মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০০৮

বাংলার ইতিহাস

===========================
সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে হবে৤বিনামূল্যে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট সরাসরি ডাউনলোড করুন নীচের এই লিংকে ক্লিক করে৤


উন্নত বাংলা ফন্ট  ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip




অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং (AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools 
              Options > contents
              Fonts & Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                             --OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            --OK
      --OK

          এবার ইন্টারনেট খুললে অহনলিপি-বাংলা১৪ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে এবং সকল কিছু লেখাও যাবে৤




যুক্তবর্ণ সরল গঠনের৤ ‎
বুঝতে লিখতে পড়তে সহজ৤ ‎

===========================



বাংলার ইতিহাস
কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা


ইতিহাস অনুসন্ধান চলতেই থাকে, তাই তার ব্যাখ্যা বিবরণ বাড়তেই
থাকে৤ বাংলার ইতিহাসের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না৤


গ্রন্থ সহায়তা:--
১)বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা-- শ্রীসুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
(ক.বি.-১৯৭৪)
২)ইতিহাস অভিধান(ভারত) ২য় সং ১৯৮২ -- যোগনাথ মুখোপাধ্যায়৤
৩)বঙ্গঅভিধান ১ম সং ১৯৯৯ -- যোগনাথ মুখোপাধ্যায়৤


 

নোট: প্রথম শতাব্দী =১ থেকে ১০০,
দ্বিতীয় শতাব্দী=১০১ থেকে ২০০খ্রিস্টাব্দ অবধি৤
তৃতীয় শতাব্দী=২০১-৩০০খ্রিঃ৤
যে শত-বছরে শতক শেষ হয় সেটাই সেই শতাব্দী৤


খ্রিস্টপূর্বাব্দ
৩০০ আনুমানিক : মৌর্যবিজয়৤ বাংলাদেশে আর্য ভাষা সংস্কৃতির প্রসার৤

০০০খ্রিস্টাব্দ__

১০০খ্রিস্টাব্দ__

২০০খ্রিস্টাব্দ__

৩০০খ্রিস্টাব্দ__
৩৫০ :বঙ্গদেশে গুপ্তসম্রাটগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশে উত্তর ভারতের সভ্যতার সভ্যতার প্রসার৤
৩০০-৪০০ এবং তার পরবর্তী :পশ্চিমবঙ্গের ২৪পরগনা জেলার অন্তর্গত একটি ঐতিহাসিক স্থান চন্দ্রকেতু গড়৤ গুপ্তযুগের একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এখানে পাওয়া গেছে৤ ৩০০-৪০০ এবং তার পরবর্তী কালেরও অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শনও এখানে পাওয়া গেছে৤

৪০০খ্রিস্টাব্দ__

৫০০খ্রিস্টাব্দ__

৬০০খ্রিস্টাব্দ__
ষষ্ঠ শতকের শেষ :গুপ্ত সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়লে বঙ্গদেশে বঙ্গ ও গৌড় নামে দুটি রাজ্য গড়ে ওঠে৤ বঙ্গ গঠিত হয় __পূর্ববঙ্গ, দক্ষিণ বঙ্গ ও পশ্চিম বঙ্গের দক্ষিণ অংশ নিয়ে৤ আর গৌড় গঠিত হয় __উত্তরবঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশ নিয়ে৤ আনুমানিক ষষ্ঠ শতকের শেষ ভাগে শশাঙ্ক নামে এক বাঙালি সামন্ত রাজা স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন৤ শশাঙ্কের মৃত্যুর পরে গৌড় রাজ্যে অরাজকতা দেখা দেয়৤ এই দুরবস্থা চলতে থাকার শতাব্দীকাল পরে বঙ্গদেশের জনগণ গোপাল নামে এক প্রতিপত্তিশালী সামন্তকে বঙ্গদেশের রাজা নির্বাচিত করেন(আনুমানিক ৭৫০ খ্রিঃ)৤ এটাই সম্ভবত প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনের
প্রথম ধাপ৤

৭০০খ্রিস্টাব্দ__
সপ্তম শতক :চিনা পরিব্রাজক হিউ-এন-সাং তাম্রলিপ্ত বন্দর দিয়ে স্বদেশ যাত্রা করেন৤ পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত তাম্রলিপ্ত, বর্তমানে তমলুক নামে পরিচিত৤ প্রাচীনকালে তাম্রলিপ্ত ছিল একটি বড় বন্দর ও বাণিজ্যকেন্দ্র৤ এই বন্দর দিয়ে পূর্ব-ভারতীয় দ্বীপময় দেশগুলির সঙ্গে বঙ্গেদেশর বাণিজ্য চলত, বঙ্গের সপ্তডিঙা মধুকরের যে কল্প-কাহিনি প্রচলিত আছে তার ঐতিহ্যবাহী বঙ্গের এসকল প্রচীন নদীবন্দরগুলি৤ কালক্রমে নদী সরে গেছে, মরে গেছে, বন্দরও ক্রমে ক্রমে বিলুপ্ত হয়েছে৤ কোলকাতা এবং নবীন হলদিয়া বন্দর ক্রমে যে সংকটের মুখে পড়ছে৤
সপ্তম শতক :সম্রাট হর্ষবর্ধনের সময়কালে কর্ণসুবর্ণ গৌড়রাজ শশাঙ্কের রাজধানী ছিল৤ এটি বাংলার প্রাচীন সমৃদ্ধ নগরী৤ পরে গৌড় রাজ্য কয়েকটি অংশে বিভক্ত হয়ে গেলে কর্ণসুবর্ণ নগরীকে কেন্দ্র করে একটি স্বাধীন রাজ্য গড়ে ওঠে৤ কর্ণসুবর্ণ নগরীর সঠিক অবস্থান এখনও নির্ণীত হয়নি৤ অবশ্য অধিকাংশ ঐতিহাসিকের মতে স্থানটি ছিল বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্গত ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী রাঙামাটি গ্রাম এলাকা৤ চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর বিবরণীতে কর্ণসুবর্ণ নগরীর সমৃদ্ধির বর্ণনা আছে৤
৭৭০-৮১০ :ধর্মপাল__ পালবংশীয় রাজা গোপালের উত্তরাধিকারী৤ধর্মপালের পরাক্রমে পালরাজ্য একটি সাম্রাজ্যে পরিণত হয়৤ ধর্মপালই পালবংশের শ্রেষ্ঠ নৃপতি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ক্ষুদ্র একটি রাজ্যকে তিনি বিশাল সাম্রাজ্যে পরিণত করেন৤ তিনি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মানুরাগী কিন্তু হিন্দুদের প্রতিও তিনি উদার ছিলেন৤ তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় মগধে বিক্রমশীলা মহাবিহার-বিশ্ববিদ্যালয় নির্মিত হয়৤ এছাড়া আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তিনি স্থাপন করেন__ একটি হল ওদন্তপুরী মহাবিহার, অন্যটি সোমপুরী মহাবিহার৤ ইতিহাসখ্যাত অতীশ দীপঙ্কর ওদন্তপুরী মহাবিহারে অধ্যয়ন করে ‘শ্রীজ্ঞান’ উপাধি লাভ করেন৤ সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজশাহি জেলায় সোমপুরী মহাবিহারের ভগ্নাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে৤
৭৪০ আনুমানিক :পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা৤

৮০০খ্রিস্টাব্দ__

৯০০খ্রিস্টাব্দ__

১,০০০খ্রিস্টাব্দ__
১০৩৮ আনুমানিক :দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ-- বাংলায় বৌদ্ধ আচার্য৤

১১০০খ্রিস্টাব্দ__
১১৫০ আনুমানিক :মহারাজ বল্লাল সেন৤
১১৮০ আনুমানিক :কবি জয়দেব;মহারাজ লক্ষ্মণ সেন৤

১২০০খ্রিস্টাব্দ__
১২০০ আনুমানিক :বিদেশীয় মুসলমান তুর্কীগণ কর্তৃক বঙ্গবিজয়ের সূত্রপাত

১৩০০খ্রিস্টাব্দ__

১৪০০খ্রিস্টাব্দ__
১৪০০ আনুমানিক :বড়ু চণ্ডীদাসের জীবনকাল৤ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন- রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ৤
১৪০০ আনুমানিক :মৈথিল কবি বিদ্যাপতির জীবনকাল৤
১৪১৮ আনুমানিক :দনুজমর্দনদেব-- রাজা কংস
১৪২০ আনুমানিক :রামায়ণের কবি কৃত্তিবাসের জীবনকাল৤
১৪৬৩-১৫১৫ :ত্রিপুরার রাজা হন ধন্যমাণিক্য, তাঁর সঙ্গে বঙ্গদেশের সুলতান হুসেন শাহের সঙ্গে বিরোধ হয়৤ সেই সময়ে ত্রিপুরা রাজ্য সবচেয়ে বিস্তার লাভ করে৤ পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটির সূচনাকালের ইতিহাস অস্পষ্ট৤ গৌড়রাজের সহায়তায় রত্নফা নামে রাজা সম্ভবত সর্বপ্রথম ত্রিপুরা শাসন করেন৤ ত্রিপুরার রাজাদের উপাধি হয় মাণিক্য৤ বাংলার নবাব সুজাউদ্দিনের শাসনকালে ত্রিপুরা পৃথক রাজ্য থকলেও ত্রিপুরার স্বাধীনতা খর্ব হয়৤ সে সময়ে ত্রিপুরার নাম বদলে রাখা হয় রোসেনাবাদ৤ নবাব আলিবর্দি খাঁ ত্রিপুরা জয় করেন৤ পরে পলাশির যুদ্ধে বাংলার নবাব(সিরাজউদৌল্লা) পরাজিত হলে ত্রিপুরা আবার স্বতন্ত্র রাজ্যরূপে জেগে ওঠে৤ পরবর্তীকালে ত্রিপুরা ইংরেজের বশ্যতা স্বীকার করলেও কিছুটা স্বাধীন সত্ত্বাও বজায় রাখতে পারে৤ বর্তমানে ত্রিপুরা ভারতের একটি পূর্ণাঙ্গ রাজ্য(১৯৭২)৤ জনসংখ্যায় বাঙালিরা প্রধান, রাজ্যের সরকারি ভাষা বাংলা, সেখানে অন্য একটি প্রধান ভাষা হল ত্রিপুরী/ কক্‌বরক৤ এখানে গড় স্বাক্ষরতার হার ৭৩%,
যা অন্যদের চেয়ে বেশি৤
১৪৮০ আনুমানিক :মালাধর বসু৤ গুণরাজ খাঁ৤
১৪৮৬ :গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক চৈতন্যদেবের জন্ম ফাল্গুনীদোল-পূর্ণিমায় নবদ্বীপ ধামে৤ সে দিন ছিল পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ৤ পিতা জগন্নাথ মিশ্র, মাতা শচীদেবী৤ বাবা তাঁর নাম দেন বিশ্বম্ভর৤ তাঁকে অনেক নামে ডাকা হত __নিমাই, গৌরাঙ্গ, মহাপ্রভু, শ্রীকৈষ্ণচৈতন্য৤ পিতা জগন্নাথ মিশ্র ও মাতা শচীদেবীর তিনি দ্বিতীয় পুত্র৤ প্রথম পুত্র বিশ্বরূপ৤ চৈতন্যদেব তথা নিমাই ছিলেন অসাধারণ মেধাবী এবং পণ্ডিত৤ পাণ্ডিত্য অর্জন করে নবদ্বীপেই টোল খুলে অধ্যাপনা শুরু করেন৤ ১৬ বছর বয়সে বিবাহ হয় লক্ষ্মীপ্রিয়ার সঙ্গে৤ তিনি সর্পদংশনে মারা যান, তারপরে তাঁর মা তাঁর ভাবান্তর দেখে বিয়ে দেন সুন্দরী বিষ্ণুপ্রিয়ার সঙ্গে৤ বিহারের গয়ায় গিয়ে পিতৃকৃত্য সম্পন্ন করতে গিয়ে বিষ্ণুর পাদপদ্ম দর্শন করে আকূল হয়ে পড়েন৤ দীক্ষা নিয়ে ফিরে আসেন৤ পরে মায়ের অনুমতি নিয়েই নিমাই পণ্ডিত সন্ন্যাস নেন ১৩৪১ শকাব্দের মাঘ মাসে (১৫১০ ইং) ২৪বছর বয়সে৤ কাটোয়ায় গিয়ে সন্ন্যাসে দীক্ষা নেন, তখন নাম হয় শ্রীকৈষ্ণচৈতন্য৤ এর পরে মানুষ ব্যাপকভাবে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে থাকেন৤ তাঁর তিরোধান নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায় না৤ ১৪৫৫ শকাব্দে আষাঢ় মাসে (জুলাই ১৫৩৩) তাঁর জীবনাবসান হয়৤
১৪৮৬-১৫৩৪[৪৯] :চৈতন্যদেবের জীবনকাল৤
১৪৯২ আনুমানিক :বিপ্রদাস চক্রবর্তী-- মনসামঙ্গল৤
১৪৯৩ আনুমানিক :বিজয় গুপ্ত -- পদ্মপুরাণ৤
১৪৯৩-১৫১৯ :বাংলার সুলতান হোসেন শাহ৤

১৫০০খ্রিস্টাব্দ__
১৫১৭ :পোর্তুগিজদের বঙ্গে আগমন৤
১৫২৬ :উত্তর হিন্দুস্থানে বাবর কর্তৃক মোগল সাম্রাজ্য স্থাপন৤
১৫৪০ আনুমানিক :বৃন্দাবনে বাঙালি বৈষ্ণব-গোস্বামীগণের প্রতিষ্ঠা৤
১৫৭৫ :বঙ্গে মোগল অধিকার৤
১৫৮০ আনুমানিক :কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম৤ কৃষ্ণদাস কবিরাজ৤

১৬০০খ্রিস্টাব্দ__
১৬০০ :ভারত ও পূর্ব এশিয়ায় বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ইংন্ডের একদল বণিক ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ গঠন করে৤ ৩১ ডিসেম্বর রানি এলিজাবেথের সনন্দ বলে উক্ত কোম্পানি উত্তমাশা অন্তরীপ থেকে সমগ্র পূর্বাঞ্চালে বাণিজ্যের একচেটিয়া অধিকার লাভ করে৤ তারা ১৬০৮-এ মোগল সম্রাট জাহাঙ্গিরের শাসনকালে সুরাটে প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি পায়৤ পরে অন্যান্য স্থান সহ হুগলিতে বাণিজ্য কুঠি স্থাপিত হয়৤
১৬০০ আনুমানিক :কাশীরাম দাস৤কোলকাতায় আর্মানিগণ৤
১৬৪৫-৬০ :আরাকানরাজের সভাকবি আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ ও অন্যান্য কাব্য রচনার কাল৤
১৬৫০ আনুমানিক :চট্টল=চট্টগ্রামে আলাওল প্রমুখ মুসলমান কবিগণ৤
১৬৫১ :ইংরেজদের প্রথম বঙ্গে আগমন৤
১৬৫৩ :পূর্বভারতে চুঁচুড়ায় ওলন্দাজদের(হল্যান্ডিজ) প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র স্থাপিত হয়৤ সেখানে তারা গুস্তাফাস নামে একটি দুর্গ স্থাপন করে৤ পূর্বভারত থেকে তাদের রপ্তানির পণ্য ছিল তাঁতের কাপড়,
সোরা, আফিম ইত্যাদি৤
১৬৯০ :জব চার্নক হুগলি নদীর তীরবর্তী সুতানুটি গ্রামে একটি
কারখানা বানান৤
১৬৯০ :ঔরঙ্গজেবের ফরমান বলে জোব চার্নক __কোলকাতা, সুতানুটি, গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে কোলকাতা শহরের পত্তন করেন(২৪ আগস্ট)৤ কোলকাতা থাকার কালে জোব চার্নক এখানকার বহু আচার-বিধি রপ্ত করেন৤ তিনি এক হিন্দু বিধবাকে সহমরণ থেকে বাঁচিয়ে নিজে বিবাহ করেন৤ ১৬৫৬ খ্রিঃ তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীরূপে জীবন শুরু করেন৤ তাঁর জীবনাবসান হয় তাঁর গড়া এই শহরেই(১০ জানুয়ারি, ১৬৯৪)৤ সে স্মৃতি স্তম্ভ রয়েছে কোলকাতার বি.বা.দী বাগ অঞ্চলে৤ কোলকাতা নামের আড়ালে অন্য দুটি গ্রাম তথা সুতানুটি, গোবিন্দপুর তাদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছে৤
১৬৯১ :কোলকাতায় ইংরেজদের বসবাস৤
১৬৯৮ :মোগল সম্রাট ঔরংজেবের অনুমতি অনুসারে চার্নক সুতানুটিসহ কোলকাতা ও গোবিন্দপুর নামক পল্লী নিয়ে
কোলকাতা নগরীর পত্তন করেন৤

১৭০০খ্রিস্টাব্দ__
১৭০০ :মাণিক গাঙ্গুলি-- ধর্মমঙ্গল৤
১৭১১ :ঘনরাম-- ধর্মমঙ্গল৤
১৭১৫ :মোগল দরবার থেকে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’কে নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়৤ সেমুদ্রা মোগল সাম্রাজ্যেও চালু হয়৤
১৭৪৩ :বাংলা ভাষায় প্রথম মুদ্রিত পুস্তক৤ রোমান অক্ষরে পোর্তুগালের রাজধানী লিস্‌বনে(Lisbon Lisboa) ছাপা পোর্তুগিজ পাদ্রী
আস্‌সুম্প্‌সাওঁ এর বই৤
১৭৫০ :রামপ্রসাদ ও ভারতচন্দ্রের জীবনকাল৤
১৭৫৬ :অন্ধকূপ হত্যা --সিরাজউদৌল্লা কোলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ আক্রমণ করলে ইংরেজরা কিছুক্ষণ বাধা দেওয়ার পরে সেদুর্গ ত্যাগ করে ফলতায় গিয়ে আশ্রয় নেয়(২০ জুন)৤ ওই সময়ে আহত ইংরেজ সৈন্যদের দুর্গের একটি কক্ষে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়৤ রাতে আহতদের কয়েকজন মারা গেলে হলওয়েল নামে এক ইংরেজ রাজকর্মচারী অন্ধকূপ হত্যার কল্পিত কাহিনী প্রচার করে সিরাজের কুৎসা প্রচারের জন্য৤
১৭৫৬ :নবাব সিরাজউদৌল্লা কোলকাতা দখল করে নেবার পরে(২০ জুন) লর্ড ক্লাইভ এবং ওয়াটসন তামিলনাড়ু থেকে জাহাজযোগে সৈন্যবাহিনী নিয়ে আসেন ও কোলকাতা পুর্দখল করেন(২জানুয়ারি,১৭৫৭)৤ দুমাস পরে ফরাসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চন্দবনগর দখল করেন৤ ক্লাইভ প্রথমে ছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কেরানি, পরে ফ্রান্স-ইংলন্ড যুদ্ধ শুরু হলে সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেন৤ নিজের যোগ্যতায় পরে উঁচু পদ পান৤ চন্দননগর দখল করার পরে সিরাজউদৌল্লাকে উৎখাত করার জন্য সিরাজের পরিবারের কয়েকজন ও মীরজাফর, উমিচাঁদ, জগৎ শেঠ প্রমুখদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেন৤ চুক্তি মতো কাজ হয় ও নদীয়ার পলাশির প্রান্তরে সিরাজউদৌল্লার সঙ্গে মেকি যুদ্ধ হয়৤ সিরাজউদৌল্লা পরাজিত হয়ে পালাবার কালে ধরা পড়ে নিহত হন৤ চুক্তি মতো মীরজাফর নবাব হন এবং ক্লাইভ নগদ ত্রিশ লক্ষ টাকা ও চব্বিশ পরগনার জায়গিরদারি লাভ করেন৤ জায়গির থেকে ক্লাইভের বছরে তিন লক্ষ টাকা আয় হত৤ পরে ১৭৬০-এ ক্লাইভ দেশে ফিরে যান৤ এ দিকে তার অভাবে ইংরেজরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন আবার ক্লাইভের ডাক পড়ে৤
ক্লাইভ এ দেশে আবার ফিরে আসেন ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে এবং ইংরেজ সরকারের গভর্নর নিযুক্ত হন৤ তিনি তখন দিল্লির বাদশাহ শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা-বিহার-ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করেন(১৭৬৫, আগস্ট ১২)৤ ইংরেজরা তখনই বাংলা-বিহার-ওড়িশার প্রকৃত শাসন ক্ষমতা লাভ করে, নবাবের নামে মাত্র অস্তিত্ব থাকে৤
ক্লাইভ সে বছরই(১৭৬৫) স্বদেশে ইংলন্ডে ফিরে যান৤ কিন্তু এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অত্যাচার অনাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠল৤ সে সব অভিযোগের ও বিচারের অসম্মান থেকে রেহাই পেতে লর্ড ক্লাইভ আত্মহত্যা করেন(২২ নভেম্বর, ১৭৭৪)৤
১৭৬৫ :লর্ড ক্লাইভকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ইংলন্ড থেকে দ্বিতীয়বার বাংলা তথা ভারতে ফিরিয়ে আনে৤ তাঁরই তৎপরতায় দিল্লির বাদশাহের কাছে দরবার করে কোম্পানি বাংলা-বিহার-ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করে, ফলে পূর্ব ভারতের এই অঞ্চলে যে শাসন-ব্যবস্থা চালু হয় তা দ্বৈত শাসন নামে পরিচিত৤ নবাবের হাতে থাকে প্রশাসনিক দায়িত্ব, আর রাজস্ব আদায় ও ব্যয়ের পূর্ণ কর্তৃত্ব পায় কোম্পানি৤ এতে বাংলার নবাব আসলে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে আর এই সুযোগে কোম্পানির লোকেরা খাজনা আদায়ের নামে অবাধ লুণ্ঠন ও অত্যাচার শুরু করে দেয়৤ ১৭৭০-এ(বাংলা ১১৭৬) অনাবৃষ্টি হয়, ফসল ফলে না৤ দেশে দেখা দেয় চরম বিপর্যয় ও দুর্ভিক্ষ৤ কয়েক লক্ষ মানুষ না খতে পেয়ে মারা যান৤ এটাই ইতিহাসখ্যাত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর৤ এই চরম বিপর্যয়ের জন্য অনাবৃষ্টি যতটা দায়ী তার চেয়ে ইংরেজ অনেক বেশি দায়ী, প্রধানভাবে দায়ী৤
১৭৭০ :বঙ্গাব্দের হিসেবে ১১৭৬ বঙ্গাব্দ৤ বঙ্গ বাসীর জীবনে চরম বিপর্যয়ের বছর৤ এটাই ইতিহাসখ্যাত ছিয়াত্তরের মন্বন্তর৤ ১৭৬৯ ছিল কার্টিয়ারের গভর্নর নিযুক্ত হবার বছর৤ তার শাসনকালে বাংলায় সর্বনাশা দুর্ভিক্ষ হয়৤ ক্লাইভের আমল থেকে নবাব ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দ্বৈত শাসন শুরু হয়(১৭৬৫, আগস্ট ১২)৤ ফলে কোম্পানির আমলা ও অনুচরদের অবাধ লুণ্ঠনও শুরু হয়৤ প্রজাদের দুর্দশার শেষ থাকে না৤ ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দ তথা বাংলা ১১৭৬ সনে অনাবৃষ্টি হয়, জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়৤ কিন্তু কোম্পানির কর্মচারিদের শোষণ তবু অবাধে চলতে থাকে, নবাব তো ঠুঁটো আর কোম্পানি নির্দয়৤ ফলে গ্রাম বাংলা শ্মশানে পরিণত হয়৤ পথেঘাটে নারী-পুরষের অগণিত মৃতদেহ পড়ে থাকে৤ না-খেতে পেয়ে, অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে মৃতের মিছিল বয়ে যায়৤ কুকুর-শিয়ালে মানুষের দেহ ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়৤ খাদ্য তো দূরের কথা ভিক্ষে করে একটু ফ্যানও পাওয়া যেত না৤ চারিদিকে কাতর আর্তনাদ “একটু ফ্যান দাও, একটু ফ্যান দাও”৤ সে এক অতি ভয়াবহ দিন গেছে বাংলার বুকে৤ এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে বাংলার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যায়৤ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বাংলার ইতিহাসে এক অতি বিপর্যয়ের বছর, যার জন্য অনাবৃষ্টি যতটা দায়ী তার চেয়ে ইংরেজ অনেক বেশি দায়ী, প্রধানভাবে দায়ী৤ [আজও যে শিল্প না গড়ে চাষের উপরে নির্ভর করে থাকতে চাওয়া হচ্ছে, তার পরিণতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে]৤
১৭৫৭ :পলাশীর যুদ্ধ৤ বাংলার নবাব সিরাজউদৌল্লাকে পরাজিত করে পূর্বভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব দ্রুত বাড়াতে থাকে৤
১৭৬০ :কবি ভারতচন্দ্রের মৃত্যু৤
১৭৬৫ :নবাব মীর-কাসিমের পরাজয়ের পরে শাহ্ আলম বাদশাহের নিকট হইতে ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ কর্তৃক বাঙলা, বিহার, ওড়িশার দেওয়ানি লাভ৤
১৭৭২-- ১৮৫৬ :গভর্নর-জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস ও লর্ড ডালহৌসির শাসনকালের মধ্যে সারা ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বিস্তার লাভ করে৤
১৭৭৩ : কলকাতাকে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী ঘোষণা করা হয়৤ ‎
১৭৭৮ :হ্যালহেড্ (Nathaniel Brassey Halhed)-কৃত বাঙলা ব্যাকরণ(A ‎ Grammar of the Bengal Language)-- এখানে ইংরেজির সঙ্গে প্রথম ‎ বাংলা বিচল হরফে(moveable type) বহু উদাহরণ মুদ্রিত হয়৤ হরফ ‎ নির্মাণ করেন চার্লস উইলকিনস্ এ ব্যাপারে তিনি পঞ্চানন কর্মকারের ‎ উপরে নির্ভর করেন৤ পঞ্চানন কর্মকার ছেনি দিয়ে লোহা কেটে প্রথম ‎ বাংলা হরফ ‎ বানান৤ হরফগুলি সুন্দর হয়৤ ‎
১৭৮২ :তিতুমিরের জন্ম চব্বিশ পরগণার হায়দরপুর গ্রামে৤ প্রথম জীবনে দাঙ্গায় জড়ানোর জন্য কারাদণ্ড হয়৤ মুক্তি পেয়ে মক্কা যান৤ সেখানে ওয়াহাবি আন্দোলনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন৤ দেশে ফিরে সেই আদর্শে কৃষকদের সংগঠিত করে জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন৤ জমিদার নিহত হয়, গ্রেপ্তার করতে এসে দারোগাও নিহত হয়৤ এরপরে তিতুমির নিজেকে বাদশাহ বলে ঘোষণা করেন৤ নারকেলবেড়িয়ায় নিজ সৈন্য বাহিনীর জন্য একটি বাঁশের কেল্লা তৈরি করেন৤ আসলে বাঁশের কেল্লা গড়ে ইংরেজবাহিনীকে ঠেকানো বা নিজরাজ্য স্থাপন নিতান্ত আকাশকুসুম কল্পনা৤ বাস্তবেও তাই ঘটেছে৤ তিতুমিরের বাহিনীর দাপটে চব্বিশ পরগণায় এবং নদীয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হওয়ায় গভর্নর উইলিয়াম বেন্টিংক কামান বন্দুকসহ সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে তিতুমিরের বিদ্রোহ ব্যর্থ করে দেন৤ তিতুমির নিহত হন৤
১৭৯৩ :আপজন্ (Upjohn) কর্তৃক প্রকাশিত 'ইংরেজি ও বাংলা বোকোবোলারি'৤
১৭৯৩ :চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলবৎ হয়৤ বাংলা-বিহার-ওড়িশার জমিদারদের জমিদারিতে মালিকানা আগে ছিল পাঁচ বছর পরে আরও এক বছর বাড়ত৤ ১৭৮৯-৯০-তে লর্ড কর্নওয়ালিস তা করে দেন দশ বছর মালিকানা-অধিকার৤ কিন্তু রাজস্ব আদায়ের অসুবিধার জন্য পরে আইন করে তা নির্দিষ্ট খাজনার বিনিময়ে চিরস্থায়ী করে দেওয়া হয়৤ ফলে ইংরেজরা পায় অনুগত জমিদারশ্রেণি৤ কিন্তু জোর করে খাজনা আদায় করতে গিয়ে প্রজাপীড়ন শুরু হয়৤ ফলে পরবর্তীকালে প্রজাপীড়ন রোধ করতে উদ্যোগ নিতে হয়৤ জমিদারি প্রথা বিলোপের দাবি ওঠে ইংরেজ আমলেই৤ স্বাধীনতার পরে জমিদারি প্রথা বিলোপ করা হয়৤ [অনেকে অনুমান করেন যে, বাঙালিরা তাদের বিপুল ব্যবসা-ঐতিহ্য ছেড়ে দিয়ে ক্রমে ক্রমে ব্যবসা-বিমুখ হয়ে পড়ে এই চিরস্থায়ী নিশ্চিত আয় ও প্রজাদের উপর রাজকীয় অধিকার ফলানো এবং
বিলাসী জীবনযাপনের সুবিধার জন্য]৤
১৭৯৯-১৮০২ :ফরস্টার(Forster) কৃত ইংরেজি-বাংলা ও
বাংলা-ইংরেজি অভিধান৤

১৮০০খ্রিস্টাব্দ__
১৮০০ :কোলকাতায় 'ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ' প্রতিষ্ঠা৤
১৮০১ :ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপিত হলে উইলিয়াম কেরি সেখানে বাংলার অধ্যাপক নিযুক্ত হন৤ বাংলাভাষার উন্নয়নে কেরির অবদান স্মরনীয়৤ তিনি শ্রীরামপুরে একটি প্রেস স্থাপন করেন এবং স্থানীয় পঞ্চানন কর্মকারকে দিয়ে বাংলা হরফ নির্মাণ করিয়ে অনূদিত বাইবেল বাংলায় প্রকাশ করেন৤ একই বছরে উইলিয়াম কেরি(William Carey) ইংরেজিতে স্বরচিত বাংলা ব্যাকরণ প্রকাশ করেন৤ মুখ্যত কেরি সাহেবের উদ্যোগে বাংলাভাষার গদ্যযুগের সূচনা হয়৤
১৮০৩ :শ্রীরামপুরে মিশনারিগণ কর্তৃক কৃত্তিবাসের রামায়ণ মুদ্রণ৤
১৮১৭ :'হিন্দু কলেজ' প্রতিষ্ঠা৤
১৮১৭ :রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ সংকলিত 'বঙ্গভাষাভিধান'৤
১৮১৮ :প্রথম বাংলা সংবাদপত্র 'সমাচার দর্পণ' মার্শম্যান(J.C.Marshman), ব্যাপটিস্ট মিশন, শ্রীরামপুর৤
আর বাঙালি পরিচালিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য ও হরচন্দ্র রায় কর্তৃক প্রকাশিত --'বাঙ্গালা গেজেট'৤ রাজা রাধাকান্ত দেব-- 'শব্দকল্প-দ্রুম' সংস্কৃত অভিধানের মুদ্রণ আরম্ভ৤
১৮২০ :রাজা রাধাকান্ত দেব রচিত ও প্রকাশিত 'বাঙ্গালা শিক্ষক'(বর্ণমালা ও প্রথম পাঠ)৤
১৮২৫ :উইলিয়াম কেরি(William Carey)-কৃত বাঙ্গালা অভিধান৤
১৮২৬ :রামমোহন রায় রচিত বাঙ্গালা
ব্যাকরণ৤(বাংলা সংস্করণ, ১৮৩৩)৤
১৮২৬ :হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও হিন্দু কলেজে অধ্যপকরূপে যোগ দেন৤ বাংলার নবজাগরণের ইতিহাসে ডিরোজিও এক অতি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন৤ তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে কলেজে অধ্যাপনায় যোগ দেন৤ ছাত্ররাও প্রায় তাঁর সমবয়সী, কিন্তু তাঁর গভীর জ্ঞান, বিশ্লেষণী প্রতিভা, বাগ্মিতা ও সহৃদয়তা ছাত্রদের মুগ্ধ ও আবিষ্ট করে ফেলে৤ তিনি অসম্ভব ছাত্র-সুহৃদ হয়ে দাঁড়ান৤ তাঁর কথা ছাত্রদের কাছে অলঙ্ঘনীয় শেষ কথা হয়ে ওঠে৤ তিনি ছাত্রদের ধর্মীয় কুসংস্কার, জাতিভেদ ইত্যাদি ব্যাপারে সচেতন করেন৤ মুক্ত মনে ইতিহাস, ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ইত্যাদি আলোচনার জন্য একটি সংগঠনও তৈরি করেন৤ তিনি ছাত্রদের যেমন সচেতন করেন তেমনি তাদের মধ্যে দেশাত্মবোধও জাগিয়ে তোলেন৤ তিনি নিজে ছিলেন এয্‍ংলো-ইন্ডিয়ান তাই প্রকৃত মুক্তমন না হলে এদেশীয় ছাত্রদের মধ্যে ইংজেরদের স্বার্থবিরোধী দেশাত্মবোধ জাগাতেন না৤ ডিরোজিওর ছাত্রদের অনেকেই পরবর্তী কালে দেশখ্যাত হন৤ এঁরা সে কালে ‘ইয়ং বেঙ্গল’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন৤ এঁদের আলোচনায় খ্রিস্ট ধর্ম ও ইংরেজ শাসন নিয়েও বিভিন্ন সমালোচনা হত৤ কলেজ কর্তৃপক্ষ ভীত হয়ে এসব নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা বন্ধ করে দেন৤ তাতে কিন্তু ছাত্রদের উৎসাহ আরও বেড়ে যায়৤ তাঁদের কাজকর্মে অভিভাবকেরাও ভীত হয়ে পড়েন৤ শেষে ভীত হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ডিরোজিওকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন৤ ডিরোজিও সে সুযোগ না দিয়ে
আগেই পদত্যাগ করেন (২৫ এপ্রিল, ১৮৩১)৤ বিপুল উদ্দীপনা ও মুক্তমন শিক্ষার এই হয় শেষ পরিণতি৤ পদত্যাগের কয়েক মাস পরে এই আদর্শ শিক্ষক প্রকৃতপক্ষে অনাহারে মারা যান(১৮৩১)৤ এই অল্পবয়সী তরুণ অধ্যাপকের অভাব আর কি পূরণ হওয়া সম্ভব? কোলকাতার মল্লিক বাজারে পুরানো এক খ্রিস্টিয় কবরস্থানে তাঁর স্মৃতি বেদী বেশ অনাদরেই পড়ে আছে৤
১৮৩০ :ব্রাহ্মসমাজ মন্দির প্রতিষ্ঠা৤
১৮৩৩ :হটন()-কৃত বাঙ্গালা-ইংরেজি অভিধান৤ রামমোহন রায়ের মৃত্যু৤
১৮৩৪ :রামকমল সেন-কৃত ইংরেজি-বাঙ্গালা অভিধান৤
১৮৩৮ :আদালতে ফারসির পরিবর্তে ইংরেজির প্রচলন৤
১৮৪৬ :দ্বারকানাথ ঠাকুর দ্বিতীয়বার ইংলন্ডে গিয়ে সেখানে প্রয়াত হন(১ আগস্ট)৤ ঠাকুর পরিবারের রামলোচন নিঃসন্তান ছিলেন বলে ছোটভাই রামমণির পুত্র দ্বারকানাথকে দত্তক নেন৤ দ্বারকানাথ শৈশবে ফিরিঙ্গি স্কুলে ইংরেজি শেখেন, যৌবনে ইংরেজ ব্যারিস্টারের কাছে আইন শেখেন৤ তাছাড়া, আরবি, ফার্সি ভাষাও শেখেন৤ রেশমের ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন৤ পরে নুনের ব্যবসা, নীল, চিনি, ব্যাঙ্ক, বিমা, কয়লাখনি, জাহাজ, সংবাদপত্র প্রভৃতির ব্যবসা করে বিপুল অর্থের অধিকারী হন৤ তাঁর নাম হয়ে যায় ‘প্রিন্স দ্বারকানাথ’৤ ব্যবসালব্ধ অর্থ দিয়ে তিনি নতুন নতুন জমিদারি কেনেন৤ ১৮৪২-এ ইংলন্ডে যাবার কালে পোপের সঙ্গে দেখা করেন, লন্ডনে মহারানি ভিক্টোরিয়ার নিকট-সংস্পর্শে আসেন, দেশে ফেরার পথে ফ্রান্সের সম্রাট লুই ফিলিপের সঙ্গে দেখা করেন৤ ১৮৪৫-এ দ্বিতীয়বার ইংলন্ডে যাবার পথে ইতালির রাজার সঙ্গে দেখা করেন৤ দ্বারকানাথ ছিলেন নানা সমাজসেবা মূলক প্রয়াসের সঙ্গী এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি পৃষ্ঠপোষক৤ সতীদাহ রোধ, দেশে মেডিক্যাল শিক্ষা প্রসার, সংবাদপত্রের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ইত্যাদি ব্যাপারে তিনি ছিলেন অগ্রণী৤ বাংলার শিক্ষা-শিল্প-সংস্কৃতির উদ্ভাসে ঠাকুর বাড়ির যে অবদান তা দ্বারকানাথের সময়েই সূচিত হয়ে প্রবাহিত হতে থাকে৤
১৮৪৭ :ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-কৃত ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’৤
১৮৫০ :শ্যামাচরণ সরকার-রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ(ইংরেজিতে)৤
১৮৫৬ :বিদ্যাসাগরের নিরলস আন্দোলনের ফলে
বিধবা বিবাহ আইনসিদ্ধ হয়৤
১৮৫৭ :কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা৤
১৮৫৮ :প্যারীচাঁদ মিত্র(টেকচাঁদ ঠাকুর) রচিত ‘আলালের ঘরের দুলাল’(উপন্যাস)৤
১৮৬১ :‘মেঘনাদবধ কাব্য’ মধুসূদন দত্ত৤
১৮৬৩ :‘হুতোম পেঁচার নক্‌শা’ -- কালীপ্রসন্ন সিংহ৤__
১৮৬৫ :‘দুর্গেশনন্দিনী’ -- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
লিখিত প্রথম উপন্যাস৤
১৮৬৭ :কোলকাতা-দিল্লি রেল সংযোগ স্থাপন৤
১৮৬৯ :কেশবচন্দ্র সেন ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ নামে ঈশ্বর চিন্তার এক নতুন ধরনের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন৤ এর আগে তিনি ১৮৫৭-তে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা নেন৤ ভারত সংস্কৃতির প্রকৃত ঐক্য গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন
সর্বভারতীয় ব্যক্তিত্ব৤ মুম্বই শহরে তার অনুসারী সংগঠন, ও তামিলনাড়ুতে ২৯টি ব্রাহ্মসমাজ শাখা গড়ে ওঠে৤
১৮৭২ :বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা প্রকাশ৤
১৮৭২-৭৯ :বীমস্(Beams)-কৃত আধুনিক আর্যভাষাগুলির
তুলনাত্মক ব্যাকরণ৤
১৮৭৭ :রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর-কৃত তুলনাত্মক ব্যাকরণ৤
১৮৮০ :হ্যরন্‌লে (Hoernle)-কৃত আধুনিক আর্যভাষার তুলনাত্মক ব্যাকরণ৤
১৮৮৫ :জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় Womesh Chandra Bonerje(W C Bonerjee)৤ ১৯০২ খ্রিঃ স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে ইংলন্ড যাত্রা করেন৤
১৮৯০ :গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন৤ তিনিই ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের প্রথম ভারতীয় ভাইস চ্যান্সেলর৤
১৮৯৩ :বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ প্রতিষ্ঠা৤
১৮৯৫-৬ :গ্রিয়ার্সন (Grierson)-কৃত আধুনিক আর্যভাষার তুলনাত্মক ব্যাকরণের প্রারম্ভ৤

১৯০০খ্রিস্টাব্দ__
প্রথমার্ধ :এন্টনি কবিয়াল৤ জাতিতে পোর্তুগিজ, খ্রিস্টান৤ বাঙালির সংস্কৃতি ও হিন্দু ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন৤ কবিয়াল রূপে খ্যাতি অর্জন করেন৤ কথিত আছে যে মধ্য কোলকাতার বৌবাজারে নাকি তাঁর প্রতিষ্ঠিত কালী, ফিরিঙ্গি কালী নামে খ্যাত৤
১৯০২ :অনুশীশন সমিতি -- বিপ্লবী রাজনৈতিক সংগঠন৤ কোলকাতায় গঠিত হয়৤ এধরনের বিভিন্ন সংগঠন বাংলায় গড়ে ওঠে, অনুশীশন সমিতির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল৤
১৯০৩ :গ্রিয়ার্সন (Grierson)-কৃত Linguistic Survey of India-র পত্তন, বাঙ্গালা ভাষা-বিষয়ক প্রথম খণ্ড৤
১৯০৫ :বঙ্গ-ভঙ্গ ও স্বদেশী আন্দোলন৤ লর্ড কার্জনের শাসনকালে৤
১৯০৮ :ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশিষ্ট বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত এবং সত্যেন বসুর মৃত্যু দণ্ড৤ আলিপুর বোমা মামলায় ধৃত হয়ে জেলের ভিতরেই রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাইকে হত্যার অভিযোগ ছিল৤
১৯০৮ :বি.এ. পরীক্ষা অবধি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্য আবশ্যিক পাঠ্য-বিষয়-রূপে নির্ধারিত৤
১৯০৮ :ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভারতের প্রথম শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয়(১১ আগস্ট)৤ অত্যাচারী ইংরেজ রাজকর্মচারী কিংসফোর্ডকে হত্যা করতে গিয়ে তার ঘোড়ার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়েন(৩০ এপ্রিল, ১৯০৮), কিন্তু গাড়িতে সে দিন অন্য লোক ছিলেন, ফলে উদ্দশ্য ব্যর্থ হয়৤ অন্য লোক মারা যায়৤ পরে ক্ষুদিরাম ধরা পড়েন, সহযোগী প্রফুল্ল চাকি ধরা পড়ার আগেই নিজের রিভলবারের গুলিতে আত্মহত্যা করতে সমর্থ হন(১ মে, ১৯০৮)৤
১৯১১ :বঙ্গ-ভঙ্গ রদ ও ভারতের রাজধানী কোলকাতার পরিবর্তে দিল্লি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা (১২ ডিসেম্বর)৤
১৯১২ :দিল্লি দরবারের ঘোষণা অনুসারে ভঙ্গ বঙ্গ আবার যুক্ত হয়
(১ জানুয়ারি)৤
১৯১৩ :সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পেলেন(১৩ নভেম্বর)[সুইডিশ একাডেমি প্রদত্ত৤ ইউরোপের বাইরে এটাই প্রথম]৤
১৯১৬ :হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক ‘চর্য্যাপদ’(বৌদ্ধগান ও দোহা) প্রকাশ৤
১৯১৭ :বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ কর্তৃক ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ প্রকাশ৤
১৯১৭ :জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের বাঙ্গালা অভিধান,(২য় সংস্করণ, ১৯৩৭)৤
১৯১৯ :পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরের পূব দিকে অবস্থিত জালিয়ানওয়ালাবাগ উদ্যানে একটি সভায় ইংরেজ জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্বে সৈন্যরা নিরীহ মানুষের উপরে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে ৩৭৯ জনকে হত্যা করে, আহত হন ১২০০ মানুষ৤ এই নারকীয় ঘটনায় সারাদেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে৤ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ঘটনার প্রতিবাদে 'নাইট' খেতাব ত্যাগ করেন৤ ব্রিটিশ সরকারই এই সর্বোচ্চ-সম্মানে তাঁকে ভূষিত করেছিল সম্মান জানাবার জন্য৤
১৯২১ :প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও দয়ারাম সাহানির সহযোগিতায় জন মার্শালের নেতৃত্বে মহেঞ্জোদরো ও হরপ্পার অতি প্রাচীন সভ্যতার সন্ধান পাওয়া যায়৤
১৯২৫ :মাত্র ৫৫বছর বয়সে বিশিষ্ট জননায়ক দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ প্রয়াত হন৤ তিনি স্বরাজ্যদল গঠন করে দেশব্যাপী আলোড়ন তোলেন এবং ১৯২৩ খ্রিঃ নির্বাচনে বিপুল সাফল্য লাভ করেন৤ গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলেনর আহ্বানে তিনি তাঁর বিপুল আইন ব্যবসা ছেড়ে দেশের কাজে নেমে পড়েন৤ কথিত আছে যে বিলেত থেকে তাঁর পোষাক ধুয়ে আনা হত৤ জীবিকা ত্যাগ করে কষ্টে জীবন অতিবাহিত করেন, স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে৤ দেশের লোক তাঁর নাম দেন 'দেশবন্ধু'৤ কোলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর সুউচ্চ স্মৃতি সৌধ আছে৤
১৯৪০ :কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার মাধ্যমে প্রবেশিকা
পরীক্ষা-গ্রহণ৤
১৯৪১ :রবীন্দ্র তিরোধান৤
১৯৪৭ :ভারতের স্বধীনতা লাভ(১৫ আগস্ট), এবং বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ৤ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা৤
১৯৪৯ :ভারত সরকারের সঙ্গে কোচবিহার মহারাজের চুক্তি অনুসারে কোচবিহার ভারতের অঙ্গীভূত হয়(১২ সেপ্টেম্বর)৤ কোচবিহারের রাজভাষা ছিল বাংলা৤ এখন কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা৤
১৯৫২ :পূর্ব পাকিস্তানের(বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশ) ঢাকায় বাংলা ভাষার দাবিতে ভাষা আন্দোলন(২১শে ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার)৤ বহু আহত ও নিহত৤ ভাষাশহীদ হন-- (১)আবদুল জব্বার, (২)রফিক উদ্দিন আহমেদ, (৩)আবুল বরকত, (৪)সালাউদ্দিন, (৫)নাম-না-জানা শহীদ
২২শে ফেব্রুয়ারি, (৬)সফিউর রহমান, (৭)আউয়াল,
(৮+৯)নাম-না-জানা শহীদ৤
১৯৬১ :ভারতের শিলচর অসমে বাংলা ভাষার দাবিতে ভাষা আন্দোলন(১৯মে, শুক্রবার)৤ ভাষাশহীদ হন -- (১)কমলা ভট্টাচার্য,(২)বীরেন্দ্রনাথ সূত্রধর, (৩)চণ্ডীচরণ সূত্রধর, (৪)শচীন পাল, (৫)কুমুদ দাস, (৬)কানাইলাল নিয়োগী, (৭)সুনীল সরকার, (৮)সত্যেন্দ্র দেব, (৯)তরণী দেবনাথ, (১০)হিতেশ বিশ্বাস, (১১)সুকোমল পুরকায়স্থ৤
১৯৭১ :পূর্ব-পাকিস্তান বিলোপ৤পূর্ববঙ্গে স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা(১৬ডিসেম্বর)৤

২০০০০খ্রিস্টাব্দ

কোন মন্তব্য নেই: