে
নীরোগ শরীর যার বৈদ্যে করবে কি; পরের ভাতে বেগুন পোড়া, পান্তা ভাতে ঘি
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
নেই নাক তার গোঁফের বাহার
নেই-মামার চেয়ে কানা মামা ভালো
নেকা আদুরে চালশে কানা, জল বলে খায় চিনির পানা
নেকা, বোকা, ঢিলে কাছা, তিনে প্রত্যয় করো না বাছা
নেঙটা নেই বাটপারের ভয়
নেড়া আর কি বেলতলায় যায়?
নেবু কচলাবে যত, হবে তেত ততো
নেবার কুটুম দেবার নয়
নেবার বেলায় পরিপাটি, দেবার বেলায় ফাটাফাটি
নেভবার আগে ক্ষণেক তরে, দীপ জ্বলে দপ করে
নেয়ের এক নাও, নিনেয়ের(যার নৌকো নেই) শতেক নাও
নেশাতে বুক ফাটে, কুকুরে মুখ চাটে
প
পুকুর চুরি
পচা আদা, ঝালের গাদা/পচা আদায় ঝাল বেশি
পচা শামুকে পা কাটে
পূজায় মন নেই নৈবিদ্যে চোখ
পূজার সঙ্গে খোঁজ নেই, কপাল জোড়া ফোঁটা
পুঁজি নেই তার পাঁজি আছে
পুঁজি ভেঙে খেতে ভাল, ভেটেন[ভাঁটি] গাঙে যেতে ভাল
পট্টবস্ত্রে গুঞ্জফল মূল্য নাহি হয়, ছিন্ন বস্ত্রে মোতির মূল্য নাহি হয় ক্ষয় [গুঞ্জফল=কুঁচ]
পুঁটি মাছের প্রাণ দেখতে দেখতে যান[অতি দুর্বল প্রাণ]
পড়ুক না পড়ুক পো’ সভায় নে’ গে’ থো
পড়ল কথা সভার মাঝে, যার কথা তার গায়ে বাজে
পড়শী না বঁড়শি
পড়শীর মুখ না আরশির মুখ
পড়িলে ভেড়ার শৃঙ্গে ভাঙ্গে হিরার ধার
পড়ে গেলে ছাগলেও চাট মারে
পুড়ে ঝুড়ে রাঁধুনি, ছিঁড়ে ছুঁড়ে কাটুনী
পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা
পড়ে পাওয়া টাকা, ষোল আনাই লাভ
পড়েছি তাফালে, যা থাকে কপালে[তাফাল=গুড় তৈরির উনুন]
পড়েছি মোগলের হাতে খানা খেতে হবে সাথে
পতির পায়ে থাকে মতি তবে তারে বলে সতী
পতির মরণে সতীর মরণ
পথ চলবে জেনে, কড়ি নেবে গুণে
পথি নারী বিবর্জিতা [পথের অপরিচিতা নারী দুর্জ্ঞেয়]
পথে পেলাম কামার, দা গড়ে দে আমার
পুনর্মূষিকো ভব
পুবে হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ; উত্তরে কলা, দক্ষিণে খোলা
পর কখনও আপন হয় না
পর তরফে খায় ঘি, তার আবার খরচ কি?
প্রদীপের কোলেই অন্ধকার/চেরাগের নীচেই অন্ধকার
পরপ্রত্যাশী, দু’পহর উপোসী
পর্বতের মুষিক প্রসব
পুরুষের দশ দশা, কখনও হাতি কখনও মশা
পরহস্তং গতা গতা লেখনী পুস্তিকা জায়া পরহস্তং গতা গতা;যদি মা পুনরায়াতি ভ্রষ্টা নষ্টা চ মর্দিতা
পরহস্তগতং ধনম্ পুস্তকস্থ তু যা বিদ্যা পরহস্তগতং ধনম্;কার্যকালে সমুৎপন্নে ন সা বিদ্যা ন তদ্ধনম
প্রহারেণ ধনঞ্জয়
প্রাণ বড় না মান বড়?
পুরানো চাল ভাতে বাড়ে, পুরানো ঘিয়ে মাথা ঘাড়ে
পুরানো বসন ভাতি, অবলাজনের জাতি
পরিতে হইবে শাঁখা তবে কেন মুই বাঁকা?
পরের কথায় লাথি চাপড়, নিজের কথায় ভাত কাপড়[পরচর্চা না করে নিজের কাজে মন দাও গে
পরের ঘরে খায় দায়, আঠারো মাসে বছর যায়
পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করা
পরের ঘি পেলে, প্রদীপ দেয় দুয়ারে মেলে
পরের ঘোল খাবার লোভে নিজের গোঁফ কামানো
পরের চাল,পরের ডাল, নদে করেন বিয়ে
পরের ছেলে খায় এতটা, বেড়ায় যেন বাঁদরটা;নিজের ছেলেটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি
পরের জন্য গর্ত খোঁড়ে, আপনি তাতে পড়ে মরে
পরের জন্য ফাঁদ পাতে, আপনি পড়ে মরে তাতে
পরের দুধে দিয়ে ফুঁ, পুড়িয়ে এলেন নিজের মু(মুখ)
পরের দেখে তোল হাই, যা আছে তাও নাই
পরের ধনে পোদ্দারি লোকে বলে লক্ষ্মীশ্বরী
পরের ধনে বরের বাপ
পরের পুতে বরের বাপ
পরের পিঠে বড় মিঠে
পরের ভাতে কুকুর পোষা
পরের মুখে ঝাল খাওয়া
পরের মন আঁধার কোণ
পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা
পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙে নিজের গোঁফে তেল
পরের মাথায় দিয়ে হাত, কিরা করে নির্ঘাত
পরের মাথায় হাত বুলানো
পরের লেজে পড়লে পা তুলো পানা ঠেকে, নিজের লেজে পড়লে পা ক্যাঁক করে ওঠে
পরের সোনা দিও না কানে, কেড়ে নেবে হেচকা টানে
পরের হাতে ধন পেতে অনেক ক্ষণ
পা না ভিজল যার বড় কৈ(মাছ) তার
পাকা ঘুঁটি কাঁচানো
পাকা ধানে মই দেওয়া
পাখি পড়ানোর মতো পড়ানো
পাখির প্রাণ অল্পেই যান
পাগল কি গাছে ফলে, আক্কেলেতে পাগল বলে
পাগলা ভাত খাবি, না হাত ধোব কোথায়?
পাগলা সাঁকো নাড়িস নে, ভাল মনে করে দিয়েছিস
পাগলে কিনা কয়, ছাগলে কিনা খায়?
পাগলের গোবধে আনন্দ[গো বধ মহাপাপ]
পাঁচ দিন চোরের এক দিন সাধুর
পাঁচ পাগলের ঘর, খোদায় রক্ষা কর
পাঁচ শ’ জুতো গুণে খায়, ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যায়
পাঁঠার ইচ্ছেয় ঘাড়ে কোপ
পাতা চাপা কপাল, আর পাথর চাপা কপাল
পাতের ভাত কেড়ে নাওয়া
পাতের ভাতে পুষলাম যুগী, উলটে বলে পরবাস কি?
পাতের ভাতে পালে কুকুর, কুকুর ওঠে মাথার উপুর
পাথরে ঘুণ ধরে না
পাথরে পাঁচ কিল
পাথরে লেখা মুছলেও যায় না
পান পান্তা ভক্ষণ, ঐ তো পুরুষের লক্ষণ; আমি অভাগী তপ্ত খাই, কোন দিন বা মরে যাই
পান সাজতে জানে না, দু পায়ে আলতা
পান হতে চুন খসে না
পান্তা ভাত ফুঁ দিয়ে খাওয়া
পান্তা ভাতে নুন জোটে না, বেগুন পোড়ায় ঘি
পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়/উৎপাতের কড়ি চিৎপাতে যায়
পায়ের কাজ[লাথি] কি হাতে হয়?
পার হ’লে পাটনি শালা
পারা(পারদ) আর পাপে কার সাধ্য চাপে
পালাতে না পেরে মোড়লের বেহাই
পি পু ফি শু/ কত রবি জ্বলে রে, কে বা আঁখি মেলে রে
পিঠা খায় মিঠার জোরে, হাত নাড়ে নানীর[=পিতামহী] জোরে
পিঠে বেঁধেছি কুলো, কানে দিয়েছি তুলো
পিতল সরা জাঁকে ভরা
পিতলের কাটারি, কাজে নেই ধার, ঝকমকই সার
পিন্ডি পায় না, কেত্তন চায়
পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে
পিসি বলো মাসি বলো, মার বাড়া নাই; পিঠে বলো মিঠা বল, ভাতের বাড়া নাই
পেট জ্বলে ভাতের তরে, সোনার আংটি হাতে পরে
পেটে খেলে পিঠে সয়, মরা পেটে বড় ভয়
পেটের আগুনে বেগুন পোড়ে
পেটের বাছা বাড়ির গাছা[গাছ]
পেঁয়াজও গেল, পয়জারও হল/পেঁয়াজ পয়জার দুই হল
পৈতা পুড়িয়ে সন্ন্যাসী/ব্রহ্মচারী
পোড়া কপালে সুখ নাই, বিয়ে বাড়িতে ভাত নাই
পোষের শীত মোষের গায়, মাঘের শীত বাঘের গায়
ফ
ফকিরে ফকিরে ভাই ভাই, ফকিরের রাজত্ব সব ঠাঁই
ফুটনির মামা, ভিতরে ক্লেদ, উপরে জামা
ফরসা কাপড়ে মান বাড়ে
ফুরালো বাগানের আম কি খাবিরে হনুমান?
ফুললো আর মলো
ফলেন পরিচীয়তে
ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যায়
ফুলের শোভা ভোমরা, গাই-এর শোভা চামড়া
ফাঁক পেলে সবাই চোর
ফোঁপরা ঢেঁকির শব্দ বেশি
ফাগুনে আগুন, চৈতে মাটি, বাঁশ রেখে বাঁশের পিতামহকে কাটি
ফ্যান দিয়ে ভাত খায়, গল্পে মারে দই, মেটে হুঁকোয় তামাক খায়, গুড়গুড়িটা কই?
ফেল কড়ি মাখ তেল তুমি কি আমার পর?
ফোতো বাবুর গালগল্প সার
ব
বউ উঠতে ঠাঁই পায় না, উঠান জোড়া দাসী
বউ জব্দ শিলে, ঝি জব্দ কিলে, পাড়াপড়শী জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে
বউ ভাঙলে সরা গেল পাড়া পাড়া, গিন্নি ভাঙলে নাদা [কলসি], ও কিছু নায় দাদা
বউ-এর রাগ বিড়ালের উপর, বিড়ালের রাগ বেড়ার উপর
বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না
বকঃ পরমধার্মিকঃ/ বক ধার্মিক
বুকে ব’সে দাড়ি ওপড়ানো
বগলে কাস্তে দেশময় খোঁজে
বগলে ছুরি মুখে রাম নাম
বচনে জগৎ তুষ্ট, বচনে জগৎ রুষ্ট
বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো
বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি, লোকোত্তরাণাং চেতাংসি কোহি বিজ্ঞাতুমীশ্বরঃ
বুঝতে পারি সেকরার ঠার, বলে এক করে আর
বড় গাছেই ঝড় লাগে
বড় গাছের তলায় বাস, ডাল ভাঙলেই সর্বনাশ
বড় ঘর বড় কথা, গরিবের ছেঁড়া কাঁথা
বড় ঘর বড় কথা, বললে কাটা যায় মাথা
বড় বড় বানরের বড় বড় পেট লংকায় যেতে তারা মাথা করে হেঁট
বড় বিয়ে তার দুপায়ে আলতা
বড় মুখ ছোট হওয়া
বড় মাছের কাঁটা আর ঘন দুধের ফোঁটা
বড় হবে তো ছোট হও
বড়র পিরিতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণে চাঁদ
বড়লোকের আঁস্তাকুড়ও ভালো
মড়া মেরে খুনের দায়
বুড়ো শালিক পোষ মানে না
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
বুড়ো হল বক চেনে না
বুদ্ধিগুণে হা ভাত, বুদ্ধিগুণে খা ভাত
বৃদ্ধস্য বচনং গ্রাহ্যমাপৎকালে হ্যপস্থিতে
বন পোড়ে সবাই দেখে, মন পোড়ে কেউ না দেখে
বনগাঁয়ে শেয়াল রাজা
বন্ধ্যা নারীর অন্ধ পুত্র চাঁদ দেখতে পায়
বন্ধ্যা নারীর পুত্র শোক
বনের রক্ষক বাঘ, বাঘের রক্ষক বন
বুনলাম ধান, হল তিল, ফলল রুদ্রাক্ষ, খেলাম কিল
বয়সে চুল পাকে, কিন্তু বুদ্ধি পাকে না
বরকনের দেখা নেই বুধবারে বিয়ে
বরমেকোগুণীপুত্রো ন চ মুখ শতান্যপি;একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি ন চ তারাগণা অপি
বর্ষণ নেই গর্জন সার
বরের ঘরের মাসি, কনের ঘরের পিসি
বল বুদ্ধি ভরসা, তিন তিরিশে ফরসা
বল মা তারা দাঁড়াই কোথা?
বলা সহজ, করা কঠিন
বলীর ঘাম, নির্বলীর ঘুম
বলে দুধ, বেচে ঘোল
বসতে জায়গা পেলে, শোবার জায়গা মেলে
বসতে পেলে শুতে চায়
বসুধৈব কুটুম্বকম্
বসে খেলে কুলোয় না, করে খেলে ফুরোয় না
বসে না থাকি বেগার খাটি
বসে বসে লেজ নাড়া
বহু সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট
বহ্বারম্ভে লঘু ক্রিয়া
বাইরে হাশিখুশি ভিতরে গরল রাশি
বাউলের ঘরে গরু
বাঘ-ভালুকের রাজ্যে থাকি মনের কথা মনেই রাখি
বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা
বাঘে বলদে এক ঘাটে জল খায়
বাঘে সিংহে যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়
বাঘের আবার গোবধ[অর্থাৎ গো বধ করে পাপ!]
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
বাঘের দেখা সাপের লেখা
বাঘের যোগ্য বাঘিনী
বাঘেরও চক্ষু লজ্জা আছে
বাঁচলে কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার;বিড়ালের কপালে টিকে, বাঁদর বেড়ায় হলুদ মেখে
বাছার আমার এত বাড়, ছ’আনার কাপড়ে ন’আনার পাড়
বাজাতে বাজাতে বাইন, গাইতে গাইতে গাইন
বাড়িতে পায় না শাক সজিনা, ডাক দিয়ে বলে ঘি আন না
বাড়ির মধ্যে এক ঘর, তার আবার সদর অন্দর
বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীস্তদর্ধং কৃষি-কর্মণি;তদর্ধং রাজসেবায়াৎ ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ
বানরের গলায় মুক্তার মালা
বাপ জানে না, মা জানে না, হোগল বনে বিয়ে
বাপকা বেটা সিপাই কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া
বাপের জন্মে (কালে) চড়িনি ডুলি, ভেঙে গেল মোর পাছার খুলি, নামা ডুলি নামা ডুলি
বাপের জন্মে নেইকো চাষ, ধানকে বলে দুব্বো ঘাস
বাবু মরেন শীতে আর ভাতে
বাবা পেটে, মা হাটে, আমি তখন বছর আটে
বাবার কালে নেইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই
বাবারও বাবা আছে
বামুন গেল ঘর তো লাঙল তুলে ধর
বামন হয়ে চাঁদে হাত
বামুনের গরু খায় অল্প, নাদে বেশি, দুধ দেয় কলসি কলসি
বামুনের ভাতে থাকা(কম পরিশ্রম)
বার কাঁদি নারিকেল, তের কাঁদি কলা;আজ আমাদের রানির উপোসের পালা বারটা ঝাড়লুম তেরটা ম’ল, তুই না মরে অপযশ হল(হাতুড়ে চিকিৎসক)
বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবার তোমার আমি বধিব পরাণ
বার মাসে তের পার্বণ
বার রাজপুতের তের হাঁড়ি,কেউ খায় না কারও বাড়ি
বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি
বাঁশ বনে ডোম কানা(সিদ্ধান্ত নিতে পারে না)
বাঁশ মরে ফুলে, মানুষ মরে ভুলে
বাঁশি হারিয়ে শিঙায় ফুঁ
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়
বাহিরে কেঁচোর পত্তন ভিতরে ছুঁচোর কীর্তন
বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া
বিদ্বান্ সর্বত্র পূজ্যতে
বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্
বিদ্যারত্নং মহাধনম্ জ্ঞাতিভির্বণ্ট্যতে নৈব, চৌরেণাপি ন নিয়তে;দানেন ন ক্ষয়ং যাতি বিদ্যারত্নং মহাধনম্
বিধি যদি বিপরীত, কেবা করে তার হিত
বিধির লিখন না যায় খণ্ডন
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি পুকুরের সৃষ্টি
বিনা দানে মথুরা পার
বিনা মেঘে বজ্রাঘাত
বিপদ কখনও একা আসে না
বিপদে শিবের গোঁড়া, সম্পদে শিব তো নোড়া
বিমাতা বিষের ঘর
বিয়ে ফুরুলে ছাঁদলায় লাথি
বিয়ে ফুরুলে বাজনা, কিস্তি ফুরুলে খাজনা
বিলম্বে কার্য সিদ্ধি
বিশ্বকর্মা কত কারিগর তা জগন্নাথেই প্রকাশ
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু(কৃষ্ণ) তর্কে বহু দূর
বিশ্বাসো নৈব কর্তব্যঃ স্ত্রীষু রাজকুলেষু চ
বিষ খেয়ে বিশ্বম্ভর
বিষ নেই কুলোপানা চক্কর
বিষকুম্ভং পয়োমুখম্ পরোক্ষে কার্য-হন্তারং প্রত্যক্ষে প্রিয়বাদিনম্; বর্জয়েৎ তাদৃশং বন্ধুং বিষকুম্ভং পয়োমুখম্
বিষবৃক্ষোঽপি সংবর্ধ্য স্বয়ং ছেত্তুমসাম্প্রতম্
বিষে বিষ ক্ষয়
বে-আক্কেলে কয় সংসার আমার নয়
বেকারের চেয়ে বেগার ভাল
বেগুন গাছে আঁকশি
বেগারের দৌলতে গঙ্গাস্নান
ব্যাঙ বলে সাপকে_ কারও কড়ি ধারি না[নিষ্ফল আস্ফালন]
ব্যাঙের আবার সদির্?
ব্যাঙের নাকে মিনের নোলক
ব্যাঙের মাথায় ছাতি
বেদেয় চেনে সাপের হাঁচি
বেদের মরণ সাপের হাতে
বেঁধে মারে সয় ভাল
বেনা বনে মুক্তা ছড়ানো
বেনের কাছে মেকি চালানো
বেনো জল ঢুকিয়ে খরো’ জল বের করা
বেল পাকলে কাকের কি?
বেহায়ার নাহি লাজ, নাহি অপমান;সুজনকে এক কথা মরণ সমান
বৈষ্ণব হইতে বড় হয়েছিল সাধ, তৃণাদপি শুনে মনে লেগে গেছে তাক
বোঝার উপরে শাকের আঁটি
বৌ না বোবা, বৌ না বাবা
ভ
ভক্তিহীন ভজন আর লবণহীন ব্যঞ্জন
ভগবানের মার দুনিয়ার বার
ভজনের সঙ্গে খোঁজ নেই, ভোজন ছত্রিশ জাতে
ভূতের আবার গঙ্গাস্নান
ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ
ভূতের বেগার খাটা
ভূতের বোঝা বওয়া
ভূতের মুখে রাম নাম
ভবি ভোলবার নয়
ভবিতব্যং ভবত্যেব
ভবের খেলা সাঙ্গ হল
ভরাডুবির মুঠা লাভ
ভস্মে ঘি ঢালা
ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই
ভাগ্যং ফলতি সর্বত্র, ন চ বিদ্যা ন পৌরুষম্
ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয়
ভাগাড়ে মড়া পড়ে, শকুনির টাক নড়ে
ভাগের ভাগ পেলে, না খেয়েও চিবিয়ে ফেলে
ভাগের মা গঙ্গা পায় না
ভাঙ্গবে তবু মচকাবে না
ভাঙ্গা ঘরে জোছনার আলো, যে দিন যায় সে দিন ভালো
ভাঙ্গা ঘরে বাস ভাবনা বারো মাস
ভাঙ্গা ঘরে ভূতের বাসা
ভাঙ্গা পা খানায় পড়ে
ভাজা মাছ উলটে খেতে জানে না
ভাঁড়ে নেই ঘি, ঠকঠকালে হবে কি?
ভাত কখনও পেট খোঁজে না
ভাত কাপড়ের কেউ নয়, কিল মারার গোঁসাই
ভাত খাই কাঁসি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না
ভাত খাও ভাতারের, গুণ গাও নাঙ্গের
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব নেই
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব?
ভাত দেবার ভাতার নয়, কিল মারার গোঁসাই
ভাত পায় না কুঁড়ের নাগর, আমানি খেয়ে পেটটা ডাগর
ভাত রোচে না, রোচে মোয়া, মণ্ড রোচে পোয়া পোয়া
ভাতের খিদে কি অন্য কিছুতে মেটে
ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন
ভাবে ডগমগ তেলাকুচো, হেসে ম’লো রে ভুঁই-ছুঁচো
ভাল করতে পারি না, মন্দ করতে পারি
ভাল লোকের কিল চুরি
ভালুক চেনে শালুক ফুল
ভিক্ষুকের এক দোর বন্ধ, শত দোর খোলা
ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ
ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া
ভিন্নরুচির্হি লোকাঃ
ভীষ্ম,দ্রোণ,কর্ণ গেল শল্য হল রথী, চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল জোনাকির পাছে বাতি
ভূত দিয়ে ভূত ছাড়ানো
ভেক না নিলে ভিখ মেলে না
ভেরেণ্ডাও বৃক্ষ
ভেড়ার গোয়ালে বাছুর মোড়ল
ভেলায় সাগর পার
ভোজনং যত্র কুত্রাপি শয়নং হট্ট মন্দিরে;মরণং গোমতীতীরেঽপরং বা কিং ভবিষ্যতি
ম
মুখ না থাকলে শেয়ালে খেত
মুখ পুড়িয়ে লঙ্কায় আগুন
মুখচোরা বামুন, কেশোরোগী চোর
মুখটি যেন ভাজার খোলা, খই ফুটছে ফোলা ফোলা
মুখে খুব মিঠে, নিম নিসিন্দে পেটে
মুখে মধু হৃদে ক্ষুর, সেইত হয় বিষম ক্রূর
মুখে রামনাম বগলে ছুরি
মুখেন মারিতং জগৎ
মুখের চোটে গগন ফাটে
মঘা, এড়াবি ক’ ঘা?
মুচি হয়ে শুচি হয় যদি হরি ভজে, শুচি হয়ে মুচি হয় যদি হরি ত্যজে
মুচির নাই নাক (চামড়ার গন্ধ), শুঁড়ির নাই কান(মাতালের কদর্য উক্তি)
মটরের চাপে মুসুরি চেপ্টা
মুড়া কোদালে দিঘি কাটা
মড়া মেরে খুনের দায়
মড়ার উপরে খাড়ার ঘা
মুড়ি মিছরির এক দর
মুড়ি[মাথা] আর ভুঁড়ি সকল রোগের গুঁড়ি
মুণ্ডমালার দাঁত কপাটি সার
মদ খায় না, মদে খায়?
মদ্দ বড় তেজী, ধরবেন বনের বেজি
মধুপান করতে পারি, মাছির কামড় সইতে নারি
মধ্বভাবে গুড়ং দদ্যাৎ
মধুরেণ সমাপয়েৎ
মন চায় বাদশা হতে, খোদার দোয়া মেগে খেতে
মন ভাল নয় তীর্থ করে, মিছে কাজে ঘুরে মরে
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন
মনবো ঠাকুর দেব না, আমার পিত্যেশ কোরো না
মনিব গেলে ঘোল পায় না, বিশেকে পাঠায় দুধের তরে
মুনীনাঞ্চ মতিভ্রমঃ
মনে বড় সাধ, চড়ব বাঘের কাঁধ
মনে মনে লঙ্কা ভাগ
ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক
ময়রার ছেলে গুড় খায় না
মূর্খ লোকে কেনে বই, জ্ঞানবানে পড়ে;ধনবানে কেনে ঘোড়া,বুদ্ধিমানে চড়ে মূর্খস্য নাস্ত্যৌষধম
মরণকালে হরিনাম
মরণের বাড়া গাল নাই
মরবে মেয়ে উড়বে ছাই, তবে মেয়ের গুণ গাই
মরা কাকের আবার মড়কের ভয়?
মরা মালঞ্চে ফুটল ফুল, টাকে আবার উঠল চুল
মরি তাহে খেদ নাই, কাঁটা বন দিয়ে না টানে
মূলা চোরের ফাঁসি
মূলে নেই লক্ষ্মী পূজো, একেবারে দশভুজো
মশা মারতে কামান দাগা
মশা মেরে হাত কাল
মশালচী আপনি কানা
মশালের কাছে চেরাগের আলো
মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ
মা কুরু ধনজনযৌবনগর্বম্
মা ডাকলে খেলাম না, বাবা ডাকলে খেলাম না, সাত পুরুষের ঢেঁকি বলে, পান্তা খা, পান্তা খা
মা পায় না কাঁথা-সেলাইয়ের সুতো, ব্যাটার পায়ে চৌদ্দ সিকের জুতো
মা বলেছে আমার নাকি মাথা ধরেছে
মা লক্ষ্মী ভিক্ষা মাগে
মা’য় কয় খা, বাপে কয় ল্যাখ, নামটি আমার আবদুল খালেক
মাছের কাঁটা গলায় বাঁধলে বিড়ালের পায়ে গড়
মাছের তেলে মাছ ভাজা
মাছের মায়ের পুত্রশোক
মাতৃবৎ পরদারেষু পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ; আত্মবৎ সর্বভূতেষু যঃ পশ্যতি স পণ্ডিতঃ
মাতা শত্রুঃ পিতা বৈরী, যেন বালো ন পাঠিতঃ
মাথা নেই তার মাথা ব্যথা
মাথায় লাথি মেরে পায়ে গড়
মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল
মানুষ গড়ে, বিধাতা ভাঙে
মানুষে মানুষ চেনে, শুয়োরে চেনে কচু
মামা কানা আমি চোখে দেখিনে
মায়ের গলায় দিয়ে দড়ি, বউকে পরাই ঢাকাই শাড়ি
মায়ের চেয়ে দরদ বেশি তারে বলি ডান
মায়ের পোড়ে না মাসির পোড়ে, পাড়া পড়শীর কেতন ওড়ে
মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার
মারের চোটে ভূত পালায়
মারো আর ধরো পিঠে দিয়েছি কুলো, বকো আর ঝকো কানে দিয়েছি তুলো
মিছরির ছুরি
মিছে কর আম্বা, যা করেন জগদম্বা
মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ(বিবাহকালে) কন্যা কাময়তে রূপং, মাতা বিত্তং, পিতা শ্রুতম্[বিদ্যা];বান্ধবাঃ কুলমিচ্ছন্তি, মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ
মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভেজে না
মেও ধরবে কে?
মেগে এনে বিলিয়ে খায় হাতে হাতে স্বর্গ পায়
মেঘ না চাইতেই জল
মেজে ঘষে হল ক্ষয়, কালো কি তবু ধলো হয়
মেয়েদের শ্বশুর বাড়ি বলে কিছু নেই, সেটাই তার বাড়ি; বাপের বাড়ি বেরু বাড়ি
মেয়ের মায়ের পাঁচটা প্রাণ
মেরে তুলোধোনা করা
মোগল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি
মোগল পাঠান হদ্দ হল, ফারসি পড়েন তাঁতি, বাঘ পালাল বিড়াল এল, শিকার করতে হাতি
মোল্লার দৌড় মসজিদ অবধি/পর্যন্ত/তক
মৌনং সম্মতি লক্ষনম্
য
যঃ পলায়তি স জীবতি
যকের চোখে ঘুম নাই
যখন আদর জুটে, ফুটকলাই দিয়ে ফুটে; যখন আদর টুটে, ঢেঁকি দিয়ে কুটে যখনকার যা তখনকার তা
যখন তখন করে পাপ, সময় বুঝে ফলে পাপ
যখন বিধি মাপায়, তখন উপরি উপরি মাপায়
যখন যার কপাল ধরে শুকনো ডাঙায় ডিঙি সরে
যখন যার তখন তার
যখন যার পড়তা হয়, ধুলোমুঠো ধরে সোনামুঠো হয়
যখন যেমন তখন তেমন
যজমানী বামুনের অন্নাভাব নেই
যত কর তাড়াতাড়ি, খেয়াঘাটে গড়াগড়ি
যত কর পুতু পুতু, ততো হয় ছোলার ছাতু
যত গর্জে ততো বর্ষে না
যত দোষ নন্দ ঘোষ
যত পাই ততো খাই
যত বড় মুখ নয়, ততো বড় কথা
যত মত, ততো পথ
যত সয় ততো রয়
যত হাসি ততো কান্না, বলে গেছে রামশর্মা
যতই কর শিব সাধনা, কলঙ্কিনী নাম যাবে না
যতই করিবে দান ততো যাবে বেড়ে[বিদ্যা]
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ
যতন নহিলে নাহি মিলয়ে রতন
যম জামাই ভাগনা এ তিন নয় আপনা
যতো ধর্ম স্ততো জয়ঃ
যথারণ্যং তথা গৃহম্
যদ্ দৃষ্টং তল্লিখিতম্
যদু ধোপা, মধু ধোপা, সব ধোপারই এক চোপা
যুদ্ধের পরে সেপাই হাজির
যদি থাকে আগে পিছে, কি করে শাকে মাছে(আগে ঘি শেষে দুধ থাকলে)
যদি দেখে আঁটা আঁটি কাঁদিয়া ভিজায় মাটি
যদি বর্ষে আগনে, রাজা যায় মাগনে
যদি হয় সুজন, তেঁতুল পতায় ন’জন
যদি হয় সোনার ভাগারি,তবু ধরে লোহার কাটারি
যস্মিন্ দেশে যদাচারঃ
যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে
যাকে রাখ সেই রাখে
যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা
যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্ধির্ভবতি তাদৃশী
যাবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ; ভস্মীভূতস্য দেহস্য পুনরাগমনং কুতঃ
যার আছে মাটি,তারে নাহি আঁটি
যার কাজ তারে সাজে, অন্য লোকে লাঠি বাজে
যার কেউ নেই তার ভগবান আছে
যার গলা ধরে কাঁদি, তার নাহি পানি
যার ছেলে যত পায়, তার ছেলে ততো চায়
যার জন্য করি চুরি সে-ই বলে চোর
যার দৌলতে চুয়া চন্দন, তারি পাতে খোলার ব্যঞ্জন
যার ধন তার ধন নয়, নেপোয় মারে দই
যার নুন খাই তার গুণ গাই
যার বিয়ে তার মন নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই
যার বিয়ে তার মন নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই
যার যা রীত,ছাড়ে কদাচিৎ
যার শিল, যার নোড়া, তারই ভাঙি দাঁতের গোড়া
যারে না বামুন বলি তার গায়ে নামাবলী
যারে বললে ছি, তার রইল কি?
যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন
যে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে সে কুকুর কামড়ায় না
যে কথা রটে, তার কতক বটে
যে বাতাসে দাবানল বাড়ে, সেই বাতাসেই প্রদীপ নেভে
যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে
যে সহে সে রহে
যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়
যেখানেই আঁটাআঁটি, সেখানেই লাঠালাঠি
যেন তেন প্রকারেণ
যেমন কর্ম তেমনি ফল, মশা মারতে গালে চড়
যেমন সরা, তেমনি হাঁড়ি, গড়ে রেখেছে কুমোর বাড়ি
যোগ্যং যোগ্যেন যুজ্যতে
র
রুক্ষ মাথায় তেল দেয় না, তেলা মাথায় তেল
রক্ষকে ভক্ষণ করে, কে তারে রাখতে পারে?
রঙ থাকলে রাঙা কড়ি, রঙ ফুরোলে গড়াগড়ি
রতনে রতন চেনে
রথ দেখা আর কলা বেচা
রূপে ঢল ঢল গুণে পশরা, কেঁদে ম’ল যত ভুঁইছুঁচোরা
রাই কুড়িয়ে বেল
রাখে কৃষ্ণ মারে কে, মারে কৃষ্ণ রাখে কে?
রাজা থাকতে কোটালের দোহাই
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়
রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, স্ত্রীর দোষে স্বামীর কষ্ট
রাজার রাজপাট যোগী মুনির কাঁথা
রাজার রানি কানার কানী
রাজারও রায়ত নয়, সাধুরও খাতক নয়
রাত উপোসে হাতি পড়ে
রাঁধতে দেরি সয়, বাড়তে দেরি সয় না
রান্না খেতে কান্না পায়
রাম না হতে রামায়ণ
রাম ভজি কি রহিম ভজি?
রাম লক্ষণ দুটি ভাই, রথে চড়ে স্বর্গে যাই
রামের ভাই লক্ষণ আর কি!
রূপে হেনস্থা হয়, বিদ্যায় বিশ্ব জয়
রোগ মুড়িতে[মাথায়] আর ভুঁড়িতে
রোগের শেষ, আগুনের শেষ, শত্রুর শেষ, ঋণের শেষ, এ সবের শেষ রাখতে নেই
রোজার[ওঝা] ঘাড়ে বোঝা
ল
লক্ষ্মীর ঘরে কাল পেঁচা
লক্ষ্মীর পো ভিখ মাগে গো
লুকিয়ে খেলে শুকিয়ে যায়
লঙ্কায় রাবণ ম’ল, বেহুলা কেঁদে রাঁড়ী হল
লজ্জা নেই যায়, রাজা হারে তায়
লম্বা কোঁচায় নমস্কার
ললাটলিপি খণ্ডন করা যায় না
লাউশাকের বালি, আর অন্তরের কালি
লাখ কথার ওপর এক কথা
লাখ টাকা লাখ টাকা, দুকুড়ি দশ টাকা
লাখ টাকায় বামুন ভিখারি
লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন
লাগে তুক্ না লাগে তাক্
লাজে বউ খান না, চালতা হেন গ্রাস
লাজের মাথায় পড়ুক বাজ, সাধ গিয়ে আপন কাজ
লাট সাহেব আর কি!
লাথ সয় তো বাত সয় না
লাথির কাজ কি চড়ে হয়?
লাথির ঢেঁকি কি চড়ে ওঠে?
লাথির ঢেঁকি মাথয় চড়ে
লাভে লোহা বয়
লাভের গুড় পিঁপড়েয় খায়
লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে, মৎস্য মারিব খাইব সুখে
লেখা নয় যেন আরশোলার পায়ের ছাপ
লেখা পড়া করে যেই, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সেই
লেগে থাকলে মেগে খায় না
লেঙটার নাই বাটপারের ভয়
লোকে বলে আছে ভাল, শালুক খেয়ে দাঁত কালো
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
লোম বাছতে কম্বল উজাড়
লোহা পাথরে যুদ্ধ করে, শোলা দিদি পুড়ে মরে
শ
শংকরাকে খেলে বাঘে, অন্যেরা কোথায় লেগে?
শক্ত মাটিতে বিড়াল আঁচড়ায় না
শক্তের তিনকুল মুক্ত
শক্তের ভক্ত নরমের যম/বাঘ
শুকনো ডাল ভাঙলেও নোয় না
শুকনো কাঠে ব্রহ্মশাপ
শুকনো গাছে জল সেঁচা
শুকনো ডাঙায় আছাড় খাওয়া
শঠে শাঠ্যং সমাচারেৎ
শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল
শতং বদ মা লিখ
শতং মাড়িং ভবেৎ বৈদ্যঃ, সহস্র মাড়িং চিকিৎসকঃ[মাড়িং=ঘোঁটানো]
শত্রুর মুখে ছাই দেওয়া
শত্রুর শেষ রাখতে নাই
শুধু কথায় চিঁড়ে ভেজে না
শুধু গৌর নয়, গৌরহরি
শুধু মেঘে মাটি ভেজে না
শূন্য কলসি বাজে বেশি
শনির দৃষ্টি হলে পোড়া শোলও পালায়
শনৈঃ পর্বত লঙ্ঘনম্
শ্বশুর বাড়ি মধুর হাঁড়ি, তিন দিন পরে ঝাঁটা বাড়ি
শ্বা যদি ক্রিয়তে রাজা, স কিং নাশ্নাত্যুপানহম্
শ্বেত চামর আর কোষ্টা পাট(এক নয়)
শুভস্য শীঘ্রম্ অশুভস্য কালহরণম্
শমন-দমন রাবণ রাজা, রাবণ-দমন রাম
শ্যাম রাখি না কুল রাখি?
শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়ে সেই বাঘে মানুষ মারে
শুয়োরের কপালে গঙ্গামাটির ফোঁটা
শ্রদ্ধার যা পাই হাত পেতে খাই
শরীরং খলু ব্যাধিমন্দিরম্
শরীরমাদ্যং খলু ধর্মসাধনম্
শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়
শসাবেচুনি বেচে শশা, তার হয়েছে সুখের দশা
শাক অম্বল পান্তা, তিন ওষুধের হন্তা
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা
শাক-চোরকে শূলে
শাঁখাহাতী শাখা নাড়ে, বেড়াল ভাবে ভাত বাড়ে
শাঁখের করাত আসতেও কাটে যেতেও কাটে
শানকির উপরে বজ্রাঘাত
শাপে বর হওয়া
শামুক দিয়ে সাগর সেঁচা
শাল চোরকে শূলে দেওয়া
শালুক চিনেছেন গোপাল ঠাকুর
শালগ্রাম পোড়ায়ে খেয়ে নুড়ি দেখে ভয়
শালগ্রামের শোয়া বসা সমান
শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢোকা
শিকল কাটা টিয়া পোষ মানে না
শিকারি বেড়ালের গোঁফ দেখলে চেনা যায়
শিখলি কোথা, না দেখলাম যেথা
শিখেছ কোথায়, ঠেকেছি যেথায়
শিব গড়তে বাঁদর হল
শিবের কন্যা শিবকে দান
শিবের সঙ্গে খোঁজ নেই গাজনের ঘটা
শিয়রে রাজা, কোটালের দোহাই
শিরে কৈলে সর্পাঘাত তাগা বাঁধবি কোথা?
শেয়ানা ঘুঘুর ছা, ফাঁদে দেয় না পা
শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি
শেয়ালের বাড়ি নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
শেষ রক্ষাই রক্ষা
ষ
ষট্কর্ণে মন্ত্রভেদ
ষাঁড়ের শত্রু বাঘে মারে
ষেঠের বাছা ষষ্ঠীর দাস
ষোল আনা বাজিয়ে নেওয়া
ষোল আনাই ভুয়ো, ষোল কড়াই কানা
ষোল আনাই লাভ
স
স’য়ে থাকলে র’য়ে যায়
সংসর্গজা দোষগুণা ভবন্তি
সংসার আনন্দময় যার মনে যা লয়
সকল নোড়াই শালগ্রাম হলে হলুদ বাটি কিসে?
সকল পাখিতেই মাছ খায়, নাম পড়ে মাছরাঙার
সকল ব্রতই করলে যশী, বাকি আছে ভীম একাদশী
সখা যার সুদর্শন[কৃষ্ণ] তার সঙ্গে কি সাজে রণ?
সখি লো সখি আপনার মান আপনি রাখি
সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়
সুখের ঘরে রূপের বাসা
সুখের চেয়ে স্বস্তি ভাল
সুখের প্রাণ গড়ের মাঠ
সঙ্গদোষে কি না হয়, ছুঁচো ছুঁলে গন্ধ হয়
সজনে শাক বলে আমি সকল শাকের হেলা, আমার খোঁজ কেবল টানাটানির বেলা
সজনে শাকে নুন জোটে না, মসুর ডালে ঘি
সুঁচ গড়তে জানে না, বন্দুকের বায়না নেয়
সুঁচ গলে না কোদাল চালায়
সুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনো
সুঁচ, সোহাগা, সুজন, ভাঙ্গা গড়ে তিনজন
সুজন-পিরিত সোনা, ভেঙে গড়া যায়;কুজন-পিরিত কাচ, ভাঙিলে ফুরায় সুদিনের বারো ভাই, কুদিনের কেউ নাই
স্ত্রিয়াশ্চরিত্রং পুরুষস্য ভাগ্যং দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ
স্ত্রী ভাগ্যে ধন, পুরুষ ভাগ্যে জন
স্ত্রী রত্নং দুষ্কুলাদপি
স্ত্রীবুদ্ধি প্রলয়ংকরী
সতী হল কবে, সে মরেছে যবে(মৃত্যুর পরে সতীত্বের নিশ্চয়তা প্রাপ্তি) সত্যের দ্বারে আগড় নাই
সদরে সূঁচ চলে না, মফস্সলে[মফঃস্বল] হাতি চলে
সন্দেশের খোসা ফেলে খাওয়া
সন্ন্যাসীর অল্প ছিদ্র গায় সর্বজন, শুভ্রবস্ত্রে মসীবিন্দু দেখায় যেমন
সন্নেসি চোর, না বোঁচকায় ঘটায়
স্পষ্ট কথায় কষ্ট নাই
সফরী ফর্ফরায়তে অগাধজলসঞ্চারী বিকারী ন চ রোহিতঃ; গণ্ডূষজলমাত্রেণ সফরী ফর্ফরায়তে
সব কাজে যার হুঁশ, তারে কয় মানুষ
সব জন্তু মোট বয় ধরা পড়েছে গাধা
সব ঝিনুকে মুক্তা নেই
সব ভালো যার শেষ ভালো
সব শিয়ালের এক রা
সব শেয়ালে কাঁটাল খেলে বকের মুখে আঠা
স্বদেশের ঠাকুর, বিদেশের কুকুর
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ
স্বনামা পুরুষো ধন্যঃ
স্বভাব যায় না ম’লে, ইল্লত যায় না ধুলে
স্বভাবে করে না অভাবে করে
স্বর্গ হতে পাওয়া
স্বর্গে তুলে দেওয়া
স্বর্গে দাসত্ব অপেক্ষা নরকে রাজত্ব ভাল
সবুরে মেওয়া ফলে
স্বল্পা বিদ্যা ভয়ংকরী
সবাই কৃষ্ণের নাম করে আমি বললেই মারে
সবাইকে পারা যায়, পায়ে পড়াকে পারা যায় না
স্বামী নাই, পুত্র নাই, কপালভরা সিঁদুর, ধান নাই, চাল নাই, গোলাভরা ইঁদুর স্বামীর কিবা সুখ, পৌষমাসে ভাতের দুখ
স্বামীর মা শাশুড়ি, তারে বড় মানি, কোথা হতে এলেন আমার খুড় শাশ-ঠাকুরানী স্রোতে ঘা ঢালা
সবে কলির সন্ধে
সবে ধন নীলমণি
সমুদ্রে পাতিয়া শয্যা শিশিরে কি ভয়?
সমুদ্রে পাদ্য অর্ঘ্য
সমুদ্রের জল বাড়েও না কমেও না
সম্পূর্ণকুম্ভো ন করোতি শব্দম্
সময় কারও হাতে ধরা নয়
সময়গুণে আপন পর, খোঁড়া গাধার ঘোড়ার দর
সময়ে না দেয় চাষ, তার দুঃখ বারোমাস
সময়ের এক কথা অসময়ে শত
সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়
সর্বঃ কান্তমাত্মীয়ং পশ্যতি
সর্বমত্যন্তগর্হিতম্
সৎসঙ্গে স্বর্গবাস অসৎসঙ্গে সর্বনাশ
সস্তার তিন অবস্থা
স-সে-মি-রা[চারটি সংস্কৃত শ্লোকের প্রথম অক্ষর]
সাজতে গুজতে দোল ফুরাল
সাত কুঁড়ের ঘর গোঁসাই রক্ষা কর
সাত কাণ্ড রামায়ণ পড়ে সীতা রামের পিসি
সাত খুন মাফ
সাত ঘাটের জল একঘাটে করা
সাত ঘাটের জল খাওয়া
সাত ঘাটের জল খাওয়ানো
সাত চড়ে মশা মারা
সাত চড়ে রা’ কাড়ে না
সাত নকলে আসল খাস্তা
সাত পাঁচ খতিয়ে মনে, চাষ করে না সোনার বেনে
সাত বার খেয়ে একাদশী
সাত মন তেলও পুড়বে না রাধাও নাচবে না
সাত রাজার ধন এক মানিক
সাত সতীনে ঘরকন্না, বাড়ির গিন্নি ভাত পান না
সাত সতীনে নড়ি চড়ি, বেড়া আগুনে পুড়ে মরি
সাত সমুদ্র তের নদী পার
সাঁতার দিয়া সিন্ধু পার
সাঁতার না জানলে বাপের পুকুরেও ডুবে মরে
সাতেও না পাঁচেও না
সাধ কত ছিল রে চিতে, মলের আগে চুটকি দিতে
সাধুনাং দর্শনং পুন্যম্
সাধলে জামাই কাঁটাল খান না, শেষে জামাই খোসা পান না
সাধলে জামাই খায় না কাঁঠাল, ভোতা[কাঁঠালের দণ্ড] নিয়ে টানাটানি
সাধে কি আর বাবা বলি গুঁতোর চোটে বাবা বলায়
সাধের কমল তুলতে গিয়ে হাতে ফুটল কাঁটা
সাধের কাজল পরতে গিয়ে চক্ষু হল কানা
সানাইয়ের পোঁ ধরা
সাপ ম’লেই সোজা
সাপ মারলে শিবের লাগে
সাপ যেখানে নেউল সেখানে
সাপ হয়ে দংশে ওঝা হয়ে ঝাড়ে
সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে
সাপকে দুধ খাওয়ালেও বিষ কমে না
সাপে ডরায় ব্যাঙাকে, ব্যাঙা ডরায় সাপকে
সাপের ছুঁচো গেলা
সাপের পাঁচ পা দেখেছ?
সাপের লেখা বাঘের দেখা
সাপের লেজে পা দেওয়া
সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে
সাবধানের মার নেই
সারা দিন থাকব নায়, কখন দিব খড়ম পায়?
সারা দিন বঁড়শি হাতে, সন্ধেবেলা আমড়া ভাতে
সারা দিন যায় হেসে খেলে, সন্ধেবেলা বৌ কাপাস(কার্পাস তুলো) ডলে
সিংহের বেটা শেয়াল হয় না
সিংহের ভাগ শেয়ালে খায়
সিধে আঙুলে ঘি ওঠে না
সিন্দুকের কাছে ধার করা
সিন্নি দেখে এগোয়, কোঁৎকা দেখে পিছোয়
সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর
সে কাল গেছে বয়ে, এঁটে কচু খেয়ে
সে গুড়ে বালি
সে বড় কঠিন ঠাঁই গুরু শিষ্যে দেখা নেই
সে রামও নাই, সে অযোধ্যাও নাই
সেই কড়ি ক্ষয় তবু বৌ সুন্দর নয়
সেই গাধা জল খায়, তারে ঘুলিয়ে ঘুলিয়ে নেয়
সেই তো মল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি?
সেই ধানে সেই চাল, গিন্নি বিনে আলথাল
সেই বুড়ি নাচে কত কাচা কাচে
সেকরা বাড়ির বিড়াল ঠুকঠুকুনিতে ভয় পায় না
সেকরার ঠুকঠাক কামারের এক ঘা
সেধে পেড়ে ভাব, আর মেজে ঘষে রূপ
সেধো ভাত খাবি, না হাত ধুয়ে বসে আছি
সেয়ানে ঠকলে বাপকেও বলে না
সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না
সোঁদর বনের বাঁদর রাজা
সোনা ফেলে আঁচলে গেরো
সোনা বলে জ্ঞান ছিল, কষিতে পিতল হল
সোনার উপর মিনের কাজ
সোনার ওজন কুঁচের সহিত
সোনার থালে ক্ষুদের জাউ
সোনার দাঁড়ে কাক বসানো
সোনার লঙ্কা ছারখার
সোমে বুধে ধানের গোলায় না দিও হাত, ধার করে খেও ভাত
সৌরভে ভ্রমর মজে
হ
হংসমধ্যে বকো যথা
হাঁ কর তুমি, বত্রিশ নাড়ি গুনি আমি
হওয়া ভাতে কাঠি
হক কথা বলব, বন্ধু বেগড়ায় বেগড়াবে, পেট ভরে খাব, লক্ষ্মী ছাড়ে ছাড়বে হক কথার মার নেই
হক কথাতে আহাম্মক রুষ্ট
হবু ছেলের অন্নপ্রশান
হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী
হয় না হয় বিয়ে, ঢাক বাজাও গিয়ে
হয় যদি তিলটা, কয় তবে তালটা
হয়কে নয়, নয়কে হয় করা
হ্যাঁপায় পড়ে ট্যাপা ভাসে স্রোতে
হরি ঘোষের গোয়াল
হরি বড় দয়াময়, কথায় বটে কাজে নয়
হরি বাঁচান প্রাণ বৈদ্যের বাড়ে মান
হরির খুড়ো মাধাই দাস(সম্পর্কহীন)
হরে দরে হাঁটু জল
হলুদ জব্দ শিলে, ঝি/বউ জব্দ কিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে
হলুদ গুঁড়ো, নুনের গুঁড়ো(সকল কাজে হস্তক্ষেপ করা লোক)
হা’ল ছেড়ে দেওয়া
হা’ল যদি ধরে ঠেসে, যায় কি তরী তুফানে ভেসে?
হা’লে পানি পায় না
হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না
হাগুন্তির লাজ নাই, দেখুন্তির লাজ
হাজার টাকা দিলেও কাটা কান জোড়া লাগে না
হাঁটবার আগে হামাগুড়ি
হাটে কলা নৈবেদ্যায় নমঃ
হাটে কি দর চাল, না মামার ভাতে আছি
হাটে গেল কার মা, দেখে এল বাঘের পা
হাটে হাঁড়ি ভাঙা
হাড় এক ঠাঁই মাস এক ঠাঁই করা
হাড় খাব মাস খাব, চাম দিয়ে ডুগডুগি বাজাব
হাঁড়ির ভাত একটা টিপলেই সবার খবর মেলে
হাড়ে ভেলকি খেলে
হাত ঝাড়লে পর্বত
হাত দিয়ে জল গলে না
হাতি কাদায় পড়লে চামচিকেও লাথি মারে
হাতি পড়লে আড়ে চামচিকেতেও লাথি মারে
হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল?
হাতি চড়ে ভিক্ষে মাঙি, ইচ্ছেয় না দাও ঘর ভাঙি
হাতি দিয়ে হাতি ধরা
হাতি পড়েছে দকে, ঠোকর দিচ্ছে বকে
হাতি পাঁকে পড়লে হাতিই উদ্ধার করে
হাতি মলে’ও ঘোড়ার দুনো
হাতির কাঁধে আসে যায়, হাম্বারবে মুচ্ছো যায়
হাতির দম্ভ চূর্ণ হয় পাহাড়ের কাছে
হাতে কড়ি পায়ে বল, তবে যাই নীলাচল
হাতে কালি মুখে কালি বাছা আমার লিখে এলি?
হাতে দই পাতে দই, তবু বলে কই কই?
হাতে না মেরে ভাতে মারা
হাতে নেই কানাকড়ি, করে বেড়ায় বাড়াবাড়ি
হাতে পাঁজি মঙ্গলবার
হাতে মাথা কাটা
হাতে যদি নাই ধন, পাঁচে হও এক মন
হাতে যদি ফল পাই, তবে কি আঁকশি চাই
হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না
হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা
হাতের শাঁখা দর্পণে দেখা
হাতেরও যাবে পাতেরও যাবে
হাভেতে যবে ফকির হল, দেশেও মন্বন্তর এল
হাভেতের দুনো গ্রাস
হায় রে আমড়া, কেবল আঁটি আর চামড়া
হারিয়ে তারিয়ে কাশ্যপ গোত্র
হারিলে ঘরের ভাত, জিতিলেও তাই
হালে বয় না, তেড়ে গুঁতোয়
হিঁদু যদি মুসলমান হয়, মুরগি খেতে কম নয়
হিঁদু মোছলমান হলে গরু খায় গিলে গিলে
হিসেবের গরু বাঘে খায় না
হেলায় কর্ম নষ্ট, বুদ্ধি নষ্ট নির্ধনে, যাচনে মান নষ্ট, ভোজন নষ্ট দই বিনে
হেলে ধরতে পারে না কেউটে ধরতে যায়
হেলে যায় চষতে, বামুন যায় বসতে
হেলে যায় হাল নিয়ে, বিধাতা যায় তুল[তুলাদণ্ড] নিয়ে
হেসে হেসে কথা কয় সে হাসি তো ভালো নয়
=============
১৪/০৬/২০০৮ শনিবার
০৪/১১/২০০৮ মঙ্গলবার
০৪/০৬/২০১০ শুক্রবার
২৪/০৮/২০১০ মঙ্গলবার
২২/১০/২০১৮ সোমবার
সংগ্রহ
===========================
সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে হবে
বিনামূল্যে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট সরাসরি ডাউনলোড করুন নিচের এই লিংকে ক্লিক করে
উন্নত বাংলা ফন্ট ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
অহনলিপি-বাংলা১৪
ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং (AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)
(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)
on
internet(Mozilla Firefox)
(top left)
Tools
Options > contents
Fonts & Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for:
=Bengali
Proportional
= Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans
Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
--OK
Languages
Choose your preferred Language for
displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
--OK
--OK
এবার ইন্টারনেট খুললে অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্টে
সকলকিছু দেখা যাবে এবং সকল কিছু লেখাও
যাবে
যুক্তবর্ণ সরল গঠনের
বুঝতে লিখতে পড়তে সহজ
==========================
প্রবাদ
সংগ্রহ
বাংলা প্রবাদ, প্রবচন, বচন সংগ্রহ
বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত প্রবাদসমূহ
==========================
প্রবাদে অনেক স্পষ্ট ঠোঁটকাটা কথা আছে বটে, তবে লক্ষ করা যাচ্ছে প্রবাদের সিংহভাগই
অন্যকে হেয় করায় ব্যস্ত
নানা যুগের সমাজচিত্রও এতে প্রতিফলিত
অ
অকাজে বউড়ী দড়,লাউ কুটতে খরতর
অকাল গেল সুকাল এল, পাকল কাঁটাল কোষ, আজ বন্ধু ছেড়ে যাও, দিয়ে আমার দোষ
অকালে খেয়েছ কচু,মনে রেখ কিছু কিছু
অকালে না নোয় বাঁশ,বাঁশ করে ট্যাঁশ ট্যাঁশ
অকালে(আকালে) কি না খায়
অকালের তাল বড় মিষ্টি
অকেজো নাপিতের বোঝা ভরা খুর
অকেজো বউ লাউ কুটতে দড়
অকেজোর তিন কাজ বড়,ভোজন ক্রোধ নিদ্রা দড়
অগ্নি ব্যাধি ঋণ,তিনের রেখো না চিন(চিহ্ন)
অঘটির(আদেখলের) ঘটি হল,জল খেতে খেতে প্রাণটা গেল
অঙ্গারঃ শতধৌতেন মলিনত্বং ন মুঞ্চতি
অজগরের দাতা রাম(অজগর আহার সংগ্রহে অলস)
অজ্ঞানে করে পাপ,জ্ঞান হলে সরে, সজ্ঞানে করে পাপ,সঙ্গে সঙ্গে ফেরে
অজাযুদ্ধে ঋষিশ্রাদ্ধে প্রভাতে মেঘডম্বরে দম্পত্যোঃ কলহে চৈব বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া
অজার যুদ্ধে আঁটুনি সার
অজীর্ণে ভোজনং বিষম্
অতি আশ সর্বনাশ
অতি চালাকের গলায় দড়ি অতি বোকার পায়ে বেড়ি
অতি প্রণয় যেখানে, নিত্য যাবে না সেখানে;যদি যাবে নিত্যি;ঘটবে একটা কীর্তি
অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর;অতি বড় সুন্দরী না পায় বর
অতি বড় সোদর, তিন দিন করবে আদর
অতি বুদ্ধির গলায়(বা হাতে)দড়ি,অতি বোকার পায়ে বেড়ি
অতি বুদ্ধির হা-ভাত অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ
অতি বাড় বেড়ো নাকো ঝড়ে ভেঙে যাবে;অতি ছোট হয়ো নাকো ছাগলে মুড়াবে
অতি মন্থনে বিষ ওঠে
অতি মেঘে অনাবৃষ্টি
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট
অতিদর্পে হতা লঙ্কা অতিদানে বলির পাতালে হইল ঠাঁই
অদন্তের দাঁত হল, কামড় খেতে প্রাণটা গেল
অদন্তের হাসি, দেখতে(বড়) ভালবাসি
অদৃষ্টে করলা ভাতে, বীচি কচ কচ করে তাতে,পড়ল বীচি বুড়োর পাতে অদৃষ্টের (কপালের) কিল পুতেও(পুত--ছেলে) কিলোয়
অদৃষ্টের ফল, কে খণ্ডাবে বল?
অধিক (অনেক)সন্যাসীতে গাজন নষ্ট
অধিক খেতে করে আশা,তার নাম বুদ্ধি নাশা
অধিকং তু ন দোষায়
অনটনের দুনো ব্যয়
অন্তরে এত খলতা, মুখে তোর অতি শীলতা, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ__দাশু রায়
অন্ধ জাগো, না, কিবা রাত্রি কিবা দিন
অন্ধকারে ঢেলা মারা বা ঢিল ছোঁড়া
অন্ধকারে লাউ কোটা
অন্ধের কিবা রাত কিবা দিন
অন্ধের নড়ি, কৃপণের কড়ি
অন্ন দেখে দেবে ঘি, পাত্র দেখে দেবে ঝি
অন্ন নাই যার ঘরে,তার মানে কি বা করে
অন্ন বল নেই,অগ্নিবল আছে
অন্ন বিনা চর্ম দড়ি,তৈল বিনা গায়ে খড়ি
অন্নচিন্তা চমৎকারা কাতরে কবিতা কুতঃ
অন্নচিন্তা চমৎকারা কালিদাস হয় বুদ্ধিহারা
অন্নচিন্তা চমৎকারা, ঘরে ভাত নাই জীয়ন্তে মরা
অন্নের জ্বালা বড় জ্বালা এক দিনে লাগে তালা
অনভ্যাসের ফোঁটা কপালে চড়চড় করে
অনাথের দৈব সখা
অনাবৃষ্টে রাজ্য মজে,পাপে মজে ধর্ম;কোটালে গৃহস্থ মজে,আলস্যে মজে কর্ম অনেক কালের ছি পাপ,ছেলে হল সতীনের বাপ
অনাহ্বানের নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
অনেক খাবে তো অল্প খাও,অল্পখাবে তো অনেক খাও
অনেক গর্জনে ফোঁটা বৃষ্টি
অনেক সন্যাসীতে গাজন নষ্ট
অনেক হল পাপ, এবার ছাড়ো বাপ
অনেক(অগাধ) জলের মাছ
অপব্যয়ে লক্ষ্মী ছাড়ে
অবংশো পতিতো রাজা মূর্খ পুত্রশ্চ পণ্ডিতঃ, অধনশ্চ ধনং প্রাপ্য তৃণবন্মন্যতে জগৎ
অবুঝে বুঝাব কত,বুঝ নাহি মানে;ঢেঁকিরে বুঝাব কত,নিত্য ধান ভানে অবোধারে মারে বোধায়,বোধারে মারে খোদায়
অব্রাহ্মণের দীর্ঘ ফোঁটা
অবলার মুখে বল
অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা
অবাক্ ক’ল্লে নাকের নথে,কাজ কি আমার কানবালাতে
অবাক কল্লি ভবি(রাধা),অম্বলে দিলি আদা
অবাক্ কলির অবতার,ছুঁচোর গলায় চন্ত্রহার
অবোধের(পাগলের) গোবধে আনন্দ[গো বধ মহাপাপ]
অবোলা বলে দড়, অফলা ফলে দড়
অভদ্রা বরষা কাল,হরিণী চাটে বাঘের গাল
অভ্যাস দোষ না ছাড়ে চোরে, শূন্য ভিটায় মাটি খোঁড়ে
অভ্যাসে সয়, অনভ্যাসে নয়
অভাগা চোর যে বাড়ি যায়, হয় কুকুর ডাকে নয় রাত পোহায়
অভাগা যদ্যপি(যেদিকে) চায়, সাগর শুকায়ে যায়
অভাগার ঘোড়া মরে, ভাগ্যবানের বউ মরে
অভাগার নাই যম, বা অভাগার যমও নাই
অভাগিনীর দুটো(দুই)পুত, একটা দানা একটা ভূত
অভাবে স্বভাব নষ্ট
অভাবে স্বভাব নষ্ট মুখ নষ্ট বরণে(ব্রণে),ঝরায় ক্ষেত নষ্ট স্ত্রী নষ্ট মারণে(মারধর) করলে
অমৃত-বা কি পদার্থ, খেয়ে দেখি জল
অমৃতং বালভাষিতম্
অমাবস্যার প্রদীপ টিপ টিপ করে
অর্থই অনর্থের মূলে
অরসিকেষু রসস্য নিবেদনম্
অরাধুনীর হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে, না জানি রাধুনী মোর কেমন করে রাঁধে অরুচির অম্বল শীতের কম্বল বর্ষার ছাতি ভট্চায্যির পাঁতি(পুথি)
অলক্ষীর নিদ্রা বেশি, কাঙালের ক্ষুধা বেশি
অলকা তিলকা(=অঙ্গরাগ) সার অলক্ষীর দ্বিগুণ ক্ষিদে
অল্প জলের পুঁটি মাছ ফর ফর করে
অল্প বৃষ্টিতে কাদা হয়,বেশি বৃষ্টিতে সাদা হয়
অল্প শোকে কাতর,অধিক শোকে পাথর
অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী
অলাভের বাণিজ্যে কচকচি সার
অশথের ছায়াই ছায়া,মায়ের মায়াই মায়া
অশ্বত্থামা হত ইতি গজ
অস্থানে তুলসী,অপাত্রে রূপসী
অসারে জল সার
অসারের তর্জনগর্জন সার
অহংকারে গদগদ ভূমিতে না পড়ে পদ
আ
আউলে বাঘ জালে পড়ে(আউলে=অস্থির)
আকালে কিনা খায়;পাগলে কিনা কয়
আকাঙ্ক্ষার সীমা নাই
আকাশ পাতাল তফাত
আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া
আকাশে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে
আকাশে ফাঁদ পেতে চাঁদ ধরা
আগ নাংলা(নাঙ্গলে) যেদিকে যায়,পাছ নাংলা(নাঙ্গলে) সেদিকে ধায়
আগুন চাপা থাকবার নয়
আগুন নিয়ে খেলা
আগুন পোহাতে গেলে ধোঁয়া সইতে হয়
আগুনের কাছে ঘি আগু লাথ,পিছু বাত
আগাছার বড় বাড়
আগে আপন সামাল কর,শেষে পরকে গিয়ে ধর
আগে গেলে বাঘে খায়, পাছে গেলে সোনা পায়
আগে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা,পিছে গেলেও নির্বংশের ব্যাটা
আগে তিতা, শেষে মিঠা
আগে দুঃখ পরে সুখ
আগে দর্শনধারী পিছে গুণ বিচারি
আগে দেও কড়ি পিছে দিব বড়ি
আগে দেখ, পরে লও, শেষে দাও কড়ি
আগে না বুঝিলে বাছা যৌবনের ভরে,পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে
আগে ভাল ছিল জেলে জালদড়া বুনে, কি কাজ করিল জেলে এঁড়ে গরু কিনে
আচরো বিনয়ো বিদ্যা প্রতিষ্ঠা তীর্থদর্শনম্; নিষ্ঠা বৃত্তিস্তপো দানং নবধা কুললক্ষণম্ সদাচার, বিনয়, বিদ্যা, খ্যাতি, তীর্থদর্শন, শাস্ত্রানুমোদিত ধর্মে আসক্তি, ব্রাহ্মণোচিত বৃত্তি(অর্থাৎ বেদাধ্যয়ন প্রভৃতি), তপস্যা এবং দান__ এই নয়টি কুলীনের লক্ষণ
আচারে বাড়া, বিচারে এড়া
আজ আমীর, কাল ফকির
আজ মরলে কাল দু’দিন হবে
আঁটুনি কসুনি সার
আঁটাআঁটি হইলেই লাঠালাঠি
আটে-পিটে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড়
আড়াই আঙ্গুল দড়ি,সৃষ্টি জুড়ে বেড়ি
আড়াই কড়ার কাসুন্দি, হাজার কাকের গোল
আঁত পাওয়া ভার
আত্ম রেখে ধর্ম,তবে পিতৃ কর্ম
আত্মবন্মন্যতে জগৎ
আত্মানং সতত রক্ষেৎ[আপদার্থে ধনং রক্ষেৎ দারান্ রক্ষেদ্ধনৈরপি;আত্মানং সতত রক্ষেৎ দারৈরপি ধনৈরপি] আতুরে নিয়মো নাস্তি
আতি চোর,পাতি চোর,হ’তে হ’তে সিঁদেল চোর
আদ্যিকাণ্ডের কথা, বললে পাবে ব্যথা
আদ্যিকালের বদ্যি বুড়ো
আদরে ভোজন কি করে ব্যঞ্জন
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
আদা শুকালেও ঝাল যায় না
আদা, ওষুধের আধা
আদা জল খেয়ে লাগা
আদাড় গাঁয়ে শিয়াল রাজা
আদায় কাঁচকলায় সম্বন্ধ
আদার ব্যাপারি, জাহাজের খবরে কাজ কি
আদি কহিলে মানুষ রুষ্ট
আন্ কাপাস নে তুলো
আন্ শুনতে কান
আন সতীনে নাড়ে চাড়ে,বোন সতীনে পুড়িয়ে মারে
আনারস বলে কাঁঠাল ভাই তুমি বড় খসখসে
আপ ভালা তো জগৎ ভালা
আপ রুচি খানা, পর রুচি পরনা
আপন কোটে পাই চিঁড়ে কুটে খাই
আপন কোলে ঝোল সবাই টানে
আপন গাঁয়ে কুকুর রাজা
আপন ঘরে সবাই রাজা
আপন চরকায় তেল দাও
আপন চেয়ে পর ভাল,পর চেয়ে জঙ্গল ভাল
আপন ছিদ্র জানে না, পরের ছিদ্র খোঁজে
আপন পাঁজি পরকে দিয়ে, দৈবজ্ঞ বেড়ায় পথে পথে
আপন পাঁঠা লেজে কাটি
আপন বুদ্ধি ছিল ভাল,পর বুদ্ধিতে পাগল হল
আপন বুদ্ধিতে তর, পরের বুদ্ধিতে মর
আপন বুদ্ধিতে ফকির হই, পর বুদ্ধিতে বাদশা নই
আপন বুদ্ধিতে ভাত, পরের বুদ্ধিতে হাভাত
আপন বেলা চাপন চোপন,পরের বেলা ঝুরঝুরে মাপন
আপন বোন ভাত পায় না,শালীর তরে মণ্ডা
আপন ভালো পাগলেও বোঝে
আপন হাত জগন্নাথ, পরের হাত এঁটো পাত
আপন(আপনার) ঘোল কেউ টক বলে না
আপন(আপনার) মান আপনি রাখ,কাটা কান চুল দিয়ে ঢাক
আপন(আপনারা/নিজের) নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ
আপন(নিজের) বেলায় আঁটিসাটি পরের বেলায় দাঁত কপাটি
অপনা মাংসেঁ হরিণা বৈরি--ভুসুক
আপনার আপনি,ডোর আর কপনি
আপনার কিছু নয়, জগৎ কেবল মায়াময়
আপনার ছেলটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি, পরের ছেলেটা খায় এতটা,বেড়ায় যেন বাঁদরটা
আপনার ধন পরকে দিয়ে,দৈবকী মরে মাথায় হাত দিয়ে[দৈবকী=শ্রীকৃষ্ণের জননী]
আপনার নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা
আপনার পায়ে আপনি কুড়ুল মারা
আপনার বেলায় ছ’ কড়ায় গণ্ডা,পরের বেলায় তিন গণ্ডা আপনার মতো জগৎ দেখা
আপনার(নিজের) পায়ে কুড়ুল মারা
আপনারটা ষোল আনা,পরেরটা কিছু না
আপনি গেলে ঘোল পায় না, চাকরকে পাঠায় দুধের তরে
আপনি ঠাকুর ভাত পায় না,শংকরাকে ডাকে
আপনি পায় না, পরকে বিলায়
আপনি বড় ভাল, তাই লোককে বলে কালো
আপনি বাঁচলে বাপের নাম
আপনি শুতে জায়গা পায় না, শংকরাকে ডাক
আবর তাঁতি গোবর খায়,স্ত্রীর বাক্যে মরতে যায়
আম না থাকলে আমড়া চোষে
আম না পেয়ে আঁটি চোষা
আম না হতে আমসত্ত্ব
আম শুকোলে আমসি,বয়স গেলে কাঁদতে বসি
আমড়া কাঠের ঢেকি
আমড়াতলায় আম পেলে, আমতলায় কেবা যায়
আমার আমার যত কর,চিনির বলদ হয়ে মর
আমার কথা শোন্, ঘরদোর ভেঙে ফেলে নটে শাক বোন
আমার নাম নিতাই, এক খাই এক থিতাই
আমি করি ভাই ভাই, দাদার কিন্তু মনে নাই
আমি কি নাচতে জানি নে,মাজার ব্যথায় পারিনে
আমিও ফকির হলেম,দেশেও আকাল এল
আমে দুধে এক হয়,আদাড়ের আঁটি আদাড়ে যায়
আমে বান,তেঁতুলে ধান
আয় বুঝে ব্যয়
আর কি নেড়া বেলতলা যায়?
আর গাব খাব না, গাবতলা দিয়ে যাব না,গাব খাব না-- খাব কি গাবের তুল্য আছে কি?
আরগুণ নেই ছাড়গুণ আছে
আর রাজ্যে বামুন নেই,কাশী ঠাকুর চিঁড়ে খাও
আরশোলা আবার পাখি
আরশোলাও পাখি, আছে আর কি দেখতে বাকি
আলস্য হেন ধন থাকতে দুঃখের অভাব কি?
আশা আর ফুঁ আছে, দুধ আর বাটি নেই
আশা আর বাসা ছোট করতে নেই
আশা আর বাসা ছোট করে মরে চাষা
আশা আশা পরম দুখ,নিরাশাই পরম সুখ
আশা বৈতরণী নদী
আশায় আমার পড়ল ছাই,এখন বল কোথায় যাই?
আশায় খেলিছে পাশা
আশায় বাঁচে চাষা
আশায় মরে চাষা
আশার চেয়ে নিরাশা ভাল, হয়ে গেল তো হয়ে গেল
আশার আর শেষ নাই
আষাঢ়ে না হলে সূত,হা সূত যো সূত, ষোলতে না হলে পুত, হা পুত যো পুত
আষাঢ়ে পান চাষাড়ে খায়,গুয়া বনে পান গড়াগড়ি যায়
আসতেও একা যেতেও একা,কার সঙ্গে বা কার দেখা
আসর ঘরে মশাল নেই, ঢেঁকিশালে চাঁদোয়া
আসলের খোঁজ নেই, সুদের খবর আসেন লক্ষ্মী যান বালাই
আহ্লাদে আটখানা, ল্যাজা মুড়ো দশখানা
ই
ইঙ্গিতে বুঝলে মন কাজ হতে কতক্ষণ
ইচ্ছা থাকে যার উপায় হয় তার
ইজ্জতের দাম লাখ টাকা
ইটটি মারলেই পাটকেলটি খেতে হয়
ইতো ভ্রষ্টস্ততো নষ্টঃ ন পূর্ব ন পর
ইঁদুর গর্ত খুঁড়ে মরে,সাপ এসে দখল করে
ইন্দ্রের শচী(যখনি যাহার, তখনি তাহার)
ইল্লৎ যায় না ধুলে,স্বভাব যায় না মলে
ইস্তক জুতো সেলাই, নাগাদ চণ্ডী পাঠ
ঈ
ঈদের চাঁদ
ঈশ্বর ঈশ্বর করে যেই, তার ঘরে ভাত নেই
ঈশ্বর মঙ্গলময়
ঈশ্বর যদি করেন, কর্তা যদি মরেন,তবে ঘরে বসে কেত্তন শুনবো
ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্য
ঈশ্বরে করে কাম মানুষের বদনাম
ঈশান কোণের মেঘে ঝড় ওঠে বেগে(উত্তর ও পুব দিকের মাঝে
ঈশানকোণ, )
উ
উই ইন্দুর কুজন,ভাল ভাঙ্গে তিনজন;ছুচ সোহাগা সুজন,ভাল করে তিন জন
উঁচান বাড়ি বড় ভয়,পড়লে বাড়ি সয়ে যায়
উচিত কথা কইতে গেলে, তেলে বেগুনে ওঠে জ্বলে
উচিত কথায় দেবতা তুষ্ট,উচিত কথায় মানুষ রুষ্ট
উচিত কথায় বন্ধুও বিগড়ায়উঁচু হবে তো নিচু হও
উচোট খেয়ে প্রণাম
উজাড় বনে শিয়াল রাজা
উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায়
উঠতি মুলো পত্তনে চেনা যায়
উঠল বাই তো কটক যাই
উড়তে না পেরে পোষ মানা
উড়তে পারে না ফুরফুর করে
উড়ে এসে জুড়ে বসা
উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ
উদ খেতে খুদ নেই, নেউলে বাজায় শিঙে
উদুখলে খুদ নাই চাটগাঁয় বরাত
উদ্যমেন হি সিদ্ধ্যন্তি কার্যাণি ন মনোরথৈঃ;নহি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ
উদ্যোগিনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মীঃ
উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্
উদে মাছ ধরে,খটাশে তিন ভাগ করে
উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে
উপদেশো হি মূর্খানাং প্রকোপায় না শান্তয়ে
উপোসে যাবে দিন,ধার করলে হবে ঋণ
উপর থেকে পড়ে গেল জনপাঁচ সাত,যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত[যার যেখানে স্বার্থ]
উপরে বাবুয়ানা ভিতরে খড়ের বেনা
উপরোধে ঢেঁকি গেলা
উপায়ং চিন্তয়ন্ প্রাজ্ঞস্ত্বপায়মপি চিন্তয়েৎ[উপায়ং চিন্তয়েৎ প্রাজ্ঞঃ অপায়মপি চিন্তয়েৎ]
উপোস করলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ
উপোসের কেউ নয়, পারণার গোঁসাই(উপোস ভাঙার পারণের সময় ভাল খাদ্য খেতে হাজির)
উল্টা বুঝলি রাম
উল্টে চোরা মশান গায়(চোর উলটে উপদেশ দেয়)
উলুবনে মুক্তো ছড়ানো
ঊ
ঊনপাঁজুরে বরাখুরে (লক্ষ্মীছাড়া)
ঊনো বর্ষা দুনো শীত
ঊনোভাতে দুনো বল, অতি ভাতে রসাতল
ঋ
ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ
ঋণকর্তা পিতা শত্রু [ঋণকর্তা পিতা শত্রুর্মাতা চ ব্যভিচারিণী;ভার্যা রূপবতী শত্রুঃ পুত্র শত্রুরপণ্ডিতঃ(অপণ্ডিত)]
এ
এ কূল ও কূল দুকূল গেল
এ কি বিধির লীলা খেলা,কাকের গলায় তুলসিমালা
এই ডুমুরের গুমোর কর,পাকলে ডুমুর পড়ে মর
এই ফুরালে খাবে কি,ঘরে তো নেই(বা আছে)আইবুড়ো ঝি(কন্যার বিয়েতে টাকা দাবির ইঙ্গিত)
এই বএই লা নাও ঘর ছেয়ে,আকাশে মেঘ দেখ চেয়ে
এই বিড়াল বনে গেলে বনবিড়াল(বাঘ)হয়
এই যদি গোরাচাঁদ তবে কালাচাঁদ কেমন
এক আঙুলে তুড়ি লাগে না
এক আঁচড়ে চেনা যায়
এক কড়ার মুরোদ নেই, ভাত মারবার গোঁসাই
এক করতে আর হয়
এক কলসি জল তুলে কাঁকালে দিলে হাত,এই মুখে খাবে তুমি বাগদিনীর ভাত এক কাটে ভারে আর এক কাটে ধারে
এক ক্ষুরে মাথা কামানো
এক কাঠি বাজে না
এক কান কাটা শহরের বার দে যায়,দু’কান কাটা শহরের ভিতর দে যায়
এক কানে শোনে অন্য কানে বেরোয়
এক কাল ঠেকেছে তিনকাল গিয়ে, তবু আবার করবে বিয়ে?
এক কেঁড়ে দুধে এক ছিটে চোনা
এক খায়,এক থিতায়
এক ঢিলে দুই পাখি মারা
এক গাছের ছাল অন্য গাছে জোড়া লাগে না
এক গাঁয়ে ঢেঁকি পড়ে,আর গাঁয়ে মাথা ব্যাথা
এক গাঁয়ের কুকুর আর গাঁয়ের ঠাকুর
এক গালে চুন, এক গালে কালি
একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি ন চ তারাগণা অপি
এক চাঁদে জগৎ আলো
এক চোখে কাঁদা, অন্য চোখে হাসা
এক ছেলে তার ফুলের শয্যে,পাঁচ ছেলে তার কাঁটার শয্যে
এক ছেলের মা, ভয়ে কাঁপে গা [জনসংখ্যা বাড়ুক সেই ইঙ্গিতও]
এক জায়গায় খাল কেটে আরেক জায়গায় খাল ভরায়
এক জায়গায় থাকলে হাঁড়িতে হাঁড়িতে ঠোকাঠুকি হয়
এক ঝিকরে মাছ বেঁধে না সে-ই বা কেমন বড়শি,এক ডাকেতে সাড়া দেয় না সে-ই বা কেমন পড়শি
এক ঢিলে দুই পাখি
এক দোর বন্ধ হাজার দোর খোলা
এক পুতের আশ নদীকূলে বাস
এক পয়সা নাই থলিতে,লাফিয়ে বেড়ায় তবু গলিতে
এক পা জলে, এক পা স্থলে
এক পাগলে রক্ষা নেই সাত পাগলের মেলা
এক পাঁঠা তিন বারে কাটা
এক বুড়ির নানা দোষ,নাকের উপরে হল খোস
এক ব্যঞ্জন ভাত তাও আবার নুনে পোড়া
এক ভস্ম আর ছার,দোষগুণ কব কার
এক মুখ সোনা দিয়ে ভরা যায়,পাঁচ মুখ ছাই দিয়েও ভরে না
এক মুখে তিন কথা শুনে লাগে মনে ব্যথা
এক মুখে দুই কথা
একতাই বল
এক মুরগি ক’বার জবাই?
এক মুরগি সাত জায়গায় জবাই
এক মাঘে শীত যায় না
এক মায়ের এক পুত, খায়দায় যমের দূত
এক যাত্রায় পৃথক ফল
এক রত্তি দড়ি সকল ঘর বেড়ি
এক লাউ-এর বীচি, কেউবা করে কচর কচর কেউবা আছে কচি
এক সের জিনিসে পাঁচ সের ঠকানো
এক হাটে কিনে আর এক হাটে বেচতে পারে
এক হাতে তালি বাজে না
এক হেঁসেলে তিন রাঁধুনি,পুড়ে মরে তার ফ্যান গালুনি
একচোখো মাসি কারে ভালোবাসি
একটি ইঁদুর যদি নড়ে চোরের প্রাণ ধড়ফড়ে
একটি ভাত টিপলে, হাঁড়িসুদ্ধ ভাতের খবর মেলে
একতাই বল
একদিন ঘি-রুটি,একদিন দাঁত-ছিরকুটি
একবারের রোগী, আরবারের রোজা[রাজা=চিকিৎসক]
একলা ঘরের গিন্নি হব চাবি কাঠি ঘুরিয়ে যাব
একা ঘরের একা বউ খেতে বড় সুখ,মারতে এলে ধরতে নাই তাই বড় দুখ
একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর
একাই একশো
একাদশে বৃহস্পতি
একি ছেলের হাতে মোয়া
একুশ কোঁড়া গুণে খান, ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যান
একে তো মধুপর্কের বাটি তায় আবার কাত
একে তো হনুমান,তায় আবার রামের বাণ
একে মনসা তায় ধুনোর গন্ধ
একে মিনমিন দুয়ে পাঠ, তিনে গোলমাল চারে হাট
এখন না শুনলে বঁধু যৌবনের ভরে,পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের নীরে
এখনই রসগোল্লা খেয়েছি, চা’য়ে আর চিনি দিও না, ব্লাডসুগার আছে
এখান হতে মারলেম তির লাগল কলা গাছে,উরুত বেয়ে রক্ত পড়ে চোখ গেল রে বাবা(অসংলগ্ন কথা)
এগুলে রাম পেছুলে রাবণ
এগুলেও নির্বংশের বেটা,পেছুলেও নির্বংশের বেটা
এঁটে ধরলে চিঁচিঁ করে, ছেড়ে দিলে লঙ্কা মারে
এঁটো খায় মিঠার লোভে,যদি এঁটো মিঠা লাগে
এঁটো পাত কখনো স্বর্গে যায় না
এঁড়ে গরু, না টেনে দো
এত সুখ যদি কপালে তবে কেন তোর কাঁথা বগলে
এদিক নেই ওদিক আছে
এমনি যায় না মাস,আবার দুদিন বেশি
এয্ং যায় ব্যাং যায়,খলসে বলে আমিও যাই
এয়সা দিন নেহি রহেগা
এর মুণ্ডু ওর ঘাড়ে
এরন্ডোঽপি দ্রুমায়তে
এস্পার কি ওস্পার
ঐ
ও
ওজন বুঝে চলা
ওঝার ঘাড়ে ভূতের বোঝা
ওঠ ছুঁড়ি তোর বিয়ে[অমনি হল বিয়ে]
ওরে পাগল খাবিনে, না, হাত ধোব কোথা?
ওল খেয়ে গোল
ওষুধ ধরেছে
ওস্তাদের মার শেষ রাতে
ঔ
ঔষধার্থে সুরা পান, পান না বাড়ালেই থাকে মান
ক
ক অক্ষর গোমাংস
ক’টি ছেলে, না, পুড়িয়ে খাব[বধিরদের অসংলগ্ন কথা]
কংস মামার আদর
কই মাছের প্রাণ অল্পেতে না যান
কইতে কইতে মুখ বাড়ে,খাইতে খাইতে পেট বাড়ে
কইতে জানলে ঠকি না,বসতে জানলে উঠি না
কুকুর রাজা হলেও জুতো খায়
কুকুরকে নাই দিলে মাথায় ওঠে
কুকুরের কামড় হাঁটুর নীচে
কুকুরের পেটে ঘি হজম হয় না
কুকুরের মুগের পথ্যি কুকুর বলে মোর এ কি বিপত্তি
কুকুরের লেজে ঘি ঢালেলও সোজা হয় না
কচু কাটতে কাটতেই ডাকাত
কচু পোড়া খাওয়া
কচুর বেটা ঘেচু,বড় বাড়েন তো মান
কচি খুকি, কুলোয় শুয়ে তুলোয় দুধ খান
কুঁজী, না, ঐ তো পুঁজি
কুঁজোর ইচ্ছা চিত হয়ে শোয়
কড়ি থাকলে বেয়াইয়ের বাপের শ্রাদ্ধ হয়, না থাকলে নিজের বাপের শ্রাদ্ধও হয় না
কড়ি দিয়ে কানা গরু কেনা
কড়ি দিয়ে কিনব দই গোয়ালিনী মোর কিসের সই?
কড়ি দিয়ে খাই দই,কি করবে মোর গোয়ালা সই?
কড়ি দিয়ে হেঁটে নদী পার
কড়ি লবে গুণে, পথ চলবে জেনে [গুরু করবে জেনে,জল খাবে ছেনে,কড়ি লবে গুণে, পথ চলবে জেনে]
কড়ি হলে বাঘের দুধ মেলে
কড়িকাঠ গোণা
কড়ির জিনিস পড়িস না?
কুঁড়ে কৃষাণ অমাবস্যা খোঁজে
কুঁড়ে গরুর এঁটুলি সার
কুঁড়ে ঘরে বাস খাট পালঙ্কের আশ
কুঁড়ে পাটুনির মুখে আঁটুনি
কণ্টকেনৈব কণ্টকম্
কত ধানে কত চাল
কত ব্রত করলি যশী,(এখন)বাকি ভূমি-একাদশী
কত রঙ্গ দেখালি মাসি
কত রবি জ্বলে রে, কেবা আঁখি মেলে রে?
কত সাধ যায় রে চিতে, বেগুন গাছে আঁকশি দিতে
কতই সাধ হয় রে চিতে,ফোগলা দাঁতে মিশি দিতে
কতইবা দেখব আর ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার
কতক্ষণ রহে শিলা শূন্যেতে মারিলে?
কথা টলার চেয়ে পা টলা ভালো
কথায় কথা বাড়ে, ক্রোধে হয় ঝড়, কথা না বাড়িয়ে সখি যাও এবে ঘর
কথায় চিঁড়ে ভেজে না
কথার গুণে বার্তা নষ্ট
কথার নেই মাথা, গরমে গায়ে কাঁথা
কনের ঘরের মাসি, বরের ঘরের পিসি
কনের মা কাঁদে, আর টাকার পুঁটুলি বাঁধে
কপট প্রেমে লুকোচুরি,মুখে মধু প্রাণে ছুরি
কৃপণের ধন বর্বরে খায়, কৃপণ করে হায় হায়
কুপুত্র যদ্যপি হয়,কুমাতা কখন নয়
কপাল গুণে গোপাল ঠাকুর
কপাল ভাঙলে জোড়া লাগে না
কপাল সাথে সাথে ফেরে
কপালে নেইকো ঘি ঠকঠকালে হবে কি?
কপালের লিখন না যায় খণ্ডন
কম্বলের লোম বাছতে গাঁ উজাড়
কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস করা
কয়লা ছাড়ে না ময়লা
কয়লা ধুলে ছাড়ে না ময়লা
কুয়ো হয়,আমের ভয়,তাল তেঁতুলের কিছুই নয়[কুয়ো=কুয়াশা]
কর গোবিন্দ বাপের শ্রাদ্ধ আরও বামুন আছে
কর যদি তাড়াতাড়ি, ভুলের হবে বাড়াবাড়ি
করছে কীসের জাঁক, ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক
কর্তা পান না, তাই খান না
কর্তা যে ঘি খান তা এক আঁচড়েই মালুম
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম,উলু বনে কেত্তন
কর্মণ্যেবাধিকারস্তে না ফলেষু কদাচন
কলসির জল গড়াতে গড়াতেই শেষ
কলার ভেলায় সাগর পার
কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না
কষতে কষতে বাঁধন ছেঁড়ে
ক্ষুদ খেয়ে পুঁজি করে দু-পুরুষে খরচ করে
ক্ষমার বড় গুণ নাই, দানের বড় পুণ্য নাই
ক্ষিদের চোটে পাটকেলে কামড়
ক্ষেত্রে কর্ম বিধিয়তে
ক্ষেতের চাষে দুঃখ নাশে
কা কস্য পরিবেদনা
কাক কোকিল একই বর্ণ, কিন্তু স্বরে ভিন্ন ভিন্ন
কাক খায় কাঁঠাল,বকের মুখে আঠা
কাক মনে করে আমি বড় সেয়ানা
কাক সকলের মাংস খায়,কাকের মাংস কেউ খায় না
কাকের উপর কামানের চোট
কাগের ছা, বগের ছা(লেখা)
কাকের ডিম সাদা হয়, বিদ্বানেরও ছেলে গাধা হয়
কাকের পিছে ফিঙে লাগা
কাকের বাসায় কোকিলের ছা,জাত স্বভাবে কাড়ে রা
কাকের মাংস কাকে খায় না,জোঁকের গায়ে জোঁক বসে না
কাঙলা আপনা সমালা
কাঙালকে শাকের ক্ষেত দেখাতে নেই
কাঙালের কথা বাসি হলে মিঠে
কাঙালের ঘোড়া রোগ
কাঙালের ঠাকুর ব্যাধি
কাঙালের রাংতা-ই সোনা
কাচঃ কাচো মণির্মণিঃ
কাঁচপোকার আরশোলা ধরা
কাঁচা খাই,ডাসা খাই, আর খাই পাকা
কাঁচা গাথুনি, দুনো খাটুনি
কাঁচা বাঁশ ঘুণ ধরা
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরলে, রক্ষা নাই তার কোনও কালে
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরা
কাঁচা মাটিতে পা দেওয়া
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, বাঁশ করে ট্যাস ট্যাস
কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ...
কাছা দিতে কোঁচা আঁটে না,কোঁচা দিতে কাছা আঁটে না
কাজ নেই কাজ করে, ধানে চালে এক করে
কাজ সেরে বসি, শত্রু মেরে হাসি
কাজও নেই, কামাইও নেই
কাজে এড়া ভোজনে দেড়া
কাজে কুঁড়ে ভোজনে দেড়ে,বচনে মারে তেড়ে ফুঁড়ে
কাজে কম খেতে যম
কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরোলে পাজি
কাজের বেলায় ভাগে খাবার বেলায় আগে
কাজের মধ্যে চাষ, রোগের মধ্যে কাশ
কাজের মধ্যে দুই খাই আর শুই
কাটতে কাটতে নির্মূল
কাটলে রক্ত নেই, কুটলে মাংস নেই
কাটা কান চুল দিয়ে ঢাকি
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে
কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা
কাঁটা বিনা কমল নাই, কলঙ্ক বিনা চাঁদ নাই
কাঠবিড়ালীর সেতুবন্ধন
কাঠের বিড়াল হোক তাতে কিবা আসে যায়, ইঁদুর ধরে কিনা সেটাই বিষয়
কাঠের বিড়াল হোক, ইঁদুর ধরতে পারলেই হল
কাঁড়ানো চালে তিন ঘা পাড়
কাঁধে কুড়ুল বনময় খোঁজা
কানু ছাড়া গীত নাই
কান টানলে মাথা আসে
কানা ক’বার নড়ি(যষ্টি) হারায়?
কানা গরু বামুনকে দান
কানা গরুর ভিন্ন গোঠ
কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন
কানা পুতে পোষে, রাজা বেটি(ঝিয়ে/বৌয়ে) শোষে
কানা পুতের নানা রোগ
কানা মেঘের বৃষ্টি সর্বত্র নয় দৃষ্টি
কানে কলম গুঁজে দুনিয়ায় খোঁজা
কানে দিয়েছ তুলো, পিঠে বেঁধেছ কুলো
কানে হাত না দিয়েই বলে কান নিয়ে গেল চিলে
কানের জল, জল দিলেই বেরোয়
কানের পোকা বের করা
কাপড় দিয়ে আগুন ঢাকা
কাপড় হলে পচা,আঙ্গুল হয় খোঁচা
কাপড়ের দাগ যায় ধুলে, মনের দাগ যায় ম’লে
কামাতে না পারেন নাপিত ধামা ভরা ক্ষুর
কামানো মাথায় ক্ষুর বোলানো
কামারের কাছে লোহা জব্দ
কার কপালে কেবা খায়
কার শ্রাদ্ধ কে বা করে, খোলা কেটে বামুন মরে
কার শ্রাদ্ধ, বামুনের হদ্দ
কার সাধ্য মারে তারে,খোদা যারে রাজি
কারও ঘর পোড়ে, কেউ আগুন পোহায়(খই খায়)
কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ
কারও শাকে বালি, কারও দুধে চিনি
কারে পড়লে আল্লার নাম
কাল রাম রাজা হবে আজ বনবাস
কাল হাঁড়ি, কেয়া পাত, তবে দেখবি জগন্নাথ
কালনেমির লঙ্কা ভাগ
কালস্য কুটিলা গতিঃ
কালা পুরুত, তোতলা যজমান
কালা বলে গায় ভালো, কানা বলে নাচে ভালো
কালা শোনে ঢাকের বাদ্যি,কালা বলে মোর বিয়ের বাদ্যি
কালি কলম পাত, তবে লেখার হাত
কালি কলম মন,লেখে তিন জন
কালির অক্ষর নাইকো পেটে, চণ্ডী পড়ে কালীঘাটে
কালে কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার
কালে কালে কতই হল, পুলি পিঠের লেজ গজালো
কালের আবার কালাকাল
কালো জগত আলো
কালোয় কালোয় ধলো হয় না
কালো কাপড় রুখু মাথা, লক্ষ্মী বলেন থাকব কোথা?
কাশীধামে কাক মরেছে কুমিল্লাতে হাহাকার
কি অপূর্ব সৃষ্টি না তিত না মিষ্টি
কি দেব, কি দেব খোঁটা, গয়ায় মরেছে (তার) বাপ-বেটা
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে
কিনতে পাগল, বেচতে ছাগল
কিবা জ্যেষ্ঠ কি কনিষ্ঠ,যেই বুঝে সেই শ্রেষ্ঠ
কিমাশ্চর্যমতঃপরম্
কিল খেয়ে কিল চুরি
কিলিয়ে কাঁঠাল পাকানো
কিসে নেই কী, পান্তাভাতে ঘি
কীর্তিযস্য স জীবতি[চলচ্চিত্তং চলদ্বিত্তং চলজ্জীবনযৌবনম্ চলাচলমিদং সর্বং কীর্তিযস্য স জীবতি]
কেউ মরে, কেউ হরি হরি বলে
কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুলো
কেঁচো দিয়ে কাতলা ধরা
কোথা রাম রাজা হবে, না কোথা রাম বনে যাবে
কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়
কোদাল পাড়লেই হয় না চাষ
কোন্ আক্কেলে কয় সংসার আমার নয়?
কোন কালে নাইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই
কোন্ বা বিয়ে তার দুপায়ে আলতা
খ
খঞ্জনের নাচ দেখে চড়ুইয়ের নাচ
খুঁট আখুরে গাঁয়ের বালাই(অল্প শিক্ষিত)
খুঁটির জোরে মেড়া লড়ে
খড়ম পায়ে দিয়ে গঙ্গা পার
খড়ের আগুন যেমন জ্বলে তেমন নেভে
খাই দাই বাঁশি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না
খাই দাই ভুলিনি, তত্ত্ব কখন ছাড়িনি
খাওয়াবে হাতির ভোগে, দেখবে বাঘের চোখে
খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি
খাচ্ছিল তাঁতি তাঁত বুনে,কাল কাল হল তার এঁড়ে গরু কিনে
খাঁচায় পুরে খোঁচা মারা
খাট ভাঙ্গলে ভূমিশয্যে
খাটে খাটায় লাভের গাঁতি,তার অর্ধেক মাথার ছাতি;ঘরে বসে পুছে বাত,তার কপালে হা-ভাত
খাতায় নাম লেখানো
খাঁদা নাকে তিলক পরা
খাঁদা নাকে নথ আর গোদা পায় মল
খাবার আছে চা’বার নেই, দেবার আছে নেবার নেই
খাবার বেলায় মস্ত হাঁ, উলু দেবার বেলায় মুখে ঘা
খাবার বেলায় ন’বার মা, ছেলে ধরতে কেউ না
খাবার সময় শোবার চিন্তা
খায় দায় পাখিটি,বনের দিকে আঁখিটি
খায় না খায় সকালে নায়,হয় না হয় দুবার যায়;তার কড়ি কি বৈদ্যে খায়?
খায় মালকোঁচা মেরে ওঠে হাঁটু ধরে
খাল কেটে কুমির আনা
খাল পার হয়ে কুমিরকে কলা দেখানো
খালি কলসি বাজে বেশি
খিড়কি দিয়ে হাতি গলে, সদরে বাধে ছুঁচ
খেঁকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ সার
খেতে খেতে লোভ বাড়ে, কাঁদতে কাঁদতে শোক বাড়ে
খেতে পায় না পচা পুঁটি, হাতে পরে হিরের আংটি
খেতে পেলে শুতে চায়
খেদাই না, তোর উঠোন চষি
খেয়ে দেয়ে একাদশী
খোঁড়ার পা খানায় পড়ে
খোদর ওপর খোদকারি
খোদার নাও দোয়ায় চলে
কাদায় পড়লে হাতি, চামচিকেতে মারে লাথি
খোশ খবরের ঝুটাও ভাল
খোসে তেল নেই, কলাবড়ার সাধ
গ
গঙ্গা গঙ্গা না জানি কত রঙ্গা-চঙ্গা
গঙ্গা জলে গঙ্গা পূজা
গঙ্গার জল গঙ্গায় র’ল, পিতৃপুরুষ উদ্ধার হল
গজভুক্তকপিত্থবৎ[এখানে গজ=কয়েৎবেলের ভিতরের ক্ষুদ্র পোকা, কপিত্থ=কয়েৎবেল]
গুটি পোকা গুটি করে, নিজের ফাঁদে নিজে পড়ে
গড়তে চায় ঠাকুর, হয়ে যায় কুকুর
গুণে নুন দিতে নেই/গুণের ঘাট নেই(গুণহীনকে ব্যঙ্গ)
গুণের বালাই নিয়ে মরি
গতর নেই চোপায় দড়,মেঙ্গে খায় তার পালি বড়
গতস্য শোচনা নাস্তি
গদাইলসকরি চাল
গুনে কড়ি জলে ফেলা
গব্য থাকলে আগে পাছে,কি করবে তার শাকে মাছে
গুবরে পোকার পদ্মমধু খেতে সাধ
গভীর জলের মাছ
গরু জরু ধান রাখ বিদ্যমান/গরু জরু ধান না দেখলেই যান
গুরু বোবা, শিষ্য কালা(কালা=বধির)
গুরু মারা বিদ্যে
গরু মেরে জুতো দান
গরজ বড় বালাই
গর্জায় কিন্তু বর্ষায় না
গর্তের সাপ খুঁচিয়ে বার করা
গ্রহণ লাগলে সাবই দেখে(গ্রহণ = বিপদ)
গ্রামের নাম তেঘরে, তার আবার উত্তর পাড়া দক্ষিণ পাড়া
গরিবের কথা বাসি হলে মিঠে লাগে
গরিবের ঘোড়া রোগ
গরিবের রাঙতাই সোনা
গরু গোয়ালের পাশের ঘাস খায় না
গলা টিপলে এখনও দুধ বেরোয়
গলায় কাঁটা ফুটলে বেড়ালের পায়ে ধরে
গলার নীচে গেলে আর মনে থাকে না
গৃহ স্থির আগে কর, গৃহিনী স্থির তার পরে
গৃহিনী গৃহমুচ্যতে
গাঁ বড়, তার মাঝে পাড়া, নাক নেই তার নথ নাড়া
গাই কিনবে দুয়ে বলদ কিনবে বেয়ে
গাই ছিল না হল গাই,চালুনি নিয়ে দুইতে যাই
গাই নেই তো বলদ দো
গাই বাছুরে ভাব থাকলে মাঠে গিয়ে দুধ দেয়
গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন
গাঙ্গে গাঙ্গে দেখা হয়, বোনে বোনে নয়
গাছ থেকে পড়ে গেল জন পাঁচ সাত, যার যেখানে ব্যথা তার সেখানে হাত
গাছে উঠতে পারে না বড় আমটি আমার
গাছে ওঠে পড়তে, জামিন দেয় মরতে
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল
গাছে তুলতে সবাই আছে
গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া
গাছে/গাছ না উঠতেই এক কাঁদি
গাছের পরিচয় ফলে
গাছেরও খায় তলারও কুড়ায়
গাজনের নেই ঠিক ঠিকানা, ডেকে বলে বাজনা বাজা
গাধা জল ঘোলা করে খায়
গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা
গায়ে ওড়ে খড়ি, কলপ দেওয়া দাড়ি
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল
গায়ের কালি ধুলে যায় মনের কালি ম’লে যায়
গায়ের গন্ধে ভূত পালায়,মাথায় ফুলেল তেল
গিন্নির উপর গিন্নিপনা ভাঙা পিঁড়েয় আলপনা
গিন্নির পাপে গেরস্থ নষ্ট
গেঁয়ো যোগীর ভিখ মেলে না
গোঁগা(গোঁ গোঁ করে কথা বলে, অর্থাৎ বোবা) ছেলের নাম তর্কবাগীশ
গোজন্ম ঘুচে গন্ধর্ব জন্ম
গোড়া কেটে আগায় জল
গোদা পায়ে মল
গোদের উপরে বিষফোঁড়া
গোঁফ দেখলেই শিকারী বেড়াল চেনা যায়
গোঁফ নেই কোনও কালে,দাড়ি রেখেছেন তোবড়া গালে(অনভিজ্ঞ প্রয়াস) গোঁয়ারের মরণ খোঁয়ারে
গোভাগ্য নেই,এঁটুলি ভাগ্য আছে
গো-মড়কে মুচির পার্বণ
গোলে হরিবোল
ঘ
ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি
ঘট গড়তে পারে না মেটের বায়না নেয়(মেটে=বড় জালা)
ঘটকালি করতে গিয়ে বিয়ে করে আসা
ঘুঁটে কুড়ুনির ব্যাটার নাম চন্দনবিলাস
ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে, তোমার একদিন আছে শেষে
ঘন দুধের ফোঁটা, বড় মাছের কাটা(ভাল জিনিসের অল্পও ভালো)
ঘন্টা বাজিয়ে দুর্গোৎসব, ইতু পুজোয় ঢাক
ঘুমন্ত বাঘে শিকার ধরে না
ঘ্যান ঘেনে যে খোকা, বের করে কান-পোকা
ঘর কন্না করতে গেলে ঘটি বাটির সঙ্গে ঝগড়া হয়
ঘর চোরে পার নেই
ঘর থাকতে বাবুই ভেজা
ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায়
ঘর ফাঁদবে ছাইবে না, ধার দেবে চাইবে না
ঘর ভেদেই রাবণ নষ্ট
ঘর সন্ধানী বিভীষণ
ঘর-জ্বালানো,পর ভুলানো
ঘরজামাইয়ের পোড়া মুখ, মরা বাঁচা সমান সুখ
ঘরদোর নেই যার আগুনে কি ভয় তার
ঘরমুখো বাঙালি, রণমুখো সেপাই
ঘরামির ঘর ছেঁদা
ঘরে ছুঁচোর কেত্তন, বাইরে কেঁচোর পত্তন
ঘরে নেই ঘটিবাটি, কোমরে মেলাই চাবি কাঠি
ঘরে নেই ভাত কোঁচা তিন হাত
ঘরে নেই যা, বাছা মাগে তা
ঘরে বসিয়ে মাইনে দেয় এমন মনিব কোথোয় পাব?
ঘরে বসে রাজা উজির মারা
ঘরে বসে রাজার মাকে ডাইনি বলা
ঘরে বাইরে এক মন তবে হয় কৃষ্ণ ভজন
ঘরে ভাত না থাকলে শালগ্রামের সোনা বেচে খায়
ঘরে ভাত নেই দোরে চাঁদোয়া
ঘরে ভাত নেই, যত্নে ঘাট নেই
ঘরের ইঁদুর বাঁশ কাটলে ধরে রাখে কে?
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো
ঘরের ঢেঁকিই কুমির
ঘরের ভাত দিয়ে শকুনি পোষে, গোয়ালের গরু টেঁকে কীসে?(নীচকে উপকার করার ফল)
ঘরের মা ভাত পায় না, পরের জন্য মাথা ব্যথা
ঘরের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা
ঘরের শত্রু বিভীষণ
ঘরের ষাঁড় পেট ফাঁড়ে
ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয়ে যায়
ঘষে মেজে রূপ, আর ধরে বেঁধে প্রেম
ঘষে মেজে সুন্দরী
ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে গেল
ঘি আদুড়, ঘোল ঢাকা
ঘি দিয়ে ভাজ নিমের পাতা, তবু যায় না জাতের জাতা
ঘি ভাত খেতে ঠোঁট পুড়লো
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া
ঘোড়া থাকলে চাবুকের ভাবনা?
ঘোড়া দেখলেই খোঁড়া
ঘোড়া ভেড়ার এক দর
ঘোড়ার কামড় ছাড়তে জানে না
ঘোড়ার গোয়ালে ভেড়া ঢোকা
ঘোড়ার ঘাস কাটা
ঘোড়ার পেট গাধার পিঠ,খালি থাকে কদাচিৎ
ঘোমটার ভিতর খ্যামটা নাচা
ঙ
চ
চক চক করলেই সোনা হয় না
চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি চ সুখানি চ
চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানি সুখানি চ
চক্ষু কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন
চক্ষে চক্ষে যত ক্ষণ, প্রাণ পোড়ে ততক্ষণ
চক্ষে দেখলে শুনতে চায় এমন বোকা আছে কোথায়?
চক্ষের আড়াল হলেই মনের আড়াল
চড় মেরে গড় করা
চড় মেরে চড় খাওয়া
চূড়ার উপর ময়ূর পাখা
চণ্ডীচরণ ঘুঁটে কুড়োয়, রামা চড়ে ঘোড়া
চতুরের সঙ্গে চতুরালি
চন্দনং ন বনে বনে
চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল, জোনাকি ধরে বাতি;মোগল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি
চরণামৃত চরণামৃত, না জানি কি অমৃত,খেয়ে দেখি না জল
চুরি বিদ্যে বড় বিদ্যে যদি না পড়ে ধরা, যদি পড়ে ধরা তবে হাতে পায়ে দড়া চুল থাকে তো বাঁধি, গুণ থাকে তো কাঁদি
চলতে পারে না তার বন্দুক ঘাড়ে
চল্লেই চল্লিশ বুদ্ধি, না চল্লেই হতবুদ্ধি
চুলোর উপর ক্ষীর মন নয় স্থির
চাকরি তালপাতার ছাউনি
চাকরি মেঘের ছায়া,মিছে কর তার মায়া
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা
চাচাই বল কাকাই বল,কলাটি পাঁচ কড়া
চাঁদে কলঙ্ক আছে, গোলাপে কণ্টক
চাঁদের কাছে জোনাকি পোকা,ঢাকের কাছে টেমটেমি
আকাশে থুতু ফেললে নিজের গায়ে পড়ে
চাপ পড়লেই বাপ
চাল কি দর, না মামার ভাতে আছি
চাল নাই ধান নাই,গোলাভরা ইঁদুর
চাল নেই তার ধুচুনি নাড়া,নাক নেই তার নথ নাড়া
চালুনি বলে ছুঁচ তোর পিছনে ফুটো
চালুনি বলে ধুচুনি ভাই তুমি বড় ফুটো
চালে খড় নেই,ঘরে বাতি, বিছানা নেই পোহায় রাতি
চালের দর কত, না মামার ভাতে আছি
চালের বাতায় মাণিক থুয়ে উলু বনে হাতড়ানো
চিঁড়ের বাইশ ফের
চিন্তা জ্বরো মনুষ্যানাম্
চিন্তের মায়ের চিন্তে হাটের লোক শোয় কোথা
চিৎপাতের কড়ি উৎপাতে যায়
চিল পড়লে কুটোটাও নিয়ে ওঠে
চিলে কান নিয়ে গেল
চেটায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন
চেনা বামুনের পৈতে লাগে না
চোখ থাকতে কানা
চোখ বন্ধ করলে কি প্রলয় বন্ধ হয়?
চোখের দোষে সব হলদে
চোর চায় ভাঙা বেড়া
চোর ছেঁচড় চোপায় দড়, আগে দৌড়ায় ঠাকুর ঘর
চোর দিয়ে চোর ধরা
চোর ধরতে চোরকে লাগানো
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে
চোর ভাল তো বেকুব ভালো না
চোরকে বলে চুরি করতে গেরস্তকে বলে সজাগ থাকতে
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী
চোরে উপর বাটপাড়ি
চোরে কামারে দেখা নেই সিঁধ কাঠি গড়া
চোরে চোরে মাসতুতো ভাই
চোরের উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়া
চোরের শতেক রাত গেরস্থের এক রাত
চোরের গরু গোয়ালে বাঁধা
চোরের দশদিন, গেরস্থের এক দিন
চোরের মনে বোঁচকা
চোরের রাত্রিবাসও লাভ
চোরের সাক্ষী গাঁট কাটা, শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল
চোরের সাক্ষী মাতাল
চৌকিদারি কি ঝকমারি
ছ
ছুঁচ হয়ে ঢোকে ফাল হয়ে বেরোয়
ছুঁচো মেরে হাতে গন্ধ
ছুঁচোয় যদি আতর মাখে তবু কি তার গন্ধ ঢাকে
ছুঁচোর গোলাম চামচিকে,তার মাইনে চৌদ্দ সিকে
ছল করে জল আনা
ছাই চাপা কি আগুন রয়?
ছাই পায় না, মুড়কি জলপান
ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো
ছাগল দিয়ে ধান মাড়ানো
ছাগল বলে আলুনি খেলাম,গেরস্ত বলে প্রাণে ম’লাম
ছাগলে কি না খায়, পাগলে কি না কয়?
ছাগলের তৃতীয় সন্তান[বঞ্চিত]
ছাঁচের ঘরে খাবি খায়, সমুদ্রপার হতে চায়
ছাতুর হাঁড়িতে বাড়ি পড়া
ছাতা দিয়ে মাথা রাখা
ছায়াতে ভূত দেখা
ছাল নেই কুত্তার বাঘা নাম
ছিকলি কাটা টিয়া
ছিঁড়ল দড়া তো ছুটল ঘোড়া
ছিঁড়ে ছিঁড়ে কাটুনি, পুড়ে পুড়ে রাঁধুনি
ছিলাম রোগী হলাম রোজা
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকা স্বপ্ন দেখা
ছেড়ে দিয়ে তেড়ে ধরা
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি
ছেঁদো কথার মাথায় জটা, খুলতে গেলে বিষম ল্যাঠা
ছেলের চেয়ে ছেলের মাথা ভারী
ছেলের হাতের মোয়া
ছোট কাঁটাটি ফোটে পায়,তুলে ফেল নইলে দায়
ছোট মুখে বড় কথা
ছোট সরাটি ভেঙে গেছে, বড় সরাটি আছে, নাচ-কোঁদ কেন বউ, আমার আন্দাজ আছে
জ
জগৎ জুড়ে জাল ফেলেছে, পালিয়ে বাঁচবি কোথা?
জঙ্গলা কখন পোষ না মানে, মন সদা তার সোঁদর বনে
জুতো মেরে গরু দান
জুতো মেরেছে অপমান তো করেনি?
জন জামাই ভাগনা এ তিন নয় আপনা
জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
জন্ম মৃত্যু বিয়ে__ তিন বিধাতা দিয়ে
জন্মে দেখেনি লোহা, কোদালকে বলে গুণছুঁচ
জন্মের মধ্যে কর্ম নিমুর চৈত্র মাসে রাস(সামান্য কাজ করে অকর্মণ্য লোকের অহংকার)
জপ নেই তপ নেই ভস্মমাখা গায়
জপতপ কর কি মরতে জানলে ডর কি?
জমি অভাবে উঠোন চষা
জুয়াচোরের বাড়ি ফলার, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
জ্যান্ত মাছে পোকা পড়ানো
জল খেয়ে জলের বিচার(জাত জিজ্ঞাসা)
জল ছিটালে লগির খোঁচা খেতে হয়
জল জল বৃষ্টির জল, বল বল বাহুবল
জলে কুমির ডাঙায় বাঘ
জলে তেলে মিশ/খাপ খায় না
জলে পাথর পচে না
জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে বিবাদ
জলের কুমির ডাঙ্গায় এল
জলের ছিটে দিয়ে লগির গুঁতো খাওয়া
জলের শত্রু পানা, মানুষের শত্রু কানা
জাগন্ত ঘরে চুরি নেই
জাতও গেল পেটও ভরল না
জানিবে শমন ভয়, দুর্জনের আশ্রয়
জামায়ের জন্য মারে হাঁস গুষ্টি সুদ্ধ খায় মাস
জামের খোসা ফেলে খাওয়া
জাল ছেঁড়া পলো ভাঙা(দুর্ধর্ষ লোক)
জিব পুড়ল আত্মদোষে, কি করবে মোর হরিহর দাসে
জীব দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি
জেলের পরনে টেনা, মাছ বেচুনির কানে
জোছনাতে ফটিক ফোটে, চোরের মায়ের বুক ফাটে
জোয়ার মাত্রেই ভাঁটা আছে
জোয়ারের জল কতক্ষণ
জোর যার মুল্লুক তার
ঝ
ঝড়ে বক মরে, ফকিরের কেরামৎ বাড়ে
ঝাঁকের কই ঝাঁকে ফিরে যায়
ঝাঁঝরি বলে ছুঁচকে তুই বড় ফুটো
ঝাঁটা দিয়ে বিষ ঝাড়ানো
ঝি জব্দ কিলে, বউ জব্দ শিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে
ঝিকে মেরে বৌকে শেখানো
ঝির ঝি করবে কি(অনাবশ্যাক আশা)?
ঝোলে ঝালে অম্বলে, সব ঠাঁই বেগুন চলে
ঞ
ট
টক টেশো আঁটিসারা, শাঁসশূন্য আঁশ ভরা, এই আম বিলাবার ধারা
টকের জ্বালায় দেশ ছাড়লাম তেঁতুল তলায় বাস
টাক, প্রকৃতি, গোদ মরণে হয় শোধ
টাকা তুমি যাচ্ছ কোথা? পিরিত যথা; আসবে কবে? বিচ্ছেদ যবে(টাকা ধার চাইলে বন্ধু বিচ্ছেদ)
টাকা যার মামলা তার
টাকায় টাকা আনে
টান দিয়ে বাঁধলে সট করে ছেঁড়ে
টেনে বাঁধতে কুলোয় না
ঠ
ঠক/ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়
ঠকঠকালে হবে কি, কপালে তোর নেই কো ঘি
ঠগ বাছতে গাঁ উজোড়
ঠাকুর ঘরে কে, না আমি তো কলা খাই না
ঠাট ঠমকে বিকোয় ঘোড়া
ঠেকবি যখন শিখবি তখন
ঠেলায় পড়ে ঢেলায় সেলাম
ঠেলার নাম বাবাজি
ড
ডুব দিয়ে খাই পানি আল্লা জানে আর আমি জানি
ডুব দিয়ে জল খেলে অমাবস্যার বাপেও জানে না
ডুবেছি না, ডুবতে আছি, দেখি পাতাল কত দূর?
ডুমুরের ফুল, সাপের পা
ডাইনে আনতে বাঁয়ে কুলোয় না
ডাইনের কোলে পুত্র সমর্পণ
ডাকলে ডাক, বসলে ক্রোশ, পথ বলে মোর কিসের দোষ
ডাঙায় বাঘ জলে কুমির
ডানের মায়া বোঝা ভার
ডোবা দেখলেই ব্যাঙ লাফায়
ডোল ভরা আশা, কুলো ভরা ছাই
ঢ
ঢাক বাজিয়ে ইঁদুর ধরা
ঢাকী সুদ্ধ বিসর্জন
ঢাকের কাছে ট্যামটেমি
ঢাকের দায়ে মনসা বিক্রি
ঢাকের বাদ্যি থামলে মিষ্টি
ঢাল নাই, তরোয়াল নাই, নিধিরাম সর্দার
ঢিল দিয়ে ঢিল টেনে আনা
ঢিলটি মারলেই পাটকেলটি খেতে হয়
ঢেঁকি কেন গাঁ বেড়াক না, গড়ে পড়লেই হল
ঢেঁকি ভজে’(ভজনা করে) স্বর্গে যাওয়া যায় না
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে
ঢেঁকির কচকচি আর ঢাকের বাদ্যি চুপ করলেই ভাল
ঢেঁকিশাল দিয়ে কটক যাওয়া
ঢেঁকিশালে যদি মানিক পাই, তবে কেন পর্বতে যাই
ঢেউ দেখে লা’[ল’=না=নৌকো] ডুবিও না
ণ
ত
তুক তাক ছয় মাস, কপালে যা বারো মাস
তৃণবন্মন্যতে জগৎ[জগৎকে তৃণের মতো দেখে]
তপ্ত জলে ঘর পোড়ে না
তপ্ত ভাতে নুন জোটে না, পান্তা ভাতে ঘি
তুফানে ছেড়ো না হাল, নৌকা হবে বানচাল
তুফানে যে হাল ধরে না, সেই বা কেমন নেয়ে, কথা পাড়লে বুঝতে পারে না, সেই বা কেমন মেয়ে
তুমি খাও ভাড়ে জল আমি খাই ঘাটে
তুমি ফের ডালে ডালে আমি ফিরি পাতায় পাতায়
তুলো যেমন শুনতে নরম,বুনতে তেমন নয়
তৃষ্ণা এগোয় না জল এগোয়(কার গরজ বেশি?)
তস্মিন্ তুষ্টে জগৎ তুষ্টম্
তাত সয়,তবু বাত সয় না
তাঁতী রাগে কাপড় ছেঁড়ে, আপনার ক্ষতি আপনি করে
তাঁতীকুলও গেল, বৈষ্ণবকুলও গেল
তাপ বাড়ে ঝোপে আর খেজুর বাড়ে কোপে
তাল প্রমাণ বাড়ে, তিল প্রমাণ কমে
তাল, তেঁতুল, মাদার, তিনে দেখায় আঁধার
তালগাছের আড়াই হাত
তাস, তামাক, পাশা, এ তিন কর্ম/সর্ব নাশা
তিন জন জানে তো ত্রিশ জন জানে
তিন নকলে আসল খাস্তা
তিন মাথা যার, বুদ্ধি নেবে তার
তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকা
তিল কুড়িয়ে তাল
তিলক কাটলেই বৈষ্ণব হয় না
তিলকে তাল করা
তীর্থের কাকের মতো বসে থাকা
তীরে এসেও হাল ছেড়ো না
তে হি নো দিবসা গতাঃ[সেই (সুখের) দিন চলে গেছে]
তেল দাও, সিঁদুর দাও, ভবি ভোলবার নয়
তেলা মাথায় ঢাল তেল, রুখু মাথায় ভাঙ্গ বেল
তেলা মাথায় তেল দিতে সবাই পারে
তেলাপোকা আবার পাখি, ভেরেণ্ডা আবার গাছ
তেলে জলে মিশ খায় না
তেলে জলেই মানুষের শরীর
তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠা
তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে
তোর শিল, তোর নোরা, তোরই ভাঙি দাঁতের গোড়া
থ
থলির মধ্যে হাতি পোরা
থাক রে কুকুর আমার পাশে(মনের আশে), ভাত দেব সেই পৌষ মাসে
থাকলে সোনার মান হয় না, হারালে সোনার মান
থাকে যদি চুড়ো বাঁশি, মিলবে রাধা হেন কত দাসী
থোড় বড়ি খাড়া, খাড়াবড়ি থোড়
থোঁতা মুখ ভোঁতা
দ
দু’ নৌকায় পা দিলে পড়বে শেষে অগাধ জলে
দই খাবে মেধো, কড়ি দেবে সেধো
দুই স্ত্রী যার, বড় দুখ তার
দুই সতীনে ঘরকন্না, ঘরের গিন্নি ভাত পান না(গিন্নি=এখানে শাশুড়ি)
দুই হাড়ি একত্র থাকলেই ঠোকাঠুকি
দক্ষিণদ্বারী ঘরের রাজা, পূর্বদ্বারী তার প্রজা, পশ্চিমদ্বারীর মুখে ছাই, উত্তরদ্বারীর খাজনা নাই
দুধ কলা দাও যত, সাপের বিষ বাড়ে ততো
দুধ কলা দিয়ে সাপ পোষা
দুধ মেরে ক্ষীরটুকু
দুধকে দুধ জলকে জল
দধির অগ্র ঘোলের শেষ
দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে
দুধের সাধ(তৃষ্ণা) কি ঘোলে মেটে
দুনিয়াদারি মুসাফিরি, সেরেফ আনাগোনা
দু-নৌকায় পা
দয়া আছে মায়া আছে, গলা ধরে কাঁদি;আধ পয়সায় আটটি কলা পরাণ গেলে না দি’
দয়া করে দেয় নুন, ভাত মারে তিনগুণ
দরকার পড়লে খোঁড়াও লাফায়
দুর্গা বলে ঝুলে পড়
দুর্জনঃ প্রিয়বাদী চ নৈতদ্বিশ্বাসকারণম্; মধু তিষ্ঠতি জিহ্বাগ্রে হৃদয়ে তু হলাহলম
দুর্জনেরে পরিহরি, দূরে থেকে নমস্কারি
দুর্ভিক্ষ অল্পকাল স্মরণ থাকে চিরকাল
দল ভাঙলে যে, কৈ খাবে সে(দল=জলজ তৃণস্তূপ)
দশ দিন চোরের একদিন গেরস্থের
দশচক্রে ভগবান ভূত
দশপুত্র সম কন্যা যদি পাত্রে পড়ে
দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ
দশে যারে বলে ছি, তার প্রাণে কাজ কি?
দশের মুখে জয়, দশের মুখে ক্ষয়
দশের লাঠি একের বোঝা
দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো
দুষ্ট লোকের মিষ্ট কথা,ঘনিয়ে বসে পাশে, কথা দিয়ে কথা লয়, প্রাণে বধে শেষে
দাঁড়ালে পোয়া, বসলে ক্রোশ, পথ বলে মোর কিসের দোষ?
দাঁড়িকে মাঝি করা, মরা গাঙে ডুবে মরা
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝে না
দাদারও চিঁড়ের ফলার
দান যেমন দক্ষিণাও তেমন
দায়ে পড়লে শালগ্রামের পৈতা বেচেও খায়
মিয়া বিবি রাজি তো কি করবে কাজি?
দায়ে পড়ে দা’ঠাকুর
দা’-এ বালি, কুড়ুলে শিল, ভাল মানুষকে ভাল কথা বজ্জাতকে কিল দারিদ্র্যদোষো গুণরাশিনাশী
দিও কিঞ্চিৎ না কোরো বঞ্চিৎ
দিন কাটে তো রাত কাটে না
দিন গেল আলে ডালে, রাত হলে চেরাগ জ্বালে
দিন যাবে রবে না
দিন যায় তো ক্ষণ যায় না
দিন যায়, কথা থাকে
দিনগত পাপক্ষয়
দিনে তারা দেখা
দিনে বাতি যার ঘরে, তার ভিটায় ঘুঘু চরে
দিল্লিকা লাড্ডু, যো খায়া সো পস্তায়া, যো ন খায়া সো ভি পস্তায়া
দীয়তাং ভুজ্যতাম
দেখ্ তোর, না দেখ্ মোর
দেখছি কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার
দেখতে পেলে শুনতে চায় না
দেখব কত কালে কালে গোঁফ রেখেছে তোবড়া গালে
দেখাদেখি চাষ, লাগালাগি বাস
দেখে শেখে আর ঠেকে শেখে
দেদোর মর্ম দেদোয় জানে(দুঃখী)
দেব ধন, বুঝব মন, কেড়ে নিতে কতক্ষণ
দেবতার বেলা লীলাখেলা, পাপ লিখেছে মানুষের বেলা
দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ(নারীর মন অস্থিরমতি)
দেয় থোয় রেখে মান তারে বলি যজমান
দেশগুণে বেশ
দেশে নাই যা, ছেলে চায় তা
দেহের গুমর করো না ভাই এই আছে এই নাই
দৈবজ্ঞ যদি বলে ঠিক তবে কেন মাগে ভিখ?
দোয়া গাইয়ে চাট সই
দোষেগুণে সৃষ্টি, ঝড়ে জলে বৃষ্টি
ধ
ধুকড়ির ভিতর খাসা চাল
ধন জন যৌবন জোয়ারের জল কতক্ষণ?
ধন থাকলেই সিঁধের ভয়
ধন নাই, কড়ি নাই নিধিরাম পোদ্দার
ধন সোহাগী মরেন কুড়োর জাউ খেয়ে
ধন, জন, পরিবার, কেহ নহে আপনার
ধনীর চিন্তা ধন ধন, নিরেনব্বুইয়ের ধাক্কা, যোগীর চিন্তা জগন্নাথ,ফকিরের চিন্তা মক্কা
ধনীর মাথায় ধর ছাতি, নির্ধনের মাথায় মার লাথি
ধনে ধন দেখে, পুতে পুত দেখে
ধনে সুখ নয়, মনে সুখ
ধর কাছি তো ধরেই আছি
ধরতে ছুঁতে কিছুই নেই
ধর্ম হয় না করলেই উপাস
ধর্মস্য সূক্ষ্মা গতিঃ
ধর্মেণ হীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ
ধর্মের কল বাতাসে(আপনি)নড়ে, পাপ করলে ধরা পড়ে
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে
ধর্মের ভরা ভেসে উঠে, পাপের ভরা তল যায়
ধর্মো রক্ষতি ধার্মিকম্
ধরলে কোঁ কোঁ করে,ছেড়ে দিলে পাকসাট মারে[পাকসাট=পাখার ঝাপট, তথা আস্ফালন]
ধরি মাছ না ছুঁই পানি
ধরে আনতে বললে বেঁধে আনে
ধুলো মুঠা ধরতে সোনা মুঠা হয়
ধান একগুণ, ঘাস শতগুণ
ধান খায় কাকে, ব্যাঙের পায়ে দড়ি
ধান নাই চাল নাই, আন্দিরাম মহাজন
ধান ভানতে শীবের গীত
ধানের আগে উড়ি ফোলে[‘উড়ি’ একপ্রকার ধান]
ধার করে খায়, হেঁট মাথায় যায়
ধারে কাটে আর ভারে কাটে
ধীর জ্বাল, ঘন কাটি, তবে বলি দুধ আউটি
ধীর ধীর বোনে তাঁতি সকল জিনে
ধীর পানি পাথর কাটে
ধীরে রাঁধে ধীরে খায়, তবে খাওয়ার মজা পায়
ন
ন চ দৈবাৎ পরং বলম্
ন দেবায়, ন ধর্মায়
ন নিম্বো মধুরায়তে
ন ভূতো, ন ভবিষ্যতি
ন যযৌ, ন তস্থৌ
ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি পিতা রক্ষতি কৌমারে, ভর্তা রক্ষতি যৌবনে ;পুত্রশ্চ স্থবিরে ভাবে, ন স্ত্রী স্বাতন্ত্র্যমর্হতি নারী বাল্যে পিতার, যৌবনে ভর্তার এবং বার্ধক্যে পুত্রের অধীনে থাকিবেন স্ত্রীগণের পক্ষে স্বাধীন হওয়া উচিত নয় এখানে স্বাধীন বলতে যথেচ্ছাচারী বোঝাচ্ছে
ন সন্তোষাৎ পরং সুখম্
ন হি সুপ্তস্য সিংহস্য প্রবিশন্তি মুখে মৃগাঃ
নই কাজ তো খই ভাজ
নখে কাটে কচি কালে, ঝুনো হলে দাঁত না চলে
নখের ছিদ্রে কুড়াল লাগানো
নটে খেটে আড়াই মাস, সজনে ফলে বার মাস
নড়তে পারে না কামান ঘাড়ে
নূতন নূতন ন’কড়া, পুরানো হলে ছ’কড়া
নদী শুকোলেও রেখা থাকে
নদী, নারী, শৃঙ্গধারী_ এ তিনে না বিশ্বাস করি
নদীকূলে বাস ভাবনা বারোমাস
নদীর এক কূল ভাঙ্গে আর এক কূল গড়ে
নদীর মুখে বালির বাঁধ
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
নুন খাই যার গুণ গাই তার
ননদেরও ননদ আছে(ননদ, ননদিনী, ননদী=স্বামীর বোন, নন্দাই=ননদের স্বামী, ভাজ= ভ্রাতার পত্নী, ভ্রাতৃ জায়া সব কটি মেয়েদের দিক থেকে সম্পর্ক)
নবাব আর কি? নবাব খাঞ্জা খাঁ(মুর্শিদকুলি খাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী খান্ জাহান খান্)
নয় মণ তেলও পুড়বে না, রাধাও নাচবে না
ন্যাড়া ক’বার বেলতলা যায়?
নরক তো গুলজার
নরুনে তালগাছ কাটা
নরম কাঠে ছুতোরের বল
নরম মাটিতে বেড়াল আঁচড়ায়
নরানাং মাতুলক্রমঃ
নরের মন নারায়ণ জানেন
না আঁচালে বিশ্বাস নেই
না আছে আয়োজন, পাড়া ভরে নিমন্ত্রণ
না খেলে যাবে দিন, ধার করলে হবে ঋণ
না চাইতে ছাতাটা পাই, চাইলে বুঝি ঘোড়াটা পাব
না দেখে চলে যায়, পায়ে পায়ে হোঁচট খায়
না পড়েই পণ্ডিত
না বুঝে ছিলাম ভাল, আধেক বুঝে পরান গেল
না বিয়িয়েই কানা’য়ের মা
না মরতেই ভূত?
নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরানো
নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘুমানো
নাকের উপরে এক বিঘৎ আর এক হাত!
নাকের জলে চোখের জলে হওয়া
নাকের বদলে নরুন
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
নাচতে নেমে ঘোমটা টানা
নাচে ভাল পাক দেয় উল্টো
নাড়া বনে কেত্তন
নাতির নাতি স্বর্গের বাতি
নাদা পেটা হাঁদা রাম
না-দেওয়া কাঁঠালের শাওনে পাক(না দিতে চাইলে কাঁঠাল শ্রাবণে পাকে)
না-দেওয়ার চাল, আজ না কাল
নানা মুনির নানা মত
নাপিত দেখলে নখ বাড়ে
নাপিতের আসি, ধোপার বাসি
নাপিতের ষোল চোঙা বুদ্ধি
নামে ডাকে গুরু মশাই,লেজা মুড়োর জ্ঞান নাই
নামে তালপুকুর ঘটি ডোবে না
নামে ধর্মদাস, ধর্মের নাম নেই
নারীর বল চোখের জল
নাস্তিকের মুখে ধর্ম কথা
নাহংকারাৎ পরো রিপু
নিকুলে চুকুলে ঘর, কামালে(গোঁফহীন পরিচ্ছন্ন হলে) বর
নিকামায়ে(কামাই বা আয় করে না, কাজহীন) দর্জি ছেলের মুখ সেলাই করে
নিজের কোলে ঝোল টানা
নিজের চরকায় তেল দাও
নিজের দই কেউ টক বলে না
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ
নিজের পাঁটা যায় লেজে কাটা
নিজের পায়ে কুড়ুল মারা
নিজের ভাই ভাত পায় না শালীর তরে মণ্ডা
নিত্য চাষির ঝি বেগুন ক্ষেত দেখে বলে এ আবার কি?
নিত্য ভিক্ষা তনু রক্ষা
নিত্য রোগী দেখে কে, নিত্য নেই দেয় কে?
নিতে পারি খেতে পারি, দিতে পারি নে, বলতে পারি কইতে পারি, সইতে পারি নে
নিদান কালে হরিনাম
নিদানের বিধান নেই
নিবৃত্তরাগস্য গৃহং তপোবনম্
নিম তিত নিসিন্দে তিত,তিত মাকাল ফল;তার চেয়ে অধিক তিত বোন সতীনের ঘর
নিম তিত, নিশিন্দে তিত, তিত মাকাল ফল, তার চেয়ে তিত কন্যে বোন সতীনের ঘর
নিম তিত, নিসিন্দে তিত, তিত নিমের ফুল, তার চেয়ে তিত অধিক দুই সতীনের কুল
নিম নিসিন্দে যেথা, মানুষ মরে না সেথা
নিমক খেয়ে নিমক হারামি
নিমতলা দিয়ে যাওনি, নিমফল খাওনি?
নিয়তিঃ কেন বাধ্যতে
নির্গুণ পুরুষের ভোজন সার, করেন সদাই মার মার
নির্গুণ পুরুষের তিনগুণ ঝাল
নির্ধনের ধন হলে দিনে দেখে তারা
নির্ধনের ধন, অথর্বের যৌবন
নীচ যদি উচ্চভাষে, সুবুদ্ধি উড়ায় হেসে
নীরোগ শরীর যার বৈদ্যে করবে কি; পরের ভাতে বেগুন পোড়া, পান্তা ভাতে ঘি
নুন আনতে পান্তা ফুরায়
নেই নাক তার গোঁফের বাহার
নেই-মামার চেয়ে কানা মামা ভালো
নেকা আদুরে চালশে কানা, জল বলে খায় চিনির পানা
নেকা, বোকা, ঢিলে কাছা, তিনে প্রত্যয় করো না বাছা
নেঙটা নেই বাটপারের ভয়
নেড়া আর কি বেলতলায় যায়?
নেবু কচলাবে যত, হবে তেত ততো
নেবার কুটুম দেবার নয়
নেবার বেলায় পরিপাটি, দেবার বেলায় ফাটাফাটি
নেভবার আগে ক্ষণেক তরে, দীপ জ্বলে দপ করে
নেয়ের এক নাও, নিনেয়ের(যার নৌকো নেই) শতেক নাও
নেশাতে বুক ফাটে, কুকুরে মুখ চাটে
প
পুকুর চুরি
পচা আদা, ঝালের গাদা/পচা আদায় ঝাল বেশি
পচা শামুকে পা কাটে
পূজায় মন নেই নৈবিদ্যে চোখ
পূজার সঙ্গে খোঁজ নেই, কপাল জোড়া ফোঁটা
পুঁজি নেই তার পাঁজি আছে
পুঁজি ভেঙে খেতে ভাল, ভেটেন[ভাঁটি] গাঙে যেতে ভাল
পট্টবস্ত্রে গুঞ্জফল মূল্য নাহি হয়, ছিন্ন বস্ত্রে মোতির মূল্য নাহি হয় ক্ষয় [গুঞ্জফল=কুঁচ]
পুঁটি মাছের প্রাণ দেখতে দেখতে যান[অতি দুর্বল প্রাণ]
পড়ুক না পড়ুক পো’ সভায় নে’ গে’ থো
পড়ল কথা সভার মাঝে, যার কথা তার গায়ে বাজে
পড়শী না বঁড়শি
পড়শীর মুখ না আরশির মুখ
পড়িলে ভেড়ার শৃঙ্গে ভাঙ্গে হিরার ধার
পড়ে গেলে ছাগলেও চাট মারে
পুড়ে ঝুড়ে রাঁধুনি, ছিঁড়ে ছুঁড়ে কাটুনী
পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা
পড়ে পাওয়া টাকা, ষোল আনাই লাভ
পড়েছি তাফালে, যা থাকে কপালে[তাফাল=গুড় তৈরির উনুন]
পড়েছি মোগলের হাতে খানা খেতে হবে সাথে
পতির পায়ে থাকে মতি তবে তারে বলে সতী
পতির মরণে সতীর মরণ
পথ চলবে জেনে, কড়ি নেবে গুণে
পথি নারী বিবর্জিতা [পথের অপরিচিতা নারী দুর্জ্ঞেয়]
পথে পেলাম কামার, দা গড়ে দে আমার
পুনর্মূষিকো ভব
পুবে হাঁস, পশ্চিমে বাঁশ; উত্তরে কলা, দক্ষিণে খোলা
পর কখনও আপন হয় না
পর তরফে খায় ঘি, তার আবার খরচ কি?
প্রদীপের কোলেই অন্ধকার/চেরাগের নীচেই অন্ধকার
পরপ্রত্যাশী, দু’পহর উপোসী
পর্বতের মুষিক প্রসব
পুরুষের দশ দশা, কখনও হাতি কখনও মশা
পরহস্তং গতা গতা লেখনী পুস্তিকা জায়া পরহস্তং গতা গতা;যদি মা পুনরায়াতি ভ্রষ্টা নষ্টা চ মর্দিতা
পরহস্তগতং ধনম্ পুস্তকস্থ তু যা বিদ্যা পরহস্তগতং ধনম্;কার্যকালে সমুৎপন্নে ন সা বিদ্যা ন তদ্ধনম
প্রহারেণ ধনঞ্জয়
প্রাণ বড় না মান বড়?
পুরানো চাল ভাতে বাড়ে, পুরানো ঘিয়ে মাথা ঘাড়ে
পুরানো বসন ভাতি, অবলাজনের জাতি
পরিতে হইবে শাঁখা তবে কেন মুই বাঁকা?
পরের কথায় লাথি চাপড়, নিজের কথায় ভাত কাপড়[পরচর্চা না করে নিজের কাজে মন দাও গে
পরের ঘরে খায় দায়, আঠারো মাসে বছর যায়
পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করা
পরের ঘি পেলে, প্রদীপ দেয় দুয়ারে মেলে
পরের ঘোল খাবার লোভে নিজের গোঁফ কামানো
পরের চাল,পরের ডাল, নদে করেন বিয়ে
পরের ছেলে খায় এতটা, বেড়ায় যেন বাঁদরটা;নিজের ছেলেটি খায় এতটি, বেড়ায় যেন লাটিমটি
পরের জন্য গর্ত খোঁড়ে, আপনি তাতে পড়ে মরে
পরের জন্য ফাঁদ পাতে, আপনি পড়ে মরে তাতে
পরের দুধে দিয়ে ফুঁ, পুড়িয়ে এলেন নিজের মু(মুখ)
পরের দেখে তোল হাই, যা আছে তাও নাই
পরের ধনে পোদ্দারি লোকে বলে লক্ষ্মীশ্বরী
পরের ধনে বরের বাপ
পরের পুতে বরের বাপ
পরের পিঠে বড় মিঠে
পরের ভাতে কুকুর পোষা
পরের মুখে ঝাল খাওয়া
পরের মন আঁধার কোণ
পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা
পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙে নিজের গোঁফে তেল
পরের মাথায় দিয়ে হাত, কিরা করে নির্ঘাত
পরের মাথায় হাত বুলানো
পরের লেজে পড়লে পা তুলো পানা ঠেকে, নিজের লেজে পড়লে পা ক্যাঁক করে ওঠে
পরের সোনা দিও না কানে, কেড়ে নেবে হেচকা টানে
পরের হাতে ধন পেতে অনেক ক্ষণ
পা না ভিজল যার বড় কৈ(মাছ) তার
পাকা ঘুঁটি কাঁচানো
পাকা ধানে মই দেওয়া
পাখি পড়ানোর মতো পড়ানো
পাখির প্রাণ অল্পেই যান
পাগল কি গাছে ফলে, আক্কেলেতে পাগল বলে
পাগলা ভাত খাবি, না হাত ধোব কোথায়?
পাগলা সাঁকো নাড়িস নে, ভাল মনে করে দিয়েছিস
পাগলে কিনা কয়, ছাগলে কিনা খায়?
পাগলের গোবধে আনন্দ[গো বধ মহাপাপ]
পাঁচ দিন চোরের এক দিন সাধুর
পাঁচ পাগলের ঘর, খোদায় রক্ষা কর
পাঁচ শ’ জুতো গুণে খায়, ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যায়
পাঁঠার ইচ্ছেয় ঘাড়ে কোপ
পাতা চাপা কপাল, আর পাথর চাপা কপাল
পাতের ভাত কেড়ে নাওয়া
পাতের ভাতে পুষলাম যুগী, উলটে বলে পরবাস কি?
পাতের ভাতে পালে কুকুর, কুকুর ওঠে মাথার উপুর
পাথরে ঘুণ ধরে না
পাথরে পাঁচ কিল
পাথরে লেখা মুছলেও যায় না
পান পান্তা ভক্ষণ, ঐ তো পুরুষের লক্ষণ; আমি অভাগী তপ্ত খাই, কোন দিন বা মরে যাই
পান সাজতে জানে না, দু পায়ে আলতা
পান হতে চুন খসে না
পান্তা ভাত ফুঁ দিয়ে খাওয়া
পান্তা ভাতে নুন জোটে না, বেগুন পোড়ায় ঘি
পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়/উৎপাতের কড়ি চিৎপাতে যায়
পায়ের কাজ[লাথি] কি হাতে হয়?
পার হ’লে পাটনি শালা
পারা(পারদ) আর পাপে কার সাধ্য চাপে
পালাতে না পেরে মোড়লের বেহাই
পি পু ফি শু/ কত রবি জ্বলে রে, কে বা আঁখি মেলে রে
পিঠা খায় মিঠার জোরে, হাত নাড়ে নানীর[=পিতামহী] জোরে
পিঠে বেঁধেছি কুলো, কানে দিয়েছি তুলো
পিতল সরা জাঁকে ভরা
পিতলের কাটারি, কাজে নেই ধার, ঝকমকই সার
পিন্ডি পায় না, কেত্তন চায়
পিপীলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে
পিসি বলো মাসি বলো, মার বাড়া নাই; পিঠে বলো মিঠা বল, ভাতের বাড়া নাই
পেট জ্বলে ভাতের তরে, সোনার আংটি হাতে পরে
পেটে খেলে পিঠে সয়, মরা পেটে বড় ভয়
পেটের আগুনে বেগুন পোড়ে
পেটের বাছা বাড়ির গাছা[গাছ]
পেঁয়াজও গেল, পয়জারও হল/পেঁয়াজ পয়জার দুই হল
পৈতা পুড়িয়ে সন্ন্যাসী/ব্রহ্মচারী
পোড়া কপালে সুখ নাই, বিয়ে বাড়িতে ভাত নাই
পোষের শীত মোষের গায়, মাঘের শীত বাঘের গায়
ফ
ফকিরে ফকিরে ভাই ভাই, ফকিরের রাজত্ব সব ঠাঁই
ফুটনির মামা, ভিতরে ক্লেদ, উপরে জামা
ফরসা কাপড়ে মান বাড়ে
ফুরালো বাগানের আম কি খাবিরে হনুমান?
ফুললো আর মলো
ফলেন পরিচীয়তে
ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যায়
ফুলের শোভা ভোমরা, গাই-এর শোভা চামড়া
ফাঁক পেলে সবাই চোর
ফোঁপরা ঢেঁকির শব্দ বেশি
ফাগুনে আগুন, চৈতে মাটি, বাঁশ রেখে বাঁশের পিতামহকে কাটি
ফ্যান দিয়ে ভাত খায়, গল্পে মারে দই, মেটে হুঁকোয় তামাক খায়, গুড়গুড়িটা কই?
ফেল কড়ি মাখ তেল তুমি কি আমার পর?
ফোতো বাবুর গালগল্প সার
ব
বউ উঠতে ঠাঁই পায় না, উঠান জোড়া দাসী
বউ জব্দ শিলে, ঝি জব্দ কিলে, পাড়াপড়শী জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে
বউ ভাঙলে সরা গেল পাড়া পাড়া, গিন্নি ভাঙলে নাদা [কলসি], ও কিছু নায় দাদা
বউ-এর রাগ বিড়ালের উপর, বিড়ালের রাগ বেড়ার উপর
বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না
বকঃ পরমধার্মিকঃ/ বক ধার্মিক
বুকে ব’সে দাড়ি ওপড়ানো
বগলে কাস্তে দেশময় খোঁজে
বগলে ছুরি মুখে রাম নাম
বচনে জগৎ তুষ্ট, বচনে জগৎ রুষ্ট
বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো
বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি বজ্রাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি, লোকোত্তরাণাং চেতাংসি কোহি বিজ্ঞাতুমীশ্বরঃ
বুঝতে পারি সেকরার ঠার, বলে এক করে আর
বড় গাছেই ঝড় লাগে
বড় গাছের তলায় বাস, ডাল ভাঙলেই সর্বনাশ
বড় ঘর বড় কথা, গরিবের ছেঁড়া কাঁথা
বড় ঘর বড় কথা, বললে কাটা যায় মাথা
বড় বড় বানরের বড় বড় পেট লংকায় যেতে তারা মাথা করে হেঁট
বড় বিয়ে তার দুপায়ে আলতা
বড় মুখ ছোট হওয়া
বড় মাছের কাঁটা আর ঘন দুধের ফোঁটা
বড় হবে তো ছোট হও
বড়র পিরিতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি, ক্ষণে চাঁদ
বড়লোকের আঁস্তাকুড়ও ভালো
মড়া মেরে খুনের দায়
বুড়ো শালিক পোষ মানে না
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
বুড়ো হল বক চেনে না
বুদ্ধিগুণে হা ভাত, বুদ্ধিগুণে খা ভাত
বৃদ্ধস্য বচনং গ্রাহ্যমাপৎকালে হ্যপস্থিতে
বন পোড়ে সবাই দেখে, মন পোড়ে কেউ না দেখে
বনগাঁয়ে শেয়াল রাজা
বন্ধ্যা নারীর অন্ধ পুত্র চাঁদ দেখতে পায়
বন্ধ্যা নারীর পুত্র শোক
বনের রক্ষক বাঘ, বাঘের রক্ষক বন
বুনলাম ধান, হল তিল, ফলল রুদ্রাক্ষ, খেলাম কিল
বয়সে চুল পাকে, কিন্তু বুদ্ধি পাকে না
বরকনের দেখা নেই বুধবারে বিয়ে
বরমেকোগুণীপুত্রো ন চ মুখ শতান্যপি;একশ্চন্দ্রস্তমো হন্তি ন চ তারাগণা অপি
বর্ষণ নেই গর্জন সার
বরের ঘরের মাসি, কনের ঘরের পিসি
বল বুদ্ধি ভরসা, তিন তিরিশে ফরসা
বল মা তারা দাঁড়াই কোথা?
বলা সহজ, করা কঠিন
বলীর ঘাম, নির্বলীর ঘুম
বলে দুধ, বেচে ঘোল
বসতে জায়গা পেলে, শোবার জায়গা মেলে
বসতে পেলে শুতে চায়
বসুধৈব কুটুম্বকম্
বসে খেলে কুলোয় না, করে খেলে ফুরোয় না
বসে না থাকি বেগার খাটি
বসে বসে লেজ নাড়া
বহু সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট
বহ্বারম্ভে লঘু ক্রিয়া
বাইরে হাশিখুশি ভিতরে গরল রাশি
বাউলের ঘরে গরু
বাঘ-ভালুকের রাজ্যে থাকি মনের কথা মনেই রাখি
বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা
বাঘে বলদে এক ঘাটে জল খায়
বাঘে সিংহে যুদ্ধ হয়, উলু খাগড়ার প্রাণ যায়
বাঘের আবার গোবধ[অর্থাৎ গো বধ করে পাপ!]
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা
বাঘের দেখা সাপের লেখা
বাঘের যোগ্য বাঘিনী
বাঘেরও চক্ষু লজ্জা আছে
বাঁচলে কত দেখব আর, ছুঁচোর গলায় চন্দ্রহার;বিড়ালের কপালে টিকে, বাঁদর বেড়ায় হলুদ মেখে
বাছার আমার এত বাড়, ছ’আনার কাপড়ে ন’আনার পাড়
বাজাতে বাজাতে বাইন, গাইতে গাইতে গাইন
বাড়িতে পায় না শাক সজিনা, ডাক দিয়ে বলে ঘি আন না
বাড়ির মধ্যে এক ঘর, তার আবার সদর অন্দর
বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীস্তদর্ধং কৃষি-কর্মণি;তদর্ধং রাজসেবায়াৎ ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ
বানরের গলায় মুক্তার মালা
বাপ জানে না, মা জানে না, হোগল বনে বিয়ে
বাপকা বেটা সিপাই কা ঘোড়া, কুছ নেহি তো থোড়া থোড়া
বাপের জন্মে (কালে) চড়িনি ডুলি, ভেঙে গেল মোর পাছার খুলি, নামা ডুলি নামা ডুলি
বাপের জন্মে নেইকো চাষ, ধানকে বলে দুব্বো ঘাস
বাবু মরেন শীতে আর ভাতে
বাবা পেটে, মা হাটে, আমি তখন বছর আটে
বাবার কালে নেইকো গাই, চালুনি নিয়ে দুইতে যাই
বাবারও বাবা আছে
বামুন গেল ঘর তো লাঙল তুলে ধর
বামন হয়ে চাঁদে হাত
বামুনের গরু খায় অল্প, নাদে বেশি, দুধ দেয় কলসি কলসি
বামুনের ভাতে থাকা(কম পরিশ্রম)
বার কাঁদি নারিকেল, তের কাঁদি কলা;আজ আমাদের রানির উপোসের পালা বারটা ঝাড়লুম তেরটা ম’ল, তুই না মরে অপযশ হল(হাতুড়ে চিকিৎসক)
বার বার ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবার তোমার আমি বধিব পরাণ
বার মাসে তের পার্বণ
বার রাজপুতের তের হাঁড়ি,কেউ খায় না কারও বাড়ি
বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বিচি
বাঁশ বনে ডোম কানা(সিদ্ধান্ত নিতে পারে না)
বাঁশ মরে ফুলে, মানুষ মরে ভুলে
বাঁশি হারিয়ে শিঙায় ফুঁ
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়
বাহিরে কেঁচোর পত্তন ভিতরে ছুঁচোর কীর্তন
বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া
বিদ্বান্ সর্বত্র পূজ্যতে
বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্
বিদ্যারত্নং মহাধনম্ জ্ঞাতিভির্বণ্ট্যতে নৈব, চৌরেণাপি ন নিয়তে;দানেন ন ক্ষয়ং যাতি বিদ্যারত্নং মহাধনম্
বিধি যদি বিপরীত, কেবা করে তার হিত
বিধির লিখন না যায় খণ্ডন
বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি পুকুরের সৃষ্টি
বিনা দানে মথুরা পার
বিনা মেঘে বজ্রাঘাত
বিপদ কখনও একা আসে না
বিপদে শিবের গোঁড়া, সম্পদে শিব তো নোড়া
বিমাতা বিষের ঘর
বিয়ে ফুরুলে ছাঁদলায় লাথি
বিয়ে ফুরুলে বাজনা, কিস্তি ফুরুলে খাজনা
বিলম্বে কার্য সিদ্ধি
বিশ্বকর্মা কত কারিগর তা জগন্নাথেই প্রকাশ
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু(কৃষ্ণ) তর্কে বহু দূর
বিশ্বাসো নৈব কর্তব্যঃ স্ত্রীষু রাজকুলেষু চ
বিষ খেয়ে বিশ্বম্ভর
বিষ নেই কুলোপানা চক্কর
বিষকুম্ভং পয়োমুখম্ পরোক্ষে কার্য-হন্তারং প্রত্যক্ষে প্রিয়বাদিনম্; বর্জয়েৎ তাদৃশং বন্ধুং বিষকুম্ভং পয়োমুখম্
বিষবৃক্ষোঽপি সংবর্ধ্য স্বয়ং ছেত্তুমসাম্প্রতম্
বিষে বিষ ক্ষয়
বে-আক্কেলে কয় সংসার আমার নয়
বেকারের চেয়ে বেগার ভাল
বেগুন গাছে আঁকশি
বেগারের দৌলতে গঙ্গাস্নান
ব্যাঙ বলে সাপকে_ কারও কড়ি ধারি না[নিষ্ফল আস্ফালন]
ব্যাঙের আবার সদির্?
ব্যাঙের নাকে মিনের নোলক
ব্যাঙের মাথায় ছাতি
বেদেয় চেনে সাপের হাঁচি
বেদের মরণ সাপের হাতে
বেঁধে মারে সয় ভাল
বেনা বনে মুক্তা ছড়ানো
বেনের কাছে মেকি চালানো
বেনো জল ঢুকিয়ে খরো’ জল বের করা
বেল পাকলে কাকের কি?
বেহায়ার নাহি লাজ, নাহি অপমান;সুজনকে এক কথা মরণ সমান
বৈষ্ণব হইতে বড় হয়েছিল সাধ, তৃণাদপি শুনে মনে লেগে গেছে তাক
বোঝার উপরে শাকের আঁটি
বৌ না বোবা, বৌ না বাবা
ভ
ভক্তিহীন ভজন আর লবণহীন ব্যঞ্জন
ভগবানের মার দুনিয়ার বার
ভজনের সঙ্গে খোঁজ নেই, ভোজন ছত্রিশ জাতে
ভূতের আবার গঙ্গাস্নান
ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ
ভূতের বেগার খাটা
ভূতের বোঝা বওয়া
ভূতের মুখে রাম নাম
ভবি ভোলবার নয়
ভবিতব্যং ভবত্যেব
ভবের খেলা সাঙ্গ হল
ভরাডুবির মুঠা লাভ
ভস্মে ঘি ঢালা
ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই
ভাগ্যং ফলতি সর্বত্র, ন চ বিদ্যা ন পৌরুষম্
ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয়
ভাগাড়ে মড়া পড়ে, শকুনির টাক নড়ে
ভাগের ভাগ পেলে, না খেয়েও চিবিয়ে ফেলে
ভাগের মা গঙ্গা পায় না
ভাঙ্গবে তবু মচকাবে না
ভাঙ্গা ঘরে জোছনার আলো, যে দিন যায় সে দিন ভালো
ভাঙ্গা ঘরে বাস ভাবনা বারো মাস
ভাঙ্গা ঘরে ভূতের বাসা
ভাঙ্গা পা খানায় পড়ে
ভাজা মাছ উলটে খেতে জানে না
ভাঁড়ে নেই ঘি, ঠকঠকালে হবে কি?
ভাত কখনও পেট খোঁজে না
ভাত কাপড়ের কেউ নয়, কিল মারার গোঁসাই
ভাত খাই কাঁসি বাজাই, রগড়ের ধার ধারি না
ভাত খাও ভাতারের, গুণ গাও নাঙ্গের
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব নেই
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব?
ভাত দেবার ভাতার নয়, কিল মারার গোঁসাই
ভাত পায় না কুঁড়ের নাগর, আমানি খেয়ে পেটটা ডাগর
ভাত রোচে না, রোচে মোয়া, মণ্ড রোচে পোয়া পোয়া
ভাতের খিদে কি অন্য কিছুতে মেটে
ভাবিতে উচিত ছিল প্রতিজ্ঞা যখন
ভাবে ডগমগ তেলাকুচো, হেসে ম’লো রে ভুঁই-ছুঁচো
ভাল করতে পারি না, মন্দ করতে পারি
ভাল লোকের কিল চুরি
ভালুক চেনে শালুক ফুল
ভিক্ষুকের এক দোর বন্ধ, শত দোর খোলা
ভিক্ষায়াৎ নৈব নৈব চ
ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া
ভিন্নরুচির্হি লোকাঃ
ভীষ্ম,দ্রোণ,কর্ণ গেল শল্য হল রথী, চন্দ্র সূর্য অস্ত গেল জোনাকির পাছে বাতি
ভূত দিয়ে ভূত ছাড়ানো
ভেক না নিলে ভিখ মেলে না
ভেরেণ্ডাও বৃক্ষ
ভেড়ার গোয়ালে বাছুর মোড়ল
ভেলায় সাগর পার
ভোজনং যত্র কুত্রাপি শয়নং হট্ট মন্দিরে;মরণং গোমতীতীরেঽপরং বা কিং ভবিষ্যতি
ম
মুখ না থাকলে শেয়ালে খেত
মুখ পুড়িয়ে লঙ্কায় আগুন
মুখচোরা বামুন, কেশোরোগী চোর
মুখটি যেন ভাজার খোলা, খই ফুটছে ফোলা ফোলা
মুখে খুব মিঠে, নিম নিসিন্দে পেটে
মুখে মধু হৃদে ক্ষুর, সেইত হয় বিষম ক্রূর
মুখে রামনাম বগলে ছুরি
মুখেন মারিতং জগৎ
মুখের চোটে গগন ফাটে
মঘা, এড়াবি ক’ ঘা?
মুচি হয়ে শুচি হয় যদি হরি ভজে, শুচি হয়ে মুচি হয় যদি হরি ত্যজে
মুচির নাই নাক (চামড়ার গন্ধ), শুঁড়ির নাই কান(মাতালের কদর্য উক্তি)
মটরের চাপে মুসুরি চেপ্টা
মুড়া কোদালে দিঘি কাটা
মড়া মেরে খুনের দায়
মড়ার উপরে খাড়ার ঘা
মুড়ি মিছরির এক দর
মুড়ি[মাথা] আর ভুঁড়ি সকল রোগের গুঁড়ি
মুণ্ডমালার দাঁত কপাটি সার
মদ খায় না, মদে খায়?
মদ্দ বড় তেজী, ধরবেন বনের বেজি
মধুপান করতে পারি, মাছির কামড় সইতে নারি
মধ্বভাবে গুড়ং দদ্যাৎ
মধুরেণ সমাপয়েৎ
মন চায় বাদশা হতে, খোদার দোয়া মেগে খেতে
মন ভাল নয় তীর্থ করে, মিছে কাজে ঘুরে মরে
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন
মনবো ঠাকুর দেব না, আমার পিত্যেশ কোরো না
মনিব গেলে ঘোল পায় না, বিশেকে পাঠায় দুধের তরে
মুনীনাঞ্চ মতিভ্রমঃ
মনে বড় সাধ, চড়ব বাঘের কাঁধ
মনে মনে লঙ্কা ভাগ
ময়না টিয়ে উড়িয়ে দিয়ে খাঁচায় পোষে কাক
ময়রার ছেলে গুড় খায় না
মূর্খ লোকে কেনে বই, জ্ঞানবানে পড়ে;ধনবানে কেনে ঘোড়া,বুদ্ধিমানে চড়ে মূর্খস্য নাস্ত্যৌষধম
মরণকালে হরিনাম
মরণের বাড়া গাল নাই
মরবে মেয়ে উড়বে ছাই, তবে মেয়ের গুণ গাই
মরা কাকের আবার মড়কের ভয়?
মরা মালঞ্চে ফুটল ফুল, টাকে আবার উঠল চুল
মরি তাহে খেদ নাই, কাঁটা বন দিয়ে না টানে
মূলা চোরের ফাঁসি
মূলে নেই লক্ষ্মী পূজো, একেবারে দশভুজো
মশা মারতে কামান দাগা
মশা মেরে হাত কাল
মশালচী আপনি কানা
মশালের কাছে চেরাগের আলো
মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ
মা কুরু ধনজনযৌবনগর্বম্
মা ডাকলে খেলাম না, বাবা ডাকলে খেলাম না, সাত পুরুষের ঢেঁকি বলে, পান্তা খা, পান্তা খা
মা পায় না কাঁথা-সেলাইয়ের সুতো, ব্যাটার পায়ে চৌদ্দ সিকের জুতো
মা বলেছে আমার নাকি মাথা ধরেছে
মা লক্ষ্মী ভিক্ষা মাগে
মা’য় কয় খা, বাপে কয় ল্যাখ, নামটি আমার আবদুল খালেক
মাছের কাঁটা গলায় বাঁধলে বিড়ালের পায়ে গড়
মাছের তেলে মাছ ভাজা
মাছের মায়ের পুত্রশোক
মাতৃবৎ পরদারেষু পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ; আত্মবৎ সর্বভূতেষু যঃ পশ্যতি স পণ্ডিতঃ
মাতা শত্রুঃ পিতা বৈরী, যেন বালো ন পাঠিতঃ
মাথা নেই তার মাথা ব্যথা
মাথায় লাথি মেরে পায়ে গড়
মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল
মানুষ গড়ে, বিধাতা ভাঙে
মানুষে মানুষ চেনে, শুয়োরে চেনে কচু
মামা কানা আমি চোখে দেখিনে
মায়ের গলায় দিয়ে দড়ি, বউকে পরাই ঢাকাই শাড়ি
মায়ের চেয়ে দরদ বেশি তারে বলি ডান
মায়ের পোড়ে না মাসির পোড়ে, পাড়া পড়শীর কেতন ওড়ে
মারি তো গণ্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার
মারের চোটে ভূত পালায়
মারো আর ধরো পিঠে দিয়েছি কুলো, বকো আর ঝকো কানে দিয়েছি তুলো
মিছরির ছুরি
মিছে কর আম্বা, যা করেন জগদম্বা
মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ(বিবাহকালে) কন্যা কাময়তে রূপং, মাতা বিত্তং, পিতা শ্রুতম্[বিদ্যা];বান্ধবাঃ কুলমিচ্ছন্তি, মিষ্টান্নমিতরে জনাঃ
মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভেজে না
মেও ধরবে কে?
মেগে এনে বিলিয়ে খায় হাতে হাতে স্বর্গ পায়
মেঘ না চাইতেই জল
মেজে ঘষে হল ক্ষয়, কালো কি তবু ধলো হয়
মেয়েদের শ্বশুর বাড়ি বলে কিছু নেই, সেটাই তার বাড়ি; বাপের বাড়ি বেরু বাড়ি
মেয়ের মায়ের পাঁচটা প্রাণ
মেরে তুলোধোনা করা
মোগল পাঠান হদ্দ হল ফারসি পড়ে তাঁতি
মোগল পাঠান হদ্দ হল, ফারসি পড়েন তাঁতি, বাঘ পালাল বিড়াল এল, শিকার করতে হাতি
মোল্লার দৌড় মসজিদ অবধি/পর্যন্ত/তক
মৌনং সম্মতি লক্ষনম্
য
যঃ পলায়তি স জীবতি
যকের চোখে ঘুম নাই
যখন আদর জুটে, ফুটকলাই দিয়ে ফুটে; যখন আদর টুটে, ঢেঁকি দিয়ে কুটে যখনকার যা তখনকার তা
যখন তখন করে পাপ, সময় বুঝে ফলে পাপ
যখন বিধি মাপায়, তখন উপরি উপরি মাপায়
যখন যার কপাল ধরে শুকনো ডাঙায় ডিঙি সরে
যখন যার তখন তার
যখন যার পড়তা হয়, ধুলোমুঠো ধরে সোনামুঠো হয়
যখন যেমন তখন তেমন
যজমানী বামুনের অন্নাভাব নেই
যত কর তাড়াতাড়ি, খেয়াঘাটে গড়াগড়ি
যত কর পুতু পুতু, ততো হয় ছোলার ছাতু
যত গর্জে ততো বর্ষে না
যত দোষ নন্দ ঘোষ
যত পাই ততো খাই
যত বড় মুখ নয়, ততো বড় কথা
যত মত, ততো পথ
যত সয় ততো রয়
যত হাসি ততো কান্না, বলে গেছে রামশর্মা
যতই কর শিব সাধনা, কলঙ্কিনী নাম যাবে না
যতই করিবে দান ততো যাবে বেড়ে[বিদ্যা]
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ
যতন নহিলে নাহি মিলয়ে রতন
যম জামাই ভাগনা এ তিন নয় আপনা
যতো ধর্ম স্ততো জয়ঃ
যথারণ্যং তথা গৃহম্
যদ্ দৃষ্টং তল্লিখিতম্
যদু ধোপা, মধু ধোপা, সব ধোপারই এক চোপা
যুদ্ধের পরে সেপাই হাজির
যদি থাকে আগে পিছে, কি করে শাকে মাছে(আগে ঘি শেষে দুধ থাকলে)
যদি দেখে আঁটা আঁটি কাঁদিয়া ভিজায় মাটি
যদি বর্ষে আগনে, রাজা যায় মাগনে
যদি হয় সুজন, তেঁতুল পতায় ন’জন
যদি হয় সোনার ভাগারি,তবু ধরে লোহার কাটারি
যস্মিন্ দেশে যদাচারঃ
যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে
যাকে রাখ সেই রাখে
যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা
যাদৃশী ভাবনা যস্য সিদ্ধির্ভবতি তাদৃশী
যাবজ্জীবেৎ সুখং জীবেৎ ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ; ভস্মীভূতস্য দেহস্য পুনরাগমনং কুতঃ
যার আছে মাটি,তারে নাহি আঁটি
যার কাজ তারে সাজে, অন্য লোকে লাঠি বাজে
যার কেউ নেই তার ভগবান আছে
যার গলা ধরে কাঁদি, তার নাহি পানি
যার ছেলে যত পায়, তার ছেলে ততো চায়
যার জন্য করি চুরি সে-ই বলে চোর
যার দৌলতে চুয়া চন্দন, তারি পাতে খোলার ব্যঞ্জন
যার ধন তার ধন নয়, নেপোয় মারে দই
যার নুন খাই তার গুণ গাই
যার বিয়ে তার মন নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই
যার বিয়ে তার মন নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই
যার যা রীত,ছাড়ে কদাচিৎ
যার শিল, যার নোড়া, তারই ভাঙি দাঁতের গোড়া
যারে না বামুন বলি তার গায়ে নামাবলী
যারে বললে ছি, তার রইল কি?
যাহা বাহান্ন তাহা তিপ্পান্ন
যে কুকুর ঘেউ ঘেউ করে সে কুকুর কামড়ায় না
যে কথা রটে, তার কতক বটে
যে বাতাসে দাবানল বাড়ে, সেই বাতাসেই প্রদীপ নেভে
যে যায় লঙ্কায় সে-ই হয় রাবণ
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে
যে সহে সে রহে
যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়
যেখানেই আঁটাআঁটি, সেখানেই লাঠালাঠি
যেন তেন প্রকারেণ
যেমন কর্ম তেমনি ফল, মশা মারতে গালে চড়
যেমন সরা, তেমনি হাঁড়ি, গড়ে রেখেছে কুমোর বাড়ি
যোগ্যং যোগ্যেন যুজ্যতে
র
রুক্ষ মাথায় তেল দেয় না, তেলা মাথায় তেল
রক্ষকে ভক্ষণ করে, কে তারে রাখতে পারে?
রঙ থাকলে রাঙা কড়ি, রঙ ফুরোলে গড়াগড়ি
রতনে রতন চেনে
রথ দেখা আর কলা বেচা
রূপে ঢল ঢল গুণে পশরা, কেঁদে ম’ল যত ভুঁইছুঁচোরা
রাই কুড়িয়ে বেল
রাখে কৃষ্ণ মারে কে, মারে কৃষ্ণ রাখে কে?
রাজা থাকতে কোটালের দোহাই
রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়
রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট, স্ত্রীর দোষে স্বামীর কষ্ট
রাজার রাজপাট যোগী মুনির কাঁথা
রাজার রানি কানার কানী
রাজারও রায়ত নয়, সাধুরও খাতক নয়
রাত উপোসে হাতি পড়ে
রাঁধতে দেরি সয়, বাড়তে দেরি সয় না
রান্না খেতে কান্না পায়
রাম না হতে রামায়ণ
রাম ভজি কি রহিম ভজি?
রাম লক্ষণ দুটি ভাই, রথে চড়ে স্বর্গে যাই
রামের ভাই লক্ষণ আর কি!
রূপে হেনস্থা হয়, বিদ্যায় বিশ্ব জয়
রোগ মুড়িতে[মাথায়] আর ভুঁড়িতে
রোগের শেষ, আগুনের শেষ, শত্রুর শেষ, ঋণের শেষ, এ সবের শেষ রাখতে নেই
রোজার[ওঝা] ঘাড়ে বোঝা
ল
লক্ষ্মীর ঘরে কাল পেঁচা
লক্ষ্মীর পো ভিখ মাগে গো
লুকিয়ে খেলে শুকিয়ে যায়
লঙ্কায় রাবণ ম’ল, বেহুলা কেঁদে রাঁড়ী হল
লজ্জা নেই যায়, রাজা হারে তায়
লম্বা কোঁচায় নমস্কার
ললাটলিপি খণ্ডন করা যায় না
লাউশাকের বালি, আর অন্তরের কালি
লাখ কথার ওপর এক কথা
লাখ টাকা লাখ টাকা, দুকুড়ি দশ টাকা
লাখ টাকায় বামুন ভিখারি
লাগে টাকা দেবে গৌরী সেন
লাগে তুক্ না লাগে তাক্
লাজে বউ খান না, চালতা হেন গ্রাস
লাজের মাথায় পড়ুক বাজ, সাধ গিয়ে আপন কাজ
লাট সাহেব আর কি!
লাথ সয় তো বাত সয় না
লাথির কাজ কি চড়ে হয়?
লাথির ঢেঁকি কি চড়ে ওঠে?
লাথির ঢেঁকি মাথয় চড়ে
লাভে লোহা বয়
লাভের গুড় পিঁপড়েয় খায়
লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে, মৎস্য মারিব খাইব সুখে
লেখা নয় যেন আরশোলার পায়ের ছাপ
লেখা পড়া করে যেই, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সেই
লেগে থাকলে মেগে খায় না
লেঙটার নাই বাটপারের ভয়
লোকে বলে আছে ভাল, শালুক খেয়ে দাঁত কালো
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু
লোম বাছতে কম্বল উজাড়
লোহা পাথরে যুদ্ধ করে, শোলা দিদি পুড়ে মরে
শ
শংকরাকে খেলে বাঘে, অন্যেরা কোথায় লেগে?
শক্ত মাটিতে বিড়াল আঁচড়ায় না
শক্তের তিনকুল মুক্ত
শক্তের ভক্ত নরমের যম/বাঘ
শুকনো ডাল ভাঙলেও নোয় না
শুকনো কাঠে ব্রহ্মশাপ
শুকনো গাছে জল সেঁচা
শুকনো ডাঙায় আছাড় খাওয়া
শঠে শাঠ্যং সমাচারেৎ
শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল
শতং বদ মা লিখ
শতং মাড়িং ভবেৎ বৈদ্যঃ, সহস্র মাড়িং চিকিৎসকঃ[মাড়িং=ঘোঁটানো]
শত্রুর মুখে ছাই দেওয়া
শত্রুর শেষ রাখতে নাই
শুধু কথায় চিঁড়ে ভেজে না
শুধু গৌর নয়, গৌরহরি
শুধু মেঘে মাটি ভেজে না
শূন্য কলসি বাজে বেশি
শনির দৃষ্টি হলে পোড়া শোলও পালায়
শনৈঃ পর্বত লঙ্ঘনম্
শ্বশুর বাড়ি মধুর হাঁড়ি, তিন দিন পরে ঝাঁটা বাড়ি
শ্বা যদি ক্রিয়তে রাজা, স কিং নাশ্নাত্যুপানহম্
শ্বেত চামর আর কোষ্টা পাট(এক নয়)
শুভস্য শীঘ্রম্ অশুভস্য কালহরণম্
শমন-দমন রাবণ রাজা, রাবণ-দমন রাম
শ্যাম রাখি না কুল রাখি?
শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়ে সেই বাঘে মানুষ মারে
শুয়োরের কপালে গঙ্গামাটির ফোঁটা
শ্রদ্ধার যা পাই হাত পেতে খাই
শরীরং খলু ব্যাধিমন্দিরম্
শরীরমাদ্যং খলু ধর্মসাধনম্
শরীরের নাম মহাশয়, যা সওয়াবে তাই সয়
শসাবেচুনি বেচে শশা, তার হয়েছে সুখের দশা
শাক অম্বল পান্তা, তিন ওষুধের হন্তা
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা
শাক-চোরকে শূলে
শাঁখাহাতী শাখা নাড়ে, বেড়াল ভাবে ভাত বাড়ে
শাঁখের করাত আসতেও কাটে যেতেও কাটে
শানকির উপরে বজ্রাঘাত
শাপে বর হওয়া
শামুক দিয়ে সাগর সেঁচা
শাল চোরকে শূলে দেওয়া
শালুক চিনেছেন গোপাল ঠাকুর
শালগ্রাম পোড়ায়ে খেয়ে নুড়ি দেখে ভয়
শালগ্রামের শোয়া বসা সমান
শিং ভেঙে বাছুরের দলে ঢোকা
শিকল কাটা টিয়া পোষ মানে না
শিকারি বেড়ালের গোঁফ দেখলে চেনা যায়
শিখলি কোথা, না দেখলাম যেথা
শিখেছ কোথায়, ঠেকেছি যেথায়
শিব গড়তে বাঁদর হল
শিবের কন্যা শিবকে দান
শিবের সঙ্গে খোঁজ নেই গাজনের ঘটা
শিয়রে রাজা, কোটালের দোহাই
শিরে কৈলে সর্পাঘাত তাগা বাঁধবি কোথা?
শেয়ানা ঘুঘুর ছা, ফাঁদে দেয় না পা
শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি
শেয়ালের বাড়ি নিমন্ত্রণ, না আঁচালে বিশ্বাস নেই
শেষ রক্ষাই রক্ষা
ষ
ষট্কর্ণে মন্ত্রভেদ
ষাঁড়ের শত্রু বাঘে মারে
ষেঠের বাছা ষষ্ঠীর দাস
ষোল আনা বাজিয়ে নেওয়া
ষোল আনাই ভুয়ো, ষোল কড়াই কানা
ষোল আনাই লাভ
স
স’য়ে থাকলে র’য়ে যায়
সংসর্গজা দোষগুণা ভবন্তি
সংসার আনন্দময় যার মনে যা লয়
সকল নোড়াই শালগ্রাম হলে হলুদ বাটি কিসে?
সকল পাখিতেই মাছ খায়, নাম পড়ে মাছরাঙার
সকল ব্রতই করলে যশী, বাকি আছে ভীম একাদশী
সখা যার সুদর্শন[কৃষ্ণ] তার সঙ্গে কি সাজে রণ?
সখি লো সখি আপনার মান আপনি রাখি
সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়
সুখের ঘরে রূপের বাসা
সুখের চেয়ে স্বস্তি ভাল
সুখের প্রাণ গড়ের মাঠ
সঙ্গদোষে কি না হয়, ছুঁচো ছুঁলে গন্ধ হয়
সজনে শাক বলে আমি সকল শাকের হেলা, আমার খোঁজ কেবল টানাটানির বেলা
সজনে শাকে নুন জোটে না, মসুর ডালে ঘি
সুঁচ গড়তে জানে না, বন্দুকের বায়না নেয়
সুঁচ গলে না কোদাল চালায়
সুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনো
সুঁচ, সোহাগা, সুজন, ভাঙ্গা গড়ে তিনজন
সুজন-পিরিত সোনা, ভেঙে গড়া যায়;কুজন-পিরিত কাচ, ভাঙিলে ফুরায় সুদিনের বারো ভাই, কুদিনের কেউ নাই
স্ত্রিয়াশ্চরিত্রং পুরুষস্য ভাগ্যং দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ
স্ত্রী ভাগ্যে ধন, পুরুষ ভাগ্যে জন
স্ত্রী রত্নং দুষ্কুলাদপি
স্ত্রীবুদ্ধি প্রলয়ংকরী
সতী হল কবে, সে মরেছে যবে(মৃত্যুর পরে সতীত্বের নিশ্চয়তা প্রাপ্তি) সত্যের দ্বারে আগড় নাই
সদরে সূঁচ চলে না, মফস্সলে[মফঃস্বল] হাতি চলে
সন্দেশের খোসা ফেলে খাওয়া
সন্ন্যাসীর অল্প ছিদ্র গায় সর্বজন, শুভ্রবস্ত্রে মসীবিন্দু দেখায় যেমন
সন্নেসি চোর, না বোঁচকায় ঘটায়
স্পষ্ট কথায় কষ্ট নাই
সফরী ফর্ফরায়তে অগাধজলসঞ্চারী বিকারী ন চ রোহিতঃ; গণ্ডূষজলমাত্রেণ সফরী ফর্ফরায়তে
সব কাজে যার হুঁশ, তারে কয় মানুষ
সব জন্তু মোট বয় ধরা পড়েছে গাধা
সব ঝিনুকে মুক্তা নেই
সব ভালো যার শেষ ভালো
সব শিয়ালের এক রা
সব শেয়ালে কাঁটাল খেলে বকের মুখে আঠা
স্বদেশের ঠাকুর, বিদেশের কুকুর
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ
স্বনামা পুরুষো ধন্যঃ
স্বভাব যায় না ম’লে, ইল্লত যায় না ধুলে
স্বভাবে করে না অভাবে করে
স্বর্গ হতে পাওয়া
স্বর্গে তুলে দেওয়া
স্বর্গে দাসত্ব অপেক্ষা নরকে রাজত্ব ভাল
সবুরে মেওয়া ফলে
স্বল্পা বিদ্যা ভয়ংকরী
সবাই কৃষ্ণের নাম করে আমি বললেই মারে
সবাইকে পারা যায়, পায়ে পড়াকে পারা যায় না
স্বামী নাই, পুত্র নাই, কপালভরা সিঁদুর, ধান নাই, চাল নাই, গোলাভরা ইঁদুর স্বামীর কিবা সুখ, পৌষমাসে ভাতের দুখ
স্বামীর মা শাশুড়ি, তারে বড় মানি, কোথা হতে এলেন আমার খুড় শাশ-ঠাকুরানী স্রোতে ঘা ঢালা
সবে কলির সন্ধে
সবে ধন নীলমণি
সমুদ্রে পাতিয়া শয্যা শিশিরে কি ভয়?
সমুদ্রে পাদ্য অর্ঘ্য
সমুদ্রের জল বাড়েও না কমেও না
সম্পূর্ণকুম্ভো ন করোতি শব্দম্
সময় কারও হাতে ধরা নয়
সময়গুণে আপন পর, খোঁড়া গাধার ঘোড়ার দর
সময়ে না দেয় চাষ, তার দুঃখ বারোমাস
সময়ের এক কথা অসময়ে শত
সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়
সর্বঃ কান্তমাত্মীয়ং পশ্যতি
সর্বমত্যন্তগর্হিতম্
সৎসঙ্গে স্বর্গবাস অসৎসঙ্গে সর্বনাশ
সস্তার তিন অবস্থা
স-সে-মি-রা[চারটি সংস্কৃত শ্লোকের প্রথম অক্ষর]
সাজতে গুজতে দোল ফুরাল
সাত কুঁড়ের ঘর গোঁসাই রক্ষা কর
সাত কাণ্ড রামায়ণ পড়ে সীতা রামের পিসি
সাত খুন মাফ
সাত ঘাটের জল একঘাটে করা
সাত ঘাটের জল খাওয়া
সাত ঘাটের জল খাওয়ানো
সাত চড়ে মশা মারা
সাত চড়ে রা’ কাড়ে না
সাত নকলে আসল খাস্তা
সাত পাঁচ খতিয়ে মনে, চাষ করে না সোনার বেনে
সাত বার খেয়ে একাদশী
সাত মন তেলও পুড়বে না রাধাও নাচবে না
সাত রাজার ধন এক মানিক
সাত সতীনে ঘরকন্না, বাড়ির গিন্নি ভাত পান না
সাত সতীনে নড়ি চড়ি, বেড়া আগুনে পুড়ে মরি
সাত সমুদ্র তের নদী পার
সাঁতার দিয়া সিন্ধু পার
সাঁতার না জানলে বাপের পুকুরেও ডুবে মরে
সাতেও না পাঁচেও না
সাধ কত ছিল রে চিতে, মলের আগে চুটকি দিতে
সাধুনাং দর্শনং পুন্যম্
সাধলে জামাই কাঁটাল খান না, শেষে জামাই খোসা পান না
সাধলে জামাই খায় না কাঁঠাল, ভোতা[কাঁঠালের দণ্ড] নিয়ে টানাটানি
সাধে কি আর বাবা বলি গুঁতোর চোটে বাবা বলায়
সাধের কমল তুলতে গিয়ে হাতে ফুটল কাঁটা
সাধের কাজল পরতে গিয়ে চক্ষু হল কানা
সানাইয়ের পোঁ ধরা
সাপ ম’লেই সোজা
সাপ মারলে শিবের লাগে
সাপ যেখানে নেউল সেখানে
সাপ হয়ে দংশে ওঝা হয়ে ঝাড়ে
সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে
সাপকে দুধ খাওয়ালেও বিষ কমে না
সাপে ডরায় ব্যাঙাকে, ব্যাঙা ডরায় সাপকে
সাপের ছুঁচো গেলা
সাপের পাঁচ পা দেখেছ?
সাপের লেখা বাঘের দেখা
সাপের লেজে পা দেওয়া
সাপের হাঁচি বেদেয় চেনে
সাবধানের মার নেই
সারা দিন থাকব নায়, কখন দিব খড়ম পায়?
সারা দিন বঁড়শি হাতে, সন্ধেবেলা আমড়া ভাতে
সারা দিন যায় হেসে খেলে, সন্ধেবেলা বৌ কাপাস(কার্পাস তুলো) ডলে
সিংহের বেটা শেয়াল হয় না
সিংহের ভাগ শেয়ালে খায়
সিধে আঙুলে ঘি ওঠে না
সিন্দুকের কাছে ধার করা
সিন্নি দেখে এগোয়, কোঁৎকা দেখে পিছোয়
সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর
সে কাল গেছে বয়ে, এঁটে কচু খেয়ে
সে গুড়ে বালি
সে বড় কঠিন ঠাঁই গুরু শিষ্যে দেখা নেই
সে রামও নাই, সে অযোধ্যাও নাই
সেই কড়ি ক্ষয় তবু বৌ সুন্দর নয়
সেই গাধা জল খায়, তারে ঘুলিয়ে ঘুলিয়ে নেয়
সেই তো মল খসালি, তবে কেন লোক হাসালি?
সেই ধানে সেই চাল, গিন্নি বিনে আলথাল
সেই বুড়ি নাচে কত কাচা কাচে
সেকরা বাড়ির বিড়াল ঠুকঠুকুনিতে ভয় পায় না
সেকরার ঠুকঠাক কামারের এক ঘা
সেধে পেড়ে ভাব, আর মেজে ঘষে রূপ
সেধো ভাত খাবি, না হাত ধুয়ে বসে আছি
সেয়ানে ঠকলে বাপকেও বলে না
সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না
সোঁদর বনের বাঁদর রাজা
সোনা ফেলে আঁচলে গেরো
সোনা বলে জ্ঞান ছিল, কষিতে পিতল হল
সোনার উপর মিনের কাজ
সোনার ওজন কুঁচের সহিত
সোনার থালে ক্ষুদের জাউ
সোনার দাঁড়ে কাক বসানো
সোনার লঙ্কা ছারখার
সোমে বুধে ধানের গোলায় না দিও হাত, ধার করে খেও ভাত
সৌরভে ভ্রমর মজে
হ
হংসমধ্যে বকো যথা
হাঁ কর তুমি, বত্রিশ নাড়ি গুনি আমি
হওয়া ভাতে কাঠি
হক কথা বলব, বন্ধু বেগড়ায় বেগড়াবে, পেট ভরে খাব, লক্ষ্মী ছাড়ে ছাড়বে হক কথার মার নেই
হক কথাতে আহাম্মক রুষ্ট
হবু ছেলের অন্নপ্রশান
হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী
হয় না হয় বিয়ে, ঢাক বাজাও গিয়ে
হয় যদি তিলটা, কয় তবে তালটা
হয়কে নয়, নয়কে হয় করা
হ্যাঁপায় পড়ে ট্যাপা ভাসে স্রোতে
হরি ঘোষের গোয়াল
হরি বড় দয়াময়, কথায় বটে কাজে নয়
হরি বাঁচান প্রাণ বৈদ্যের বাড়ে মান
হরির খুড়ো মাধাই দাস(সম্পর্কহীন)
হরে দরে হাঁটু জল
হলুদ জব্দ শিলে, ঝি/বউ জব্দ কিলে, পাড়াপড়শি জব্দ হয় চোখে আঙুল দিলে
হলুদ গুঁড়ো, নুনের গুঁড়ো(সকল কাজে হস্তক্ষেপ করা লোক)
হা’ল ছেড়ে দেওয়া
হা’ল যদি ধরে ঠেসে, যায় কি তরী তুফানে ভেসে?
হা’লে পানি পায় না
হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না
হাগুন্তির লাজ নাই, দেখুন্তির লাজ
হাজার টাকা দিলেও কাটা কান জোড়া লাগে না
হাঁটবার আগে হামাগুড়ি
হাটে কলা নৈবেদ্যায় নমঃ
হাটে কি দর চাল, না মামার ভাতে আছি
হাটে গেল কার মা, দেখে এল বাঘের পা
হাটে হাঁড়ি ভাঙা
হাড় এক ঠাঁই মাস এক ঠাঁই করা
হাড় খাব মাস খাব, চাম দিয়ে ডুগডুগি বাজাব
হাঁড়ির ভাত একটা টিপলেই সবার খবর মেলে
হাড়ে ভেলকি খেলে
হাত ঝাড়লে পর্বত
হাত দিয়ে জল গলে না
হাতি কাদায় পড়লে চামচিকেও লাথি মারে
হাতি পড়লে আড়ে চামচিকেতেও লাথি মারে
হাতি ঘোড়া গেল তল, ভেড়া বলে কত জল?
হাতি চড়ে ভিক্ষে মাঙি, ইচ্ছেয় না দাও ঘর ভাঙি
হাতি দিয়ে হাতি ধরা
হাতি পড়েছে দকে, ঠোকর দিচ্ছে বকে
হাতি পাঁকে পড়লে হাতিই উদ্ধার করে
হাতি মলে’ও ঘোড়ার দুনো
হাতির কাঁধে আসে যায়, হাম্বারবে মুচ্ছো যায়
হাতির দম্ভ চূর্ণ হয় পাহাড়ের কাছে
হাতে কড়ি পায়ে বল, তবে যাই নীলাচল
হাতে কালি মুখে কালি বাছা আমার লিখে এলি?
হাতে দই পাতে দই, তবু বলে কই কই?
হাতে না মেরে ভাতে মারা
হাতে নেই কানাকড়ি, করে বেড়ায় বাড়াবাড়ি
হাতে পাঁজি মঙ্গলবার
হাতে মাথা কাটা
হাতে যদি নাই ধন, পাঁচে হও এক মন
হাতে যদি ফল পাই, তবে কি আঁকশি চাই
হাতের পাঁচ আঙুল সমান হয় না
হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা
হাতের শাঁখা দর্পণে দেখা
হাতেরও যাবে পাতেরও যাবে
হাভেতে যবে ফকির হল, দেশেও মন্বন্তর এল
হাভেতের দুনো গ্রাস
হায় রে আমড়া, কেবল আঁটি আর চামড়া
হারিয়ে তারিয়ে কাশ্যপ গোত্র
হারিলে ঘরের ভাত, জিতিলেও তাই
হালে বয় না, তেড়ে গুঁতোয়
হিঁদু যদি মুসলমান হয়, মুরগি খেতে কম নয়
হিঁদু মোছলমান হলে গরু খায় গিলে গিলে
হিসেবের গরু বাঘে খায় না
হেলায় কর্ম নষ্ট, বুদ্ধি নষ্ট নির্ধনে, যাচনে মান নষ্ট, ভোজন নষ্ট দই বিনে
হেলে ধরতে পারে না কেউটে ধরতে যায়
হেলে যায় চষতে, বামুন যায় বসতে
হেলে যায় হাল নিয়ে, বিধাতা যায় তুল[তুলাদণ্ড] নিয়ে
হেসে হেসে কথা কয় সে হাসি তো ভালো নয়
=============
১৪/০৬/২০০৮ শনিবার
০৪/১১/২০০৮ মঙ্গলবার
০৪/০৬/২০১০ শুক্রবার
২৪/০৮/২০১০ মঙ্গলবার
২২/১০/২০১৮ সোমবার
৫টি মন্তব্য:
অসম্ভব ভালো লাগলো । খুব সুন্দর সংগ্রহ । কিছু জানা ছিল কিন্তু বেশিরভাগ ই অচেনা । অচেনাগুলি কিছু মানে বুঝতে পারলাম কিন্তু অনেক গুলোর বুঝলাম না ।
আরও ভালো হতো যদি পাশাপাশি মানেও দেওয়া সম্ভব হতো । আরো উপভোগ্য হতো ।
জানি খুবই কঠিন কাজ - কিন্তু করতে পারলে সর্বাঙ্গসুন্দর হোতো।
শুভেচ্ছা সহ
আর জৈন
আর. জৈন যে প্রসংশাসূচক মন্তব্য করেছেন সে জন্য তাঁকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই সংগ্রহে আমার মৌলিক কোনও কৃতিত্ব নেই, এটি একটি সংগ্রহ একটু খুঁজলে এরকম সকলেই করতে পারেন এই সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেছি প্রায় সব প্রবাদ অন্যকে হেয় করতে ব্যস্ত এটা প্রবাদের অমেয় সামাজিক মূল্যকে খাটো করে
শ্রীজৈনকে আবার ধন্যবাদ জানাই
বিনীত,
মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ পার্ক, কোলকাতা
১৪/০৬/২০১৫
উত্তম, অতি উত্তম .......
বাংলাবিশ্ব ব্লগে, ‘প্রবাদ সংগ্রহ’ পড়ে শুভকুমার দাস, যে মন্তব্য করেছেন সে জন্য তাঁকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই তাঁকে http://banglaabas.blogspot.in/ লিংকটি দেখতে অনুরোধ জানাই
মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ পার্ক, কোলকাতা
নেটে আপলোড করা আছে বাংলা আবাস
Important Links গুরুত্বপূর্ণ লিংক http://banglaabas.blogspot.in/
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন