সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে হবেবিনামূল্যে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট সরাসরি ডাউনলোড করুন নীচের এই লিংকে ক্লিক করে
উন্নত বাংলা ফন্ট ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
সঙ্গে
দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14
Default text font setting)
Default
text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
এবং
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet
setting)
(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)
on
internet(Mozilla Firefox)
(top
left) Tools
Options--contents
Fonts and Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for:
=Bengali
Proportional
= Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans
Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
-- OK
Languages
Choose your preferred Language for
displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
-- OK
-- OK
এবারে
ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে
যুক্তবর্ণ সরল গঠনেরবুঝতে লিখতে পড়তে সহজ
ভাষায় আবহাওয়ার প্রভাব
মনোজকুমার দ. গিরিশ
আমরা যখন কথা বলি, অর্থাৎ ভাষা ব্যবহার করি, তখন সেই ভাষায় থাকে আবহাওয়ার প্রবল প্রভাব জীবনের ছাপ তো ভাষা ব্যবহারে থাকবেই জীবন থেকেই তো ভাষার নির্মাণ বাজারে যাই জিনিস কিনি টাকা পয়সা দেই প্রাচীনকালেরদিনে জিনিস কিনে দাম মেটাতে হত টাকা আর কড়ি দিয়ে তখন কেনাবেচার জন্য কড়ির প্রচলনও ছিল আমরা বলি পয়সাকড়ি, যেখানে পয়সা চালু নেই তারা বলে, পেনি নতুন পয়সা যখন চালু হয় তখন তার নাম ছিল নয়াপয়সা তাতে ছিল এক পয়সার মুদ্রা, দুই পয়সার মুদ্রা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, এক টাকা
পরে প্রচলিত হয়, তিন পয়সা, ২০ পয়সা এক পয়সা ছিল খুবই ছোট, আর তা ছিল তামা দিয়ে তৈরি, অন্য সব পয়সা ছিল এ্যালুমিনিয়ামের মিশ্র ধাতু ইংরেজ আমলে ছিল একটু বড় তামার এক পয়সা তার মাঝখানে ছিল বড় এক ফুটো, পয়সার গায়ে বাংলা, তামিল, হিন্দি, উর্দুতে লেখা থাকত 'এক পয়সা' আর ইংরেজিতে তো লেখা থাকতই পরে ভারত স্বাধীন হলে সেখানে কেবল হিন্দি আর ইংরেজিতে লেখা শুরু হয় বাংলা, তামিল, উর্দু বর্জিত হয়
ভাষায় আছে আবহাওয়ার প্রবল প্রভাব গরমের দেশে গরমকে ভয়, আর শীতের দেশে শীতকে ভয়-- ভাষার মধ্যেও তার ছোঁয়া আছে যেমন গ্রীষ্মপ্রধান আমাদের দেশে লোকের কথা শুনে ‘প্রাণ জুড়িয়ে যায়’, কিন্তু শীতের দেশে throw cold water on a proposal, আবার সেখানে লোকে পায় worm reception, আর আমাদের ভাষার আক্ষরিক অনুবাদে সেটাই হয়েছে--‘উষ্ণ অভিনন্দন’ পশ্চিমা ও-দেশে নিয়ত খারাপ আবহাওয়া morning shows the day, আমাদের দেশে ব্যাপারটা কিন্তু ঠিক তেমন নয় এদেশে গরমে লোকের প্রাণ আইঢাই করে, আর ওদেশে প্রবল শীতের মধ্যে একটু উষ্ণতার জন্য কী আকুলিবিকুলি ঘরের মধ্যে ওরা উনুন বানিয়ে কাঠ জ্বালিয়ে রাখে ঘর গরম রাখার জন্য, নাম তার ফায়ার প্লেস উষ্ণতার আবাহনের জন্য তারই প্রত্যক্ষ পরোক্ষ চিহ্ন দেখি ভাষা ব্যবহারে, worm reception কথার মধ্যে আমাদের দেশে আছে বর্ষামঙ্গল সঙ্গীতালেক্ষ্য, কৃষি ভিত্তিক দেশে যা উর্বরতার আবাহন আর ওদেশে ঝড়বৃষ্টি প্রবল তুষারপাত কিন্তু মানুষের জীবনযন্ত্রণার নিয়ত বিলাপের বিষয়
এমনি করে হাসি কান্না ভালোবাসা প্রেমপ্রীতির মধ্যে নানা কথায় আচরণে সাহিত্যে থেকে যায় ভাষার সূক্ষ্ম এবং গভীর প্রভাব, যা আমরা সাধারণভাবে তেমন করে লক্ষ করি না কাব্যে পাই মেঘদূত, ময়ূরের পেখম ধরা, কদম ফুল, মলয় বাতাস, দখিনা সমীরণ, শীতল বাতাস বয় জুড়ায় শরীর আর ওরা বলে, North wind doth blow we shall have snow.
মেঘের পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে। আমায় কেন বসিয়ে রাখ একা দ্বারের পাশে॥ কাজের দিনে নানা কাজে থাকি নানা লোকের মাঝে, আজ আমি যে বসে আছি তোমারি আশ্বাসে॥ তুমি যদি না দেখা দাও, কর আমায় হেলা, কেমন করে কাটে আমার এমন বাদল-বেলা। ...
ঋণ: সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের লেখার ছায়া অনুসরণে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন