‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ডাউনলোড করার লিংক
Link for downloading AhanLipi-Bangla14 font
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14
Default text font setting)
Default
text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
এবং
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet
setting)
(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)
on
internet(Mozilla Firefox)
(top
left) Tools
Options--contents
Fonts and Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for:
=Bengali
Proportional
= Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans
Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
-- OK
Languages
Choose your preferred Language for
displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
-- OK
-- OK
এবারে
ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে
ছড়াজীব- ছোটদের উপযোগী ছড়া
জীবজন্তু পশুপাখি মাছ পোকামাকড় ইত্যাদি নিয়ে ছোটদের উপযোগী কিছু ছড়া লেখা হল ছোটদের ভালো লাগলে আনন্দ পাব কিছু বলার বা পরামর্শ দেবার থাকলে নীচের ইমেল ঠিকানায় জানালে ভালো হয়
বিনীত,
মনোজকুমার দ. গিরিশ ২৫/০৭/২০১১
অহন
৮ জুন ২০০৯
ছড়াজীব
বর্ণানুক্রমে মোট ১৩৩টি ছড়া
১ আরশোলা
আরশোলা পাখি নয়, কখনও সে ওড়েএই দেখি মোটে এক, কাল যাবে ভরে
আছে তার দুটি শুঁড় লিকপিক করে
আনাচে কানাচে ভরা প্রতি ঘরে ঘরে
২ ইঁদুর
দাঁতে তার বড় ধার কুট কুট কাটে সবকাটিতে কাটিতে যেন লেগে যায় উৎসব
ছোটো ছোটো এই জীব, লেজ আছে লম্বা
কী কাজের কাজী সে যে হরে কর কম-বা
৩ ইয়াক
চমরী গাই নাম, গায়ে ভরা লোমগরুদের মতো শিং আছে মোক্ষম
পাহাড়ি শীতল দেশে আছে তারা থাক
ইংরেজিতে নাম তার হয়েছে ইয়াক
৪ ঈগল
দূর পাহড়ে ঈগল পাখি শুনি দেখা যায়
চিলের দাদা বৃহৎ পাখি সকল লোকে কয়দূর পাহড়ে ঈগল পাখি শুনি দেখা যায়
বাজের মতো হঠাৎ করে ধরবে পায়ে চেপে
ছোঁ মেরে নেয় ইঁদুর শশক প্রতি পদক্ষেপে
৫ উইপোকা
উইপোকা কত বোকা কাটে বইপত্র
অবশেষ কাঠকুটোর না রয় কিছুমাত্র
পিঁপিড়ার মতো দেহ শুভ্র কোমল
কী করে প্রসব করিস এত এত মল?
অবশেষ কাঠকুটোর না রয় কিছুমাত্র
পিঁপিড়ার মতো দেহ শুভ্র কোমল
কী করে প্রসব করিস এত এত মল?
৬ উট
লম্বা গলা ঢ্যাঙা পা, মরুর দেশে বাস
খুঁজে খুঁজে ঝোপে ঝাড়ে কাঁটা গুল্ম খাসমরুর দেশে চলতে গিয়ে জল চাই না তোর
কাটিয়ে দিলি বালুর দেশে সারা জীবন ভোর
৭ উটপাখি
উটের মতো ঢ্যাঙা গলা উটপাখি রে তুই
ঠ্যাং আছে তোর সরু সরু কী বিশাল দুইমরুতে করিস বাস
গরমে কি হাঁসফাঁস?
৮ ক্যাঙারু
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে তারা করে বাস
মোটেই হিংস্র নহে, করে নাকো ত্রাসপিছনের পদ দুটি দীর্ঘতর হয়
লাফায়ে লাফায়ে তারা চলিছে সদায়
পেটের বাহিরে তার থাকে এক থলি
সেখানে বহন করে সন্তান পুত্তলি
৯ কই
কানে হেঁটে কই মাছ ডাঙাতেও চলে
তাহাদের শক্ত প্রাণ লোকে তাহা বলেডাঙাতেও শ্বাস নেয় জলে নেয় শ্বাস
এইভাবে বাঁচে কেউ, হয়না বিশ্বাস
১০ কুকুর
ঘরে পোষা প্রভুভক্ত, নামটি কুকুর
পায়ে পায়ে ঘোরে সদা তাহার প্রভুরলেজ নাড়ে আদরে, খেলা করে কভু
সব কিছু শোনে সে যে, যাহা কয় প্রভু
১১ কাক
রোদের মধ্যে ঘুরে ঘুরে তোর, রঙটা হল কালোদুপুর রোদে টো-টো করা, স্বভাবটা কি ভালো?
কা-কা করে দিবা রাত জ্বালাস না আর হাড়
আর জ্বালালে কানটি ধরে করে দেব বার
১২ কাকাতুয়া
মাথায় ঝুঁটি কাকাতুয়া জল ছোলা খায়দাঁড়খানাতে বেঁধে রাখে শিকল দিয়ে পায়
দাও গো ছেড়ে পাখিটারে আকাশসাথী হবে
সাদা রঙের ফুটবে ফুল মেলবে ডানা যবে
১৩ কাঠঠোকরা
ঠক ঠক ঠক কাঠে ঠোকর, বেরিয়ে আসে পোকা
কত হাজার দেয় যে ঠোকর নেই সে লেখাজোখাকে বা জানে কোথা থাকে এত এত পোকা
কাঠঠোকরা ঠুকরে চলে, নয় সে মোটে বোকা
১৪ কাঠবিড়ালি
কাঠবিড়ালি কোথায় গেলি আয়না দেখি কাছে,
পাখির মতো কিচির মিচির করিস গাছে গাছেলাফিয়ে বেড়াস এগাছ ওগাছ যেন পাখি ওড়ে
আয়রে কাছে কাঠবিড়ালি খাবার দেব তোরে
১৫ কচ্ছপ
গুটি গুটি হেঁটে যায়, উলটানো সে গামলা
শক্ত পিঠের খোলায় রোধে, বাহিরের হামলা ডিম পাড়ে মাঠেঘাটে সাদা সাদা গোলাকার
ভয় পেলে গুটায় ভিতরে নিজ-খোলাটার
১৬ কেন্নো
হাজার খানা পা বুঝি তার গুড়গুড়িয়ে চলে
অনেক সময় দেখবে তারে পচা কাঠের খোলেসরু সরু কাঠির মতো পাটকিলে তার রং
ছোঁয়া পেলে গুটিয়ে যায় এমনি তাহার ঢং
১৭ কোকিল
কোকিলের কালো রঙে মনে হয় কাক
চাই নাকো কাছ ছেড়ে দূরে উড়ে যাককোকিলের কুহু রবে মন মেতে যায়
ভরে বন গানে গানে সংগীত-শোভায়
১৮ কুমির
কুমির তুমি মস্ত বীর গিলে খাও কিছু
চিবোতে কি কষ্টবল নাকো পষ্ট
কাঁটা ওঠা ওই গায়
কুট কুট চুলকায়?
অত বড় লেজটা ছাড়ে না তো পিছু
১৯ কেঁচো
পেঁচোদের বাগানে কেঁচো আছে এ্যাক
বিশ্বেস না হলে কথা, ছুটে গিয়ে দ্যাখগোল দেহটা মোচড়ায় সে কেবলই
একদম ঠিক কথা তোরে আমি যা বলি
২০ খ্যাঁকশিয়াল/খেঁকশিয়াল(Fox)
বনে আছে খ্যাঁকশিলায় শিকার খুঁজে ফেরে
হাঁস মুরগি যাকে পাবে তাকেই চেপে ধরেবনবাসী তারা সব বনে বনে ঘোরে
মানবে না পোষ দুধু-ভাতু খাওয়ালেও তারে
২১ খঞ্জনা-১
খঞ্জনা মোটেই সে খঞ্জ না
লাঠি ভর দিয়ে চলে ভেবো না তা মোটেডানা মেলে দূরাকাশে চটপট ছোটে
২২ খঞ্জনা-২
খঞ্জনা পাখি তুমি খঞ্জ না
পাখি ওগো, কারে তুমি করিও না গঞ্জনা আকাশের রঙ মেখে উড়ে যাও তুমি
নভোনীলে সূর্যের সাত রঙ চুমি
২৩ খরগোশ
নরম নরম সাদা দেহী ছোটো খাটো প্রাণী
আদর করিও তারে নিজ-ঘরে আনিঘাস পাতা খায়, হাঁটে না সে, কেবলই লাফায়
সাদা লোম, দীর্ঘ কান, জুলু জুলু চক্ষুতে তাকায়
২৪ গঙ্গাফড়িং/গংগাফড়িং
ওরে ফড়িং ওরে ফড়িং কোথা উড়ে যাস
গাছে গাছে বেড়াস উড়ে, কোথা তোর বাসপলকা তোর পাখা দুটি হালকা হাওয়ায় নড়ে
বন্ধু হবি কি তুই মোর, আয়না আমার ঘরে
২৫ গাধা
নিরীহ জীবের সেরা গাধা তার নাম
বোঝা বয়ে দিবারাত করে কত কামমানুষের বন্ধু জীব নীরবেই থাকে
আদর করিও সদা ভারবাহী তাকে
২৬ গিরগিটি
কুমিরের চেহারাতে হাঁটে বন বাদাড়ে
ছোটো বলে চোখে দেখা যাবে না তো আঁধারে
লাল নীল রং তার পালটায় ইচ্ছায়
পাটকিলে হতে পারে যদি কভু নিজে চায়
ছোটো বলে চোখে দেখা যাবে না তো আঁধারে
লাল নীল রং তার পালটায় ইচ্ছায়
পাটকিলে হতে পারে যদি কভু নিজে চায়
২৭ গোরিলা
দেখিতে মানুষ যেন বনে বনে বাস
ক্রুদ্ধ হইলে হয় সকলের ত্রাস
নিরামিষ ভোজী জীব খায় কচি পাতা
কালো লোমে ভরা দেহ, ছোটো তার মাথা
ক্রুদ্ধ হইলে হয় সকলের ত্রাস
নিরামিষ ভোজী জীব খায় কচি পাতা
কালো লোমে ভরা দেহ, ছোটো তার মাথা
২৮ গোসাপ
গোসাপ তো সাপ নয় কুমিরের ছোটো ভাই!
সরু চেরা জিভ খান, সাপ নাম পেল তাই
আদাড়ে বাদাড়ে চলে, খায় কি সে কেবা জানে
কুকুরে দেখিতে পেলে বাধা পায় ভোজনে
সরু চেরা জিভ খান, সাপ নাম পেল তাই
আদাড়ে বাদাড়ে চলে, খায় কি সে কেবা জানে
কুকুরে দেখিতে পেলে বাধা পায় ভোজনে
২৯ গণ্ডার
তৃণভোজী গণ্ডার, বিরাট যে বপু তার
খেপে গেলে তার কাছে নেই কারও নিস্তার
নাকে থাকে খড়্গ, অস্ত্রও সেটা বটে
এফোঁড় এফোঁড় করে দেবে,
পাবে না তো পার মোটে
খেপে গেলে তার কাছে নেই কারও নিস্তার
নাকে থাকে খড়্গ, অস্ত্রও সেটা বটে
এফোঁড় এফোঁড় করে দেবে,
পাবে না তো পার মোটে
৩০ গন্ধীপোকা
ওরে বাবা গন্ধীপোকা দূরে সবে থাক্
উড়িয়ে দিস তাকে, দূরে চলে যাকঘরে এলে গন্ধে তার, ঘরে টেঁকা ভার
দূরে যাও পোকা বাবা, আমরা নাচার
৩১ গুবরে পোকা
গোবর খেয়ে করলি সাবাড় গুবরে পোকা তুইতোর লেগেই মরা মাটি হল খাঁটি, সারে ভরা ভুঁই
গুবরে পোকা গুবরে পোকা-- করলি যত কাজ
রাসায়নিক সার পেয়ে তোয় ভুলে গেছে আজ
৩২ গরু
গরু করে বহু কাজ হালও সে যে টানে?গাড়ি টানে ঘানি টানে সকলে তা জানে
দুধ দেয় বাঁচে প্রাণ, রসগোল্লা পাই
এর তুল্য জীব আর, কোথাও যে নাই
৩৩ গাংচিল
গাংচিল গাং পারে সাগরেও দেখিদূরে দূরে ঢেউ ভেঙে উড়ে যায় পাখি
নোনা জলে মাছ ধরে সেই পাখিগুলো
টুপ করে ঠোঁট দিয়ে চোখে দিয়ে ধুলো
৩৪ ঘুঘু
ঘুঘু করে ডাকাডাকি পেলে ফাঁকা মাঠসেই ভূমি যেন তার আপন তল্লাট
নির্জন দুপুরে তার ডাক তুমি শোননি?
কতবার ডেকে গেল তাও বুঝি গোননি?
৩৫ ঘাসফড়িং
ঘাসে ঘাসে চলে তারা লাফ দিয়ে দিয়েচকিতে দেখিলে বুঝি ঘাসইবা ভাবিবে
সামনের দুই পা তুলে, কীযে করে কাম
মনে হয় যেন, দুই হাতে করিছে প্রণাম
৩৬ ঘোড়া
টগবগ ছোটে ঘোড়া মনুষ্য-বাহনতাহার গুণের কথায় হইবে কাহন
মানুষ চড়িছে পিঠে, কভু টানে গাড়ি
ইতিহাসে সাহিত্যে নেই তার জুড়ি
৩৭ ঘড়িয়াল
কুমিরের একজাতি ঘড়িয়াল নামবঙ্গোপসাগর বুঝি তার নিজ ধাম
রোগা রোগা লম্বা চেহারাটা তার
সুন্দরবনেই তারা আছে বিস্তর
৩৮ চকাচকি
চকাচকি পাশাপাশি থাকে অনুক্ষণএইভাবে কাটে তার সারাটি জীবন
মাঠঘাটে দেশময় থাকে কত পাখি
কিছু তার পাবে দেখা, আরও রবে বাকি
৩৯ চামচিকে
ছোটো ছোটো চেহারার বাদুড়ের মতোসাঁঝ কালে কিলবিল উড়িতেছে যত
ফোঁকরে খোঁড়লে বাস, চুপচাপ রয়
চামড়ার ডানা মেলে উড়ে উড়ে যায়
৪০ চিতা / চিতাবাঘ
বাঘের মতো চেহারা যে, চিতা নামটি জোটাবাঘের থাকে লম্বা ডোরা, চিতার ফোঁটা ফোঁটা
ধরতে শিকার তাহার মতো দ্রুত কেবা ছোটে
চিকন দেহে ছোটার কালে বিদ্যুৎ বেগ ওঠে
৪১ চিল
দূর ওই আকাশে ডানা মেলে ওড়ে চিল
দেখে যেন মনে হয় চলমান কত তিল
ছোঁ মেরে নখ দিয়ে, ঠোঁট দিয়ে ছিঁড়ে খায়
পুকুরের মরা মাছ, ভাগাড়েরও নিশ্চয়
দেখে যেন মনে হয় চলমান কত তিল
ছোঁ মেরে নখ দিয়ে, ঠোঁট দিয়ে ছিঁড়ে খায়
পুকুরের মরা মাছ, ভাগাড়েরও নিশ্চয়
৪২ চন্দনা-১
চন্দনা চন্দনা
নামটা তো মন্দ নানামের জোরে
সবাই করে
এমনি তোর বন্দনা
৪৩ চন্দনা-২
চঞ্চল চন্দনা সুন্দর পাখি রে
ভালোবাসা দিতে তুই কত দিবি ফাঁকি রেবুকে আছে তোর বাসা সেইখানে আয়
দিবারাত তোরে পাখি মন মোর চায়
৪৪ চড়াই
চড়াই, তোর নেই তো কিছু করার মতো বড়াই
ফুড়ুৎ করে যাস উড়ে তুই সামনে যখন লড়াইখড় কুটোটা আনিস ঘরে বাঁধবি বলে বাসা
চায়না মানুষ এমনি তোর নোংরা করতে আসা
৪৫ ছাগল/পাঁঠা
ছাগলেতে নেই গোল ঘাস পাতা খায়
দুধ দিয়ে শিশুদের জীবন বাঁচায়পথ হারা হলে পাঁঠা ব্যা-ব্যা করে ডাকে
ডাক শুনে কাছে যাও, খুঁজে পাও তাকে
৪৬ ছারপোকা
ছোটো ছোটো পোকা সব বিছানায় বাস
রুধির শুষিয়া খায় রক্ত-পিশাচকুট কুট কাটে গায়ে ঘুম ঘোরে পেলে
শরীরে হইবে রোগ এইভাবে খেলে
৪৭ ছুঁচো
ছুঁচোর গায়ে গন্ধ ভারী ইঁদুরেরই তুতো ভাই
বসবাসের জায়গাটা তার, পিছনের ওই নর্দমাইকোন্ সে কাজে লাগে ছুঁচো জানে তাহা কেবা
তারে দিয়ে হয় না কিছু, কোনও মানব সেবা
৪৮ জিরাফ
বনে বনে ঘোরে ফেরে লতা পাতা খায়
মাথাটি বসানো যেন বাঁশের মাথায়অতি বড় দীর্ঘ জীব শান্ত শিষ্ট বটে
দেখিতে যদিও বড়, বুদ্ধি নেই ঘটে
৪৯ জেব্রা
ঘোড়াদের মতো পশু গায়ে ডোরা কাটা
সাদা দেহে যেন তার কালো ফিতে আঁটাতৃণভোজী চার পেয়ে দল বেঁধে থাকে
দেখিতে শান্তশিষ্ট মনে হয় তাকে
৫০ জোনাকি
ওরে মোর জোনাকি
তোর মুখে সোনা কি?পিট পিট আলো জ্বেলে
জোনাকি হে কোথা গেলে?
৫১ জলপিপি
জলপিপি জলে বাসকেবলই কি জল খাস?
যা উড়ে যা আকাশে
ফিরে যা তোর নিবাসে
৫২ জলহস্তী
জলহস্তী জলেই থাকে মস্ত বড় বপু সুবিশাল করে হাঁ, আসে যেন রিপু
দাঁতগুলো তার মুলোর মতো, গিলে খেতে চায়
পুরে নেবে জগতেরে সুবিশাল হাঁয়
৫৩ ঝিঁঝি পোকা
এক নাগাড়ে ঝিঁ-ঝিঁ ঝিঁ-ঝিঁ শব্দে অহরহজীবনটা তুই করিস সদা অতীব দুঃসহ
ঝাঁ ঝাঁ করে মাথাটা তাই ঝিঁঝি পোকা নাম
জীবনভর করিস এমন, একী রে ব্যারাম
৫৪ টুক্যান
বিরাট ঠোঁট পাখিটার ধনেশ পাখি যেনমস্ত বড় ঠোঁট দুটি তার চেহারাটির হেন
এই দেশে থাকে না সে বিদেশ বিভুঁই বাস
দেখার জন্য তারে মন করে যে হাঁসফাস
৫৫ টিকটিকি
টিক্ টিক্ ডেকে ওঠে টিকটিকি দেয়ালে দেয়ালে বা ছাদে হাঁটে আপনার খেয়ালে
মশা খায়, মাছি খায়, খায় পোকা দশ বিশ
টিকটিকি-বিষ্ঠাটা জেনো তাহা মহা বিষ
৫৬ টিয়া / টিয়ে
সবুজ জামা আছে গায়লাল টুক টুক ঠোঁটটি তায়
খোঁজে তাজা লঙ্কা
ঝাল না লবডঙ্কা!
৫৭ টুনটুনি
টুনটুনি গান শুনি পিক পিক ধ্বনিযতনা বৃহৎ পাখি স্বর ওঠে স্বনি
পিঙ্গল চঞ্চল দেহ পাতার আড়ালে
ঢেকেঢুকে নিজেরে সে সাবধানে চলে
৫৮ ডাহুক
ডাহুক পাখি থাকি থাকি কুব-কুব দেয় ডাকআশে পাশে জনমানুষ শুনতে তাহা পাক
কেন এত ডাকাডাকি কারণ কিবা তার
কেউ জানে না কারণ তাহার, ডাকাডাকি সার
৫৯ ডোডো পাখি
ডোডো পাখি নেই আর বহুদিন ধরেএকে একে গেছে তারা সকলেই মরে
হায় হায় এইভাবে যদি হয় শেষ
একদিন মানুষও জেনো, হইবে নিঃশেষ
৬০ ডলফিন
ডলফিন মাছগুলি অতি সদাশয়সাদা কালো রঙ তার দেখেছ নিশ্চয়
চালাক চতুর তারা জলে করে বাস
চর্চায় তাহারও হয় বুদ্ধির বিকাশ
৬১ দোয়েল
শিস দিয়ে কীসুখে হলি এত মিশুকে
ডাক শুনে উচাটন
হয়ে যাই আনমন
৬২ ধনেশ পাখি
বাঁশের মতো লম্বা ঠোঁট নামটি ধনেশ পাখিবিশাল এমন লম্বা ঠোঁটে বাঁশ জুড়েছ নাকি?
বনের মাঝে কাটাস জীবন
বল না দেখি কী পেলি ধন?
৬৩ নেকড়ে
বনের মাঝে হিংস্র পশু যতগুলি থাকেতাদের মাঝে জেনো ঠিক পাবেই তাহাকে
হিংস্র নখ হিংস্র দাঁত হিংস্র চোখ দুটি
হিংসাভরে সদাই যেন ছিঁড়তে আসে টুঁটি
৬৪ প্যাঁচা /পেঁচা
প্যাঁচা তোরে রাখব সে কোন্ খাঁচাতে তা’লে বাছা পারব কি আর বাঁচাতে
ভেংচে মুখ আঁধারে
ওরে প্যাঁচা দাদারে
ভুত ভুতুম ছাড়িস ডাক
করে দিস্ হতবাক
৬৫ প্রজাপতি [শুঁয়া/শুঁয়ো পোকা/শোঁ পোকা থেকে]
প্রজাপতি প্রজাপতি, রঙিন পাখায় হালকা অতি বেড়াও উড়ে ফুলে ফুলে মধুর মধুর স্নিগ্ধ গতি
শিশুর তুমি হবে সখা, উড়ে উড়ে দাওগো দেখা
যত ওড়ো ডানা মেলে, আসলে তো শুঁয়ো পোকা!
৬৬ প্ল্যাটিপাস
হাঁসের মতো ঠোঁটদুটি তার জলেরই এক জন্তুমাছের মতো জলে বাস হাঁস নয় সে কিন্তু
জলে জলে বাস তার মাছের মতো দেহ
থাকে এমন দেশে, দেখা পায় না বুঝি কেহ
জলে জলে বাস
তার, নামটি প্ল্যাটিপাস
৬৭ পঙ্গপাল/পংগপাল
পঙ্গপাল যদি ধায় কোনও দেশ পানেজানিবে শস্যহানি হইবে সেখানে
ঘাসফড়িংয়ের মতো তার রূপ অবিকল
খেয়ে করে খোসা সব খেতের ফসল
৬৮ পাণ্ডা
দেখিলে হইবে মনে যেন সে ভালুকবাঁশপাতা খেয়ে তার হয় বড় সুখ
সাদা কালো মনোরম দেহটি তাহার
প্রকৃতির হাতে গড়া রূপের বাহার
৬৯ পানকৌড়ি
জল ডুব ডুব পানকৌড়ি জলের মাঝে বাসডুবে ডুবে মাছের মনে ছড়ালি সন্ত্রাস
লম্বা গলা কালো বরন, টুপ্ টুপ্ দিস ডুব
যা বাড়ি যা পানকৌড়ি, মাছ ধরেছিস খুব
৭০ পায়রা
পত্ পত্ করে ওড়ে এক ঝাঁক বেঁধে
ডাক শুনে ভেবো না, কহে কিছু কেঁদেপত্ পত্ করে ওড়ে এক ঝাঁক বেঁধে
দল বেধে ঘুরে ঘুরে ওড়ে দেখ আকাশে
কেবলই সে পাক খায় কোথাও যাবে না সে
৭১ পেঙ্গুইন
সারাদিন পেঙ্গুইন জল ঘেঁটে চলে শীতল সাগরে বাস করে দলে দলে
পা-পা চলে তারা, উড়িতে না পারে
যদিও তাহারা সব পাখি নাম ধরে
৭২ পেলিক্যান
পেলিক্যান পেলিক্যানমাছ এত খেলি ক্যান্
দল বেঁধে কক্ কক্
মাছেদের ভক্ষক
৭৩ পিঁপড়ে
ছোটো ছোটো পিঁপড়েগুলো হাজার রকম তারাখুদে হলেও সকল দেশে বাজায় নাকাড়া
কোথায় চিনি, কোথায় খাবার, খুঁজে খুঁজে ফেরে
পেয়েই যায় সকল খবর, খোঁজাখুঁজির জেরে?
৭৪ ফ্লেমিংগো
বকের মতো চেহারা তার, লম্বা গলা অতিঢ্যাঙা পায়ে মাছ খোঁজে সে, অতি ধীর গতি
গোলাপি এই বকের পাঁতি বিশাল দলে থাকে
বিরাট বড় জলাশয়ে কিংবা হ্রদের বাঁকে
৭৫ ফিঙে
লেঝ ঝোলা ফিঙেযেন কালো ঝিঙে
ফুস করে উড়ে যাস বাঁশ খাড়া টঙে
লেজ যেন তেজ পাতা কালো কালো রঙে
৭৬ ব্যাং / ব্যাঙ
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাং ডাকে জলে ব্যাংজলে ডাঙায় লাফিয়ে চলে চারটে আছে ঠ্যাং
ডিম পাড়ে ডোবাতে, এলে বর্ষাকাল
জলে ভাসে কিলবিলে-- ব্যাঙাচির দল
৭৭ বক
ওরে বক বকানিথামা তোর ককানি
লিকপিকে সাদা রঙে
উড়ে যাস কী ঢঙে?
৭৮ বাইসন
ভীষণ সে বাইসন যেন ঠিক মোষকাছে গেলে দেখাবে সে আপনার রোষ
বনে বনে থাকে তারা সহিংস স্বভাব
কাছে গিয়ে তার সাথে হবে নাকো ভাব
৭৯ বাঘ
ভয়াল ভীষণ বাঘ হিংস্র, গভীর বনে বাসবনচরের ঘাতক তারা, সবার সন্ত্রাস
ডোরা কাটা হিংস্র অতি, ভীষণ নখ দাঁত
আড়ি পেতে শিকার ধরে, হঠাৎ অকস্মাৎ
৮০ বাজপাখি
বাজপাখি কাজটা কী, উড়ে উড়ে চলা?খোঁজ রাখো কোথা করে ইঁদুরেরা খেলা
ছোঁ মেরে চিলেদের মতো নাও তুলে
আকাশে তোমার কথা যাই তবু ভুলে
৮১ বাদুড়
বাদুড়ের আদুড় গা, ডালে ঝুলে মাথা হেঁট
সুপুরি বাদাম জাম খেয়ে তুই ভরাস পেট
রাতের আঁধারে ঘুরে কি যে তুই পাস সুখ
আলো হলে পাস লাজ, তাই তো দেখবি না মুখ
৮২ বানর
দেখিতে নরের মতো নামটি বানরদেহ তারা ছোটোখাটো নেই অত দর
গাছে গাছে সহজেই চলে তারা লাফিয়ে
দেহপটে খর্ব তবু চলে তারা দাপিয়ে
৮৩ বাবুই পাখি
বাবুই পাখি বাবু অতি, কারিগরি খাসাতাল গাছে বানায় দেখ, কী মনোরম বাসা
উলটে যেন কুঁজোটা ওই, ঝুলিয়ে দিল গাছে
সকল পাখি হার মেনেছে তাহার বাসার কাছে
৮৪ বিড়াল
বিড়াল যেন বাঘের মাসি থাকে ঘরের মাঝেবাঘের মতো দেখতে হলেও হিংস্র মোটে না যে
দুধ খায়, ভাত খায়, খায় মাংস মাছ
মিউ মিউ করে ডাকে, ছাড়ে নাকো কাছ
৮৫ বেজি
সাপের যম, ছোটো এই চারপেয়ে জেনো নেউল নামে খ্যাতি তার, আছে যে এখনও
সাপে আর নেউলে দেখা হলে হয়
মারামারি যুদ্ধ সেথা বাঁধিবে নিশ্চয়
৮৬ বেনেবৌ পাখি
কোন্ বেনের বৌ গো, পাখি বেনেবৌনাম শুনে মনে লাগে কী বিষম ঢেউ
দেখি না যে কোনও খানে কোথা তুমি থাকো
দেখা দাও বেনেবৌ ফাঁকি দিও নাকো
৮৭ বেলে হাঁস
হাঁসফাঁস বেলে হাঁস দেখা পাওয়া ভারদিনে দিনে সংখ্যা যে কমে যায় তার
আকাশে উড়িতে পারে যায় বহু দূর
দেখিতে দেখিতে মন হয় ভরপুর
৮৮ বোলতা
হলুদ বরন চিকন গড়নকামড়ে দিলে জ্বালায় মরণ
হালকা পাখায় ওড়া ভন ভন
কেন রে হুল ফোটাস এমন?
৮৯ বৌকথা কও পাখি
বৌকে বলে কইতে কথা বৌকথা-কও পাখি তাই তো তার এমনি নাম সবাই মিলে রাখি
কথা কি আর কইতে পারে মানুষ অমন ভাবে
তার সাথে কি নতুন বৌ কথা কইতে যাবে?
৯০ বনটিয়া
বনে থাকে বনটিয়া বনে গিয়ে দেখসহজে পাবে না দেখা তুমি বাজি রাখ
তার সাথে সহজেই দেখা যদি হয়
বোঝা যাবে মোটেই সে দুর্লভ নয়
৯১ বনবিড়াল
বনে বনে ঘোরে সে, চিনতে টালমাটাল
ঘরের পোষ্য নয় সে মোটে, নামটি বনবিড়াল
মেঠো ইঁদুর খায় ধরে সে, বিড়াল বিড়াল ভাব
শান্ত নয় বনচারী এ, হিংসুটে স্বভাব
৯২ বল্গা হরিণ
মেরুর দেশে থাকে হরিণ বল্গা-হরিণ নামমানুষ জেনো করায় তারে কঠিন পরিশ্রম
বরফ ভরা পথের উপর টানায় তারে গাড়ি
স্লেজ টেনে দলে মিলে, দেয় বহুদূর পাড়ি
৯৩ বুলবুলি
দেখি তোর মাথায় চূড়া, নবাব নবাব ভাবওরে সাধের বুলবুলি তোর সাথে আমার ভাব
গাছে গাছে ডালে ডালে খুঁজিস পোকা মাকড়
কোথায় গেলি বুলবুলি রে, খোঁজ পাই না তোর
৯৪ ভালুক
কালো লোমে ঢাকা, সুবিশাল তারাচার পায়ে হাঁটে, কভু দুই পায়ে খাড়া
মধুলোভী তারা খুব, বলবানও হয়
দুইহাতে জাপটায়ে, শিকার ধরিতে চায়
৯৫ ভেড়া
লোমে ঢাকা দেহখানি শক্ত শিং তারলোকে বলে শিং-এ যেন হীরকের ধার
পশম ছাটিয়া হয় গরম পোষাক
পশুর পশমে ভরে মানুষের তাক
৯৬ ভোমরা
দেখেছ কি তোমরাকেলোকুলো ভোমরা
কামড়ালে একবার
করে দেবে ঘর বার
৯৭ ভোঁদড়
মাছ ধরে খায় ভোঁদড়বাবু জানি মোরা সবেখুঁজতে গেলে তারে তুমি খালের ধারে পাবে
খালে বিলে মাছ ধরে, জলে করে বাস
খেয়ে খেয়ে মাছ-বংশে টেনে ধরে রাশ
৯৮ ম্যাকাও পাখি (মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার টিয়েপাখি)
ওরে পাখি ম্যাকাওউড়ে উড়ে কোথা যাও
রঙচঙে দুই ডানা, পাখা আর লেজখান
পাখা মেলে উড়ে যাও, রূপে রঙে অম্লান
৯৯ মাকড়সা
মাকড়সার সূক্ষ্ম বাসা সরু সুতো তারএক-নাল সুতো দ্যাখে হেন সাধ্য কার
মশা মাছি উড়ে যেতে, ধরা পড়ে হামেশা
জীবন মরণ যুদ্ধ, নহে মোটে তামাশা
১০০ মাছি
মাছিদের জ্বালাতে হয় বুঝি পালাতে
দিন নেই, রাত নেই, ভন ভন মাছি
সত্যি বলতে কি, বিপদেই আছি
১০১ মাছরাঙা
রং চং মাখা দেহে, মাছরাঙা পাখিমাছ খায় বলে নাম, তাহা জানো নাকি
বাঁশ টঙে ওৎ পেতে বসে থাকে চুপ
যেই দেখে মাছ নড়ে, দেয় লাফ ঝুপ
১০২ মোরগ-মুরগি
লাল ঝুঁটি মোরগের ঘরে দোরে বাসমুরগিটি কাছাকাছি থাকে তার পাশ
ডিম পাড়ে মুরগি মাঝে মাঝে কত
তাহাতে পুষ্টি পায়, খায় লোকে শত
১০৩ মোষ / মহিষ
বনে থাকে বুনো মোষ, পোষা মোষ বাড়িতে কৃষি কাজে লাগে কিছু, কিছুবা গাড়িতে
শিং দুটো বড় বড় বর্ণটা কালো
গরুদের মতো তারা দুধ দেয় ভালো
১০৪ মৌটুসি
মৌটুসি মৌ খায় ওড়ে ফুলে ফুলেছাড়বেনা একটাও কভু কোনও ভুলে
পুঁচকে সে পাখি এক ফড় ফড় ওড়ে
চঞ্চু ডোবায় দীঘল, ফুল ধরে ধরে
১০৫ মৌমাছি
মৌমাছি মাছি নয়, ফুল খুঁজে ঘোরে সেমধুর মধুর রস মুখে তার বরষে
বনে গিয়ে মৌলি, খুঁজে ফেরে মৌচাক
মৌমাছি গড়ে তবু বাসা তার ঠিকঠাক
১০৬ মথ
প্রজাপতি নয় তারা সমরূপ ধরেসাদা সাদা গুঁড়ো থাকে পাখার উপরে
রঙ নেই পাখাতে মোটে, নীরস চেহারা
কেউ কেউ ভাবে বুঝি প্রজাপতি তাহারা
১০৭ মুনিয়া
ও মুনিয়া, তোমায় নিয়া কী করব রেসেই ভেবেই হঠাৎ করে থেমে গেলাম যে
খাঁচার ভিতর রাখা পাখি চলবে না আর মোটে
মনের ভিতর সেই কথাটি অমনি জেগে ওঠে
১০৮ মশা
মশাদের মশকরা গুনগুন কানেযেখানেই যাও তারা আছে সবখানে
কাটুস কুটুস হুল ফোটাতেই আছে
মশারি টাঙাও বাপু, হুল দেবে পাছে
১০৯ ময়না
ও ময়না তুই আয় না কাছে, শোনা রে তোর বুলিতোর সাথে মুই কইব কথা মনটি আমার খুলি
দাঁড় দেব ছোলা দেব আর দেব কী
ওরে মোর মনের পাখি, সোনার ময়নাটি
১১০ ময়ূর
ময়ূরের পাখনায় কত রূপ ধরেমেলে দেয় পাখনা ঠিক গোল করে
বর্ষায় মেঘ ডাকে ভারী মজা হয়
নেচে নেচে পাখা মেলে কেকা রব কয়
১১১ রুই
পুকুরের সেরা মাছ, নাম তার রুইকাতলাও সহযোগী এই মিলে দুই
জাল ফেলে পুকুরে, টেনে তোলে মাছ
ছিপ দিয়ে ধরে কেউ জুড়ে দেয় নাচ
১১২ শ্যামা পোকা
শীতের শুরুর সময় হলে তাদের আবির্ভাবপুঁচকে হলেও কিন্তু তাদের বড় রকম দাপ
কুটুস করে কামড়ে দিলে বড়ই জ্বালা করে
আলোর কাছে ফাঁদটি পেতে, তাই তো তাদের ধরে
১১৩ শকুন
শকুন, তোমার গুণ-- মেনে নেয় সবেভাগাড় না সাফ হলে, লোকে মারা যাবে
তুমি যে সাফাই-পাখি সবে জানে তাহা
মুখে না বলুক মনে, বলে আহা আহা
১১৪ শূকর
শূকর যাহারে কয় তারই নাম বরাহচিৎকার বিকট করে, মোটে নয় সুসহ
মাথা পেট বুক তার একইভাবে গোলাকার
দুই পাশে আছে দাঁত, দেখতেও কদাকার
১১৫ শালিক
কিচমিচ শালিকেরকোঁদল যেন বালিকের
ফুড়ুত শব্দে উড়ে যায়
ফেলে দিয়ে কী ধাঁধায়
১১৬ শিম্পাঞ্জি
মানুষের মতো সে যে গোরিলার সমপ্রায়হাতে পায়ে বেয়ে বেয়ে গাছে গাছে ধায়
ফলমূল আহারে করে নিরামিষ ভোজী
চিড়িয়াখানায় গেলে দেখা পাবে রোজই
১১৭ শিয়াল
কুকুরের মতো যেন শিয়ালের চেহারামেটে মেটে খয়েরি গঠনটি দোহারা
চুপচাপ করে রাতে চুরি হাঁস মুরগি
তাড়া খেয়ে কখনও পড়ে, ধুপধাপ করি
বড় বড় কাঁটা ভরা দেহখানি তার
সাজানো তীক্ষ্ণ কাঁটা আছে সার সার
ভয় হয় যখনি তার কাঁটা দেয় মেলে
ফুটিয়ে সে দেবে কাঁটা তার কাছে গেলে
১১৯ সাপ
লম্বা মোটা দড়ির মতো জলে ডাঙায় থাকে সাগর জলে মাটির উপর,
কিংবা মরু-বালির ভিতর,
পাওয়া যাবে তাকে
বিষের থলি থাকে মুখে তীক্ষ্ণ বিষ দাঁত
বুকে হাঁটে সরসরিয়ে, নেই কোনও পা-হাত
১২০ সারস-১
মাঠে ঘাটে গেলে পাবে সারসের দেখাসুদীর্ঘ ঠোঁট দুটি মোটে নয় বাঁকা
সরু সরু পা গুলি দীর্ঘ অতিশয়
শামুক গুগলি খায় নিরামিশ নয়
১২১ সারস-২
ওরে সারস, ওরে সারস তুই আমার কে বটে হস্
লম্বা গলা বিরাট ডানা
যা গিয়ে দে জলায় হানা
১২২ সিন্ধুঘোটক (Sea Horse)
ঘোড়ার মতো চেহারাটা জলের প্রাণী সে
সাগর জলে জীবন কাটে অতি হরষে
১২৩ সিলভার এ্যান্ট
রুপোলি চেহারা তাই সিলভার নামলাজুক লাজুক হলেও আছে দুর্নাম
ভাল বই, দামি বই, সে যেমনই হোক
চুপচাপ কাটবার আছে তার রোখ
পা আছে পাখা আছে তবু সে যে মাছ
শীত-সাগরে বাসা তার বরফের মাঝ
স্তন্যপায়ী প্রাণী তারা, জলে তার বাসা
থলথলে দেহ তার চর্বিতে ঠাসা
বড় দুই দাঁত আছে হাতিদের মতো মুখখানি বুল ডগ, গম্ভীর কত
থলথলে দেহ তার চলে ধীরে ধীরে
জীবন কাটায়ে দেয় সাগরের তীরে
১২৫ সিংহ/সিংহী
বনের রাজা পশু সিংহ কেশর থাকে তার
বনে থাকে যেসব জীব কেউ পাবে না পার
খিদে পেলে শিকার ধরে নইলে তেমন নয়
তবু তারে সমঝে চলে সকল বনময়
সিংহীদের কেশর মোটে থাকে না কখনও
সে কথাটি মনে মনে সঠিক ভাবে জেনো
১২৬ হাঙর
হাঙর এক ডাঙর প্রাণী জলে করে বাসজলে বাস করে যারা তাহাদের ত্রাস
ঝকঝকে দেহটা আলো পিছলে পড়ে
ধারালো ভয়াল দাঁত, চিক চিক করে
১২৭ হাতি
শুঁড়খানা তার হাতের মতো, এটি তাহার নাকজল ছিটিয়ে, গাছ ভেঙে সে দিচ্ছে করে ফাঁক
দুপাশে দুই মস্ত দাঁত, সাদা দুধের মতো
বিশালতম বনের মাঝে পশু আছে যত
হামিংবার্ড নাম শুনেছি কোন্ সে দেশে থাকে
এ জন্মে দেখিনি তো কোনওকালে তাকে
ছোট্ট সোনা পাখি, দিও না গো ফাঁকি
তোমরা শুনি, মৌটুসিদের মতো হও নাকি
হায়না অতি হিংস্র জীব সদা সুযোগ খোঁজে
খ্যাঁকশিয়ালের মতো প্রায়, লেজটি থাকে গুঁজে
চলার ভঙ্গী খোঁড়ার মতো, মাথাটি তার নত
সকল জীবে তারা জেনো হিংসে অবিরত
ডাক শুনে তার মনে হবে হা-হা করে হাসে
যদিও সে বিপজ্জনক কাছে যদি আসে
১৩০ হনুমান
হনুমান বানরের বড় জাতভাইচেহারাটা দু-দলের ঠিক এক তাই
ফল খায় মূল খায়, যখন যা পায়
খাবার দেখিলে হাতে পিছু পিছু ধায়
১৩১ হরিণ
দ্রুতগতি হরিণের শিং থাকে দুইছোটে যেন বিদ্যুৎ , না-ছুঁয়েই ভুঁই
চকচকে মসৃণ দেখিতে সুন্দর
সকলেই সেকারণে করিছে কদর
১৩২ হলদে পাখি
হলদে পাখি হলুদ বরন নতুন বধূ যেনশীত কালে সে হয়রে হাজির প্রতি বছর কেন
নরম রোদের আরাম পেতে হলুদ বরন পাখি
গাছের ফাঁকে থেকেই আমার মনটা নিবি নাকি?
১৩৩ হাঁস
ওরে হাঁস গলাটা তোর ভাঙা বুঝিডাকিস রে ফ্যাঁস ফ্যাঁস
দাঁতগুলো তোর গেল কোথা
পাখায় তেল ক‘মন লাগাস?
=====================
সর্বশেষ পরিমার্জন ০৯/০৬/২০১৬
===============